পায়ের নখের ফাঙ্গাস দূর করার কার্যকর ০৬ টি ঘরোয়া উপায়
passiondrivefiona
২১ এপ্রি, ২০২৪
পায়ের নখের ফাঙ্গাস দূর করার ঘরোয়া উপায় কার্যকর ০৬টি সম্পর্কে আজকের আর্টিকেল থেকে জেনে নিন। পায়ের নখে ফাঙ্গাস আক্রমণ হলে তা ঘরোয়া কিছু উপাদান ব্যবহারে মাধ্যমে দূর করা যায়। কিন্তু তার আগে জানতে হবে আসলেই পায়ের নখে ফাঙ্গাস আক্রমণ হয়েছে কিনা। এ কারণে পায়ের নখের ফাঙ্গাসের লক্ষণ গুলো কি সে সম্পর্কেও এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিন।
আমাদের হাত পায়ের নখ সাধারণত মসৃণ হয়ে থাকে এবং কিছুটা গোলাপি রঙের। কোন কারণে পায়ের নখে সমস্যা দেখা দিলে বিভিন্ন রকম পরিবর্তন হয়ে থাকে। আমাদের প্রথমে এই পরিবর্তনগুলো খেয়াল করে নিশ্চিত হতে হবে আসলেই ফাঙ্গাস আক্রমণ হয়েছে কিনা। আশার কথা হল, ঘরোয়া ছয়টি কার্যকর উপায়ে এই ফাঙ্গাস দূর করা সম্ভব, যা আজকের আর্টিকেল থেকে জানতে পারবেন।পোস্ট সূচীপত্রঃ
পায়ের নখের ছত্রাক বা ফাঙ্গাস কি
পায়ের নখের ফাঙ্গাস সাধারণত এক ধরনের ছত্রাক আক্রমণের কারণ, যা পায়ে সাধারণভাবে হতে দেখা যায়। হাত এবং পায়ে দুই জায়গাতেই এই ফাঙ্গাস আক্রমণ হতে পারে। তবে সাধারণত পায়ে এই ফাঙ্গাস বেশি হতে দেখা যায়। এই ফাঙ্গাসের কারণে পায়ের নখের ডগা সাদা বা হলুদ হতে দেখা যায় এবং তা এক পর্যায়ে পায়ের নখের মাঝামাঝি বা শেষ প্রান্ত পর্যন্ত ছড়িয়ে যেতে পারে।
এই ফাঙ্গাসের আক্রমণের কারণে পায়ের নখের রং ফ্যাকাসে বা বিবর্ণ হয়ে যেতে পারে, ভেঙে যেতে পারে, কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যথা হতে পারে এবং রক্ত পড়তে পারে। সাধারণত পায়ের নখ ঠিকমতো পরিষ্কার না করা, পায়ের নখে দীর্ঘ সময়ের জন্য কাদা ধুলাবালি লেগে থাকা, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, জানা-অজানা যে কোনো আঘাতের কারণে এই পায়ের নখের ফাঙ্গাস হতে দেখা যায়।
পায়ের নখের ফাঙ্গাস দূর করার ঘরোয়া উপায়
পায়ের নখের ফাঙ্গাস দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে আপনারা অনেকেই সার্চ দিয়ে থাকেন । আমাদের দেশে বর্ষাকালে অনেকের পায়ের নখে ফাঙ্গাস দেখা দেয়। আবার অনেকের সারা বছরই এই সমস্যা হতে দেখা যায়। মাঝে মধ্যেই ফাঙ্গাসের মাত্রা বেশি হয়ে যায়। তখন চিকিৎসকের পরামর্শ মত উপযুক্ত চিকিৎসা গ্রহণ করা জরুরী হয়ে পড়ে।
তবে যদি বেশি মাত্রায় এই রোগটি রূপ ধারণ না করে, তখন ঘরোয়া কিছু উপায় ব্যবহারের মাধ্যমে বাসা থেকেই এর চিকিৎসা করা সম্ভব। নিয়মিত ব্যবহার করলে ঘরোয়া এসব উপায়ে পায়ে নখের ফাঙ্গাস পুরোপুরি দূর করা যায়। শুধু জানতে হবে ফাঙ্গাস দূর করার কার্যকর ঘরোয়া উপায় গুলো।
নিচের আলোচনা থেকে জেনে নিন পায়ের নখের ফাঙ্গাস দূর করার ঘরোয়া উপায় কার্যকরী ০৬টি সম্পর্কে বিস্তারিত:
বেকিং সোডা এর ব্যবহার ঃ বেকিং সোডা এমন একটি উপকরণ যেটি আমাদের আশেপাশে যে কোনো মুদির দোকান বা কনফেকসোনারি দোকানে পাওয়া যায়। রান্নার এই জিনিস আমরা ্পায়ের নখের ফাঙ্গাস দূর করতে ব্যবহার করতে পারি। গবেষনা থেকে জানা গেছে, নখের ফাঙ্গাস হওয়ার একটি কারণ হলো নখের আর্দ্র ভাব। বেকিং সোডা নখে থাকা এই আর্দ্র ভাব শুষে নিতে পারে।
বেকিং সোডা নখের ফাঙ্গাসের ৭৯ শতাংশের বেশি ফাঙ্গাস দূর করতে পারে। এটি ব্যবহার করা খুবই সহজ। যখন মুজা বা জুতা পরবেন তখন বেকিং সোডা সেখানে ছিটিয়ে দিয়ে পরতে পারেন। এছাড়াও পানি এবং বেকিং সোডা মিশিয়ে একটি পেস্ট বানাতে পারেন এবং যে নখ বা নখ গুলোতে ফাঙ্গাস হয়েছে সেখানে লাগিয়ে রাখতে পারেন।
যখন পেস্টটি একটু শুকিয়ে আসবে তখন পানি দিয়ে ধুঁয়ে নিবেন। কয়েকদিন নিয়মিত ব্যবহারেই ফাঙ্গাসের পরিমাণ অনেকটাই কমে যাবে।
মাউথ ওয়াশ এর ব্যবহার ঃ মুখ পরষ্কার করার জন্য এটি ব্যবহৃত হয় , তাই শুনলে বেশি অবাক হওয়ার কথা নয় যে, এটি ব্যাক্টেরিয়া ও ফাঙ্গাস রোধ করতে পারে। এর মধ্যে থাকা মেন্থল, থাইমল ও ইউক্যালিপ্টাস উপাদানগুলব্যাক্টেরিয়া ও ফাঙ্গাস রোধ করে। একটি বাটিতে প্রয়োজন মতো মাউথ ওয়াশ ঢেলে নিন। সেখানে আপনার আক্রান্ত আঙ্গুল ডুবিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে পানি দিয়ে তা ধুঁয়ে ফেলুন।
ভিনেগার এর ব্যবহার ঃমোটামুটি সবার বাসাতেই ভিনেগার রয়েছে। রান্নার ও পরিষ্কার করার কাজে ব্যবহৃত এই উপকরণ ব্যবহার করা যাবে পায়ের নখের ফাঙ্গাস রোধে। এটিও ব্যবহার করা সহজ। আপনি একটি পাত্রে পানি নিয়ে নিবেন। সেই পাত্রে যতটুকু পরিমাণ পানি নিবেন তার অর্ধেক ভিনেগার অর্থাৎ পানির দুই ভাগের এক ভাগ ভিনেগার মিশিয়ে নিবেন।
প্রতিদিন ২০ মিনিট ধরে সেই পাত্রে পা ডুবিয়ে রাখুন। যদিও এর সাহায্যে ফাঙ্গাস দূর হতে একটু সময় লাগে তবে হাতের কাছে থাকা সহজেই উপকরণ দিয়ে ফাঙ্গাস দূর করা যাবে নিয়মিত ব্যবহার করলে।
রসুন এর ব্যবহার ঃ রসুন হলো আরও একটি রান্নার কাজে ব্যবহৃত উপাদান যা ফাঙ্গাস দূর করতে সাহায্য করে। রসুন এমন একটি মসলা যা মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন রোগের ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। পায়ের ফাঙ্গাস দূর করতেও রসুন ব্যবহার করা যায় নিশ্চিন্তে। রসুন কুঁচি কুঁচি করে কেঁটে তা আক্রান্ত নখে রেখে দিন। ৩০ মিনিট পর সেটি ধুঁয়ে ফেলুন। প্রতিদিন নিয়মিত এই পদ্ধতি ব্যবহার করুন।
হলুদ এর ব্যবহার ঃ হলুদ একট অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান। তাইফাঙ্গাস দূর করতে হলুদ ব্যবহার করা যায়, তবে এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করার জন্য হলুদের সাথে দরকার আমন্ড অয়েল এবং অলিভ অয়েল যা সহজে আমাদের হাতের কাছে রয়েছে। এই পদ্ধতিতে আমন্ড অয়েল ও অলিভ অয়েলের সাথে কয়েক টুকরা কাঁচা হলুদ ফুটিয়ে নিতে হবে।
এরপর এক চামচ হলুদ তেলের সঙ্গে তিন টেবিল চামচ পানি মিশিয়ে প্রতিদিন এটি আক্রান্ত নখে ৩ বার লাগিয়ে ব্যবহার করুন। নিয়মিত ব্যবহারে কয়েকদিনে ই ভালো ফলাফল দেখতে পাবেন।
ভিক্স এর ব্যবহার ঃ সাধারণত আমরা ভিক্স ঠান্ডা, কাশি, গলা ব্যাথা ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যবহার করে থাকি। তবে ভিক্স এর ব্যবহার পায়ের নখের ফাঙ্গাস রোধেও কার্যকরী হতে পারে। প্রতিদিন ২ বার করে আক্রান্ত নখে ভিক্স লাগাতে হবে। এরপর যদি আপনি চান তাহলে সে নখ গজ দ্বারা একটি ব্যান্ডেজ দিতে পারেন।
বিভিন্ন ঔষধের ব্যবহারঃ পায়ের নখের ফাঙ্গাস রোধে বিভিন্ন ঔষধ বা ক্রিম ব্যবহার করা যায়। এর মধ্যে কয়েকটি হলো টার্বিসন ১% ক্রিম (terbison 1%) , clotrimazole 1 topical, ফাঙ্গাস রোধি ফ্লুকোনাজল জাতীয় ক্যাপসুল ইত্যাদি। তবে এগুলো ব্যবহারের আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
পায়ের নখের ফাঙ্গাসের লক্ষণ গুলো কি
পায়ের নখের ফাঙ্গাসে লক্ষণ গুলো কি কি সে সম্পর্কে এখন জেনে নিন। পায়ের নখের ফাঙ্গাস সংক্রমণ হয়েছে কিনা তা খুব একটা বোঝা যায় না। কারণ ফাঙ্গাস সংক্রমণের লক্ষণগুলি খুবই সাধারণ কিছু লক্ষণ যা আমরা সহজেই এড়িয়ে যাই, যতক্ষণ না তা আমাদের স্বাস্থ্যের উপর ঝুঁকির কারণ হয়।
পায়ের নখের কিছু কিছু পরিবর্তন দেখে আমরা পায়ের নখে ফাঙ্গাস সংক্রমণ হয়েছে কিনা তা বুঝতে পারবো। যেমনঃ
নখে হলুদ বা সাদা ছোপ থাকা: পায়ের নখের ফাঙ্গাস সংক্রমণ হওয়ার প্রথম লক্ষণ হলো নখের ডগায় সাদা বা হলুদ ছোপ থাকা। সাধারণত এক্ষেত্রে আমরা আমাদের শরীরের ভিটামিনের কোনো ঘাটতি বলে মনে করে থাকি। কিন্তু আসলে এটি পায়ের নখের ফাঙ্গাস হওয়ার একদম প্রথম দিকের অবস্থা যা পায়ের নখ হলুদ হওয়া থেকে শুরু হয়।
নখের বিভিন্ন পরিবর্তন: প্রথমদিকে গুরুত্ব না দেওয়ার কারণে ধীরে ধীরে এই ফাঙ্গাসের আক্রমণের কারণে নখ ভেতরের দিকে ডুবে যেতে পারে, নখের রং পরিবর্তন হতে পারে, নখ মোটা হয়ে যেতে পারে এবং সহজেই ভেঙে যেতে পারে। এছাড়া অনেক সময় আক্রমণের জায়গায় ব্যথা হতে পারে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে রক্ত পড়তে পারে।
উপরে উল্লেখিত এই সকল লক্ষণগুলো পায়ের নখে দেখা দিলে বুঝতে হবে ফাঙ্গাস বা ছত্রাক আক্রমণ হয়েছে।
পায়ের নখের ফাঙ্গাস কেন হয়
পায়ের নখের ফাঙ্গাস দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলো নিয়মিত ব্যবহারে পায়ের নখের ফাঙ্গাস অনেকটাই দূর করা যায়। যেহেতু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হাতের নখের থেকে পায়ের নখে সংক্রমণ বেশি হতে দেখা যায়, তাই এই ফাঙ্গাসের কারণগুলো আমাদের জানা থাকা দরকার। নিচে এরকম কয়েকটি কারণ বলা হলো:
বেশিরভাগ পায়ের নখের ফাঙ্গাস গ্রীষ্ম বা বর্ষাকালে হয়ে থাকে। কারণ এই মাস গুলতে আমাদের পা ভেজা বা আর্দ্রতা সব চেয়ে বেশি সময় ধরে থাকে।
নখে বা এর আশেপাশের ত্বকে আঘাত লাগলে ফাঙ্গাস হতে দেখা দেয়।
নখে বিভিন্ন রোগের আবাস হওয়ার ফলে নখে ফাঙ্গাস হতে পায়ে।
একই মুজা অনেকদিন ধরে ব্যবহার করলে এই ফাঙ্গাস হতে পারে। কারণ অনেক দিন ধরে একই মুজা ব্যবহার করলে মুজায় থাকা ঘামের জিবাণু পায়ে সংক্রমন ঘটিয়ে ফাঙ্গাস তৈরি করে।
বেশি চাপা জুতা পরিধানের মধ্যমে নখে ফাঙ্গাস দেখা দেয়। সাধারণত পায়ে বাতাসের জায়গা না থাকায় এরকম হয়ে থাকে।
যদি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে, তাহলে ফাঙ্গাসহ বিভিন্ন রোগের বাসা বাঁধতে পারে আপনার দেহে।
আবার বয়সের কারণেও পায়ের নখের ফাঙ্গাস হতে দেখা যায়। সাধারণত বয়স্ক ব্যক্তিদের পায়ের নখ ভেঙ্গে গেলে ভাঙ্গা স্থান দিয়ে ছত্রাক প্রবেশ করতে পারে সহজে এবং এর ফলে ফাঙ্গাসের সংক্রমণ ঘটে।
যাদের হাত-পা বেশি ঘামে তাদের এই ঘাম থেকে ফাঙ্গাস সংক্রমণ করতে পারে সহজে।
পায়ের নখে অনেকদিন যাবত ময়লা লেগে থাকলে এই ফাঙ্গাসের সংক্রমণ হতে পারে।
অনেক সময় কোন কারণে পায়ে রক্ত সঞ্চালন পর্যাপ্ত পরিমাণে না হলে বা কম হওয়ার কারণে এই ফাঙ্গাস সংক্রমণ হতে দেখা যায়।
পায়ের ফাঙ্গাস এড়াতে যা যা করবেন
পায়ের নখের ফাঙ্গাস দূর করার ঘরোয়া উপায় ব্যবহার করে সহজে মুক্তি পাওয়া গেলেও, কিছু কিছু স্বাস্থ্য বিষয়ক নিয়ম মেনে চললে সহজে পায়ের নখের ফাঙ্গাস থেকে দূরে থাকা যায়। নিচের কাজগুলো নিয়মিত মেনে চললে পায়ের নখের ফাঙ্গাস থেকে দূরে থাকতে পারবেন। যেমনঃ
প্রতিবার গোসলের সময় পায়ের নখ ভালোভাবে পরিষ্কার করা যাতে সেখানে ময়লা এবং জীবাণু না থাকতে পারে।
হাত এবং পায়ের নখ কাটার জন্য আমরা যে সরঞ্জাম ব্যবহার করি তা ব্যবহারের পর ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার রাখা।
যাদের হাত পা ঘামার সমস্যা রয়েছে তাদের সম্ভব হলে কিছুক্ষণ পর পর টিস্যু বা পাতলা কাপড় দিয়ে সেই স্থান মুছে ফেলা।
পুরনো জুতো মোজা ব্যবহারের আগে তা পরিষ্কার এবং শুকনো কিনা খেয়াল রাখা।
নিয়মিতভাবে জুতা এবং মোজা পরিষ্কার রাখা
কোনভাবে পায়ের নখে আঘাত লাগলে তা যথাসম্ভব ঢেকে মুজা এবং জুতা পরা
পার্লারে গিয়ে মেনিকিউর এবং পেডিকিউর সেবা নেওয়ার আগে অবশ্যই দেখতে হবে সেগুলোর সরঞ্জাম ঠিকমতো পরিষ্কার আছে কিনা।
আগে থেকেই পায়ের নখে সমস্যা থাকলে নেল কালার থেকে যথাসম্ভব দূরে থাকার চেষ্টা করা
হাত পায়ের নখ কাটার সময় নখের আগা যেন সমান করা হয় সেদিকে ভালোভাবে খেয়াল রাখা
নখকুনি এবং ফাঙ্গাস আক্রমন কি এক
পায়ের নখের ছত্রাক আক্রমণের কারণে যে ফাঙ্গাস হয়ে থাকে এবং নখ কুনি সম্পূর্ণ আলাদা। পায়ের ফাঙ্গাস সাধারণত বিভিন্ন কারণে ছত্রাক আক্রমণের ফলে হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে পায়ের নখের ডগা হলুদ রঙের হয়ে থাকে এবং তা আস্তে আস্তে পুরো নখে ছড়িয়ে যেতে পারে।
পায়ের নখের কুনি সাধারণত বুড়ো আঙ্গুলে হয়ে থাকে। নখ কোন কারণে বাইরের দিকে বড় না হয়ে যদি ভিতরের দিকে বড় হয়ে দেবে যায় তাহলে সেটাকে আমরা সাধারণত কুনি বলে থাকি। ঠিকমতো নক না কাটা, নখে কোন আঘাত পেলে বা অপরিচ্ছন্ন জুতা মোজা পড়লে সাধারণত এই কুনি হতে দেখা যায়।
পায়ের নখে কুনি হলে নখের আশেপাশের ত্বক লাল হয়ে যেতে দেখা যায়, নখের চারপাশের মাংস ফুলে যেতে পারে, প্রচন্ড ব্যথা হতে পারে কিছু কিছু ক্ষেত্রে পুজ জমতে পারে। এবং পুজ সহ রক্ত বের হতে পারে। এক্ষেত্রে কুনি হওয়া নখ শুকনো রাখতে হবে, আরামদায়ক জুতা ব্যবহার করতে হবে, নিজে কুনি কাটার চেষ্টা করা যাবে না।
পায়ে নখের ফাঙ্গাসের চিকিৎসা
পায়ের নখের ফাঙ্গাস দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আপনারা উপরে জেনেছেন। তবে পায়ের নখের ফাঙ্গাস এর চিকিৎসা হিসেবে ট্রপিকাল কিছু ক্রিম বা মলম ব্যবহার করার উপদেশ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। আবার মুখে খাওয়ার কিছু ঔষধও দিয়ে থাকেন কিছু কিছু ক্ষেত্রে। তবে পায়ের নখের ফাঙ্গাস দূর করার জন্য এসব ওষুধ ব্যবহারে দীর্ঘ সময় লাগতে পারে।
বর্তমানে পায়ের ফাঙ্গাস দূর করার জন্য লেজার পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে। এই পদ্ধতিতে পায়ের ফাঙ্গাস খুব সহজেই নিরাময় করা যায়।
আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে পায়ের ফাঙ্গাস খুব বেশি হলে নখ বাদ দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। সাধারণত নখের স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমে বা নখের টিস্যু গুলোকে মাইক্রোস্কোপের মাধ্যমে পরীক্ষা করে নির্ণয় করা হয়ে থাকে যে এটা আসলেই ছত্রাক আক্রমণ কিনা। এবং সেই হিসেবে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন চিকিৎসকরা।
পায়ের নখের ফাঙ্গাস দূর করতে এবং আবার যেন না হতে পারে এজন্য চিকিৎসকের পরামর্শ মত ঔষধের কোর্সগুলো সম্পূর্ণ করা জরুরী।
পরিশেষে
পায়ের নখের ফাঙ্গাস দূর করার ঘরোয়া উপায় কার্যকরী ০৬টি নিয়ে আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করেছি। হাতের কাছে থাকা সহজলভ্য এই উপাদান গুলো পায়ের নখের ফাঙ্গাস দূর করার জন্য ব্যবহার করলে উপকার পাবেন। ধৈর্য নিয়ে আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার চালিয়ে গেলে খুব সহজেই এই ফাঙ্গাস থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
এছাড়া পায়ের লোকের ফাঙ্গাস এর লক্ষণ সম্পর্কেও আলোচনা করেছি। তবে ছত্রাক আক্রমণ হওয়ার আগে কিছু কিছু বিষয় মেনে চললে অনাকাঙ্ক্ষিত এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। হাত বা পায়ে ফাঙ্গাস আক্রমণ হলে যেহেতু আমাদের সৌন্দর্য নষ্ট হওয়ার সাথে সাথে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বেড়ে যায়, তাই ছত্রাক আক্রমণের বিষয়ে সবসময় সজাগ থাকা উচিত।
passiondrivefiona র নীতিমালা মেনে comment করুন। প্রতিটি comment রিভিউ করা হয়;
comment url