ফুলকপি বাঁধাকপির যত পুষ্টিগুণ - সারা বছর সংরক্ষণের উপায় জেনে নিন
ফুলকপি এবং বাঁধাকপি পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং সুস্বাদু একটি শীতকালীন সবজি। ফুলকপি এবং বাঁধাকপি পছন্দ করেনা এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। এজন্য এই দুটি সবজি অনেকেই সারা বছরের জন্য সংরক্ষণ করতে চান তাদের খাদ্য তালিকায় রাখার জন্য।
ফুলকপির পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
ফুলকপির পুষ্টিগুণ সম্পর্কে নিচে বলা হলোঃ
আরো পড়ুনঃ ত্বক, চু্লের যত্নে পেয়ারা পাতার উপকারিতা - পেয়ারা পাতার স্বাস্থ্য উপকারিতা
ফুলকপির পাতায় কি পুষ্টিগুণ রয়েছে
আরো পড়ুনঃ সহজ উপায়ে কাঁচকলার ডায়েট সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
সহজে ফুলকপি সংরক্ষণ পদ্ধতি জেনে নিন
ফুলকপি পুষ্টি গুণে ভরপুর একটি সবজি আমরা সারা বছর এই সবজিটি আমাদের খাবারের তালিকায় রাখতে চাই। কিন্তু যদিও এখন সারা বছরই কম বেশি ফুলকপির চাষ হয়, মূলতঃ ফুলকপি শীতকালীন সবজি হওয়ায় শীতের সময় এর ফুলকপির স্বাদ এবং গন্ধ খুবই উঁচু মানে এবং সম্পূর্ণ আলাদা। সেগুলোর স্বাদ এবং গন্ধ শীতের সময়ের মত হয় না।
এজন্য অনেকেই চান শীতের ফুলকপি সারা বছর সংরক্ষণ করতে। যাতে সহজেই সারা বছর নিজেদের রসনার চাহিদা মেটাতে পারেন। নিচে খুব সহজ এবং কোন ঝামেলা ছাড়া ফুলকপির সংরক্ষণ পদ্ধতি দেয়া হলোঃ
ফুলকপি সংরক্ষণের জন্য প্রথমে ফুলকপি ছোট ছোট পিস করে কেটে নিতে হবে ঠিক যেমনটা আমরা কোন তরকারিতে খেয়ে থাকি। এরপর পরিষ্কার পানিতে ফুলকপি গুলো ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মত ডুবিয়ে রাখতে হবে। যাতে ফুলকপির ভেতর কোন পোকা থাকলে এবং ময়লা বের হয়ে আসে। আবার অনেকেই ভাজি খাওয়ার জন্য যদি ফুলকপি সংরক্ষণ করতে চান তাহলে সে ক্ষেত্রে ছোট ছোট করে কেটে নিতে হবে।
আরো পড়ুন: সাবুদানা খাওয়ার উপকারিতা - সাবুদানা কি থেকে তউরি হয়
এরপর চুলায় ফুলকপি গুলো ডুবে থাকে এই পরিমাণ পানি দিতে হবে,সাথে পরিমাণ মতো লবণ দিয়ে পানিটা ফুটতে দিতে হবে। আপনারা ইচ্ছে করলে সামান্য পরিমাণ চিনিও দিতে পারেন।এটা সম্পূর্ণ আপনাদের টেস্টের উপর নির্ভর করবে। ফুলকপি গুলো তিন মিনিট ফুটানোর পর তুলে ঠান্ডা পানিতে ডুবিয়ে রাখতে হবে, যাতে রান্নার process বন্ধ হয়ে যায়।
এরপর কোন পাতলা কাপড় বা টিস্যু পেপার এর উপর রেখে ফ্যানের নিচে ফুলকপি গুলো রাখতে হবে যাতে সম্পূর্ণ শুকিয়ে যায়। এরপর ফুলকপি গুলো এই অবস্থায় ডিপ ফ্রিজে চার থেকে পাঁচ ঘন্টার মত রাখতে হবে।এরপর ফ্রিজ থেকে বের করে আপনারা কোন বক্স বা পলিব্যাগ বা জিপ লক ব্যাগে ততটুকু পরিমাণ রাখবেন যতটুকু একবারে রান্না করবেন।
কারণ অল্প করে রাখলে বের করতে সুবিধা হবে এবং বারবার বের না করার জন্য ফুলকপির স্বাদ এবং গুণগতমান বজায় থাকবে। এভাবে ফুলকপি গুলো ছয় মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত ভালো থাকবে। রান্না করার কিছু সময় আগে বের করে রান্না করলেই হবে।
সাদা না রঙিন কোন ফুলকপি বেশি উপকারী
সাদা এবং রঙিন দুই ধরনের ফুলকপিতে পুষ্টিগুণ রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে। আমাদের দেশে সাধারণত সাদা খুব ফুলকপি বেশি দেখতে পাওয়া যায়। তবে সময়ের পরিবর্তনে সাথে সাথে এই ফুলকপির রঙ্গেও ভিন্নতা এসেছে। বর্তমানে আমাদের দেশে রঙিন ফুলকপি চাষ শুরু হয়েছে। এজন্য বর্তমানে আমাদের দেশে কমলা এবং রক্তবর্ণের ফুলকপি পাওয়া যাচ্ছে। সাদা ফুলকপির চেয়ে রঙিন দুই জাতের ফুলকপির স্বাদ এবং পুষ্টিগুণ বেশি বলে জানা যায়।
তবে কৃষিবিদদের মতে সাদা ফুলকপির চেয়ে রঙিন ফুলকপির স্বাদ এবং পুষ্টির গুনাগুন বেশি রয়েছে। কমলা রঙের ফুলকপিতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন। যা শরীরের ভিতরে গিয়ে এ পরিণত হয়। হলে এই ফুলকপি আমাদের ত্বক এবং চোখের জন্য খুবই উপকারী। রক্ত-বর্ণের ফুলকপিতে রয়েছে এন্থাসায়ানিন নামক উপাদান যা আমাদের শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এজন্য যেকোনো ক্যান্সার প্রতিরোধ সহায়তা করে থাকে।
এছাড়া রঙিন ফুলকপিতে ভিটামিন সি সহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান এর পর্যাপ্ততা রয়েছে যা সাধারণ সাদা ফুলকপির মতোই। তাছাড়া চাষ পদ্ধতিও সাদা ফুলকপির মত একই। বর্তমানে আমাদের দেশে এই রঙিন ফুলকপি চাষ শুরু হলেও আশা করা যায় ভবিষ্যতে এর পুষ্টিগুণ এবং স্বাদ এর কথা চিন্তা করে এর চাষ আরো সাদা ফুলকপির মতই বৃদ্ধি পাবে।
ফুলকপির কোন অপকারিতা আছে কি
ফুলকপি বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানে ভরপুর একটি সুস্বাদু সবজি। ফুলকপি আমাদের ডায়েটে রাখলে বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা পেয়ে থাকি। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ফুলকপির অপকারিতা লক্ষ্য করা যায়। যেমন
যদিও ফুলকপিতে এলার্জি খুব একটা নেই তবে অনেকের ফুলকপিতে এলার্জি থাকতে পারে। ফুলকপিতে কারো অ্যালার্জি হলে সাধারণত মুখ এবং হাত ফুলে যেতে পারে। এজন্য যাদের এলার্জি প্রণতা রয়েছে তাদের ফুলকপি এড়িয়ে যাওয়ায় ভালো হবে।
ফুলকপিতে অন্যান্য ভিটামিন পর্যাপ্ত থাকলেও পটাশিয়াম এবং কভার কপার রয়েছে অল্প পরিমাণে। তাই ফুলকপি অতিরিক্ত খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যেতে পারে। ফুলকপিতে রেফিনোস নামক একটি উপাদান রয়েছে যা হজমে বেশি সময় নিতে পারে এর ফলে গ্যাসের সমস্যাও বৃদ্ধি পেতে পারে। তাছাড়া যাদের ইউরিক এসিডের সমস্যা রয়েছে তাদের ডায়েটে ফুলকপি পরিমিত রাখাই ভালো হবে।
বাঁধাকপির বিভিন্ন পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানুন
বাঁধাকপি নানা ধরনের পুষ্টি উপাদানে ভরপুর একটি সুস্বাদু শীতকালীন সবজি। বাঁধাকপিতে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে। তাই আমরা আমাদের ডায়েটে এই সুস্বাদু সবজিটি নিয়মিত রাখলে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা পেতে পারি। আমাদের দেশে সবুজ এবং রঙিন দুই ধরনের বাঁধাকপি সহজে পাওয়া যায়। বাঁধাকপির পুষ্টিগুণ সম্পর্কে নিচে দেওয়া হলঃ
- বাঁধাকপি ফাইবারে ভরপুর একটি সবজি। তাই নিয়মিত বাঁধাকপি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এবং পেটের যেকোনো রকম প্রদাহ থেকে আমাদের রক্ষা করতে দারুণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
- বাঁধাকপিতে ক্যালরি এবং কার্বোহাইড্রেট এর পরিমাণ খুবই অল্প পরিমাণ। তাই পুষ্টি উপাদানে ভরপুর এই সবজিটি নিয়মিত খেলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা নাই বললেই চলে।
- বাঁধাকপি তে রয়েছে সাল ফোরাপেন নামক উপাদান যা শরীরে এন্টি ইনফ্লামেটরি হিসেবে কাজ করে। এটি শরীরের যেকোনো ধরনের প্রদাহ এবং ইনফ্লেমশনের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে থাকে। ফলে ক্যান্সারের মতো রোগ থেকে আমাদের দূরে রাখতে সহায়তা করে থাকে।
- বাঁধাকপি তে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়াম। যা আমাদের শরীরের হাড়কে মজবুত রাখতে সহায়তা করে থাকে।
- বাঁধাকপি তে রয়েছে পর্যাপ্ত বিটা ক্যারোটিন যা ভিটামিন এএর উৎস। এই উপাদান আমাদের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সহায়তা করে থাকে।
- বাঁধাকপিতে থাকা ভিটামিন সি এবং কে আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকার বয়ে নিয়ে আসে। ভিটামিন কে আমাদের মস্তিষ্কের বিকাশে বিশাল ভূমিকা রয়েছে। তাই নিয়মিত বাঁধাকপি খেলে মস্তিষ্কের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এবং স্নায়ুর যেকোনো সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায়।
- বাঁধাকপি তে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হার্টের সুস্থতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই নিয়মিত বাধাকপি ডায়েটে রাখলে হার্টের সুস্থতা বজায় থাকবে। এছাড়া বাঁধাকপিতে থাকা হাইপার গ্লাইসেমিক ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে থাকে।
- এছাড়া নিয়মিত বাঁধাকপি খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে থাকে। তাই নিজেকে সুস্থ রাখতেআপনিও আপনার ডায়েটে বাঁধাকপি রাখতে পারেন নিয়মিত।
সহজে বাঁধাকপি সংরক্ষণের উপায় জানুন
ফুলকপির মত বাঁধাকপির বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানে ভরপুর এবং এবং সুস্বাদু সবজি হওয়ায় আমরা সারা বছর এর স্বাদ নিতে চাই। ফুলকপির মত বাঁধাকপি সারা বছর কিছু পরিমাণে পাওয়া গেলেও শীতের বাঁধাকপির মত স্বাদ এবং পুষ্টিগুণ অন্যান্য সময়ের বাঁধাকপিতে পাওয়া যায় না। তাই আমরা বাঁধাকপি সারা বছরের জন্য সংরক্ষণ করতে চাই।
বাঁধাকপি সংরক্ষণের জন্য পরবর্তীতে আপনারা যেভাবে রান্না করবেন ঠিক সেভাবে কেটে নিতে হবে। যেমন ভাজি করার জন্য চিকন করে কাটতে হবে, আবার যদি সবজি রান্না করতে চান তাহলে কিউব করে কেটে নিতে হবে। এরপর চুলায় পরিমাণ মতো পানি সাথে এক চা চামচ লবণ দিয়ে ফুটিয়ে নিতে হবে। আপনারা ইচ্ছে করলে এখানে সামান্য চিনিও দিতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ ডায়াবেটিস নির্মূলের মহৌষধ সজনে পাতার গুঁড়ো খাওয়ার নিয়ম জানুন
পানি ফুটে উঠলে বাঁধাকপি দিয়ে নেড়ে চেড়ে দিতে হবে যাতে পুরো বাঁধাকপি সমানভাবে সিদ্ধ হতে পারে। এক বলক আসলে সাথে সাথে বাঁধাকপি গুলো তুলে নিতে হবে।এই ধাপে হাফ সিদ্ধ বাঁধাকপি গুলো শুকনো পরিস্কার কোন কাপড়ের উপর রাখতে হবে। দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা পর বাঁধাকপি গুলো থেকে পানি শুকিয়ে গেলে কোন পলিব্যাগ বা জিপ লক ব্যাগে ভরে রাখতে হবে।
যে পরিমাণ রান্না করবেন সেই পরিমাণ মতো রাখতে হবে। এরপর ফ্রিজে রেখে দিলেই হবে। পরবর্তীতে রান্না করার সময় যে পরিমাণ রান্না করবেন সেই পরিমাণ বের করে বাকিটা আবার ফ্রিজে রেখে দিবেন।এইভাবে বাঁধাকপি সংরক্ষণ করলে বছরজুড়ে বাঁধাকপির যে কোন রান্না করতে পারবেন স্বাদ এবং গন্ধ অটুট রেখেই।
ফুলকপি বাঁধাকপি নিয়ে সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন এবং উত্তর
প্রশ্নঃ ফুলকপি নাকি বাঁধাকপি কোনটি বেশি পুষ্টিকর?
উত্তরঃ ফুলকপি এবং বাঁধাকপি দুইটাই আমাদের শরীরের জন্য খুব ভালো। ফুলকপিতে রয়েছে ভিটামিন বি৬ এবং সি। বাঁধাকপি ভিটামিন সি এবং কে এর চমৎকার উৎস। সবগুলো ভিটামিন ই আমাদের শরীরের জন্য উপকারিতা রয়েছে। এছাড়া যারা ওজন কমাতে চান তারা এই দুটি সবজি অনায়াসে গ্রহণ করতে পারেন কারণ এতে ক্যালোরি পরিমাণ খুবই কম। এ ছাড়া এই দুটি সবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো রোগ থেকে রক্ষা করে থাকে।
প্রশ্নঃ ফুলকপিতে কি কি উপাদান রয়েছে?
উত্তরঃ ফুলকপি পুষ্টিগতমানের দিক থেকে অনেক উচ্চ একটি সবজি। সাদা এবং রঙিন দুই ধরনের ফুলকপিতে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে। ফুলকপিতে রয়েছে বিভিন্ন ভিটামিন, আয়রন, জিংক, ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম এর মত পুষ্টি উপাদান।
প্রশ্নঃ ব্রকলি এবং ফুলকপি কি?
উত্তরঃ ব্রকলি এবং ফুলকপি একই গোত্রের সদস্য। তবে ভিটামিনের দিক থেকে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। এছাড়া রয়েছে রংয়ের দিক থেকেও পার্থক্য। ব্রকলি এবং ফুলকপির নিজস্ব পুষ্টি ভান্ডার রয়েছে যা শরীরের জন্য খুব উপকারী।
প্রশ্নঃ ফুলকপি এবং ব্রকলি কি একই?
উত্তরঃ ফুলকপি এবং ব্রকলি একই জাতের হলেও ভিটামিন পরিমাপের দিক থেকে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। ফুলকপির তুলনায় ব্রকলিতে ভিটামিন সি এবং কে বেশি পরিমাণে রয়েছে। এছাড়া ব্রকলি তে রয়েছে ভিটামিন এ যা ফুলকপিতে নেই। এছাড়া ব্রকলি তে ফাইবারের পরিমাণও অনেক বেশি পরিমাণে রয়েছে।
প্রশ্নঃ বাঁধাকপিতে কি কি উপাদান রয়েছে?
উত্তরঃ বাঁধাকপিও বিভিন্ন ভিটামিন এবং পুষ্টি উপাদানের সমৃদ্ধ একটি সবজি। বাঁধাকপিতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন কে এর উচ্চ ভান্ডার। এছাড়া রয়েছে পানি শর্করা, প্রোটিন, স্নেহ জাতীয় পদার্থ এবং সামান্য ক্যালোরি।
বাঁধাকপির অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন
বাঁধাকপির বিভিন্ন পুষ্টিকুণ আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। কিন্তু এই বাঁধাকপির অনেক পুষ্টিগুণ থাকা সত্ত্বেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাঁধাকপি না খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। সাধারণত যাদের অ্যালার্জি সমস্যা রয়েছে তাদের বাঁধাকপি খাওয়ার ব্যাপারে নিষেধ রয়েছে। এছাড়া অতিরিক্ত বাঁধাকপি খাওয়ার ফলে অনেকের গ্যাস এসিডিটির সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
তাই এই সবজি দিয়ে বিভিন্ন রান্না করার আগে সামান্য সিদ্ধ করে পানিটা ফেলে দিয়ে রান্না করলে ভালো হবে। তাছাড়া যাদের থাইরয়েড সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগছেন তাদের এই সবজিটি এড়িয়ে যাওয়ায় ভালো হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এই সবজি গ্রহণ করা ভালো হবে। সাধারণত এই সবজি বেশি খাওয়ার ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে যেতে পারে, এজন্য প্রতিদিন একজন মানুষকে ১০০০ থেকে ১৫০০ গ্রাম খাবার পরামর্শ দেওয়া হয়।
পরিশেষে
ফুলকপি এবং বাঁধাকপি পুষ্টি গুনাগুন সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত জানতে পারলাম। এ ছাড়া এই দুটি সবজি অত্যন্ত সুস্বাদু এবং মজাদার। এই দুটি সবজি দিয়েই বিভিন্ন ধরনের মজার মজার খাবার রান্না করা যায়। তাই এই দুটি সবজি দিয়ে যেকোনো রান্না আপনার ডাইনিং টেবিলে নিয়মিত রাখুন আপনার পুষ্টির চাহিদা যেমন পূরণ তেমনি এর সুস্বাদ গ্রহণ করতে পারবেন।
এছাড়া সারা বছর ধরে এই দুটি সবজির স্বাদ নিতে এবং পুষ্টি উপাদান পেতে আপনারা সংরক্ষণ করতে পারেন সহজে। তাই কোন ঝামেলা ছাড়া ফুলকপি এবং বাঁধাকপি ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন সারা বছরের জন্য এবং বছরের যে কোন সময় এর স্বাদ উপভোগ করুন।
passiondrivefiona র নীতিমালা মেনে comment করুন। প্রতিটি comment রিভিউ করা হয়;
comment url