গরমে অতিরিক্ত ঘাম থেকে তৈরি দুর্গন্ধ দূর করার ১০টি ঘরোয়া উপায়

গরমের সময় শরীরের অতিরিক্ত ঘাম থেকে তৈরি দুর্গন্ধ দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে অনেকেই বিস্তারিতভাবে জানতে চান। এরকম ১০টি ঘরোয়া কার্যকরী উপায় নিয়ে আলোচনা করেছি যার ব্যবহারে আপনারা নিশ্চিত সুফল পাবেন। এছাড়া জানব অতিরিক্ত ঘাম হলে যে সকল খাবার খেতে হবে।

ইমেজ

পোস্ট সূচীপত্রঃগরমের সময় আমাদের অনেকেরই সমস্যা অতিরিক্ত ঘাম এবং সেইসাথে শরীরের দুর্গন্ধ, যা অনেক বিরক্তি করে এবং অস্বস্তিকর একটি ব্যাপার। অনেকেই শরীরে এই ঘাম এবং দুর্গন্ধের জন্য হীনমন্যতায় ভোগেন। আজকে শরীরের অতিরিক্ত ঘাম ঘামের কারণে সৃষ্ট দুর্গন্ধ দূর করার কিছু ঘরোয়া উপায় নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি, আশা করি আপনাদের উপকারে লাগবে।

    শরীরে অতিরিক্ত ঘাম কেন হয়

    আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা গরমের সময় অতিরিক্ত ঘামের সমস্যায় ভুগেন। তাদের শরীরের পুরোটাই হয়তো অতিরিক্ত ঘাম তৈরি হয় অথবা শরীরের নির্দিষ্ট কোন অংশে অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। এক্ষেত্রে সাধারণত হাতের তালু, পায়ের তালু, বগলের নিচের অংশ, ঠোঁটের উপরের অংশ, ঘাড় গলা থেকে বুক পর্যন্ত ইত্যাদি জায়গায় অতিরিক্ত ঘাম তৈরি হয়ে থাকে।

    আরো পড়ুনঃ গ্যাস্ট্রিক কমাতে মেথির উপকারিতা - পুরুষ এবং মহিলার মেথি খাওয়ার উপকারিতা

    এই অতিরিক্ত ঘাম আমাদের শরীরে কেন সৃষ্টি হয় তা এখনো বিজ্ঞানীরা যথাযথভাবে আবিষ্কার করতে পারেননি। তবে বলা হয় যে, হাইপারথ্যালামাস নামক মস্তিষ্কের যে অংশটি মানব দেহের ঘাম উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে সেই অংশের ত্রুটির কারণে অতিরিক্ত ঘাম তৈরি হয়। তবে যে কারণেই অতিরিক্ত ঘাম তৈরি হোক না কেন, এটি নিশ্চয়ই একটি খুব বিব্রতকর পরিস্থিতির জন্য দায়ী। টি-শার্ট পরা একটি লোক বগলের নিচে অনেক ঘামে ভিজে আছে

    ঘাম থেকে দুর্গন্ধ দূর করার ঘরোয়া উপায়

    শরীরের অতিরিক্ত ঘাম থেকে তৈরি দুর্গন্ধ দূর করার জন্য অনেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ মত অনেক ধরনের পন্থা অবলম্বন করে থাকেন। কিন্তু আমাদের হাতের কাছে থাকা কিছু ঘরোয়া উপায় দিয়েই আমরা শরীরে অতিরিক্ত ঘাম এবং দুর্গন্ধ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। শুধু নিয়ম মেনে গরমের এই সময়টা প্রতিদিন ব্যবহার করলে এই সমস্যা থেকে অনেকটাই মুক্তি মিলবে।

    গোলাপজল মিশিয়ে গোসল করুন

    শরীরে অতিরিক্ত ঘামের কারণে তৈরি দুর্গন্ধ এড়াতে এই গরমের সময় প্রতিদিন গোসলের কোন বিকল্প নেই। গরম বেশি হলে প্রয়োজনে দুইবার গোসল করে নিন। এতে শরীরে ঘামের কারণে সৃষ্ট ব্যাকটেরিয়া দূর হবে এবং ঘামের  দুর্গন্ধ থেকেও রক্ষা পাবেন। কিন্তু গোসলের পানিতে দুই থেকে তিন টেবিল চামচ গোলাপজল মিশিয়ে নিন।

    গোলাপজল শরীরের দুর্গন্ধ দূর করতে খুবই কার্যকরী একটি ঘরোয়া উপাদান। তাই আপনিও এই সমস্যায় ভুগলে গোসলের পানিতে নিয়মিত গোলাপজল ব্যবহার করতে পারেন।

    গোসলের পানিতে নিমপাতা দিন

    শরীরের ঘামের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পাওয়ার একটি সহজ ঘরোয়া সহজ উপায় হলো গোসলের পানিতে নিম পাতার ব্যবহার। গোসলের পানিতে আধাঘন্টা আগে কিছু পরিষ্কার নিমপাতা দিয়ে রাখুন। আধা ঘন্টা পর এই পানিতে গোসল করলে আপনার শরীরে দুর্গন্ধ সহজে এড়ানো যাবে। আমরা জানি নিম পাতায় ব্যাকটেরিয়া ধ্বংসকারী উপাদান রয়েছে, তাই গোসলের পানিতে নিম পাতা রাখলে নিমপাতার নির্যাস পানির সাথে মিশে ত্বকে থাকা ব্যাকটেরিয়া দূর হতে সহায়তা করে।

    প্রয়োজনে ভিনেগার ব্যবহার করুন

    শরীরে দুর্গন্ধ দূর করতে আরেকটি ঘরোয়া উপাদান হল ভিনেগার এর ব্যবহার। আপনার শরীরে যে স্থানে বেশি ঘামে সেই স্থানে ভিনেগারে ভেজানো তুলোর বল দিয়ে হালকা করে ঘষে রেখে দিন। ভিনেগার ঘামের কারণে সৃষ্ট ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলতে সহায়তা করে। এতে শরীরে তৈরি হওয়া দুর্গন্ধ সহজেই দূর হবে।

    বেকিং সোডার ব্যবহারে দুর্গন্ধ দূর হবে

    শরীরের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য পরিচিত একটি ঘরোয়া উপাদান হলো বেকিং সোডার ব্যবহার। বেকিং সোডা প্রতিটি ঘরের রান্না ঘরেই পাওয়া যাবে। আপনি পরিচিত এই উপাদান দিয়ে সহজেই শরীরে দুর্গন্ধ দূর করার কাজটি করতে পারেন। শরীরের যে স্থানে বেশি ঘামে সেখানে বেকিং সোডা সাধারণ পাউডারের মতো লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন।

    ইমেজ

    কিছুক্ষণ পর ভেজা কাপড়ে সাহায্যে জায়গাটা মুছে ফেলুন অথবা গোসল করে নিতে পারেন। এতে আপনার শরীরে দুর্গন্ধ সহজে দূর হয়ে যাবে। এছাড়া বেকিং সোডা পানিতে মিশিয়ে স্প্রে বোতলে ভরে শরীরে যে অংশে বেশি ঘামে সেখানে স্প্রে করতে পারেন।

    ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে লেবুর ব্যবহার

    শরীরে ঘামের দুর্গন্ধ দূর করার একটি সহজ ঘরোয়া উপায় হল লেবু বা লেবুর রস। এক্ষেত্রে লেবুর রস কোন কটন প্যাডে ভিজিয়ে শরীরের দুর্গন্ধ হওয়ার স্থানে আলতো করে ঘষে কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখুন। এরপর গোসল করে নিলে আপনি পাবেন দুর্গন্ধ মুক্ত একটি সতেজ অনুভূতি।

    ঘামের দুর্গন্ধ দূরে ট্রি  টি অয়েল

    ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে অনেকেই ট্রি টি ওয়েল ব্যবহার করে থাকেন। যদিও কিছুদিন আগেও আমাদের দেশে এটি সহজ লভ্য ছিল না কিন্তু এখন সব কসমেটিক্স বা সুপার শপে এই অয়েলটি সহজে পাওয়া যায়। তাই আপনি ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে ট্রিটি ওয়েল সহজে ব্যবহার করতে পারেন। গোসলের পানিতে দুই থেকে তিন ফোটা ট্রি টি ওয়েল মিশিয়ে গোসল করলে উপকার পাবেন। কারণ ট্রিটি ওয়েলে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংসকারী উপাদান থাকায় ঘামের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পাবেন সহজে।

    ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে গ্রিন টি র ব্যবহার

    শরীরের ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে আপনার হাতের কাছে থাকা আরেকটি ঘরোয়া উপাদান হলো গ্রিন টি। একটি পাতিলে পরিমান মত পানির সাথে গ্রিন টি ফুটিয়ে নিন। পানীয়টি ঠান্ডা হলে কোন পাতলা কাপড় বা তুলোর সাহায্যে শরীরে যে অংশে বেশি ঘামে সেখানে আলতো করে ঘষে নিন। এটি সহজে আপনাকে ঘামের দুর্গন্ধ হতে মুক্তি দিবে।

    ঘামের দুর্গন্ধ দূর করবে টমেটোর রস

    ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে অনেকে পাকা টমেটোর রস ব্যবহার করে থাকেন। গোসলের পানিতে দুই থেকে তিনটি টমেটোর রস বের করে মিশিয়ে গোসল করলে ঘামের দুর্গন্ধ থেকে অনেকটাই মুক্তি পাওয়া যায়। টমেটো থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান ঘামের দুর্গন্ধ দূর হতে সহায়তা করে। তাই আপনিও এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করতে পারেন। 

    সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন

    শরীরে অতিরিক্ত ঘাম থেকে সৃষ্টি হওয়া দুর্গন্ধ দূর করার জন্য অবশ্যই আপনাকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। অনেক সময় শরীরের অনাকাঙ্ক্ষিত লোম পরিষ্কার না করার কারণে এখানে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ বেশি হয়ে থাকে, এর ফলে ঘাম হলেই দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। তাই গরমে যেহেতু আমরা সবাই কমবেশি ঘামি, তাই ঘামের দুর্গন্ধ এড়াতে সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার চেষ্টা করুন।

    শরীরের দুর্গন্ধ এড়াতে গোসলের পর ডিওডরেন্ট ব্যবহার করুন। এতে আপনি দুর্গন্ধ থেকে অনেকটাই মুক্তি পাবেন।

    সুতি এবং ঢিলেঢালা পোশাক পড়ুন

    গরমের সময় শরীরের অতিরিক্ত ঘাম, ঘাম থেকে তৈরি হওয়া দুর্গন্ধ বেড়াতে এই সময় সুতি এবং ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করার চেষ্টা করুন। এতে বাতাস চলাচলের সুযোগ পাবে ফলে আপনার শরীরে ঘাম হলেও দুর্গন্ধ সৃষ্টি করতে বাধা দিবে। এছাড়া গরমের সময় এই ধরনের পোশাকে আপনি স্বাচ্ছন্দ বোধ করবেন।

    আরো পড়ুনঃ এক টুকরো আইস কিউবে হবে গরমে ত্বকের সব সমস্যার সমাধান

    গরমের সময় মোজা, আন্ডার গার্মেন্টস সহ আপনার প্রয়োজনীয় কাপড় গুলো নিয়মিত পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করবেন এবং প্রতিদিন পরিষ্কার কাপড় পড়ার চেষ্টা করবেন।

    ঘামে দুর্গন্ধ কেন হয়

    গরমের সময় ঘামলে অনেক সময় সেই ঘাম থেকে অনেকেরই দুর্গন্ধ হতে দেখা যায়। গরমের সময় তো কম বেশি সবাই ঘামেন, কিন্তু কারো কারো ঘামে এত দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয় কেন? আমাদের ত্বকে বসবাসকারী কিছু ব্যাকটেরিয়া ঘামের এই দুর্গন্ধ সৃষ্টি করার জন্য দায়ী। মূলতঃ এপোক্রাইন গ্ল্যান্ড এবং ইকক্রাইন গ্লান্ড থেকে যখন ঘাম বের হয় তখন এসব ব্যাকটোরিয়া ঘাম কে প্রোপানয়িক এবং ভ্যালেরিক নামক এসিডে পরিণত করে তখন ঘামের দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়।

    এছাড়া কিছু কিছু খাবার বেশি গ্রহণের ফলেও ঘামে দুর্গন্ধ হতে দেখা যায়। এর মধ্যে আছে সোডিয়াম যুক্ত খাবার, সালফার যুক্ত খাবার ইত্যাদি। ব্রকলি, ফুলকপি, বাঁধাক্পি, মাংস, রসুন, অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার ইত্যাদি বেশি খাওয়ার জন্য ঘামে দুর্গন্ধ হতে দেখা যায়। আবার শরীর ঠিকমতো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না রাখলেও অনেক সময় ঘামে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়।

    আরো পড়ুনঃ ঢেকিছাটা লাল চালের  সম্পর্কে জানলে অবাক হবেন

    আবার শরীরে কিছু ভিটামিন যেমনঃ ম্যাগনেসিয়াম এর ঘাটতি হলেও ঘামে দুর্গন্ধ হতে পারে। এছাড়া খাদ্য তালিকায় প্রয়োজনীয় ভালো কার্বোহাইডেট না রাখলেও ঘামের দুর্গন্ধ হওয়ার জন্য দায়ী। অনেক সময় মদ্যপান করলে বা সিগারেট খাওয়ার জন্য শরীরে ঘাম হতে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া কিছু কিছু ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে এবং বয়ঃসন্ধিকালে হরমোনের পরিবর্তনের জন্য এই বয়সে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ঘামে দুর্গন্ধ হতে পারে।

    এছাড়া আপনি যদি কিছু নির্দিষ্ট রোগে ভুগেন যেমনঃ ডায়াবেটিস, কিডনি এবং লিভার সম্পর্কিত কোন রোগে ভুগলে আপনার ঘামে থেকে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হতে পারে। আবার আপনি যদি অনেক বেশি স্ট্রেস ফিল করেন তাহলে আপনার শরীর থেকে যে ঘাম বের হয় তা সাধারণ ঘামের চেয়ে বেশি দুর্গন্ধ যুক্ত হতে পারে।

    অতিরিক্ত ঘাম হলে খাবারের দিকে নজর দিন

    গরমের সময় অতিরিক্ত ঘাম হলে শরীর থেকে লবণ এবং পানি বেরিয়ে যায়। এর ফলে অনেক সময় শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে, ঝিমুনি আসতে পারে বা মাথাব্যথা হতে পারে। তাই অতিরিক্ত ঘাম হলে গরমের এই সময়টা খাবারের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। বিশেষ করে তরল এবং তরল জাতীয় খাবার পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়ার দিকে মনোযোগ দিতে হবে।

    • অতিরিক্ত ঘামের কারণে শরীর দুর্বল লাগলে এক গ্লাস স্যালাইন খেয়ে নিতে পারেন। এতে শরীরের পানির চাহিদা পূরণের সাথে সাথে লবণের ঘাটতিও দূর হবে।
    • গরমের এই সময় লবণ এবং লেবু দিয়ে শরবত কে আপনার প্রতিদিনে খাদ্য তালিকায় রাখুন। এতে আপনার শরীরে পানির চাহিদা পূরণ হবে সাথে ভিটামিন সি পাবেন।
    • অতিরিক্ত ঘাম হলে ডাবের পানি খাওয়ার চেষ্টা করুন। এটিও আপনার শরীরে পানির চাহিদা পূরণের সাথে সাথে শরীরে অন্যান্য পুষ্টি উপাদানও যোগান দিবে।
    • গরমের সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন
    ইমেজ
    • গরমের এই সময় দইয়ের ঘোল বা মাঠ রাখতে পারেন প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায়।
    • বাইরের কোমল পানীয় এর পরিবর্তে ঘরে তৈরি বিভিন্ন ধরনের ফলের জুস পান করুন। এছাড়া শসা লেবু দিয়ে তৈরি জুসও পান করতে পারেন।
    • ভিটামিন বি কমপ্লেক্স সহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদানে ভরপুর খাবার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখুন।

    অতিরিক্ত ঘাম কি কোন বড় অসুখের লক্ষণ


    গরমের সময় আমাদের সবার শরীর কমবেশি ঘেমে থাকে। এটি অবশ্যই একটি সাধারণ প্রক্রিয়া। শরীর থেকে শরীর থেকে ঘামের মাধ্যমে দূষিত পদার্থ বের হয়ে যায়। তাই স্বাভাবিক ঘাম বের হওয়া বড় কোনো অসুখের লক্ষণ নাও হতে পারে। তবে অতিরিক্ত ঘাম হলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে অবশ্যই সাবধান হতে হবে এবং যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

    অনেক সময় আমাদের লিভার যদি ঠিকমতো কাজ না করে তাহলে অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার প্রবণতা দেখা দিতে পারে। আবার কিডনির মাধ্যমে যেহেতু শরীরের দূষিত পদার্থ বের হয়, কোন কারনে যদি কিডনি ঠিকভাবে কাজ না করতে পারে অর্থাৎ কিডনিতে কোন সমস্যা দেখা দিলে তাহলে কিডনি তার কাজটি ঠিকভাবে করতে পারেনা। তখন শরীরের ঘাম থেকে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হতে পারে।

    আবার ডাইবেটিস আক্রান্ত কোন ব্যক্তির শরীরে যে ঘাম হয় তা থেকেও দুর্গন্ধ সৃষ্টি হতে পারে। তাই ঘাম হওয়া স্বাভাবিক কিন্তু কোন কারন ছাড়া অতিরিক্ত ঘাম হলে অবশ্যই সচেতন হতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শের মত চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।

    পরিশেষে

    প্রচন্ড গরমের এই সময় অতিরিক্ত ঘাম থেকে তৈরি হওয়া দুর্গন্ধ দূর করার ১০টি ঘরোয়া উপায় নিয়ে আলোচনা করেছি। আপনি যদি এই ধরনের থাকেন তাহলে ঘরোয়া উপাদান এগুলো ব্যবহারে সুফল পাবেন। কিন্তু অনেক সময় আমাদের অতিরিক্ত ঘাম নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে সাথে দুর্গন্ধ দূর করতে না পারলে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।

    গরমের এই সময় দৈনিক কিছু অভ্যাসের পরিবর্তন, নিয়মিত পর্যাপ্ত পানি পান এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা থাকার মাধ্যমে আমরা সহজেই এই অস্বস্তিকর এবং বিব্রতকর অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে পারি।

    এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

    পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
    এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

    passiondrivefiona র নীতিমালা মেনে comment করুন। প্রতিটি comment রিভিউ করা হয়;

    comment url