গরমে নিজেকে সতেজ এবং ফিট রাখার দশটি উপায়

প্রচন্ড গরমে নিজেকে সতেজ এবং ফিট রাখার দিকে অবশ্যই আমাদের বিশেষভাবে নজর দিতে হবে। নিজেদের সারাদিন সতেজ, চনমনে এবং সুস্থ থাকা যায় সেজন্য অবশ্যই আমাদের কিছু বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। এছাড়া জানবো গরমে হিটস্ট্রোক হলে আমাদের করণীয় সম্পর্কে।

ইমেজ

পোস্ট সূচীপত্রঃআমাদের দেশে মূলতঃ এপ্রিল মাস থেকে প্রচন্ড গরম শুরু হয়। এই গরমের সময় নিজের দিকে বিশেষভাবে খেয়াল না রাখলে অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন এবং হিটস্ট্রোকের মতো ঘটনা ঘটতে পারে। এজন্য কিছু বিষয়ের দিকে অবশ্যই আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে।

    পর্যাপ্ত পরিমান পানি পান করা

    গরমের সময় নিজেকে সতেজ এবং ফিট রাখতে অবশ্যই আমাদের শরীরের চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। গরমের সময় ঘাম হয়ে শরীর থেকে প্রচুর পানি বের হয়ে যায়। শরীরে এই পানির চাহিদার দিকে আমাদের বিশেষ ভাবে খেয়াল রাখতে হবে। দিনে ৮ থেকে ১০ গ্লাস বা প্রয়োজন অনুযায়ী আরো বেশি পানি পান করতে হবে।

    আরো পড়ুনঃ ফুলকপির বাঁধাকপির যত পুষ্টিগুণ

    যারা বাইরে কাজ করেন তাদের আরও বেশি পানি পানের দিকে নজর দিতে হবে। একটু পর পর কাজের ফাঁকে পানি পান করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। শরীর যেন কোন ভাবেই পানি শূন্য না হয়ে যায়। এই সময় আপনারা পানির সাথে সাথে লেবু দিয়ে সরবত, বিভিন্ন মৌসুমী ফলের ঘরে বানানো জুস, স্যালাইন খেতে হবে।

    এই সময় ডাবের পানি হতে পারে আপনার প্রতিদিনের পানির চাহিদা পূরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এছাড়া প্রয়োজন অনুযায়ী আপনারা স্যালাইন খেতে পারেন। বাইরে যাওয়ার সময় প্রয়োজন অনুযায়ী আপনারা পানি, শরবত বা স্যালাইন নিজেদের সাথে সবসময় রাখতে পারেন।

    খাবারের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া

    গরমের এই সময় নিজেকে সতেজ এবং ফিট রাখতে আপনার অবশ্যই সারাদিনের খাবারের দিকে বিশেষভাবে নজর দিতে হবে। সকালের খাবার আপনি হালকা কোন নাস্তা এবং ঘরে তৈরি কোন জুস, স্মুদি দিয়ে শুরু করতে পারেন। এতে আপনি সারাদিনে কাজ করার এনার্জি পাবেন। অতিরিক্ত মসলা জাতীয় খাবার, তেলে ভাজা খাবার এই সময় এড়িয়ে চলাই ভালো হবে।

    যতটা সম্ভব বাইরের যেকোনো ধরনের ভাজা পোড়া, মসলা জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে। এছাড়া গরমের এই সময় রাস্তার ধারে অস্বাস্থ্যকর শরবত, জুস ইত্যাদি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ বাইরের এই সকল খাবার থেকে ডায়রিয়া, জন্ডিস এর মতো রোগ হতে পারে। চেষ্টা করবেন সব সময় ঘরে তৈরি স্বাস্থ্যকর এবং টাটকা খাবার খাওয়ার। 

    ইমেজ

    গরমের সময় ঘরে তৈরি বিভিন্ন ফলের টাটকা জুস হতে পারে আপনার প্রতিদিনের সুস্থতা বজায় রাখার একটি অন্যতম উপাদান। এ সময় যতটা সম্ভব দুধ চা, কফি ইত্যাদি এড়িয়ে চলাই ভালো হবে। পুদিনা পাতা দিয়ে তৈরি হালকা লিকারের ঠান্ডা বা কুসুম গরম চা খেতে পারেন। এই চা আপনাকে দিবে এক সতেজ অনুভূতি।

    নিজের পোশাকের দিকে নজর দিন

    গরমের এই সময় সুতি এবং আরামদায়ক পোশাক আপনাকে সারাদিন দিবে সতেজ এবং ফুরফুরে অনুভূতি। তাই গরমের এই সময়ে বাইরে বেরোনোর সময় সব সময় সুতি এবং আরামদায়ক পোশাক পড়ার চেষ্টা করবেন। এছাড়া এই সময় গাড়ো রঙের চেয়ে পোশাকের রং যেন হালকা থাকে সেদিকেও বিশেষ নজর দিতে হবে।

    আরো পড়ুনঃ ঢেকি ছাটা লাল চালের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানলে অবাক হবেন

    হালকা রঙের চেয়ে গারো রঙের পোশাকে সূর্যের তাপ বেশি টানে। এজন্য গারো রঙের পোশাক পড়লে গরম বেশি অনুভূত হয়। চেষ্টা করবেন প্রতিদিনের আন্ডার গার্মেন্ট, মোজা, ব্যবহৃত রুমাল ইত্যাদি বাইরে থেকে এসে ধুয়ে ফেলা। এটাও আপনাকে সারাদিন সতেজ রাখার জন্য দারুন একটি উপায়।

    প্রয়োজন অনুযায়ী ক্যাপ ছাতা ব্যবহার করুন

    গরমে নিজেকে সতেজ এবং ফিট রাখার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হলো, বাইরে বেরোনোর সময় সব সময় ক্যাপ, টুপি, স্কার্ফ, ছাতা ইত্যাদি ব্যবহার করা। এবং এই অতি প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো সব সময় আপনার সাথে রাখা। এগুলো আপনাকে রোদের তাপ থেকে রক্ষা করবে। এছাড়া বাইরে বেরোনোর সময় আমরা অনেকে চুল খোলা রাখতে পছন্দ করি।

    কিন্তু এই গরমে বাধা চুলে আপনি আরাম বোধ করবেন। তাই বাইরে যাওয়ার সময় আপনার চুল ভালোভাবে বেঁধে নিন। সাথে প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যাগে ফেসিয়াল টিস্যু রাখতে পারেন। গরমে ঘেমে গেলে এই টিস্যু আপনাকে সতেজ থাকতে সহায়তা করবে।

    সানস্ক্রিম ব্যবহার করুন

    বাইরে বেরোনোর আগে অবশ্যই সানস্ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। এটি আপনাকে প্রচন্ড রোদের তাপ থেকে আপনার ত্বককে সুরক্ষা দিবে। বাইরে রোদে বেশি সময় থাকার কারণে অনেক সময় আমাদের ত্বকে সান ট্যান সহ ছোপ ছোপ দাগ হতে দেখা যায়। এছাড়া ত্বকে রোদ এবং তাপের কারণে ত্বক লাল হয়ে মেস্তা পড়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

    তাই বাইরে বেরোনোর অন্তত ১৫ মিনিট আগে হাত, গলা, পা সহ ত্বকে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন এবং প্রতি তিন ঘণ্টা পর পর মুখ ধুয়ে আবার সানস্ক্রিম এপ্লাই করুন। এই কাজটি আপনাকে রোদ এবং তাপের কারণে হওয়া যে কোন ত্বকের সমস্যা হতে দূরে রাখবে। এছাড়া বাইরে বেরোনোর আগে অবশ্যই রোদ চশমা সাথে নিতে ভুলবেন না। এটি আপনার চোখকে রোদের তীব্রতা থেকে রক্ষা করবে।

    কাজের মাঝে বিশ্রাম নিন

    আপনারা যারা বাইরে কাজ করেন এই গরমে তাদের কষ্ট একটু বেশি হয়ে থাকে। তাই একটানা দীর্ঘ সময় কাজ না করে কাজের মাঝে যতটুকু সম্ভব বিশ্রাম নিয়ে কাজ করুন। এ সময় পানি শরবত বা স্যালাইন খেতে পারেন, এতে আপনি কাজ করার এনার্জি পাবেন এবং শরীর পানি শূন্য হয়ে পড়বে না।

    আরো পড়ুনঃ ভেষজ উদ্ভিদ তেলাকচার ১৫টি উপকারিতা জানুন

    বাইরে চলাচলের সময় যতটুকু সম্ভব গাছের ছায়া দিয়ে চলাচলের চেষ্টা করুন। এতে রোদের হাত থেকে রক্ষা পাবেন, সাথে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া থেকে আপনাকে রক্ষা করবে। তাছাড়া হিটস্ট্রোকের মত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়ানো সম্ভব হবে।

    প্রতিদিনের খাবারে প্রচুর শাকসবজি রাখুন

    গরমের এই সময়ে নিজেকে সতেজ এবং ফিট রাখার অন্যতম আরেকটি উপায় হল প্রতিদিনের ডায়েটে প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি রাখা। ভিটামিন সি জাতীয় খাবার আপনাকে তরতাজা রাখবে এবং সারাদিন কর্মক্ষম করে তুলতে সহায়তা করবে। গরমের সময় যেহেতু খাবার অতি দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়, তাই এই সময় চেষ্টা করতে হবে সব সময় খাবার টাটকা খেতে।

    তাহলে আপনি গরমে বিভিন্ন ধরনের পেটের পিড়া থেকে দূরে থাকতে পারবেন। এ সময় খাবার তালিকায় লাউ, ক্যাপসিকাম, ঢেঁড়স, শাক পাতা ইত্যাদি বেশি পরিমাণে রাখুন।

    গরমের এই সময় তরমুজ, বাঙ্গি, ডাব সহ পানিজাতীয় বিভিন্ন ধরনের ফল বাজারে পাওয়া যায়। এই ফল আপনাকে পুষ্টি যোগানোর সাথে সাথে শরীরের পানির চাহিদাও পূরণ করবে। তাই প্রতিদিন অন্তত শসা, ক্ষিরা এবং পানি জাতীয় ফল খাওয়ার চেষ্টা করুন।

    প্রতিদিন অন্তত দুবার গোসল করুন

    গরমের এই সময় নিজেকে সতেজ এবং সুস্থ রাখতে প্রয়োজন অনুযায়ী দিনে দুবার গোসল করার চেষ্টা করুন। সকালে কাজের উদ্দেশ্যে বেরোনোর আগে শাওয়ার নিলে আপনি পাবেন একটি তরতাজা অনুভূতি। সারাদিন কাজ করার আগ্রহ বোধ করবেন। কাজের পর বাসায় এসে রাতে ঘুমানোর আগে আরেকটি শাওয়ার দিবে আপনাকে আরামদায়ক ঘুমের নিশ্চয়তা।

    বাইরে রোদ থেকে এসে কখনোই ঘাম শুকানোর আগে গোসল করবেন না। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই অন্তত ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন ঘাম শুকানোর জন্য। তারপর গোসলে যান। এছাড়া আপনার শাওয়ার নেওয়ার পানিতে কয়েক ফোটা হালকা কোন সুগন্ধি দিতে পারেন। এতে আপনার শরীর মন দুটোই হবে চাঙ্গা।

    ঘরে পর্যাপ্ত আলো বাতাস আসার সুযোগ দিন

    গরমে নিজেকে সতেজ এবং ফিট রাখার আরেকটি উপায় হল নিজের ঘরে পর্যাপ্ত পরিমাণে বাতাস প্রবেশ করার সুযোগ দেওয়া। এজন্য আপনার ঘরে পর্যাপ্ত পরিমাণে আলো বাতাস আসার সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে। সকালে সূর্য উঠার আগে দরজা জানালা খুলে ঘর পরিষ্কার করে নিতে পারেন। সূর্য ওঠার সাথে সাথে দরজা জানালার পর্দা টেনে দিন। এতে ঘর ঠান্ডা থাকতে সহায়তা করবে।

    সন্ধ্যার আগে রোদের তাপ কমে গেলে বাইরে বাতাস থাকলে দরজা জানালা খুলে দিতে পারেন। এতে সারাদিনে ঘরের ভেতর থাকা বাতাস বের হওয়ার সুযোগ পাবে সাথে বাইরে বাতাস ঘরে ঢোকার সুযোগ হবে।

    আরো পড়ুনঃ গ্যাস্ট্রিক আলসার কমাতে মেথির উপকারিতা

    আপনাদের অনেকের বাসায় এসি রয়েছে, গরমের দিনে এসি দিবে আপনাকে সতেজ এবং তরতাজা অনুভূতি। কিন্তু এজন্য এসির অতিরিক্ত ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। বাইরে থেকে এসেই সোজা এসি রুমে না যাওয়াই ভালো হবে। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে তারপর এসি রুমে যাওয়া উচিত। এতে শরীর দুজায়গার তাপমাত্রার সাথে সামঞ্জস্য রাখতে পারবে।

    প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন

    গরমের এই সময় তীব্র তাপদাহ, অতিরিক্ত ঘাম, শরীরে পানি শূন্যতা, প্রচন্ড রোদে কাজ করার জন্য অনেক সময় কেউ অসুস্থ হলে সাথে সাথে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এক্ষেত্রে কোন ভাবে অবহেলা করা ঠিক হবে না।

    এছাড়া গরমের সময় বাইরের খোলা বাঁশি খাবার খাওয়ার কারণে, খোলা খাবারের মশা মাছি থেকে পেটের বিভিন্ন অসুখ দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ে, আবার অনেকের শরীরে ঘামাচি হতে দেখা যায়। এছাড়া অনেকের এই সময় ঠান্ডা জনিত জ্বর হতেও দেখা যায়। 

    ইমেজ

    এই সকল পরিস্থিতিতে দেরি না করে অবশ্যই চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করতে হবে এবং সুস্থ থাকার জন্য পরামর্শ মেনে চলতে হবে।

    হিটস্ট্রোক হলে যা করবেন

    গরমের এই সময় প্রচন্ড তাপদাহে বাইরের রোদে দীর্ঘ সময় থাকার কারণে কোন ব্যক্তি অজ্ঞান হয়ে গেলে সেটাই হিটস্ট্রোক। কোন ব্যক্তির হিটস্ট্রোক হলে সাধারণত তার মাথা ঝিমঝিম করবে, চোখে ঝাপসা দেখবে, হাত পা অবশ হয়ে আসবে, হার্টবিট বেড়ে যাবে, শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যেতে পারে, অধিক দুর্বল বোধ করতে পারে ইত্যাদি। এবং একসময় সে অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে।

    কোন ব্যক্তির হিটস্ট্রোক হলে দেরি না করে যে সকল ব্যবস্থা নিতে হবে-
    • ব্যক্তিকে সাথে সাথে ছায়াযুক্ত ঠান্ডা জায়গায় নিয়ে যেতে হবে
    • ব্যক্তির গায়ের অতিরিক্ত কাপড় থাকলে যতটুকু সম্ভব সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করতে হবে
    • অনবরত বাতাস দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে
    • মুখ গলা হাত-পা সহ শরীরের ঘাম মুছে দিতে হবে
    • কোন ভেজা কাপড় দিয়ে সারা শরীর মুছে দিতে হবে
    • ব্যক্তি অজ্ঞান না হলে পানি স্যালাইন, শরবত জুস ইত্যাদি খাওয়ানোর চেষ্টা করতে হবে
    • বগলের নিচে ঠান্ডা কোন কিছু রাখা যেতে পারে
    • এবং যত দ্রুত সম্ভব নিকটস্থ হাসপাতালে বা চিকিৎসকের নিকট নিয়ে যেতে হবে।

    পরিশেষে

    গরমের এই সময় নিজেকে সতেজ এবং ফিট রাখতে অবশ্যই কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। তাহলে আপনি পুরো গরমের সময়টা থাকবেন তরতাজা এবং কর্মক্ষম। পানি পিপাসা না পেলেও একটু পর পর অল্প অল্প করে পানি খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে, বাইরে খাবার না খেয়ে বাসায় তৈরি স্বাস্থ্যকর টাটকা খাবার খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে।

    এছাড়া বাইরে বেরোনোর সময় অবশ্যই কিছু বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। তাহলেই আপনি থাকবেন চনমনে এবং আপনার কাজ করার প্রতি কর্ম উদ্যম বৃদ্ধি পাবে। আর যখন আপনি ফিট থাকবেন তখনই আপনার গরমে সুস্থ থাকা নিশ্চিত হবে। পুরো গরমের সময়টা আপনি চিন্তাহীন ভাবে কাটিয়ে দিতে পারবেন, আর এটা আমরা সবাই চাই।

    এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

    পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
    এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

    passiondrivefiona র নীতিমালা মেনে comment করুন। প্রতিটি comment রিভিউ করা হয়;

    comment url