এক টুকরো আইস কিউবে হবে গরমে ত্বকের সব সমস্যার সমাধান

 

এক টুকরো আইস কিউব হতে পারে গরমে আপনার ত্বকের সব সমস্যার সমাধান। কারণ ঘরে তৈরি এই আইস কিউব ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার সহজ সমাধান দিয়ে থাকে। এছাড়া আজকে আমরা জানবো সহজে কিভাবে আইস কিউব তৈরি করা যায়।

ইমেজ

পোস্ট সূচীপত্রঃগরমে অনেকেরই ত্বকে অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ, ব্রনের আবির্ভাব, ত্বক নিস্তেজ হওয়াসহ অনেক ধরনের সমস্যা সম্মুখীন হতে হয়। এই আইস কিউব হাতের কাছে থাকা বিভিন্ন ধরনের উপাদান দিয়ে আমরা সহজে তৈরি করতে পারি, যা ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। 

    শসার রস দিয়ে আইস কিউব তৈরি

    শসার রস দিয়ে আইস কিউব ত্বকের অনেক ধরনের সমস্যা সমাধানে খুবই কার্যকরী। শসা মূলতঃ একটি সবজি হলেও, রূপচর্চায় শসার ব্যবহার অনেক দিন আগে থেকেই চলে আসছে। বিশেষ করে এই গরমে শসা রস বা শসার রস দিয়ে তৈরি আইস কিউব ব্যবহার ত্বকের জন্য অনেক সমস্যার সমাধান হতে পারে।

    শসায় রয়েছে এন্টি অক্সিডেন্ট উপাদান, যা আমাদের ত্বককে স্বাস্থ্যজ্জল রাখতে এবং ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখতে, ত্বকের দাগ দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

    তাই সারা বছরই আমরা ত্বকের যত্নে বিভিন্ন ভাবে শসার রস ত্বকে ব্যবহার করে থাকি। তবে শুধুমাত্র শসার রস ফ্রিজিং করেও ত্বকে ব্যবহার করে অনেক ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা যায় সহজে। তাই বাড়তি কোনো উপাদান বা ঝামেলা ছাড়াই শুধুমাত্র শসার রস দিয়ে এই গরমে আমরা আমাদের ত্বকের বিশেষ যত্ন নিতে পারি।

    আরো পড়ুন: চালের গুড়া দিয়ে ত্বকের জেল্লা দার করতে বিস্তারিত ব্যবহার জানুন

    শসা রস দিয়ে আইস কিউব তৈরি করার জন্য আমাদের প্রথমে বড় সাইজের একটি শসা নিয়ে পানি দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। তারপর শশাটিকে গ্রেট করে রস বের করে আইস মোল্ডে আমরা ডিপ ফ্রিজ করে আইস কিউব তৈরি করে নিতে পারি। এই আইস কিউব বাইরে থেকে আসার পর বা সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর কোন পাতলা কাপড়ে মুড়িয়ে পরিষ্কার ত্বকে আলতো ভাবে রাব করলে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

    এলোভেরাজেলনারিকেল তেলের আইসকিউব

    নিয়মিত এলোভেরা জেল ত্বকে ব্যবহারে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের সাথে সাথে ত্বক হয় মসৃণ, দাগমুক্ত এবং স্বাস্থ্যজ্জ্বল। নারিকেল তেল আমাদের ত্বকে ময়েশ্চার লক করতে বা আদ্রতা বজায় রাখতে সহায়তা করে থাকে। তাই এই দুইটি উপাদান একসাথে মিশিয়ে আইস কিউব বানিয়ে আমরা আমাদের ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে জন্য ব্যবহার করতে পারি।

    এই আইস কিউব বানানোর জন্য আমাদের লাগবে ২ চা চামচ এলোভেরা জেল। এই এলোভেরা আপনি গাছ হতে জেল বের করে নিতে পারেন বা বাজার হতে ভালো ব্র্যান্ডের কোন অ্যালোভেরা জেল নিতে পারেন। সাথে নিতে হবে দুই থেকে তিন চা চামচ নারিকেল তেল। দুইটি উপাদান ভালোভাবে মিশিয়ে আইস কিউব ট্রেতে রেখে ফ্রিজিং করতে হবে। ব্যস আমার তৈরি হয়ে গেল আমাদের দারুন ম্যাজিকাল আইস কিউব।

    এলোভেরা জেল আমাদের ত্বকের অতিরিক্ত তেলকে শুষে ব্রনের আবির্ভাব হতে ত্বককে রক্ষা করে থাকে। নারিকেল তেল ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখতে সহায়তা করে থাকে। এই গরমে বিশেষ করে তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীদের জন্য হতে পারে দারুন একটি রেমেডি। ত্বক ফেসওয়াশ দিয়ে পরিষ্কার করার পর পাতলা কোন কাপড়ে আইস কিউব মুড়িয়ে আলতো ভাবে ঘষে ব্যবহার করতে হবে।

    আপনি ইচ্ছে করলে এই আইস কিউব ত্বকে কিছুক্ষণ মেসেজ করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে পারেন। 

    শসা এবং লেবু দিয়ে তৈরি আইস কিউব

    শসা এবং লেবু দিয়ে তৈরি এক টুকরো আইস কিউব হতে পারে গরমে আপনার ত্বকের সমস্যা সমাধানের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। শসা এবং লেবু প্রাচীন কাল থেকেই আমাদের ত্বক পরিচর্যায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। শসা এবং লেবু দুইটাতেই রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান। যা আমাদের ত্বকের জন্য দারুন উপকারী। 

    ইমেজ

    এই দুটি উপাদান মিক্সড করে আমরা আইস কিউব বানিয়ে ব্যবহার করতে পারি। বিশেষ করে যাদের ব্রণের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য এই আইস কিউব হতে পারে দারুন কার্যকর একটি রেমেডি। এই আইস কিউব তৈলাক্ত ত্বকের জন্য এবং শুষ্ক ত্বকের জন্য দুই ভাবে আমরা বানাতে পারি। যাদের ত্বক তৈলাক্ত এবং ব্রণের সমস্যা রয়েছে তারা মাঝারি সাইজের একটি শসার রস, হাফ চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে আইস কিউব বানিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।

    যাদের ত্বক শুষ্ক সাথে ব্রণের সমস্যা রয়েছে তারা শসার রস সাথে হাফ চা চামচ লেবুর রস ভালোভাবে মিক্সড করে নিতে পারেন। তারপর এতে দিতে পারেন অল্প একটু মধু। মধু আমাদের ত্বকে আর্দ্রতা বজায় রাখতে সহায়তা করে থাকে। তাই শুষ্ক ত্বকের অধিকারীদের জন্য এই আইসকিউব টি দারুন কার্যকরী হবে। পরিষ্কার ত্বকে আলতো ভাবে এই আইস কিউব ঘষে ব্যবহার করতে হবে।

    গোলাপ জল দিয়ে আইস কিউব

    গোলাপ জল দিয়ে তৈরি আইস কিউব গরমে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে বেস্ট অপশন হতে পারে। ত্বক পরিচর্যায় গোলাপজল খুবই পরিচিত একটি নাম। সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য ত্বক পরিচর্যায় এই গোলাপজল প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। গোলাপজল আমাদের ত্বক পরিষ্কার করতে, ত্বককে টোনিং করতে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য ব্যবহার করে থাকি। 

    আরো পড়ুন: রূপচর্চায় গোলাপজল এবং গ্লিসারিনের ব্যবহার জানুন

    গোলাপ জল দিয়ে আইসকিউব বানানোর জন্য আমাদের লাগবে দেড় কাপ পানি এবং দেড় কাপ গোলাপজল। দুটি উপাদান ভালোভাবে মিক্সড করে আইস ট্রে করে ফ্রীজিং করতে হবে। ত্বক পরিষ্কার করার জন্য বা ত্বককে টোনিং করার জন্য আমরা এই আইকিউব ত্বকে নিয়মিত ব্যবহার করে উপকার পেতে পারি।

    কফি দিয়ে তৈরি আইস কিউব

    বর্তমানে কফি দিয়ে তৈরি আইস কিউব গরমে ত্বকের সব সমস্যা সমাধানে রয়েছে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে। অনেকেরই পছন্দের একটি পানীয় হলো কফি। এই কফি শুধু আমাদের পানীয় হিসেবে নয় ত্বক পরিচর্যার উপাদান হিসেবেও ইদানিং দারুন জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। কফি দিয়ে আমরা বিভিন্ন ধরনের ফেসপ্যাক বানিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারি।

    তবে সহজভাবে কফি দিয়ে আইস কিউব বানিয়ে সহজেই ত্বককে ভেতর থেকে পুনরুজ্জীবিত করতে এবং ত্বকের বয়স কমিয়ে রাখতে ব্যবহার করতে পারি।

    এই আইসকিউব বানানোর জন্য আমাদের লাগবে দুই চা চামচ কফি এবং এক মগ গরম পানি। গরম পানি তে কফি ভালোভাবে মিশিয়ে ঠান্ডা করতে হবে পুরোপুরি ভাবে। তারপর আইস ট্রে করে ফ্রিজিং করতে হবে। পরিষ্কার ত্বকে এই আইস কিউব আলতো ভাবে ঘষে ব্যবহার করতে হবে।

    আরো পড়ুন: সাবুদানা খাওয়ার যত উপকারিতা-সাবুদানা কি থেকে তৈরি

    কফি আমাদের ত্বকের হারানো উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে দিতে, ত্বককে পুনরুজ্জীবিত করতে, ত্বকের বলিরেখা এবং কুচকানো ভাব ইত্যাদি দূর করতে দারুন কার্যকরী একটি উপাদান। এই আইসকিউব মূলতঃ এনটি এজিং উপাদান হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। তাই যারা ত্বকের বলিরেখা, কুচকানো ভাব দূর করতে, ত্বক থেকে বয়সে ছাপ দূর করতে এবং ত্বককে স্বাস্থ্যজ্জল করতে চান, তারা নিয়মিত এই আইসকিউব ব্যবহার করতে পারেন।

    গ্রিন টি দিয়ে তৈরি আইস কিউব

    গ্রিন টি দিয়ে তৈরি আইস কিউব হতে পারে আমাদের ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের সাথে সাথে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির আরেকটি অন্যতম একটি উপাদান। গ্রিন টি আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। নিয়মিত গ্রিন টি পানে আমাদের শরীর ডিটক্সিফায়িং করতে, অতিরিক্ত চর্বি গলাতে সহায়তা করে থাকে।

    এই গ্রিন টি আমরা আমাদের ত্বকের জন্য ব্যবহার করতে পারি। গ্রিন টি দিয়ে আইসকিউব বানানোর জন্য আমাদের লাগবে দুই প্যাকেট গ্রিন টি এবং দুই মগ ফুটন্ত গরম পানি। গরম পানিতে গ্রিন টি প্যাকেট পাঁচ থেকে ছয় মিনিট রাখতে হবে।

    এরপর এই পানীয়টি আইস ট্রেতে ফ্রিজিং করতে হবে। এই গ্রিন টি দিয়ে তৈরি আইস কিউব যাদের বয়স হওয়ার আগেই ত্বকের বয়সের ছাপ চলে আসে তাদের জন্য খুবই উপকারী। নিয়মিত ব্যবহারে তারা তাদের ত্বকের পরিবর্তন লক্ষ্য করতে পারবেন। এছাড়া যাদের চোখের নিচে কালো দাগ এবং ফোলা ভাব রয়েছে তারা এই গ্রিন টি দিয়ে তৈরি আইস কিউব ব্যবহার করে উপকার পাবেন।

    শসা এবং আলুর রস দিয়ে তৈরি আইস কিউব

    শসা এবং আলুর রস আমাদের ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে বহুল ব্যবহৃত দুটি উপাদান। এই দুটি উপাদান দিয়ে তৈরি আইস কিউব আমরা আমাদের ত্বকের জন্য ব্যবহার করতে পারি। শসা প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এ ভরপুর একটি উপাদান। আলুর রস আমাদের ত্বকের দাগ ছোপ দূর করতে সহায়তা করে থাকে। তাই এই দুটি উপাদান মিক্সড করে আমরা আইস কিউব বানিয়ে আমাদের ত্বকে ব্যবহার করতে পারি।

    আরো পড়ুন: চুল পড়া রোধে মেথি ব্যবহারের উপকারিতা - নতুন চুল গজাতে মেথির ব্যবহার

    এই আইস কিউব বানানোর জন্য আমাদের লাগবে একটি মাঝারি সাইজের শসার রস এবং একটি বড় সাইজের আলুর রস। দুটি উপাদান ভালোভাবে মিক্সড করে আইস ট্রেতে করে ফ্রিজিং করতে হবে। আপনারা চাইলে এর সাথে দুই তিন ফোঁটা লেবুর রস ব্যবহার করতে পারেন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখার সাথে সাথে ত্বক হবে মসৃণ এবং দাগ মুক্ত।

    আইস কিউব নিয়ে সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন এবং উত্তর

    প্রশ্নঃ ত্বকে সরাসরি আইস কিউব ব্যবহার করা যাবে?

    উত্তরঃ ত্বকে সরাসরি যে কোনো ধরনের আইস কিউব ব্যবহার না করাই ভালো। এতে ত্বকে উপকারের পরিবর্তে ক্ষতি হতে পারে। আইস কিউব পাতলা কোন পরিষ্কার কাপড়ে মুড়িয়ে তারপর ত্বকে আলতো ভাবে ব্যবহার করতে হবে, কোনভাবেই জোরে ঘষাঘষি করা যাবে না।

    প্রশ্নঃ ত্বকে সরাসরি  আইস কিউব ব্যবহার করলে কি ধরনের ক্ষতি হতে পারে?

    উত্তরঃ ত্বকে সরাসরি আইস কিউব ব্যবহার করলে ত্বকের রক্ত সঞ্চালন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, ফলে ত্বক উজ্জ্বলতা হারাতে পারে। এছাড়া সরাসরি ত্বকে আইস কিউব ঘষলে লাল লাল বা কালো দাগ হয়ে যেতে পারে। যাকে আমরা বরফের কামড় বলে থাকি।

    প্রশ্নঃ ত্বকে দিনে কতবার আইস কিউব ব্যবহার করা যাবে?

    উত্তরঃ দিনে সাধারণত একবারই আইস কিউব পাতলা কোন কাপড়ে মুড়িয়ে বা টিস্যুতে মুড়িয়ে ব্যবহার করা ভালো। অতিরিক্ত আইস কিউব ব্যবহারে ত্বকের স্বাভাবিক তেল নিঃসরণ বাধাগ্রস্ত হতে পারে, ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। এবং ত্বক তার স্বাভাবিক উজ্জ্বলতাও হারাতে পারে।

    টমেটো রস দিয়ে তৈরি আইস কিউব

    টমেটো রস দিয়ে তৈরি আইস কিউব গরমে ত্বকের সমস্যার সমাধানের সাথে সাথে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্যও অত্যন্ত কার্যকরি। টমেটো যেমন খেতে সুস্বাদু একটি সবজি তেমনি এই টমেটো রূপচর্চার কাজে ব্যবহার হয়ে আসছে অনেকদিন থেকেই। রূপচর্চায় টমেটো আমরা ব্যবহার বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার করে থাকি।

    যেমনঃ টমেটো স্লাইস করে কেটে তার উপরে চিনি মিক্সড করে স্ক্রাবিং হিসেবে ব্যবহার করা যায়। টমেটো পেস্ট করে বেসন মিশিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে  ত্বকে ব্যবহার করে উপকার পাওয়া যায়।

    টমেটো পেস্ট করে আইসকিউব বানিয়ে ত্বকে ব্যবহার করা যায় সহজে। এজন্য দুইটি পাকা লাল টমেটো পেস্ট করে তার সাথে সামান্য পানি মিশিয়ে আইস ট্রেতে করে ফ্রিজিং করে আইস কিউব বানানো যায়। পরিষ্কার ত্বকে এই আইসকিউব হালকাভাবে ঘষে ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যাবে। এই আইস কিউব  ত্বকের যেকোনো ধরনের হালকা দাগ ছোপ দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

    শুধু আইস কিউব এর ব্যবহার

    শুধু আইসকিউব ত্বকে ব্যবহার করেও উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিসহ আরো অনেক উপকার পেতে পারেন। এই আইস কিউব সরাসরি  ত্বকে ব্যবহার না করাই ভালো হবে। এজন্য পাতলা কোন কাপড়ে আইসকিউব মুড়িয়ে আলতো ভাবে ত্বকে রাব করতে হবে। ত্বকে্র যেকোনো ধরনের ট্যান দূর করতে, ত্বকের ওপেন পোর্স গুলো মিনিমাইজ করতে, তৈলাক্ত ত্বকে অতিরিক্ত তেল  নিঃসরণ বাধা দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

    ইমেজ

    তাই আপনি নিয়ম করে দিনের যেকোনো সময় এই আইসকিউব  ত্বকে ব্যবহার করতে পারে। তবে সকালে মর্নিং ওয়ার্ক বা ওয়ার্ক আউটের পর এটি  ত্বকে ব্যবহার করা বেশি ভালো হবে। এছাড়া বাইরে রোদ থেকে আসার পর বা রান্নার পর ত্বককে কিছুটা বিশ্রাম দিয়ে এই আইসকিউব ব্যবহার করতে পারেন। 

    পরিশেষে

    হাতের কাছে পাওয়া বিভিন্ন উপাদান দিয়ে তৈরি এক টুকরো আইস কিউব হতে পারে গরমে আপনার ত্বকে সব সমস্যার সমাধানের মূলমন্ত্র। এ ছাড়া ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি এবং তা রক্ষায় এই আইস কিউব গুলো অত্যন্ত কার্যকরী। এই ঘরোয়া উপাদানগুলো কেমিক্যাল মুক্ত হওয়ায় আমাদের ত্বকের জন্য অনেক উপকার বয়ে নিয়ে আসে।

    তবে কিছু কিছু উপাদানে যাদের অ্যালার্জি প্রবণতা রয়েছে তাদের সেগুলো এড়িয়ে চলাই ভালো হবে।  নিজের ত্বকের ধরন অনুযায়ী ত্বকের যত্ন নিলে ত্বক কোনরকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই ভালো থাকবে অনেক দিন। আমরা অনেক সময় বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে ত্বকের যত্ন নিতে সহজ কোনো উপায় খুঁজে থাকি। এই আইস কিউব গুলো ত্বকের যত্নে তাই আমাদের জন্য অনেক সহজ একটি সমাধান হতে পারে।

    এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

    পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
    এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

    passiondrivefiona র নীতিমালা মেনে comment করুন। প্রতিটি comment রিভিউ করা হয়;

    comment url