যেসব খাবার খেলে ডায়াবেটিস থাকবে নিয়ন্ত্রণে
যেসব খাবার খেলে ডায়াবেটিস পুরোপুরিভাবে নিয়ন্ত্রণে থাকবে সেই খাবারগুলো সম্পর্কে জানা থাকলে একজন ডায়াবেটিস রোগীর ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রেখে আজীবন সুস্থ জীবন যাপন করা নিশ্চিত হবে। এছাড়া জানব বেশি বেশি চিনি খেলে কি ডায়াবেটিস হতে পারে?
পোস্ট সূচীপত্রঃডায়াবেটিস এমন একটি রোগ যা একবার হলে সারা জীবন বয়ে বেড়াতে হয় অর্থাৎ পুরোপুরি ভাবে কখনোই ভালো হয় না। কিন্তু ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের খাবার গুলো সম্পর্কে যদি পুরোপুরি ধারণা থাকে সাথে কিছু নিয়ম মেনে চলা যায়, তাহলে ডায়াবেটিস সারা জীবন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে সবুজ শাকসবজিতে
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য একজন ডায়াবেটিস রুগীর খাদ্য তালিকায় অবশ্যই সবুজ শাকসবজির পরিমাণ বাড়াতে হবে। এই সকল শাকসবজিতে ক্যালোরির পরিমান খুবই কম থাকে, ফলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়। এছাড়া ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকায় পরিপাকতন্ত্রের কাজও ভালোভাবে সম্পন্ন হয়।
একজন ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকায় কোন ধরনের শাক সবজি রাখতে হবে তা এক নজর দেখে নিন-
ডায়াবেটিস রোগীর প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় শসা, টমেটো, ফুলকপি, বাঁধা্কপি, পালং শাক, বেগুন মাশরুম, শালগম, লেটুস পাতা ইত্যাদি রাখার চেষ্টা করুন। এছাড়া যে কোন ধরনের সবুজ শাকও রাখতে হবে। এসব সবজির গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেক কম হওয়ায় ডায়াবেটিস রোগীর রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে থাকে।
আরো পড়ুনঃ ভেষজ উদ্ভিদ তেলাকচার ১৫টি উপকারিতা
তাই একজন ডায়াবেটিস রোগীর প্রতি বেলার খাদ্য তালিকায় এই সবজিগুলো অবশ্যই খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার সাথে সাথে শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং পুষ্টির চাহিদা পূরণ করবে এই সবজিগুলো। ফলে হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করবে, সাথে ডায়াবেটিসের সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য রোগ থেকেও দূরে রাখবে।
এছাড়া ডায়াবেটিস রোগীর প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় মিষ্টি আলু রাখতে পারেন। মিষ্টি আলু রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে থাকে। এছাড়া ডায়াবেটিস রোগীর শাকসবজি রান্নার ক্ষেত্রে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন, এটি স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। এছাড়া খাওয়ার উপযোগী নারিকেল তেল দিয়েও রান্না করতে পারেন, তবে তা অবশ্যই পরিমিত পরিমাণে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে ফল খেতে হবে পরিমিত
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ফল রাখতে হবে পরিমিতভাবে। অনেকে মনে করেন ডায়াবেটিস রোগীরা ফল একদমই খেতে পারবেন না। কারণ ফলে চিনির পরিমাণ রয়েছে অনেক বেশি, যা ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তের গ্লুকোজের পরিমাণ বাড়াতে সহায়তা করবে।
কিন্তু এটাই সত্যি যে, ডায়াবেটিস রোগীরাও মৌসুমী ফল সহ যে কোনো ফল খেতে পারবেন কিন্তু তা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মত পরিমিত পরিমাণে।
যে কোন সাইট্রাস ফল যেমনঃ লেবু, মাল্টা, জাম্বুরা, কমলালেবু ইত্যাদি ভিটামিন সি দ্বারা পরিপূর্ণ। ভিটামিন সি একজন ডায়াবেটিস রোগীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। কারণ ভিটামিন সি রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের সহায়তা করে থাকে।
ডায়াবেটিস রোগীর প্রতিদিন কলা খাওয়ার ব্যাপারে কোন নিষেধ নেই। তবে কলাটি যেন কম পাকা হয় সেদিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখতে হবে। কারণ কম পাকা কলায় চিনির পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম থাকে, যা একজন ডায়াবেটিস রোগীর জন্য আদর্শ হবে। একজন ডায়াবেটিস রোগীড় দিনে এক থেকে দুইটি মাঝারি সাইজের কলা খাওয়ার কথা বলা হয়।
একজন ডায়াবেটিস রোগীর সুস্বাদু এবং রসালো মৌসুমী ফল আমের স্বাদ নিতে কোন বাধা নেই। তবে তা হতে হবে অবশ্যই পরিমিত পরিমাণে। দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় আম খেতে হবে এবং পরবর্তী বেলার খাবার অবশ্যই ব্যালেন্স রাখতে হবে, যাতে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে না যায়। সাধারণত একজন ডায়াবেটিস রোগীকে মধ্য সকালে ৫০ থেকে ৬০ গ্রাম আম খাওয়ার কথা বলা হয়।
একজন ডায়াবেটিস রোগীর তরমুজ খাওয়ার ব্যাপারে কোন বাধা নেই। দিনে পরিমিত পরিমাণে তরমুজ খেতে পারবেন।
একজন ডায়াবেটিস রোগী আপেল এবং আঙ্গুরের মতো ফলও খেতে পারবেন পরিমিত পরিমাণে। আপেলে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার এবং আরো অন্যান্য পুষ্টিগুণ। যা একজন ডায়াবেটিস রোগীর রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে এবং ইনসুলিনের মাত্রা ব্যালেন্স করতে সহায়তা করে। আঙ্গুরে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান, যা একজন ডায়াবেটিস রোগীর রক্তে গ্লুকোজ এবং ইনসুলিন পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
আরো পড়ুনঃ স্বাদে তেতো হলেও এই পাঁচ খাবারের স্বাস্থ্য উপকারিতা বহুগুণ
ডায়াবেটিস হলেই যে ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে এমন কোন কথা নেই। একজন ডায়াবেটিস রুগী কমপক্ষে পাঁচটি ফল প্রতিদিন খেতে পারবেন। তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মত নির্দিষ্ট পরিমাণে। এছাড়া ফলের তৈরি জুস বা স্মুদি না খেয়ে সরাসরি ফল খাওয়াই ভালো হবে।
ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকায় পূর্ণ শস্য রাখুন
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য একজন ডায়াবেটিস রোগীর প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় পূর্ণ শস্য যুক্ত খাবার রাখার চেষ্টা করতে হবে। এক্ষেত্রে সাদা চাল, সাদা আটা, পাস্তা ইত্যাদি খাবার তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। এর পরিবর্তে খাদ্য তালিকায় যোগ করতে হবে লাল চালের ভাত, লাল আটা রুটি, ওটস, পূর্ণ শস্যের পাস্তা ইত্যাদি পূর্ণ শস্য জাতীয় খাবার।
পরিশোধিত যেকোনো সাদা খাবারে কার্বোহাইড্রেট এর পরিমাণ অনেক বেশি থাকে, যা একজন ডায়াবেটিস রোগী রক্তের গ্লুকোজের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে। এজন্য অবশ্যই এই সকল খাবার ধীরে ধীরে একজন ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকার থেকে বাদ দিতে হবে, এবং পূর্ণ শস্যযুক্ত খাবার প্রতি বেলার খাদ্য তালিকায় যোগ করতে হবে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে প্রোটিন থাকবে পরিমিত পরিমাণে
একজন ডায়াবেটিস রোগীর ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আরেকটি যে খাবারের দিকে বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখা উচিত তা হল, প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় প্রোটিন এর পরিমাণ। একজন ডায়াবেটিস রোগীর প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অবশ্যই মাছ রাখতে হবে। কারণ মাছে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড যা একজন ডায়াবেটিস রোগীর ইনসুলিনের মাত্রা বৃদ্ধিতে এবং রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান।
মাংস খাওয়ার ব্যাপারে একজন ডায়াবেটিস রোগীর বিশেষ সচেতন থাকতে হবে। রেড মিট যেমনঃ গরুর মাংস, খাওয়া মাংস ইত্যাদি যথাসম্ভব পরিহার করতে হবে। এর পরিবর্তে লিন মিট যেমনঃ মুরগির মাংস, কবুতরের মাংস ইত্যাদি প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। একজন ডায়াবেটিস রোগী ডিমের সাদা অংশ হতে পারে একটি আদর্শ খাবার। কারণ ডিমের সাদা অংশ উচ্চ প্রোটিন যুক্ত একটি খাবার।
এছাড়া খাদ্য তালিকায় ডাল জাতীয় খাবার রাখতে হবে। বাদাম জাতীয় খাবার যেমনঃ দৈনিক এক মুঠোক চিনা বাদাম, আখরোট কাজুবাদাম ইত্যাদি একজন ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকায় যোগ করলে স্বাস্থ্যের জন্য উপকার হবে। এছাড়া আরেকটি চর্বিহীন প্রোটিন মটরশুটি ডায়াবেটিস রোগীরা প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখলে উপকার পাবেন।
দুধ এবং দুগ্ধ জাতীয় খাবার ডায়েটে রাখুন
একজন ডায়াবেটিস রোগীর দুধ এবং দুগ্ধ জাতীয় খাবার খাওয়ার ব্যাপারে অবশ্যই বিশেষ নজর দিতে হবে। দুধ এবং যেসব দুগ্ধ জাতীয় খাবারে চর্বির পরিমাণ বেশি থাকে সেগুলো পরিহার করতে হবে। এর পরিবর্তে কম চর্বিযুক্ত দুধ, টক দই, পনির ইত্যাদি খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে।
আরো পড়ুনঃ পেয়ারা পাতার স্বাস্থ্য উপকারিতা
এক্ষেত্রে কম চর্বিযুক্ত দুধ সরাসরি খেতে পারেন, লাল আটা রুটি বা ওটস এর সাথে মিক্সড করে দুধ খেতে পারেন, বিকেল বা সন্ধ্যার নাস্তা হিসেবে পনির খেতে পারেন, বা পনির দিয়ে রান্না করা সবজিও খেতে পারেন। বিভিন্ন ফলের সাথে মিশিয়ে টক দই খেতে পারেন। আপনি যেভাবেই খান না কেন কোনভাবে এতে চিনি যোগ করা যাবে না।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে গ্রিন টি এবং চিনি ছাড়া শরবত
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য অবশ্যই একজন ডায়াবেটিস রোগীকে চিনি ছাড়া চা খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। এক্ষেত্রে গ্রিন টি হতে পারে একটি দারুণ অপশন। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এ ভরপুর গ্রিন টি শুধু ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের সহায়তা করবে না, সাথে মিলবে অন্যান্য স্বাস্থ্য উপকারিতা। এছাড়া চিনি ছাড়া বিভিন্ন ধরনের মসলা এবং পুদিনা পাতা দিয়ে তৈরি চা খেতে পারেন।
অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের শরবত খাওয়ার ইচ্ছে জাগতে পারে। এই সময় লেবু এবং বিট লবণ দিয়ে তৈরি শরবত খেতে পারেন। কিন্তু কোন ভাবেই শরবতে চিনি যোগ করা যাবে না। এছাড়া চিনি বাদ দিয়ে তরমুজ বাঙ্গির মতো ফল দিয়ে জুস বানিয়ে শরবতের মতো খেতে পারেন। এতে স্বাদের পরিবর্তন হবে এবং খেতেও ভালো লাগবে।
অনেকেরই দেখা যায় সারাদিনে পানি খাওয়ার ব্যাপারে অলসতা। কিন্তু পানির বিকল্প কোন কিছু হতে পারে না। একজন ডায়াবেটিস রোগীকে অবশ্যই দৈনিকপরিমিত পরিমাণে পানি খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে।
বেশি বেশি চিনি খেলে কি ডায়াবেটিস হয়
চিনি খাওয়ার সাথে ডায়াবেটিস হওয়ার কোন সম্পর্ক নেই। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক একটি ওয়েবসাইটের গবেষণায় বলা হয়েছে, বেশি বেশি চিনি খাওয়ার সাথে ডায়াবেটিস হওয়ার সরাসরি কোন সম্পর্ক নেই। তবে চিনি বেশি খাওয়ার ফলে ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে, হার্টের রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পেতে পারে ইত্যাদি।
আরো পড়ুনঃ ফুলকপি বাঁধাকপির যত পুষ্টিগুণ - সারা বছর সংরক্ষণের উপায়
এছাড়া ডায়াবেটিসের সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য রোগের সমস্যাও বেড়ে যেতে পারে। রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে ডায়াবেটি হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে পারে। এজন্য অবশ্যই পরিমিত পরিমানে চিনি খাওয়ার ব্যাপারে লক্ষ্য রাখতে হবে।
ডায়াবেটিস রোগীরা কি কি খেতে পারবেন না
একবার ডায়াবেটিস হয়ে গেলে তা নিয়ন্ত্রণের জন্য আমাদের খাদ্য তালিকা থেকে অনেক কিছুই বাদ দিতে হয়। না হলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে তা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে, যা একজন ডায়াবেটিস রোগীর জন্য খুব ভয়াবহ একটি ব্যাপার হবে। কারণ এতে ডায়াবেটিসের সাথে সাথে অন্যান্য রোগের প্রকপও শরীরে দেখা দিবে।
তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য যেকোনো ধরনের চিনি যুক্ত খাবার, উচ্চ কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার অবশ্যই খাবার তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। বা চিকিৎসকের পরামর্শের মত দৈনিক খাবার তালিকা তৈরি করতে হবে। এক্ষেত্রে যেকোনো ধরনের বিস্কুট, কুকিজ, চিনিযুক্ত বাইরের ফলের জুস, কোমল পানীয়, কেক, চকলেট, আইসক্রিম ইত্যাদি পরিহার করতে হবে।
পরিশেষে
একজন ডায়াবেটিস রোগীর যেসব খাবার খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। একজন ডায়াবেটিস রোগীর ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকার দিকে অবশ্যই বিশেষ নজর দিতে হবে। তাহলেই একজন ডায়াবেটিস রোগী সারা জীবন সুস্থভাবে জীবন যাপন করতে সক্ষম হবে।
যেহেতু এই রোগটি পুরোপুরি ভাবে ভালো হওয়ার নয়, তাই দৈনন্দিন খাদ্য অভ্যাস এবং কিছু নিয়ম মেনে চললে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে।
passiondrivefiona র নীতিমালা মেনে comment করুন। প্রতিটি comment রিভিউ করা হয়;
comment url