পদ্ম বীজ খাওয়ার উপকারিতা - গর্ভাবস্থায় পদ্ম বীজ খাওয়ার উপকারিতা

পদ্মবীজ যা মাখানা ও ফক্স নাটস নামে পরিচিত, খাওয়ার উপকারিতা অনেক। পদ্মবিজে থাকা বিভিন্ন ধরনের  প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং পুষ্টি উপাদানের জন্য পদ্ম বীজ খাওয়ার মাধ্যমে মিলে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা। এছাড়া গর্ভাবস্থায়ও পদ্ম বীজ খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে বহুগুণ।

ইমেজ

পোস্ট সূচীপত্রঃপদ্ম বীজে থাকা বিভিন্ন ঔষধি গুনাগুনের জন্য এই বীজ অনেক আগে থেকে আমাদের দেশে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় যোগ হয়েছে। প্রাচীন চীনে এই বীজ ঔষধ হিসেবে গ্রহণ করা হতো এবং বর্তমানে ভারত সহ আমাদের দেশে এর স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য এই বীজের বহুল ব্যবহার শুরু হয়েছে।

    পদ্ম বীজ কি

    পদ্ম বীজ কে অনেকে ফক্স নাটস, মাখানা ইত্যাদি নামে চিনে থাকেন। এটি সাধারণত আমাদের দেশে ঝিলের পাড়ে বা পুকুরের পাড়ে হতে দেখা যায়। আই রিয়েল ফক্স নামক গোত্রের উদ্ভিদ থেকে এই বীজ টি পাওয়া যায়। প্রাচীন চীনে এই বীজ বিভিন্ন ধরনের ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হতো এবং ভারতেও এই বীজ বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক ওষুধে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

    এই বীজে বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান এবং ভিটামিন পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে। তাই এই বীজ খাওয়ার মাধ্যমে আমরা অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা পেতে পারি।

    পদ্ম বীজে কি কি ভিটামিন রয়েছে

    পদ্ম বীজে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন পর্যাপ্ত পরিমাণে। এ কারণে পদ্ম বীজ খাওয়ার ফলে আমাদের স্বাস্থ্যের উপর এর অনুকূল প্রভাব রয়েছে। পদ্ম বীজে থাকা বিভিন্ন ভিটামিন এবং পুষ্টি উপাদান আমাদের সুস্বাস্থ্য রক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়া এর বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের জন্য বিভিন্ন ঔষধ তৈরিতেও এই বীজের ব্যবহার বহুল প্রচলিত।

    পদ্ম বীজে যে সকল ভিটামিন রয়েছে তা একনজর দেখে নিন-

    • অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
    • ক্যালসিয়াম
    • ম্যাগনেসিয়াম
    • পটাশিয়াম
    • ভিটামিন বি কমপ্লেক্স
    • আয়রন
    • ফসফরাস
    • ম্যাঙ্গানিজ
    • এমিনো এসিড

    পদ্ম বীজ খাওয়ার উপকারিতা

    পদ্ম বীজ খাওয়ার ফলে মিলে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা। বলা হয় যে, পদ্ম বীজে বাদাম এবং আখরোটের চেয়ে বেশি পরিমাণে স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। তাই নিয়মিত পদ্ম  বীজ খাওয়ার মাধ্যমে আপনিও পেতে পারেন চমৎকার কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা।
    অ্যান্টি এজিং উপাদানঃ পদ্ম বীজ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এ ভরপুর হওয়ায় শরীরের টক্সিন পদার্থ দূর করতে সহায়তা করে, এর ফলে এজিং প্রসেস দেরি হতে সহায়ক হয়।
    ডায়াবেটিস রোগীর জন্য সহায়কঃ পদ্ম বীজে ক্যালোরি এবং গ্লাইসেমিক ইনডেক্স এর মাত্রা কম থাকায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের সহায়তা করে থাকে।
    ওজন কমাতে সহায়কঃ পদ্মবিজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, এই বীজ খাওয়ার ফলে অনেকক্ষণ পেট ভরা অনুভূতি দেয় যার ফলে ওজন কমাতে সহায়ক হয়। এছাড়া পদ্মবীজে কোলেস্টেরল এবং ফ্যাটের পরিমাণ খুবই কম, এটাও ওজন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
    হজমে সহায়তা করেঃ পদ্ম বীজে থাকা ফাইবার হজমে সহায়তা করে, ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মত রোগ থেকে দূরে থাকা সম্ভব হয় এবং পরিপাকতন্ত্রের কার্যাবলী সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করতেও সহায়তা করে।
    পদ্ম বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং কম পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট। এই বীজ খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে প্রোটিনের চাহিদা অনেকটাই পূরণ করা সম্ভব হয়।
    রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করেঃ পদ্ম বীজে পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকায় এবং সোডিয়াম এর পরিমাণ কম থাকায় এই বীজ উচ্চচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং রক্তচাপ সুসংহত রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
    হাটকে ভালো রাখে পদ্মাবীজঃ পদ্ম বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম এর মত উপকারী উপাদান, ফলে এই বীজ হাট কে সুস্থ রেখে হার্ট সম্পর্কিত সংক্রান্ত যেকোনো ঝুঁকি এড়াতে সহায়তা করে।
    নার্ভে সুস্থতায় পদ্মবীজঃ পদ্ম ভিজে থাকা থিয়ামিন নামক উপাদান নার্ভের সুস্থতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।


    ইনফ্লেশন কমাতেপদ্ম বীজঃ পদ্ম বীজে ভিজে থাকা কেয়াম্পফেরল নামক উপাদান আমাদের শরীরে ইনফ্লেশন কমাতে সহায়তা করে, ফলে ইনফ্লেশনের জন্য সৃষ্ট রোগ যেমনঃ আর্থাইটিস মত রোগের জন্য ভালো সহায়ক হিসেবে কাজ করে।

    পুরুষদের জন্য সহায়কঃ পদ্ম বীজ পুরুষদের বীর্যের শুক্রাণু সংখ্যা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে থাকে। সাথে মহিলাদের জন্য এই বীজ খাওয়ার সুফল বয়ে আনে।
    দুর্বলতা দূর করতে পদ্ম বীজঃ দাবি করা হয় যে, এই বীজ খাওয়ার ফলে শারীরিক দুর্বলতা অনেকটাই দূর করা সম্ভব হয়।
    ভালো ঘুমের জন্য পদ্মবিজঃ পদ্ম বীজ খাওয়ার ফলে পেসিকে একটি আরামদায়ক অনুভূতি প্রদান করে, এর ফলে ভালো ঘুম নিশ্চিত হয়।
    খোলা ভাব কমাতে সহায়কঃ পদ্ম বীজে থাকা ফ্ল্যাভনয়েড নামক উপাদান শরীরে যে কোন জায়গায় খোলা ভাব কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
    হাড় এবং দাঁত মজবুত করতে পদ্ম বীজঃ পদ্ম বীজ খেলে হাড় এবং দাঁত মজবুত করতে সহায়ক হয়। ফলে মুখের ভিতরে যে কোন ব্যথা দাঁতের মাড়ি ব্যথা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব হয়।
    কিডনি ভালো রাখতে পদ্ম বীজঃ পদ্ম বীজ খাওয়ার ফলে শরীর থেকে টক্সিন পদার্থ দূর হতে সহায়তা করে এবং রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া ভালোভাবে সম্পন্ন হতে পারে, এর ফলে কিডনি সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যা থেকে দূরে থাকা সম্ভব হয়।
    শরীরে শীতলতা দিবেপদ্ম বীজঃ পদ্ম বীজ খেলে শরীরে ভিতরে একটি শীতল অনুভূতি প্রদান করে, ফলে শরীরে যেকোনো রোগের কারণে সৃষ্ট গরম কমাতে সহায়তা করে থাকে। 

    গর্ভাবস্থায় পদ্মবিজ খাওয়ার উপকারিতা

    গর্ভাবস্থায় পদ্মবিজ খাওয়ার ফলে পাওয়া যাবে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা। কারণ পদ্ম বীজে থাকা বিভিন্ন ভিটামিন এবং পুষ্টি উপাদান একজন গর্ভবতী মহিলার জন্য গর্ভাবস্থায় প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা পূরণের সাথে সাথে, আরো অনেক শারীরিক সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে থাকে। তাই আপনি যদি গর্ভবতী হন তাহলে নিয়মিত এই উপকারী বীজ টি খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন। 

    ক্লান্তি দূর করবে পদ্মবিজঃ গর্ভাবস্থায় একজন মহিলা প্রায়ই যে সমস্যায় ভুগেন তা হল ক্লান্তিবোধ করা। এই ক্লান্তি ভাব দূর করতে এবং শরীরে শক্তি বৃদ্ধির জন্য পদ্মবিজ নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন। এতে থাকা প্রোটিন, আয়রন, জিংক ,পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম শরীরের ক্লান্তি দূর করতে সহায়তা করে।
    রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে পদ্মবীজঃ গর্ভাবস্থায় একজন মহিলার বিভিন্ন ধরনের হরমোনের পরিবর্তন এবং মানসিক চাপের কারণে অনেক সময়েই রক্তচাপ বৃদ্ধি পেতে দেখা যায়। এই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য পদ্মবীজ হতে পারে একটি আদর্শ খাদ্য। কারণ পদ্মা ভিজে থাকা বিভিন্ন ভিটামিন এবং পুষ্টি উপাদান রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে থাকে।
    গর্ভস্থ ভ্রুনের এর বিকাশে পদ্ম বীজঃ পদ্ম বীজে প্রোটিনের পরিমাণ অনেক বেশি থাকায় এবং খনিজ লবণ সহ অন্যান্য ভিটামিন পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকায় তা গর্ভবতী এবং গর্ভস্থ ভ্রুনের স্বাভাবিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
    সঠিক ওজন নিয়ন্ত্রণে পদ্মবিজঃ গর্ভাবস্থায় নিজের এবং গর্ভস্থ শিশুর পরিপূর্ণ বিকাশের জন্য একজন মাকে অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ করতে হয়। এজন্য অনেক সময় ওজন খুব দ্রুত বৃদ্ধি পেতে দেখা যায়। কিন্তু এই সময় নিয়মিত পদ্মা বীজ খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণের সহায়তা করবে। কারণ এতে ক্যালরি এবং গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স এর পরিমাণ কম থাকায় ওজন নিয়ন্ত্রণ করবে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার থাকায় অনেক সময় পর্যন্ত পেট ভরার অনুভূতি দিবে সাথে শরীরের জন্য যোগাবে প্রয়োজনীয় পুষ্টি।
    দাঁতের সমস্যা থেকে মুক্তি দেবে পদ্মবিজঃ গর্ভাবস্থায় অনেক সময়ই দাঁত এবং মাড়ির সমস্যায় ভুগতে দেখা যায় অনেক মাকে। এই সময় হরমোনের পরিবর্তনের কারণে মাড়ি থেকে রক্ত পড়া, মাড়ি ব্যথা ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারেপদ্ম বীজ। কারণ পদ্ম বিজে থাকা ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এবং জিংক এই সমস্যা থেকে দূর করতে সহায়তা করবে।
    অনিদ্রা দূর করবে পদ্মবীজঃ গর্ভাবস্থায় একজন মহিলার জন্য বিরক্তি করে একটি সমস্যা হল অনিদ্রায় ভোগা। পদ্মবীজ এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে সহজে। কারণ পদ্ম ভিজে থাকা আইসোকুইনোলাইন অ্যালকালয়েড নামক উপাদান ঘুমকে সঠিকভাবে আসতে সহায়তা করে।

    হজমের সমস্যা দূর করবে পদ্ম বীজঃ গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন ধরনের হরমোনের পরিবর্তন, মানসিক চাপ, হঠাৎ করে অতিরিক্ত খাওয়া ইত্যাদি কারণে হজমের সমস্যা সহ ডায়রিয়ার মত সমস্যা হতে দেখা যায়। এই সময় পদ্মা বীজ খেলে এ ধরনের সমস্যা থেকে দূর করা সহজে সম্ভব হয়। কারণ পদ্ম বীজে থাকা চমৎকার ফাইবার হজমের যেকোনো সমস্যা দূর করতে।

    পদ্ম বীজ কিভাবে খাবেন

    পদ্ম বীজ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আমরা বিস্তারিতভাবে জানলাম। অনেকেই বুঝতে পারে না যে এই পদ্মবীজ কিভাবে খেলে ভালো হবে। সত্যি কথা বলতে আপনি যেকোন ভাবে এই বৃষ্টি আপনি আপনার খাদ্য তালিকায় যোগ করে নিয়মিত ভাবে খেতে পারেন।

    পদ্মবীজ আপনি চাইলে সাধারণভাবে ভেজে তারপর পপকর্নের মতো এর স্বাদ নিতে পারেন। তবে এর স্বাদ আরো বাড়ানোর জন্য রোস্ট বা ভাজার সময় প্রয়োজন অনুযায়ী একটু মাখন বা ঘি দিয়ে ভাজতে পারেন। এতে বীজ টি খেতে সুস্বাদু হবে সাথে সুন্দর একটি ঘ্রাণও পাবেন। এছাড়া এতে আরো যোগ করতে পারে সামান্য লবণ, গোলমরিচের গুঁড়ো ইত্যাদি।

    পদ্মবীজ খাওয়ার আরেকটি উপায় হল আপনি যেকোনো ধরনের পায়েস এবং ক্ষীর রান্নায় বাড়তি উপকরণ হিসেবে পায়েস বা ক্ষীরের স্বাদ এবং ঘনত্ব বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করতে পারেন। রান্নার শেষ পর্যায়ে রোস্টেড কিছু পদ্মবিজ গুড়ো করে পায়েস বা ফিরে দিতে পারেন।

    আবার পদ্মবিজ ভেজে নিয়ে গুঁড়ো করে সাথে প্রয়োজন অনুযায়ী চিনি, সামান্য লবন, এলাচ গুঁড়ো, কিসমিস, বিভিন্ন ধরনের বাদাম ইত্যাদি যোগ করে নাড়ু বা লাড্ডুর মতো বানিয়েও খাওয়া যেতে পারে।

    পদ্ম বীজ খাওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে কি

    পদ্ম বীজ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানার পর আপনাদের মনে নিশ্চয়ই প্রশ্ন এসেছে, এই বীজ খাওয়ার কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা অপকারিতা আছে কিনা। পদ্ম বীজ খাওয়ার কিছু নির্দিষ্ট ব্যক্তি ক্ষেত্রে কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
    যাদের অ্যালার্জি প্রবণতা রয়েছে, তাদের পদ্ম বীজ খাওয়ার কারণে এলার্জি প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। এর ফলে চুলকানি,র‍্যাশ, ফুলে যাওয়া ইত্যাদি হতে পারে। তাই পদ্ম বীজ খাওয়ার পর এই ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।

    যাদের ডায়াবেটিসের কারণে অলরেডি ইনসুলিন দিতে হচ্ছে, তাদের পদ্ম বীজ খাওয়ার ফলে রক্তে শর্করা মাত্রা আরো কমে যেতে পারে। তাই ডায়াবেটিস রোগীরা পদ্ম বীজ খাওয়ার সময় অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মত নির্দিষ্ট পরিমাণ গ্রহণ করতে হবে।

    এছাড়া গর্ভাবস্থায় পদ্ম বীজ খাওয়ার কারণে যদি কোন শরীরে সমস্যা দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। বা চিকিৎসকের পরামর্শ মত পদ্ম বীজ খাওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

    পরিশে ফুলকপি বাঁধাকপির যত পুষ্টিগুণষে

    পদ্ম বীজে থাকা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং পুষ্টি উপাদানের কারণে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য পদ্মবীজ খাওয়ার উপকারিতা অনেক। তাই আপনি যদি আপনার হাতের কাছে এই বীজ পেয়ে যান, তাহলে অবশ্যই খাওয়ার মাধ্যমে এর উপকারিতা নিতে ভুলবেন না। এর ঔষধি গুনাগুনের জন্য এই বীজ ব্যবহৃত হয়ে আসছে অনেক ওষুধ প্রস্তুতে।

    এছাড়া গর্ভাবস্থায়ও এই বীজ খাওয়ার ফলে গর্ভবতী মহিলাদের মিলে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা। তাই আপনিও আপনার শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগাতে এই বীজ টি আপনার খাদ্য তালিকায় নিয়মিত রাখতে পারেন।

    এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

    পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
    এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

    passiondrivefiona র নীতিমালা মেনে comment করুন। প্রতিটি comment রিভিউ করা হয়;

    comment url