ভেষজ উদ্ভিদ তেলাকুচা পাতার ১৫টি উপকারিতা সম্পর্কে জানুন
ভেষজ উদ্ভিদ তেলাকুচা পাতার উপকারিতা সম্পর্কে আজকের পোস্টে আলোচনা করতে চলেছি। আপনি যদি তেলাকুচা উদ্ভিদের পাতার অসাধারন ঔষধি গুনাগুন সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। এছাড়া জানবেন চুলের সমস্যায় তেলাকুচা পাতার ব্যবহার সম্পর্কে।
পোস্ট সূচীপত্রঃআমাদের দেশে গ্রামাঞ্চলের প্রায় সব বাড়ি আনাচে-কানাচে এই অসাধারণ ঔষধি গুনাগুন সম্পন্ন উদ্ভিদটি দেখতে পাওয়া যায়। আমাদের বাড়ির আশেপাশে বেড়ে ওঠা এই ভেষজ উদ্ভিদের উপকারিতা অনেক। এই উদ্ভিদটি চাষের প্রয়োজন হয় না। মূলতঃ ছায়া আছে এমন জায়গায় এই গাছ দেখতে পাওয়া যায়।
ভেষজ উদ্ভিদ তেলাকুচা পাতার উপকারিতা জানুন
ভেষজ উদ্ভিদ তেলাকুচা পাতার উপকারিতা সম্পর্কে পোস্টের শুরুতে আপনাদের জানাবো। বিভিন্ন রোগ ব্যাধি সারাতে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্ত করতে, সুস্বাস্থ্য রক্ষায় ঔষধি গুনাগুন সম্পন্ন তেলাকুচা পাতার অসাধারণ উপকারিতা রয়েছে। এছাড়া এই উদ্ভিদের মূল, ফল বিভিন্ন রোগের কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
বিভিন্ন রোগে ঘরোয়া চিকিৎসায় এখনো অনেকে তেলাকুচা পাতার উপর নির্ভর করে থাকেন। তাহলে চলুন নিচে জেনে নেই ১৫টি ভেষজ উদ্ভিদ তেলাকুচা পাতার উপকারিতা সম্পর্কেঃ
তেলাকুচা পাতা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে থাকেঃ তেলাকুচার পাতা এবং মূল ডায়াবেটিস রোগ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বিশেষ উপাদান। তাই এই ভেষজ উদ্ভিদের কান্ডসহ পাতা ছেঁচে রস বের সকাল বিকাল হাফ কাপ পরিমাণ খেলে উপকার পাওয়া যাবে। এছাড়া আপনি চাইলে পাতা শাক রান্না করেও আপনার ডায়েটে রাখতে পারেন।
সর্দি ভালো করতে তেলাকুচার পাতা বা মূল এর ব্যবহারঃ অনেক সময় ঋতু পরিবর্তনের সময় আমাদের অনেকেরই সর্দি লাগার প্রবণতা থাকে। আবার বৃষ্টিতে ভেজার কারণে বা অতিরিক্ত গরমে ঘাম বসে গিয়ে অনেকেরই সর্দি লেগে যাওয়ার মত সমস্যায় ভুগেন।
এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে তেলাকুচা পাতার রস বা অল্প পরিমাণ মুলের রস বের করে হালকা গরম করে মধু মিশিয়ে প্রতিদিন নিয়ম করে খেলে এই ধরনের সর্দি থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
তেলাকুচার পাতা শ্বাসকষ্ট রোধে ব্যবহারঃ শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি রোগের চিকিৎসায় এই ভেষজ উদ্ভিদ তেলাকুচার ব্যবহার বহুল জনপ্রিয়। এজন্য তেলাকুচার পাতা এবং মূল থেকে ছেঁচে রস বের করে তিন চার চা চামচ করে সকাল বিকাল খেতে হবে। চাইলে আপনি এর সাথে সামান্য মধু মিশিয়ে নিতে পারেন। অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই আপনি শ্বাসকষ্ট রোগ থেকে আরাম বোধ করবেন।
মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধিতে তেলাকুচার ব্যবহারঃ আমাদের মধ্যে অনেকেরই দেখা যায় সন্তান জন্ম দেয়ার পর বুকে পরিমান মতো দুধ আসে না। এজন্য শিশুকে ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও অনেক মা দুধ পান করাতে পারেন না। এই অবস্থায় তেলাকুচার পাতার রস বানিয়ে মধু মিশিয়ে খেলে। মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধি পাবে।
এছাড়া তেলাকুচার ফল থেকে রস বের করে সাথে মধু মিশে খেলেও দুধের ঘাটতি দূর হবে।
আরো পড়ুন: সাবুদানা খাওয়ার যত উপকারিতা - সাবুদানা কি থেকে তৈরি হয়
জন্ডিস রোগে তেলাকুচা পাতার ব্যবহারঃ জন্ডিস রোগ কে প্রতিহত করার জন্য অনেকেই ভেষজ উদ্ভিদ খেতে পছন্দ করেন। তাদের জন্য তেলাকুচার পাতা এবং মূল হতে পারে আশীর্বাদ। এই তেলাকুচার মূল ছেঁচে রস বের করে প্রতিদিন সকালে আধা কাপ পরিমাণ খেলে কিছুদিনের মধ্যেই পরিবর্তন লক্ষ্য করতে পারবেন।
আমাশয় রোগ ভালো করতে তেলাকুচা পাতার ব্যবহারঃ আমরা অনেকেই অনেক সময় আমাশয় রোগে ভুগে থাকি। আবার অনেকের রয়েছে পুরাতন আমাশয়। এই আমাশয় ভালো করতে ভেষজ উদ্ভিদ তেলাকুচার পাতা নিয়মিত খেতে পারেন। এক্ষেত্রে তেলাকুচার পাতা এবং মূল থেকে রস বের করে তিন থেকে চার চা চামচ প্রতিদিন সকাল- বিকাল নিয়ম করে খেতে হবে।
পা ফোলা রোগ থেকে মুক্তি দিবে তেলাকুচা পাতাঃ বিভিন্ন সময় আমাদের বিভিন্ন কারণে পা ফুলে থাকে। এটা খুবই কষ্টদায়ক এবং অস্বস্তিকর একটি ব্যাপার। যেমনঃ অনেকেই আছে দীর্ঘ সময় পা ঝুলে বসে থাকলে পা ফুলে যায়, আবার গাড়িতে দীর্ঘ সময় ভ্রমণের কারণে পা ফুলে যেতে পারে।
এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে তেলাকুচার পাতা এবং মূল থেকে রস বের করে প্রতিদিন সকাল বিকাল তিন থেকে চার চামচ করে নিয়ম করে খেলে উপকার পাবেন।
স্লেষা জনিত জ্বর ভালো করতে তেলাকুচার পাতাঃ স্লেষা জনিত জ্বর এ সাধারণত যারা ভুগেন তাদের অনেকের খাওয়ার রুচি কমে যায়, ঠোটে জ্বর ঠোঁটা উঠতে পারে আবার মুখে ঘাও হতে পারে। এই ধরনের জ্বর থেকে তাড়াতাড়ি মুক্তি পাওয়ার জন্য তেলাকুচা পাতা এবং মূল একসঙ্গে বেটে রস বের করে হালকা গরম করে সকাল বিকাল দুই তিন চামচ করে খেলে খুব তাড়াতাড়ি উপকার মিলবে।
কাশি ভালো করতে তেলাকুচা পাতার ব্যবহারঃ অনেক সময় আমাদের সর্দি লাগার কারণে গলায় কফ জমে কাশি হয়ে থাকে। এই কাশি ভালো করতে অর্থাৎ গলায় জমে থাকা কফ তরল করে বের করে দিতে তেলাকুচা পাতার রস বা মুলের রস বের করে হালকা গরম করে মধু মিশিয়ে পান করলে উপকার পাওয়া যাবে।
বেশি উপকার পেতে প্রতিদিন নিয়ম করে সকাল বিকাল দুই থেকে তিন চামচ করে এই রস খেতে হবে।
জ্বর জ্বর ভাব হতে মুক্তি দিবে তেলাকুচার পাতাঃ অনেক সময় আমাদের এমন হয় যে শরীরের উপরে কোন গরম অনুভব হয় না কিন্তু মনে হয় যে ভিতরে জ্বর জ্বর ভাব। এ অবস্থায় অনেক সময় খাওয়ার রুচি কমে যায়, শরীরে ব্যথা হয়, মাথা ভার হয়ে থাকে ইত্যাদি।
এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে তেলাকুচারঃপাতা, কাঁচা ফল থেকে রস বের করে সকাল বিকাল এক চামচ করে খেলে জ্বর ভাব কেটে যাবে সহজেই।
ফোড়া ভালো করার জন্য তেলাকুচার পাতাঃ আমাদের শরীরে প্রায়ই যে কোন জায়গায় ফোড়া উঠতে দেখা যায়। এই ফোড়া অনেক সময় ব্যাথা যুক্ত হয়ে থাকে। এই ফোড়া থেকে সহজে মুক্তি পাওয়ার জন্য তেলাকুচা পাতার রস বা মুল বেটে ফোড়ার জায়গায় লাগালে অল্প দিলে ফোড়া ভালো হয়ে যাবে।
রুচি বৃদ্ধিতে তেলাকুচা পাতার ব্যবহারঃ কোনো অসুখ থেকে সেরে ওঠার পর বা অসুস্থ অবস্থায় অনেক সময় খাওয়ার রুচি কমে যেতে পারে। এই অবস্থায় তেলাকুচা পাতা সেদ্ধ করে ঘি বা তেল দিয়ে ভালো ভাবে শাকের মতো করে রান্না করে খেতে হবে। সাধারণত খাওয়ার প্রথমে এই শাক খেলে পরবর্তী যে কোন খাবার খেতে রুচি বেড়ে যাবে।
ব্রণ হতে মুক্তি পেতে তেলাকুচা পাতার ব্যবহারঃ ব্রনের সমস্যায় দারুন কার্যকরী এই তেলাকুচা পাতা বা তেলাকুচা পাতার রস। আপনি ব্রণের সমস্যায় ভুগলে তেলাকুচার পাতা পরিষ্কার করে ধুয়ে পেস্ট বানিয়ে ব্রনের জায়গায় লাগালে কিছুদিনের মধ্যে উপকার লক্ষ্য করতে পারবেন।
অর্শ রোগ ভালো করতে তেলাকুচার পাতা ব্যবহারঃ অনেক সময় এমন হয় কোনরকম জ্বালা, যন্ত্রণা বা ব্যথা ছাড়াই তাজা রক্ত পড়ে, এ ক্ষেত্রে অর্শের কোন লক্ষণই বোঝা যায় না। এই অবস্থায় এই রোগ হতে মুক্তি পেতে আপনি তেলাকুচার পাতা বা মুলের রস বের করে দুই তিন চামচ করে খেলে কিছুদিনের মধ্যেই উপকার পাবেন।
পেটের অস্বস্তি দূর করতে তেলাকুচা পাতার ব্যবহারঃ অনেক সময় বেশি খাওয়ার কারণে, পেটে অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু হঠাৎ গেলে বা পেটে হজম না হওয়ার কারণে অস্বস্তি দেখা দিতে পারে। এই সময় মনে হয় যে বমি করলে একটু ভালো বোধ হবে। এই অবস্থায় তেলাকুচা পাতার রস গরম না করে ঠান্ডা অবস্থায় খেতে হবে। এতে খুব দ্রুত বমি হবে এবং পেটের অস্বস্তি থেকে মুক্তি মিলবে।
তেলাকুচা উদ্ভিদ কি
উপরে আপনারা জেনেছেন, ভেষজ উদ্ভিদ তেলাকুচা পাতার উপকারিতা সম্পর্কে। এখন আপনাদের সংক্ষেপে জানাবো, তেলাকুচা উদ্ভিদ কি এ সম্পর্কে। তেলাকুচা এক ধরনের ভেষজ উদ্ভিদ, অনেকে আবার একে লতানো গাছও বলে থাকে। এই উদ্ভিদ বাড়ির আনাচে-কানাচে, রাস্তার দুই পাশে, বন জঙ্গলে সব সময় দেখতে পাওয়া যায়।
এই গাছের ঔষধি গুনাগুনের জন্য সব জায়গায় স্বীকৃত। এই উদ্ভিদের শুধু পাতাই নয়, ফল, কাণ্ড এবং মূল বিভিন্ন রোগ সারাতে ঔষধি গাছ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
আরো পড়ুন: ত্বক চুলের যত্নে পেয়ারা পাতার কার্যকারিতা - পেয়ারা পাতার স্বাস্থ্য উপকারিতা
বিভিন্ন জায়গায় এই উদ্ভিদকে বিভিন্ন নামে ডাকা হয়ে থাকে। যেমনঃ তেলাকুচা, তেলাকুচ, কুদরি, কুচিলা, কুদ্রা, তোড়নী শাক ইত্যাদি। তেলাকুচা গাছে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন নামক উপাদান। এই তেলাকুচা উদ্ভিদে থায়ামিন থাকায় হজমের সহায়তা করে।
এছাড়া এই ভেষজ উদ্ভিদ শরীরে কার্বোহাইডেট কে গ্লুকোজে পরিণত করতে সহায়তা করে থাকে। এছাড়া তেলাকুচা ফলে এনাফাইলেক্টিক- রোধি উপাদান রয়েছে এবং এন্টিহিস্টামিন জাতীয় উপাদান বিদ্যমান।
তেলাকুচা উদ্ভিদের অপকারী দিক
ভেষজ উদ্ভিদ তেলাকুচা পাতার উপকারিতা পাওয়া যায় এই উদ্ভিদের ঔষধি গুনাগুনের জন্য। ভেষজ এই উদ্ভিদের অনেক উপকারী দিক থাকলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে এর অপকারিতা বেশ লক্ষ্য করা যায়। যেমনঃ এই তেলাকুচার পাতা, ফল বা কান্ড কোন অবস্থাতে অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো তেলাকুচার পাতা, ফল বা কান্ডের রস নির্দিষ্ট পরিমাণ খাওয়া যেতে পারে।
আবার যাদের এলার্জি রয়েছে তাদেরও এই তেলাকুচা না খাওয়াই ভালো হবে। আবার যাদের ঔষধি ভেষজ যে কোনো গাছের পাতা, ফল বা কান্ড খেতে অরুচি হয় তাদেরও এই তেলাকুচা গাছ থেকে দূরে থাকাই ভালো হবে।
আরো পড়ুন: ফুলকপি বাঁধাকপির যত পুষ্টি গুণ - সারা বছর সংরক্ষণের উপায়
তাছাড়া গর্ভাবস্থায় এই তেলাকুচা পাতা এবং ফল খাওয়া যাবে কিনা সে বিষয়ে কোনো সঠিক নির্দেশনা নেই। এছাড়া তেলাকুচা খাওয়ার বিষয়ে সব সময় চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে খাওয়া উচিত।
তেলাকুচার পাতা এবং ফল খাওয়ার নিয়ম
ভেষজ উদ্ভিদ তেলাকুচার বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে অনেক উপকারিতা রয়েছে। এই তেলাকুচার পাতা এবং ফল ভিন্নভাবে খাওয়া যেতে পারে। সাধারণত পাতা শাক হিসেবে বেশি খাওয়ার কথা শোনা যায়। এর কচি ডগা এবং ফল সবজি হিসেবে খাওয়া হয়ে থাকে। তেলাকুচার ফল দেখতে অনেকটা পটলের মত। অনেকে এই ফল কাঁচা অবস্থায় পটলের মত ভাজি করে খেয়ে থাকেন।
আবার অনেকে কাঁচা ফল কুচি কুচি করে সালাদেও খেয়ে থাকেন। এছাড়া তেলাকুচার পাতা ভাজি করে খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। আবার তেলাকুচার পাতা সেদ্ধ করে ভর্তা করে খাওয়ার রীতি দেখা যায় অনেক জায়গায়। আপনি চাইলে তেলাকুচা পাতা এবং ফল দিয়ে সূপ বানিয়েও খেতে পারেন।
চুলের যত্নে তেলাকুচা পাতার উপকারিতা
ঔষধি গুণাগুনে ভরপুর ভেষজ উদ্ভিদ তেলাকুচার বিভিন্ন উপকরিতার সাথে সাথে চুলের যত্নে দারুন কার্যকরী। আপনাদের বিভিন্ন কারণে চুল পড়ার সমস্যা থাকলে এই তেলাকুচা পাতার রস ব্যবহারে উপকার পাবেন। কারণ তেলাকুচার পাতায় থাকা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান চুল পড়া বন্ধ করতে দারুন কার্যকারী।
আরো পড়ুন: চালের গুড়া দিয়ে ত্বককে জেলাগার করতে ব্যবহার জানুন
তেলাকুচা পাতায় রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এই অ্যান্টি অক্সিডেন্ট চুল পড়া রোধে সহায়তা করে থাকে। তাই নিয়মিত তেলাকুচা পাতার প্যাক বানিয়ে বা পাতার রস চুলে লাগালে চুল পড়া হয় অনেকাংশে। তেলাকুচা পাতা দিয়ে প্যাক বানানোর জন্য আপনার লাগবে, এক মুঠো তেলাকুচা পাতা যা ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে, একটি পেঁয়াজ এবং এলোভেরা পাতার কয়েকটি টুকরা।
সবগুলো উপাদান ব্লেন্ডারে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে পেস্ট বানিয়ে চুলে এপ্লাই করতে হবে। ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। এই প্যাক নিয়মিত ব্যবহারে চুল পড়া বন্ধ হবে এবং চুলের গোড়া মজবুত হবে, চুলকে করবে মসৃণ এবং ঝলমলে।
তেলাকুচা পাতায় রয়েছে ভিটামিন এ, ই এবং সি। এই উপাদান গুলো থাকায় তেলাকুচা পাতা নিয়মিত ব্যবহারে চুলের বৃদ্ধি হয় তরতরিয়ে। চুল থাকে স্বাস্থ্যজ্জল এবং সুরক্ষিত। তেলাকুচা পাতায় থাকা এন্টি ফাঙ্গাল উপাদান মাথার তালু থেকে খুশকি দূর করতে সহায়তা করে থাকে। তাই নিয়মিত তেলাকুচা পাতার রস ব্যবহারে চুল থাকবে খুশকি মুক্ত।
তেলাকুচা পাতার রস নিয়মিত ব্যবহারে চুলের গোড়া মজবুত করতে সহায়তা করে থাকে। ফলে চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি পায়। এছাড়া এ পাতা নিয়মিত ব্যবহারে চুলকে করে তুলে স্বাস্থ্যজ্জল এবং ঝলমলে। আপনি তেলাকুচা পাতার প্যাক বানিয়ে চুলে ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া তেলাকুচা পাতার রস বের করে বা তেল বানিয়েও ব্যবহার করতে পারেন।
তবে ব্যবহারের আগে অবশ্যই পাতাগুলি ভালোভাবে পানিতে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এছাড়া চুলের ব্যবহারের জন্য কোনভাবেই অতিরিক্ত পরিমাণে এই পাতা ব্যবহার করা যাবে না। এই পাতার প্যাক বা রস চুলে ব্যবহারের পর কোন ধরনের অস্বস্তি বা অ্যালার্জি বা চুলকানি হলে সাথে সাথে ধুয়ে ফেলতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
পরিশেষে
আজকের পোস্টে, ভেষজ উদ্ভিদ তেলাকুচা পাতার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেছি। ঔষধি গুণাগুনে ভরপুর তেলাকুচা উদ্ভিদ বিভিন্ন রোগে ব্যবহার করলে অনেক উপকারিতা বয়ে আনে। এই তেলাকুচা এমন একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার পাতা,ফল, মূল এবং কাণ্ড সবগুলোই বিভিন্ন রোগে ব্যবহার করা যায়।
তাই আপনি বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় এই গাছের পাতা এবং ফল বিভিন্নভাবে ব্যবহার করতে পারেন। তাই বলা যায়, আমাদের হাতের কাছে পাওয়া যাওয়ায় খুব সহজেই কোনো রকম ঝামেলা ছাড়াই আমরা আমাদের ঘরোয়া চিকিৎসায় তেলাকুচা ব্যবহার করতে পারি।
passiondrivefiona র নীতিমালা মেনে comment করুন। প্রতিটি comment রিভিউ করা হয়;
comment url