সিজারের পর দ্রুত তলপেট কমাতে মেনে চলুন সহজ পাঁচটি নিয়ম

 

সিজারের পর প্রতিটি মেয়ে চায় দ্রুত নিজের তলপেটের মেদ কমিয়ে আগের মত আকর্ষণীয় ফিগারে ফিরে আসতে। আজকে প্রেগনেন্সির পর কিভাবে দ্রুত তলপেটের মেদ কমানো যায় সে বিষয়ে আলোচনা করব। সাথে থাকবে দ্রুত তলপেটের মেদ কমানোর ঘরোয়া একটি টোটকা।

ইমেজ

পোস্ট সূচীপত্রঃএকটি মেয়ের জীবনে সবচেয়ে পরিপূর্ণ আনন্দের মুহূর্ত টা হচ্ছে প্রেগনেন্সির সময়টা। এই সময়টা সে পরিপূর্ণভাবে উপভোগ করে এবং বাচ্চা প্রসবের পর সেই আনন্দটা পরিপূর্ণতা লাভ করে। কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যায় প্রেগনেন্সির পর অনেকের তলপেটের মেদ অনেক বেড়ে যায়। নিজের তলপেটের এই মেদ নিয়ে তারা হতাশায় ভোগেন।

সূচিপত্রঃ

সিজারের পর তলপেটের মেদ

গর্ভাবস্থায় নিজের শরীরের চাহিদা এবং গর্ভস্থ বাচ্চার পরিপূর্ণ বিকাশের জন্য আমরা অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ করে থাকি। গর্ভাবস্থায় এই অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ করা আমাদের জন্য অবশ্যই উচিত, না হলে নিজের নানা ধরনের শারীরিক অসুবিধা দেখা দিতে পারে সাথে বাচ্চারও ক্ষতি হতে পারে। এজন্য প্রসবের পর দেখা যায় অনেকেরই পেটে অতিরিক্ত মেদ জমা হয়।

আরো পড়ুনঃ ডায়াবেটিস নির্মূলের মহা ঔষধ সজনে পাতার গুড়া খাওয়ার নিয়ম

এই অতিরিক্ত মেদ ঝরিয়ে নিজেকে আগের অবস্থায় ফিরে আসতে সবাই চায়। কিন্তু এক্ষেত্রে হঠাৎ করে খাওয়া একেবারে কমিয়ে ফেলা যাবে না আবার একটি নির্দিষ্ট সময় না হওয়া পর্যন্ত ব্যায়াম করাও ঠিক হবে না। তাই কিভাবে সহজ উপায়ে পেটের মেদ কমানো যায় সে বিষয়ে জানতে হবে এবং তা অনুসরণ করতে হবে।

সিজারের পর সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে

সিজারের পর তলপেটের বাড়তি মেদ কমানোর জন্য প্রতিটি মেয়েরই উচিত নিজের খাবারের দিকে বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখা। এক্ষেত্রে নিজের প্রতিদিনের ডায়েটে সব ধরনের পুষ্টি উপাদান পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে এ ধরনের খাবার রাখতে হবে। এবং ধীরে ধীরে কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার যেমনঃ চিনি, ভাত, যে কোনো ধরনের অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার নিজের ডায়েট থেকে বাদ দেয়ার চেষ্টা করতে হবে।

কারণ কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার বেশি গ্রহণ করলে শরীরের চাহিদা যতটুকু দরকার ততটুকু রেখে পুরোটাই চর্বি হিসেবে জমা হয়ে থাকে। এছাড়া বাইরের ফাস্টফুড জাতীয় খাবার, অতিরিক্ত তেল থাকা যে কোনো ধরনের ভাজাপোড়া,কোমল পানীয়, চানাচুর, বিস্কুট এ জাতীয় খাবার ধীরে ধীরে বাদ দেয়ার চেষ্টা করতে হবে। এই সময় প্রোটিন জাতীয় খাবার খাবারের তালিকায় বেশি রাখতে হবে।

এই সময় আপনার খাবারের তালিকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ফল, শাকসবজি রাখতে হবে। দিনে দুইবার বিভিন্ন ফল এবং সবজির দিয়ে তৈরি সালাদ খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। দিনে ২-৩ বাটি করে সবজি খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। এছাড়া এ সময় দৈনিক ২ গ্লাস দুধ খেতে হবে। দিনে দুইবার ভাত খেতে পারেন বিভিন্ন সবজি এবং মাছ, মাংস দিয়ে।

তবে বাচ্চার বয়স ৬ থেকে ৭ মাস হওয়ার পর যখন সে সলিড খাবার খাওয়া শিখবে তখন থেকে আপনাকে একবেলা ভাত খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। অন্য বেলা লাল আটা রুটি বা ও্টস রাখতে পারেন খাদ্য তালিকায়। ধীরে ধীরে খাদ্য তালিকা থেকে ক্যালরিযুক্ত খাবার কমানোর চেষ্টা করতে হবে।

এ সময় কাঠ বাদাম খেতে পারেন, কারণ বাদাম পেটের মেদ কমাতে সহায়তা করে থাকে। কাঠ বাদামে থাকে ফাইবার যে কারণে বাদাম খাওয়ার পর পেট ভরা থাকে অনেকক্ষণ। এজন্য অতিরিক্ত খাওয়া থেকে নিজেকে দূরে রাখা সম্ভব হয়। তবে দিনে সাত থেকে আটটির বেশি কাঠবাদাম খাওয়া ঠিক হবে না।

ইমেজ

এ সময় রাতের খাবার অবশ্যই সাড়ে আটটা থেকে সাড়ে আটটার মধ্যে খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। অনেকে ভাবেন এত তাড়াতাড়ি খাবার খেলে পরে ক্ষুধা লেগে যেতে পারে এবং বাচ্চার দুধ সারা রাত নাও পেতে পারে। কিন্তু আপনি তাড়াতাড়ি ডিনার করার পরে ক্ষুধা লাগলে যে কোন ধরনের ফল খেতে পারেন, দুধ খেতে পারেন চিয়া সিড দিয়ে, পানি অবশ্যই খেতে হবে। তাহলেই দেখবেন ধীরে ধীরে আপনার পেটের মেদ কমতে শুরু করেছে।

অর্থাৎ হঠাৎ করে পেটের মেদ কমানোর জন্য খাবারের পরিমাণ কমিয়ে ফেলা যাবে না। কারণ তাহলে নিজের শরীর দুর্বল হয়ে যেতে পারে এবং বাচ্চা ঠিকমতো বুকের দুধ পাবে না। যা মা এবং বাচ্চার দুজনের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এজন্য একজন পুষ্টিবিদের সাহায্য নিয়ে একটি ব্যালেন্স ডায়েটের মাধ্যমে ধীরে ধীরে নিজের তলপেট কমানোর দিকে এগিয়ে যেতে হবে।

সিজারের পর হালকা ব্যায়াম দিয়ে শুরু করা

সিজারের পর তলপেটের মেদ দ্রুত কমানোর জন্য একটি সময় পর ব্যায়াম করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। সাধারণত চিকিৎসকরা সিজারের পর ৬ সপ্তাহ পর্যন্ত কোনরকম শারীরিক ব্যায়াম না করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে , প্রথম সিজারের পর তিন মাস পর হালকা ব্যায়াম দিয়ে শুরু করা যায়। আবার দ্বিতীয় সিজার হলে সাধারণত ছয় মাস পর থেকে ব্যায়াম করার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।

এক্ষেত্রে অবশ্যই হালকা কোন ব্যায়াম দিয়ে শুরু করতে হবে। যেমনঃ প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট টাইমে হাঁটাহাঁটি করা যেতে পারে। ৩০ থেকে ৪০ মিনিট হাঁটার পরামর্শ দেওয়া হয়। এছাড়া হালকা কোন ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করা যেতে পারে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনভাবেই ভারী ব্যায়াম করা যাবে না।

আরো পড়ুনঃ অসাধারণ ঔষধি গুনাগুন সম্পূর্ণ তেলাকুচার ১৫ টি উপকারিতা

সিজারের পর ছয় মাস পর থেকে যত তাড়াতাড়ি আপনি ব্যায়াম, সিজার ফ্রেন্ডলি বিভিন্ন ধরনের ইয়োগা, ব্রিদিং এক্সারসাইজ করা শুরু করবেন তত তাড়াতাড়ি আপনার পেটের মেদ কমতে শুরু করবে। তবে ভারী কোন পেটের ব্যায়াম করার আগে অবশ্যই শারীরিকভাবে সবদিক দিয়ে আপনি ফিট আছেন কিনা সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যায়াম করা শুরু করতে হবে।

পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে

সিজারের পর তলপেটের অতিরিক্ত মেদ ঝরানোর জন্য অবশ্যই নতুন মাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। শরীর যেন কোনোভাবেই পানির জন্য ডিহাইড্রেশন না হয়ে পড়ে। পর্যাপ্ত পানি পান করার মাধ্যমে শরীরকে সুস্থ এবং ঝরঝরে রাখা সম্ভব।এ সময় যেহেতু নতুন মাকে বাচ্চাকে Exclusive Breast Feeding করাতে হয় এজন্য অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করার বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে।

এ সময় সাধারণত ১৬ থেকে ১৭ গ্লাস পানি খাওয়ার কথা বলা হয়ে থাকে। এতে বাচ্চার জামার পর্যাপ্ত দুধ পাবে তেমনি আপনার অতিরিক্ত ঝরা ঝরতে সহায়তা করবে। এজন্য একটু পর পর আপনাকে পানি পান করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। আর পানি পান করার এই অভ্যাস আপনাকে অতিরিক্ত খাওয়ার ত্রেভিং থেকেও করবে।

এ সময় অতিরিক্ত পেটের মেদ কমানোর জন্য আপনি বিভিন্ন ধরনের ডিটক্স ওয়াটার সারাদিন ধরে পান করতে পারেন। এক্ষেত্রে সাধারণত এক লিটার পানির সাথে একটু লেবুর স্লাইস, আদা কুচি, শসার অর্ধেক স্লাইস করে এবং পুদিনা পাতা দিয়ে ডিটক্স ওয়াটার তৈরি করে সারাদিন ধরে একটু একটু করে খেতে পারেন। আপনি চাইলে সামান্য মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।

বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানো

সিজার পরবর্তী নিজের শরীর আগের অবস্থায় ফিরে আসার জন্য পেটের অতিরিক্ত মেদ ঝরিয়ে ফেলা অবশ্যই প্রয়োজন। আর এই অবস্থায় ফিরে আসার জন্য যে কাজের মাধ্যমে দ্রুত হয়ে থাকে তা হল বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানো। বাচ্চাকে নিয়মিত পরিপূর্ণভাবে ছয় মাস পর্যন্ত বুকের দুধ খাওয়ালে অতিরিক্ত মেদ ঝরিয়ে ফেলার সম্ভাবনা অনেকাংশে বেড়ে যায়।

নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বেল্ট ব্যবহার করতে হবে

সিজারের পর তলপেটের মেদ দ্রুত কমাতে বেল্ট পরার কথা বলা হয়ে থাকে। বেল্ট পরার কারনে কাটা জায়গায় যেন কোনো রকম সমস্যা না হয় এবং শারীরিক নড়াচড়ার কারণে কাটা জায়গায় কোনরকম নড়াচাড়া না হতে পারে এজন্য পেটে দুই থেকে তিন মাস পর্যন্ত বেল্ট ব্যবহার করতে হবে। সাধারণত ঘুম এবং খাওয়া ছাড়া সব সময় বেল্ট পড়ে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।

তাছাড়া নিয়মিত বেল্ট পরলে পেটে নতুন করে বাড়তি কোন মেদ জমতে পারেনা। এজন একটু কষ্ট হলেও বেল্ট পরলে ভালো ফলাফল বয়ে আনবে।

সিজারের পর তলপেটের মেদ কমাতে ঘরোয়া উপায়

সিজানের পর অনেকেরই তলপেটের মেদ অনেক বেশি বেড়ে যেতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় বাচ্চা হওয়ার পর অনেকটাই প্রাকৃতিকভাবে পেট কমে যায় বা আগের অবস্থায় ফিরে যেতে দেখা যায়। কিন্তু অনেকে ক্ষেত্রে আবার তলপেটের মেদ জমে অনেক বেশি বড় হয়ে যায়। অনেক সময়ই এই তলপাটের মেদ কমানোর জন্য নতুন মায়েরা সিজারের পর খুব বেশি সময় দিতে পারে না। আবার বাচ্চাকে নিয়ে বেশি ব্যস্ততার কারণে ইচ্ছেও হয়তো করে না।

তাদের জন্য আজকে রইল ঘরোয়া একটি সহজ উপায় যা নিয়মিত তিন থেকে চার মাস পান করলে তলপেটের মেদ উল্লেখযোগ্য হারে কমতে শুরু করবে। সাথে অবশ্যই নিজের সুষম খাবার খেতে হবে, ক্যালোরি যুক্ত খাবার খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে এবং হালকা ব্যায়াম করা শুরু করতে হবে। তাহলে কয়েক মাসের মধ্যে আপনি আপনার তলপেটে মেদ কমিয়ে কাঙ্খিত আগের অবস্থায় ফিরে আসা শুরু করবে।

ইমেজ

তলপেটের মেদ দ্রুত কমানোর একটি ঘরোয়া উপায় হল জিরা পানি। প্রতিদিন নিয়ম করে দুইবার এই জিরা পানি খেলে পেটের মেদ অনেকটাই কমে যেতে থাকবে। এই জিরা পানি তৈরির জন্য আপনাকে খুব বেশি কিছু করতে হবে না। এক গ্লাস পানিতে এক থেকে দুই চা চামচ জিরা ভালোভাবে পরিষ্কার করে ধুয়ে সারা রাতের জন্য ভিজিয়ে রাখতে হবে।

আরো পড়ুনঃ সাবুদানা খাওয়ার যত উপকারিতা - সাবুদানা কি থেকে তৈরি হয়

সকালে এই জিরা পানির সাথে একটি লেবুর রস মিশিয়ে নিতে হবে। এবং আপনি চাইলে একটা চামচ মধু এই পানির সাথে মিশিয়ে নিতে পারেন। ব্যাস তৈরি হয়ে গেল, পেটের মেদ কমানোর ঘরোয়া সহজ একটি উপায় জিরা পানি। আপনার যদি এসিডিটি সমস্যা না থাকে তাহলে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এই জিরা পানি খেলে তিন থেকে চার মাসের মধ্যেই আপনার পেটের অতিরিক্ত মেদ ঝরা শুরু করবে।

তলপেট কমাতে নিজের ইচ্ছাশক্তি বৃদ্ধি করা

সিজারের পর তলপেটে মেদ কমানোর জন্য নতুন মাকে নিজের মধ্যে ইচ্ছা শক্তি তৈরি করতে হবে। পুরো প্রেগনেন্সির সময় একজন মায়ের সাধারণত ১০ থেকে ১৫ কেজি ওজন বেড়ে থাকে। অনেকের ক্ষেত্রে আরও বেশি ওজন বাড়তে দেখা যায়। সিজারের পর এই অতিরিক্ত ওজন এবং তলপেটের কমানোর জন্য ধৈর্য নিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

এক্ষেত্রে নতুন মাকে সিজারের পরপরই নিজের যত্ন নেয়ার দিকে খেয়াল রাখতে হবে, নিজের খাবারের দিকে খেয়াল রাখতে হবে, বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সাথে সাথে হালকা ব্যায়াম করা শুরু করতে হবে, অতিরিক্ত ক্যালরিযুক্ত খাবার খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিতে। এরকম আরো কিছু নিয়ম মেনে এবং ধৈর্য নিয়ে চেষ্টা চালিয়ে গেলে হয়তো প্রেগনেন্সির আগের অবস্থার মত তলপেটের শেপ না আসলেও ৯০% পর্যন্ত তলপেটের মেদ কমানো সম্ভব।

আরো পড়ুনঃ তেজপাতা তে যে ঝরবে জেদি মেদ - ইউরিক এসিড কমাতে তেজপাতার উপকারিতা

মনে রাখতে হবে পুরো প্রেগনেন্সির সময় যে ওজন বেড়েছে এবং পেট বড় হয়েছে তা কমাতে ১০ মাস পর্যন্ত সময় নিয়ে ধৈর্য সহকারে পেটের মেদ কমানোর জন্য চেষ্টা করতে হবে। আর এটা যদি আপনি সিজারের পরপরই শুরু করেন তাহলে তলপেট কমাতে বেশি সহজ হবে। বাচ্চাকে সময় দেয়ার সাথে সাথে নিজের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে পুরোপুরি ভাবে।

মনে রাখতে হবে সার্জারি সময় থেকে যত তাড়াতাড়ি আপনি ওজন কমানোর দিকে এবং পেটের মেদ কমানোর জন্য চেষ্টা করবেন তত তাড়াতাড়ি আপনার সার্জারির হিলিং টা ভালো হবে, আপনি দ্রুত নিজের মধ্যে ফিটনেস আনতে পারবেন, আপনার মানসিক অবস্থাও তখন ভালো হতে থাকবে। আর নিজে সুস্থ এবং ফিট থাকলে বাচ্চার যত্ন নেওয়া আপনার তত সহজ হবে।

পরিশেষে

সিজারের পর দ্রুত তলপেট কমানো যদিও খুব একটা সহজ কাজ নয় তবে ধৈর্য নিয়ে, নিজের ইচ্ছা শক্তি কাজে লাগিয়ে, সময় নিয়ে চেষ্টা করলে কিছুদিনের মধ্যেই তলপেটের মেদ কমতে শুরু করবে। এক্ষেত্রে নিজের খাবারের দিকে বিশেষ ভাবে খেয়াল রাখতে হবে। কোন ধরনের খাবার খেলে আপনার বুকের দুধের ঘাটতি হবে না, নিজের শরীরে শক্তি পাবেন এবং সেসব খাবার বাদ দেয়ার চেষ্টা করতে হবে যা দ্রুত মেদ জমাতে সহায়তা করে।

নির্দিষ্ট সময় পর হালকা ব্যায়াম করা শুরু করতে হবে।এছাড়া সিজারে পর একজন মাকে পরিবারের সবাইকে পুরোপুরি ভাবে সহযোগিতা করতে হবে তার কাঙ্খিত আগের অবস্থায় ফিরে যেতে। তাহলেই একজন নতুন মায়ের জন্য এই জার্নিটা অনেক সহজ হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

passiondrivefiona র নীতিমালা মেনে comment করুন। প্রতিটি comment রিভিউ করা হয়;

comment url