তরমুজ খাওয়ার উপকারিতা - যেসব ব্যক্তির অতিরিক্ত তরমুজ খাওয়া যাবেনা
passiondrivefiona
৪ মে, ২০২৪
তরমুজ খাওয়ার উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। গ্রীষ্মের এই ফলটি শুধু সুস্বাদুই নয়, নিয়মিত এই ফল খাওয়ার ফলে মিলে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা। এছাড়া আমরা জানবো যেসব ব্যক্তির অতিরিক্ত তরমুজ খাওয়া যাবে না।
পোস্ট সূচীপত্রঃগ্রীষ্মের এই তাপদাহে তরমুজ খাওয়ার ফলে আমাদের মন প্রাণ জুড়ানোর সাথে সাথে আরো মিলে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা। তাই গরমের এই সময়টা আমরা এই সুস্বাদু ফল প্রাণ ভরে উপভোগ করি। কিন্তু এটাও ঠিক কিছু কিছু ব্যক্তির জন্য এই ফলটা অতিরিক্ত খাওয়া মোটেও ঠিক হবে না।
তরমুজে কি কি ভিটামিন রয়েছে
তরমুজে বিদ্যমান বিভিন্ন ভিটামিন পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকায় আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য এর উপকারিতা অনেক। তরমুজে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি যা এন্টিঅক্সিডেন্ট এর ভরপুর ভান্ডার, ভিটামিন বি৬, ক্যালসিয়াম, প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, খনিজ, মিনারেল ইত্যাদি। এছাড়া তরমুজে ফ্যাট এবং ক্যালোরির পরিমাণ খুব কম পরিমাণে রয়েছে।
বলা হয়ে থাকে যে, তরমুজের মধ্যে প্রায় ৯২% পানি। এজন্য এই ফলটি নিয়মিত খাওয়ার ফলে অন্যান্য ভিটামিন পাওয়ার সাথে সাথে আমাদের শরীরের পানির ঘাটতি পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। যা এই গরমের সময় পানি শূন্যতার হাত থেকে আমাদের শরীর কে রক্ষা করে থাকে।
তরমুজ খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা কি কি
তরমুজ শুধু খেলেই হবে না, এর স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে জানলে আপনারা গ্রীষ্মের এই রসালো ফলটির ভক্ত হয়ে যাবেন। গরমের এই সময় শরীরকে শীতল রাখতে ছোট বড় সবাই তরমুজ খেতে ভালোবাসে। প্রতিদিন নিয়ম করে তরমুজ খেলে আমাদের শরীরের অনেক ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব।
তরমুজে থাকা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান আমাদের শরীরের জন্য খুব উপকারী। তাই নিয়মিত তরমুজ ডায়েটে রাখলে যে স্বাস্থ্য উপকারিতা মিলে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।
তরমুজ ভিটামিন এর উৎসঃ তরমুজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন, যা ভিটামিন এ র জন্য একটি ভালো উৎস। আমরা জানি এই ভিটামিন এ আমাদের চোখের জন্য খুব উপকারী। তাই গ্রীষ্মের এই সময়টা তরতাজা তরমুজ নিয়মিত খেলে আমাদের চোখের দৃষ্টি ভালো রাখা সহ চোখের সব ধরনের সমস্যার সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
অ্যান্টি অক্সিডেন্টে ভরপুর তরমুজঃ তরমুজে রয়েছে ভিটামিন সি পর্যাপ্ত পরিমাণে, যা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এর একটি গুরুত্বপূর্ণ ভান্ডার। এই এন্টি অক্সিডেন্ট আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে। এছাড়া নতুন কোষ তৈরিতেও সহায়তা করে থাকে। তাই নিয়মিত তরমুজ খেলে আমাদের শরীরের ভিটামিন সি এর চাহিদা অনেকটাই পূরণ করা সম্ভব।
ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণে তরমুজঃ তরমুজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। এই ক্যালসিয়াম আমাদের হাড় এবং দাঁতকে মজবুত রাখতে সহায়তা করে থাকে। তাই নিয়মিত ডায়েটে তরমুজ রাখলে আমরা এই উপকারিতা পেতে পারি সহজে। এছাড়া তরমুজে থাকা আয়রন আমাদের শরীরে রক্তস্বল্পতা দূর করতে সহায়তা করে থাকে।
তরমুজে রয়েছে ভরপুর পটাশিয়ামঃ তরমুজে রয়েছে পটাশিয়ামের ভরপুর মজুদ। তাই তরমুজ আমাদের নিয়মিত গ্রহণের মাধ্যমে হাটকে সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই হার্টের সুস্থতা বজায় রাখতে এবং হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে নিয়মিত এই সময় তরমুজ খাওয়া ভালো।
তরমুজ ফাইবারের চমৎকার উৎসবঃ তরমুজ ডায়েটারি ফাইবারের একটি চমৎকার উৎস। এই ফাইবার হজমে সহায়তা করে থাকে। তাই নিয়মিত তরমুজ খেলে হজম প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে হয়ে থাকে। এর ফলে পরিপাকতন্ত্র সুস্থ থাকে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব হয়।
তরমুজে রয়েছে প্রচুর পানিঃ তরমুজে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি। মূলতঃ তরমুজের প্রায় ৯২ শতাংশই পানি দিয়ে তৈরি। ফলে দৈনিক ডায়েটে তরমুজ রাখলে গরমের এই সময় পানি শূন্যতার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায় সহজে। এছাড়া শরীরের পানি ঘাটতি পূরণের সাথে সাথে শরীরকে রাখে হাইড্রেট।
তরমুজে রয়েছে উপকারী ফ্যাটঃ তরমুজে অন্যান্য ভিটামিন পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকলেও এতে চর্বি পরিমাণ খুব কম থাকে। কিন্তু এই ফ্যাট শরীরের জন্য খুব উপকারী ফ্যাট। এই ফ্যাট আমাদের শরীরের এবং ত্বকের জন্য খুব ভালো।
তরমুজে ক্যালোর পরিমাণ কমঃ তরমুজে ক্যালোরি পরিমাণ কম থাকায় যে কেউ বিনা দ্বিধায় এই তরমুজ ডায়েটে রাখতে পারেন। কারণ প্রতিদিন নিয়মিত তরমুজ খেলেও ওজন বাড়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে, বরং নিয়মিত তরমুজ খাওয়ার ফলে অতিরিক্ত মেদ ঝরিয়ে ওজন কমাতে ভূমিকা রাখে।
ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধি রোধে তরমুজঃ তরমুজে থাকা বিশেষ কিছু পুষ্টি উপাদান ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধি রোধ করতে সহায়তা করে থাকে। এই কাজ সাধারণত তরমুজে থাকা লাইকোপিন নামক উপাদান, যা চমৎকার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর উৎস, করে থাকে।
পেশীর ব্যথা ভালো করতে তরমুজঃ তরমুজে থাকা বিভিন্ন ভিটামিন পেশির ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করে থাকে। তাই যারা বেশি জড়িত সমস্যায় ভুগছেন তারা নিয়মিত ডায়েটে তরমুজ রাখলে উপকার পাবেন।
ত্বকের যত্নে তরমুজ ব্যবহারের উপকারিতা
নিয়মিত তরমুজ খাওয়ার ফলে স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়ার সাথে সাথে আমাদের ত্বকের যত্নেও তরমুজ ব্যবহারের ফলে ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারি। দৈনিক ডায়েটে তরমুজ রাখার ফলে ভেতর থেকে আমাদের শরীরকে যেমন সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে, সেই সাথে আমরা যদি ট্রপিকেলি তরমুজ আমাদের রূপচর্চায় রাখতে পারি তাহলে আমাদের ত্বকের জন্য দারুন সুফল বয়ে আনবে।
কারণ তরমুজে রয়েছে ভিটামিন সি, যা অ্যান্টি অক্সিডেন্টের পর্যাপ্ত ভান্ডার। আর এই এন্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের ত্বককে বুড়িয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে থাকে। এছাড়া ত্বকের বলিরেখা, কুচকানো ভাব দূর করতে সহায়তা করে থাকে। ত্বকের যে কোনো ধরনের দাগ ছোপ দূর করতেও এই অ্যান্টি অক্সিডেন্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
ফলে ত্বকের বয়স দেখায় কম এবং ত্বকের যে কোন ধরনের দাগ দূর করে ত্বককে রাখে ঝকঝকে। তাই নিয়মিত আপনারা তরমুজ খাওয়ার সাথে সাথে ত্বকের যত্নে ও ব্যবহার করতে পারেন। এজন্য আপনি তরমুজের রস বের করে পরিষ্কার ত্বকে কটন প্যাড দিয়ে আলতো ভাবে ঘষে কিছুক্ষণ রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে পারে।
এছাড়া তরমুজের রস আইস ট্রেতে করে ডিপ ফ্রিজে রেখে আইস কিউব বানিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। রোদে বাইরে থেকে এসে বা রান্নার পর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে এই আইস কিউব ত্বকে হালকা ভাবে ঘষলে আরাম বোধ করবেন। সেই সাথে ত্বকের যেকোনো ধরনের ট্যান দূর করতে সহায়তা করবে।
তরমুজের রসের সাথে পরিমাণ মতো মুলতানি মাটি বা চন্দন গুড়ো মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকের যে কোনো ধরনের মরা কোষ দূর হতে সহায়তা করবে। সেইসাথে ত্বককে করবে ভেতর থেকে পরিষ্কার, ফলে ওপেন পোর্সের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
যেসব ব্যক্তির অতিরিক্ত তরমুজ খাওয়া বারণ
যদিও নিয়মিত তরমুজ খাওয়ার আমরা ফলে বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা পেয়ে থাকি, তবে কিছু কিছু ব্যক্তির জন্য অতিরিক্ত তরমুজ খাওয়া থেকে অবশ্যই দূরে থাকতে হবে। বা চিকিৎসকের পরামর্শ মতো দৈনিক ডায়েটে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ রাখতে হবে। তরমুজের মধ্যে থাকা কিছু উপাদান কিছু কিছু রোগের ক্ষেত্রে ভালো নাও হতে পারে।
তরমুজে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম। এই পটাশিয়াম অতিরিক্ত গ্রহণের ফলে আমাদের শরীরের জন্য ভালো নাও হতে পারে। কারণ এই অতিরিক্ত পটাশিয়াম গ্রহণের ফলে শরীরে নানাবিধ সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়া অতিরিক্ত তরমুজ খেলে অনেক সময় এসিডিটি, পেট ব্যথা, পেট ফাঁপার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
তরমুজে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় হজমে সহায়তা করে থাকে। এজন্য যারা আগে থেকে পেটের অসুখ বা ডায়রিয়ায় ভুগছেন তাদের জন্য আরও বেশি খারাপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে। এছাড়া তরমুজে রয়েছে সর-বিটল নামক চিনির যৌগ, যা ডায়াবেটিসের রোগীর জন্য খারাপ প্রতিক্রিয়া বয়ে আনতে পারে।
তরমুজে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকায় অনেক সময় অতিরিক্ত গ্রহণের ফলে শরীরে রক্তের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। ফলে পা ফোলা সমস্যায় ভুগতে পারেন, সাথে কিডনির জন্য খারাপ হতে পারে। তাই কিছু কিছু ব্যক্তির জন্য অবশ্যই অতিরিক্ত তরমুজ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। বা চিকিৎসকের পরামর্শ মত নির্দিষ্ট পরিমাণ খেতে হবে।
তরমুজের বীজ কি খাওয়া যায়
তরমুজের মতো তরমুজের বীজেও প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান থাকায়, এই বীজ খাওয়ার উপকারিতা অনেক। তবে এতে ক্যালোরি পরিমাণ খুব বেশি নেই কিন্তু অন্যান্য পুষ্টি উপাদান ভরপুর পরিমাণে রয়েছে। তাই তরমুজের বীজ খেলে ক্যালরি চাহিদা পূরণ হবে এবং শক্তির উৎস হিসেবে দারুণ কাজ করবে।
এছাড়া তরমুজের মত তরমুজের বীজ খেলেও ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ হবে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে সাথে তরমুজের বীজে থাকা ভালো ফ্যাট আমাদের স্বাস্থ্য ভালো রাখবে। তরমুজের বীজ আমরা বেশিরভাগ সময় তরমুজ খাওয়ার সাথে সাথে অনেকটাই খেয়ে ফেলি।
এছাড়া তরমুজের বীজ খাওয়ার সবচেয়ে ভালো বুদ্ধি হলো বীজ রোদে শুকিয়ে যদি খেতে পারেন। তাছাড়া তরমুজের বীজ হালকা ভেজে খেলেও উপকার পাবেন। অনেকে আবার তরমুজের বীজ রোদে শুকিয়ে উপরের খোসা ছাড়িয়ে ব্লেন্ডারে গুড়ো করে খেয়ে থাকেন।
কোন তরমুজ খাওয়া ভালো
আপনি যে ধরনের তরমুজ আপনার ডায়েটে রাখেন না কেন এর উপকারিতা যে কোন ভাবে পাবেন। কারণ সব ধরনের তরমুজেই ভিটামিন এবং পুষ্টি উপাদান পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে। হলুদ তরমুজে বিটা ক্যারোটিন রয়েছে প্রচুর পরিমাণে, ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, চোখের দৃষ্টি বৃদ্ধি সহ ক্যান্সারের মতো রোগে এই তরমুজ অনেক উপকারী।
আবার লাল তরমুজেও ভিটামিন এ, ভিটামিন সি পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকায় আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিসহ আরো নানা ধরনের উপকার আমরা পেয়ে থাকি। এছাড়া লাল তরমুজে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট বেশি থাকায় ক্যান্সারের মতো রোগ রক্ষা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
ভালো তরমুজ চেনার উপায়
তরমুজ থেকে স্বাস্থ্য উপকারিতা পরিপূর্ণভাবে পেতে হলে অবশ্যই পাকা এবং ভালো মানের তরমুজ বাজার থেকে কিনতে হবে। কারণ বর্তমানে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী তরমুজের জনপ্রিয় তাকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল মিশিয়ে অপরিপক্ক তরমুজ বাজারে সরবরাহ করেন। এছাড়া অনেক সময় তরমুজে লাল রঙ আনার জন্য বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল মিশিয়ে থাকেন।
তরমুজ কেনার সময় প্রথমেই দেখতে হবে তরমুজের গায়ে হলুদ রঙের ছিটা আছে কিনা, কারণ তরমুজের গায়ে এরকম ছিটা থাকলে বুঝতে হবে তরমুজ পরিপক্ক অবস্থায় বাজারে এসেছে। এছাড়া পরিপক্ক তরমুজ চেনার আরেকটি উপায় হল এর গায়ে কালো রংয়ের বড় ধরনের দাগ থাকা। অনেক সময় মশারির জালির মতো দাগ থেকে থাকে।
তরমুজটি যদি পরিপক্ক হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই তরমুজের গায়ে হাত দিয়ে টোকা দিলে ভারী ধরনের কোন শব্দ করবে। এতে বোঝা যাবে তরমুজটি অনেক রসালো এবং পরিপূর্ণ। ভালো তরমুজ চেনার আরেকটি উপায় হলো তরমুজের বোটা শুকনো থাকা। কিন্তু কোন অবস্থাতেই হলুদ বা কালো নয়। এছাড়া তরমুজের সাইজ অনুযায়ী ওজন ঠিক আছে কিনা সেটা দেখেও ভালো তরমুজ চেনা যায়।
পরিশেষে
গরমের এই সময় নিয়মিত তরমুজ খেলে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায় সহজে। তাই আমরা নিয়মিত আমাদের ডায়েটে গ্রীষ্মের এই রসালো ফলটি রেখে উপকার পেতে পারি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তরমুজ খাওয়ার অপকারিতা থাকলেও, উপকারিতার দিক বেশ ভারী সবসময়ই। তাই হাতের কাছে পাওয়া সহজলভ্য এই ফলটি আমরা আমাদের দৈনন্দিন রুটিনে সহজে রাখতে পারি।
তবে এই উপকারি ফলটি থেকে যথাযথ উপকার পেতে হলে অবশ্যই ভালো দেখে কেমিক্যালমুক্ত পরিপক্ক তরমুজ কেনার কোন বিকল্প নেই। তাহলেই আপনি এই ফলটি থেকে আপনার আশানুরূপ উপকার পেতে পারেন। তাই তরমুজ কেনার সময় আমাদের সবাইকে অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে।
passiondrivefiona র নীতিমালা মেনে comment করুন। প্রতিটি comment রিভিউ করা হয়;
comment url