গর্ভাবস্থায় কাঠবাদাম খাওয়ার উপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানুন
passiondrivefiona
২৫ জুন, ২০২৪
আজকের এই পোস্টে গর্ভাবস্থায় পুষ্টি সমৃদ্ধ কাঠবাদাম খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে চলেছি। গর্ভাবস্থায় একজন নারীর কোন খাবার খাওয়া যাবে, কোনটা খাওয়া যাবে না, কোন খাবারে ভরপুর পুষ্টি পাওয়া যাবে এরকম আরও অনেক কিছু জানা জরুরি। এছাড়া জানব গর্ভাবস্থায় কাঠবাদাম খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।
পোস্ট সূচীপত্র:কাঠবাদাম বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ একটি খাবার। গর্ভাবস্থায় নিয়মিত কাঠবাদাম খেলে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব। তাই যারা কাঠবাদাম খান না অথবা বাদাম পছন্দ করেন না, তারা হয়ত আজকের পোস্টটি পড়ে গর্ভস্থ শিশুর জন্য কাঠ বাদাম খাওয়া শুরু করবেন।
কাঠ বাদামে কি কি পুষ্টি উপাদান রয়েছে
কাঠবাদাম বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এবং পুষ্টি উপাদানের সমৃদ্ধ একটি সুস্বাদু খাবার। আমরা সবাই কমবেশি বাদাম খেতে পছন্দ করি। তবে অনেকেই আছেন যারা কাঠ বাদামের ভক্ত। নিয়মিত খাওয়ার ফলে কাঠবাদামে থাকা পুষ্টি উপাদান গর্ভবতী মায়ের এবং গর্ভস্থ শিশুর জন্য দারুন উপকারী।
কাঠবাদামে রয়েছে ভরপুর পরিমাণে ক্যালোরি, প্রোটিন, ভিটামিন ই, সেচুরেটেড ফ্যা্ট, ফলিক এসিড, রিবোফ্লাবিন, ফোলেট, ডাইটেরি ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট এবং মিনারেলস এর মধ্যে রয়েছে- ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন,পটাশিয়াম, সোডিয়াম, জিংক, ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ সহ আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান। এই সকল পুষ্টি উপাদান গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম।
গর্ভাবস্থায় কাঠ বাদাম খাওয়ার উপকারিতা
চিকিৎসকগন গর্ভাবস্থায় কাঠবাদাম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কারণ কাঠবাদামের পুষ্টির শেষ নেই। গর্ভাবস্থায় কাঠবাদাম খেলে আপনার যেমন উপকার হবে তেমনি গর্ভস্থ শিশুর জন্যও মিলবে অনেক উপকার। তবে মনে প্রশ্ন আসতেই পারে যে কাঠ বাদামে এমন কি উপকার আছে যে আমার খাওয়া উচিত?
নিচে গর্ভাবস্থায় কাঠবাদাম খাওয়ার উপকারিতা গুলো এক নজরে দেখে নিন-
শিশুর মস্তিষ্ক গঠনে কাঠবাদাম
কাঠ বাদাম শিশুর মস্তিষ্ক সুন্দরভাবে গঠন করতে সাহায্য করে। কাঠবাদামে থাকা ফলেট এবং ভিটামিন বি ৯ থাকার কারণে শিশুর মস্তিষ্ক সুন্দরভাবে গঠন হয়। তবে যদি বলা হয় যে এই পুষ্টিগুন গুলো শুধু মস্তিষ্ক গঠনেই সাহায্য করে, তাহলে তা হবে ভুল। কেননা এই পুষ্টিগুণ গুলো মস্তিষ্ক গঠন করা ছাড়াও বিভিন্ন রোগব্যাধির প্রতিরোধে সাহায্য করে থাকে।
স্নায়ুতন্ত্র গঠনে কাঠবাদামের ভূমিকা
স্নায়ুতন্ত্র গঠনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে কাঠবাদাম। কাঠ বাদামে থাকা ম্যাগনেসিয়াম ও ফলেট স্নায়ুতন্ত্র গঠনে সাহায্য করে। স্নায়ুতন্ত্রের কেন্দ্রীয় কাজ সম্পন্ন করতে এই ম্যাগনেসিয়াম বা কাঠবাদামের ভূমিকা রয়েছে। আবার ম্যাগনেসিয়াম শুধু এই কাজেই নয় বরং শিশুর ওজন বাড়াতেও সাহায্য করে থাকে।
শিশুর হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য কাঠবাদামের প্রয়োজনীয়তা
গর্ভাবস্থায় গর্ভস্থ শিশুর হাড়ের দিকেও নজর রাখা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে আমরা কাঠবাদাম কে বিবেচনায় ফেলতে পারি। কাঠ বাদামে রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম। এই ক্যালসিয়াম দাঁত এবং হাড় মজবুত করাতে সক্ষম। এছাড়াও ত্বক ও চুল সুন্দরভাবে গঠন করতে কাঠবাদাম বিশেষ ভূমিকা পালন করে। গর্ভাবস্থায় শিশুর যদি হাড় এবং দাঁত মজবুত করানোর প্রয়োজন হয়ে থাকে, তবে ডাক্তাররা কাঠবাদাম খাওয়ার পরামর্শ করে থাকেন।
গর্ভাবস্থায় দুধের পরিবর্তে কাঠবাদাম
গর্ভাবস্থায় অনেকেরই বিভিন্ন রকম সমস্যা হয়ে থাকে। তার মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য সমস্যা হল এসিডিটি হওয়ার জন্য দুধ খেতে না পারা। দুধ এমন একটি খাবার যেখানে সব ধরনের পুষ্টি পাওয়া যায়। এখন যদি গর্ভাবস্থায় এই দুধ পান করা না যায়, তাহলে শিশুর দেখা দিবে নানা রকম সমস্যা।
এরকম সমস্যা মোকাবেলা করতে বা এড়িয়ে চলতে কাঠ বাদামের ভূমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। দুধের পরিবর্তে কাঠবাদাম খেয়েও আপনি পুষ্টি জনিত এ সকল সমস্যা মেটাতে পারবেন।
গর্ভবতী নারীর জন্য কাঠ বাদামের ভূমিকা
অনেক নারীর গর্ভবতী হওয়ার পর তাদের ত্বকে ব্রণ উঠা সহ ত্বকের কিছু স্বাভাবিক পরিবর্তন দেখা যায়।এরকম পরিবর্তন কমাতে কাঠবাদামের উপকারিতা না বললেই নয়! কাঠবাদাম স্বাভাবিক সৌন্দর্য বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং এর সাথে ত্বক সুন্দর করতেও কাঠ বাদামের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। দুধ এবং বাদামের মিশ্রণ যদি মুখে দেওয়া হয় তাহলে গর্ভাবস্থার সময়ও মুখের ত্বক থাকবে মসৃণ।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাঠবাদাম
কাঠবাদামে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রচুর পরিমাণে ফ্যাটি এসিড ও ওমেগা ৩, এই তিনটি উপাদানই দেহের কোন না কোন উপকারে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। কাঠ বাদামের দুধ খেলে আপনার দেহে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রবেশ করবে। যার ফলে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
এর সাথে ফ্যাটি অ্যাসিড ও ওমেগা ৩ একজন গর্ভবতী নারীর হৃৎপিণ্ড ভালো রাখতে সাহায্য করবে।
কাঠবাদাম একটি প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার। তাই গর্ভাবস্থায় কাঠবাদাম খেলে হজমে সহায়তা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যা এই সময়ের একটি সাধারন সমস্যা কোষ্ঠকাঠিন্যের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হয়। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ মত গর্ভাবস্থায় কাঠ বাদাম খাওয়ার পরিমাণ নির্ধারণ করে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখুন।
প্রসবকালীন শক্তি বৃদ্ধিতে কাঠবাদাম
কাঠ বাদামে থাকা কার্বোহাইড্রেট এবং প্রোটিন প্রসবকালীন সময়ের প্রয়োজনীয় শক্তি জোগাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই গর্ভাবস্থার পুরো সময় নিয়মিত নিয়ম করে কাঠবাদাম খাদ্য তালিকায় রাখলে প্রসবকালীন ব্যথা কমাতে এবং শক্তি যোগাতে সাহায্য করবে।
ক্যান্সার প্রতিরোধে কাঠবাদাম
গর্ভাবস্থায় নিয়মিত কাঠবাদাম খেলে ক্যান্সারের মতো রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব হয়। তাই অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মত কাঠবাদাম দৈনিক খাদ্য তালিকায় রাখুন এবং অনাকাঙ্ক্ষিত ক্যান্সার ব্যাধি থেকে দূরে থাকুন।
রক্তস্বল্পতা দূর করবে কাঠবাদাম
কাঠ বাদাম একটি আয়রন সমৃদ্ধ খাবার। আমাদের দেশের নারীদের গর্ভাবস্থায় রক্তশূন্যতা একটি সাধারন সমস্যা। এই সময় নিয়মিত কাঠবাদাম খেলে রক্তস্বল্পতা দূর করতে সহায়তা করবে। এছাড়া গর্ভাবস্থায় নিয়মিত কাঠবাদাম খাওয়ার ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখাও সম্ভব হয়।
স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখবে কাঠবাদাম
গর্ভাবস্থায় নিয়মিত কাঠবাদাম খাওয়ার ফলে স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা নিশ্চিত হবে। কারণ কাঠবাদামে থাকা বিশেষ উপাদান ক্ষুদা হ্রাসের হরমোন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। তাই প্রসব পরবর্তী ওজন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্যও কাঠবাদাম বিশেষ উপকারী।
গর্ভাবস্থায় সুন্দর ত্বক এবং চুলের জন্য কাঠবাদাম
গর্ভাবস্থার সময় অনেকেরই ত্বকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে দেখা যায়। আবার অতিরিক্ত চুল পড়ার সমস্যায় অনেকে ভুগে থাকেন। নিয়মিত কাঠবাদাম খেলে ভেতর থেকে যেমন আপনাকে পুষ্টি জুগিয়ে ত্বক এবং চুলকে সুরক্ষা দিবে, তেমনি কাঠ বাদামের পেস্ট ফেসপ্যাক বানিয়ে মুখে ব্যবহার করলেও অনেক উপকার পাবেন।
গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন কতটুকু কাঠবাদাম খাওয়া উচিত
গর্ভাবস্থায় কাঠবাদাম খাওয়ার ফলে যে সকল উপকারিতা পাওয়া যায় তা উপরে আলোচনা করা হয়েছে। এখন মনে প্রশ্ন আসতেই পারে, দিনে তাহলে কতটুকু কাঠবাদাম খাওয়া ভালো? প্রথম তিন মাসে আপনি প্রতিদিন বা সাধারণভাবে যতটুকু খান ততটুকু খেলেই চলবে। তবে দ্বিতীয় তিন মাস থেকে আপনার অতিরিক্ত খাবার খেতে হবে।
আপনার তখন ৩৪০ ক্যালোরি বাড়তি খাবার খেতে হবে। এরপর তৃতীয় তিন মাসে আপনার এই বাড়তি খাবার ৪৫০ ক্যালোরিতে বেড়ে যাবে। এই বাড়তি ক্যালরি আপনি চাইলে প্রতিদিন করে ২৮ গ্রাম বা ২৩ টি করে কাঠবাদাম খেতে পারেন। এটিকে বলে এক আউন্স।
কাঠ বাদামের ১ আউন্সে ১৬৪ মতো ক্যালরি, ১৪.৩৬ গ্রাম ফ্যাট (৭৩%), ৫.৬ গ্রাম কার্বহাইড্রেট (১৪%), ৬.৩ গ্রাম প্রোটিন (১৩%) রয়েছে। তাই আপনি বলতেই পারেন যে এটি সুস্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপুর্ণ। তবে কাঠ বাদাম খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসক এর পরামর্শ নিতে হবে।
গর্ভাবস্থায় কাঠবাদাম খাওয়ার নিয়ম জেনে নিন
গর্ভাবস্থায় কাঠবাদাম খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে এখন জেনে নিন। গর্ভাবস্থায় বিভিন্নভাবে আপনি কাঠবাদাম আপনার খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন। যদি আপনার কাঠবাদাম খাওয়ার স্বাদের ব্যাপারে কোন সমস্যা না থাকে তাহলে যে কোন ভাবেই আপনি কাঠবাদাম গ্রহণ করতে পারেন।
তবে গর্ভাবস্থায় কাঠবাদাম খাওয়ার সবচেয়ে ভালো উপায় হল- সারারাত কাঠবাদাম পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খোসা ছাড়িয়ে ভেতরের বাদামটি গ্রহণ করা। কারণ পানিতে ভিজিয়ে রাখার ফলে খোসার সাথে বিষাক্ত পদার্থ গুলি দূর করা সম্ভব হয়, যা আপনাকে বাদামের পরিপূর্ণ পুষ্টি দিতে সক্ষম হবে।
পানিতে ভিজিয়ে রেখে কাঠবাদাম খাওয়ার ফলে হজমের জন্য উপকারী উপাদানগুলো মুক্ত হতে সহায়তা করে, ফলে হজম প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হতে পারে। এই খোসা ছাড়ানো বাদাম আপনি যে কোন সময় স্ন্যাক্স হিসেবেও গ্রহণ করতে পারেন।
আপনি চাইলে কাঠবাদাম পেস্ট করে কিছুটা পানি মিশিয়ে দুধ বের করে পান করতে পারেন। গর্ভাবস্থায় যারা দুধ খেতে পারেন না তাদের জন্য এটি খুব ভালো একটি বিকল্প হতে পারে। আবার বিভিন্ন ফলের সাথে কাঠবাদাম কুচিকুচি করে মিশিয়ে একসাথে খেতে পারেন। এতে আপনার খাওয়ার বৈচিত্র আসবে। অনেকে আবার কাঠবাদামের মাখন তৈরি করে খেতে পছন্দ করেন।
গর্ভাবস্থায় আপনি যদি মিষ্টি খেতে পছন্দ করেন, তাহলে বিভিন্ন মিষ্টি জাতীয় খাবারের উপরে কাঠবাদামের কুচি দিয়ে খেলেও আপনার ভালো লাগবে।
গর্ভাবস্থায় কাঠবাদাম খাওয়ার অপকারিতা
গর্ভাবস্থায় কাঠবাদাম খাওয়ার অনেক উপকারিতা থাকা সত্ত্বেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে অপকারী দিক থাকায়, খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মত খাওয়ার কথা বলা হয়ে থাকে। কারন অনেক ক্ষেত্রেই কাঠবাদামের কিছু কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়। তাই অবশ্যই গর্ভাবস্থায় কাঠবাদাম খাওয়ার ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে।
আপনার যদি আগে থেকেই বাদামে এলার্জির প্রবণতা থাকে তবে অবশ্যই এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ মত কাঠবাদাম খাওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
অতিরিক্ত কোন কিছুই খাওয়া ভালো নয়, এই কথাটি গর্ভাবস্থায় আরো ভালোভাবে মনে রাখতে হবে। অনেক ক্ষেত্রেই অতিরিক্ত কাঁচা বাদাম বা কাঠবাদাম খাওয়ার ফলে অকাল প্রসবের ঘটনাও ঘটতে দেখা গিয়েছে।
গর্ভাবস্থায় অনেকেরই অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখা যায়। কাঠবাদামে যেহেতু ক্যালরির পরিমাণ বেশি তাই অতিরিক্ত কাঠবাদাম খেলে ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত কাঠবাদাম খাওয়ার ফলে হজম জনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর ফলে পেট ফাঁপার মতো সমস্যার তৈরি হতে পারে।
কাঠবাদামে রয়েছে ভরপুর পরিমাণে ভিটামিন ই, তাই অতিরিক্ত কাঠবাদাম খাওয়ার ফলে শরীরে ভিটামিন ই এর গ্রহণের মাত্রা বেশি হতে পারে, যা গর্ভাবস্থায় অন্যান্য সমস্যা সৃষ্টির জন্য দায়ী। কারণ গর্ভাবস্থায় অন্যান্য খাবারেও যথেষ্ট পরিমাণে পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান।
পরিশেষে
গর্ভাবস্থায় কাঠবাদাম খাওয়ার বিভিন্ন উপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। কাঠবাদাম এমন একটি খাবার যেখানে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, এবং মিনারেলস ভরপুর পরিমাণে রয়েছে। তাই গর্ভাবস্থায় কাঠবাদাম খেলে গর্ভবতী মায়ের সুস্বাস্থ্যের জন্য যেমন ভালো তেমনি গর্ভস্থ শিশুর জন্যও অনেক উপকারী।
তবে গর্ভাবস্থায় যে কোন খাবারই গ্রহণ করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মত সিদ্ধান্ত নেওয়া ভালো হবে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে কাঠ বাদামের অপকারিতা থাকলেও উপকারী দিক ই বেশি বলা যায়। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ মত আপনি নিশ্চিন্তে আপনার গর্ভাবস্থায় কাঠবাদাম কে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকার সঙ্গী হিসেবে রাখতে পারেন।
passiondrivefiona র নীতিমালা মেনে comment করুন। প্রতিটি comment রিভিউ করা হয়;
comment url