সকালে খালি পেটে রসুন খাওয়ার উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম

সকালে খালি পেটে রসুন খেলে পাওয়া যায় স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকার। বিভিন্ন রোগ থেকে রেহাই পেতে সাহায্য করে প্রতিদিন দুই কোয়া রসুন। খালি পেটে রসুন খাওয়ার এই উপকারিতা এবং রসুন খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এই পোস্টটি পড়ুন।

ইমেজ
পোস্ট সূচিপত্রঃরসুন একটি মসলা জাতীয় খাবার। বিভিন্ন খাবারের স্বাদ বাড়াতে রসুন ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তবে রসুনের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের রোগ সারাতে বিভিন্ন উপকারী বিভিন্ন ধরনের উপাদান বিদ্যমান। এজন্যই প্রাচীনকাল থেকে বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে ঘরোয়া চিকিৎসা হিসেবে রসুনের রয়েছে বহুল ব্যবহার।

খালি পেটে রসুন খাওয়ার উপকারিতা

রসুনের উপকার পেতে বিভিন্নভাবে রসুন খেতে পারেন। খালি পেটে রসুন খেলে ঘুমের উন্নতি ঘটে, হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানো সহ ইত্যাদি ক্ষেত্রে খুব স্বাস্থ্যকর উপকার করে। বুকের ব্যাথা কমাতে ও সিড়ি বেঁয়ে উঠতে কষ্ট কমাতে রসুন খাওয়া খুব উপকারি।

এছাড়াও রসুন এছাড়া রসুনে থাকা সালফার রক্তের ঘনত্ব কমাতে সাহায্য করে। তাই যাদের রক্তের ঘনত্ব কমানোর প্রয়োজন তারা চাইলে নিয়মিত রসুন খেতে পারেন। তবে তার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। সকালে খালি পেটে রসুন খাওয়ার উপকারিতা গুলো জেনে নিলে, আজ থেকে আপনিও খাওয়ার শুরু করে দিবেন। 

তাহলে দেরি না করে এর উপকারি গুণগুলো দেখে নেই একবার-

রক্ত সঞ্চালন ক্ষমতা বাড়াতে এর ভূমিকা

রক্ত বাধাগ্রস্থ হয়ে যেসব রোগ সৃষ্টি হয়, সেসব রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে রসুন। প্রতিদিন দুই কোয়া রসুন খেলে রক্ত সঞ্চালনের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। 

হৃৎপিণ্ডের শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক

 রক্ত সঞ্চালন ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে হৃৎপিণ্ডের ব্লক সৃষ্টি ও ব্যাঘাত সৃষ্টিতে বাঁধা দেয়। হৃৎপিণ্ডকে শক্তিশালি করে তুলতেও সাহায্য করে রসুন।

উচ্চরক্তচাপ কমাতে এর উপকারি প্রভাব

মূলতঃ শরীরের এলডিএল এর বেড়ে যাওয়ার ফলে রক্তচাপ বেড়ে যায়। রসুন এই এলডিএল এর পরিমাণ কমিয়ে উচ্চরক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। রসুন উচ্চরক্তচাপ কমানোর একটি সহজ এবং অন্যতম উপাদান।

কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করায় এর ভূমিকা

ব্রেনের কোষের ড্যামেজ এর জন্য যেসন রোগ হয়ে থাকে, যেমন, আলঝেইমারস, ডিমেনশিয়া ইত্যদি রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে রসুন। এছাড়াও রসুনের মধ্যে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এজিং ও সেল ড্যামেজ থেকে রক্ষা পেতে সাহায্য করে।

ত্বকের উপর এর বিভিন্ন উপকারিতা

যদি আপনি ব্রণ দ্রত শুকিয়ে দাগ দূর করতে চান তাহলে আপনার জন্য সবচেয়ে সহজ এবং উপকারি উপায় হবে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে দুই কোয়া রসুন খাওয়া। এছাড়াও ত্বকের বার্ধ্যকের ছাপ দূর করতে এবং ত্বককে ভালো রাখতে সাহায্য করে রসুন। চেহারায় কোনো দাগ থাকলে তা দূর করতেও সহায়তা করে রসুন।

হাড়ের শক্তি বৃদ্ধিতে এর উপকারিতা

বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণে হাড়ের শক্তি ক্ষয় হওয়া শুরু করে ফলে হাড়ের সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যা হয়ে থাকে। নাড়িদের এই হাড়ের সমস্যা দূর করে রসুন। মূলত ইস্ট্রজেনের মাত্রা ভারসাম্য রেখে হাড়ের সমস্যা প্রতিরোধ করে থাকে রসুন। এর জন্য পেওতিদিন দু গ্রাম রসুন খাওয়ার পরামর্শ রয়েছে।

ফুসফুসের সংক্রমণ প্রতিরোধে এর উপকারিতা

ফুস্ফুসের বিভিন্ন সংক্রমণ যেমন, অ্যালার্জি সমস্যা, প্রতিনিয়ত ঠান্ডা লাগা থেকে রেহায় দিতে সাহায্য করে থাকে রসুন। প্রতিদিন রসুন পিষে খেলে এরকম সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচা যায়।

রোগ প্রতিরোয়াধে এর সহায়তা

রসুনের বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান যেমন, অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়া ইত্যাদির কারণে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এর জন্য খালি পেটে রসুন খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।

পুরুষের যৌনক্ষমতা বৃদ্ধিতে এর উপকার

পুরুষের যৌনক্ষমতা কমে যাওয়ার পেছনে নানান কারণ থাকতে পারে। এই যৌনক্ষমতা বৃদ্ধির মূল উৎস হলো সক্রিয় রক্ত চলাচল। এই রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে পুরুষের যৌনক্ষমতা বৃদ্ধি করতে চলাচল করে। প্রতিদিন রসুন খেলে পুরুষের যৌনক্ষমতা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেতে থাকে।

খালি পেটে রসুন কিভাবে খাবেন

খালি পেটে বিভিন্নভাবে রসুন খাওয়া যায়। অনেকে খায় কালো জিরার সাথে, অনেকে মধুর সাথে, আবার অনেকে এমনি পানির সাথেই খেয়ে ফেলে। আপনি যেভাবেই খান না কেনো,খালি পেটে রসুন খাওয়ার ওনেক উপকার পাবেন।

সকালে উঠে কোনো কিছু খাওয়ার আগেই খালি পেটে দুই কোয়া রসুন চিবিয়ে খেয়ে ফেলুন। এরপর হালকা গরম পানি খান। চিবিয়ে না খেতে চাইলে একেবারে পানির সাথে রসুনটি গিলে খেয়ে ফেলুন। গিলে খেতে গেলে অবশ্যই টুকরো করে গিলতে হবে।

মধু দিয়ে খেতে চাইলে একটি রসুনকে তিন থেকে চারটি কোয়াতে কুঁচি কুঁচি করে কেঁটে নিন। এরপর এই কুঁচি কুঁচি রসুন একটি বাটিতে রেখে এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে নিন। এরপর এটি মিশিয়ে পেটে খেয়ে নিন।

কালোজিরা ও রসুন একসাথে খাওয়ার কোনো বিষেশ নিয়ম নাই, চাইলে প্রতিদিন সকালে যেভাবে মধুর সাথে রসুন খান সেভাবেই খেতে পারেন, শুধু পানি মিশাবেন মধুর বদলে।

আপনি চাইলে রসুন, মধু ও কালোজিরা একসাথেই খেতে পারেন। এর কোনো বিশেষ বা আলাদা নিয়ম নাই। একটি রসুন কুঁচি কুঁচি করে কেঁটে এক চা চামুচ মধু মেশাবেন। এরপর কিছু পরিমাণ বা এক টেবিল চামচ কালজিরা মিশিয়ে খেয়ে নিবেন। আপনি চাইলে অন্য যে কোনো ভাবেও খেতে পারেন।

খালি পেটে মধু ও রসুন খাওয়ার উপকারিতা

সকালে খালি পেটে রসুন খেলে পাওয়া যায় স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকার। কিন্তু মধুর সাথে যদি দুই কোয়া রসুন প্রতিদিন একসাথে খালি পেটে খেলে পাওয়া যায় অনেক বিশেষ উপকার।

 এগুলো নিচে এক একে করে দেওয়া হলো-
  • মধু ও রসুন প্রতিদিন একসাথে খেলে শরীরের যেকোনো ক্ষত (বাইরের বা ভেতরের) দ্রুত ভালো করে তুলতে সাহায্য করবে।
  • রক্তে অতিরিক্ত কোলেস্টরল থাকলে তা কমাতে চাইলে সবচেয়ে উপকারি উপায় হবে প্রতিদিন মধুর সাথে রসুন খেলে।
  • মস্তিষ্ক ভালো রাখতে চাইলে প্রতিদিন মধু ও রসুন খেলে সবচেয়ে উপকার হবে।
  • রক্তচাপ থেকে রক্ষা পেতে প্রতিদিন মধুর সাথে রসুন খাওয়ার উপকারিতা অপরীসিম।
  • চেহারার ওজন কমানোর জন্য প্রতিদিন রসুনের সাথে মধু খাওয়ার পরামর্শ রয়েছে।
  • আবহাওয়ার জন্য যে সর্দি-জ্বর হয়ে থাকে সেই সর্দি-জ্বর কমানোর জন্য সবচেয়ে কার্যকারি উপায় হবে প্রতিদিন রসুন এবং মধু খাওয়া।
  • বদহজম হওয়ার পর তা কমানোর জন্য মধু ও রসুন খুবই উপকারী।
  • পেটের বিভিন্ন রোগ এমনকি ডায়রিয়া সারাতেও সাহায্য করে মধু ও রসুন।
  • বিভিন্ন ফাঙ্গাল ইনফেকশন সারাতে সাহায্য করে মধু এবং রসুন।

রসুন, মধু ও কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা

মধু ও কালোজিরা, দুইটিই বিভিন্ন ধরনের উপকারি উপাদানে ভরপুর দুটি খাবার। তাই যদি মধু ও কালিজিরার সাথে রসুন খাওয়া যায়, তাহলে এর উপকারিতা দ্বিগুণ বেড়ে যায়। 

 তাহলে এর উপকারিতাগুল জেনে আসা যাক-
  • রসুন, মধু ও কালোজিরাতে রয়েছে, আয়রন, ফলিক, ভিটামিন এ ও বি, সিলিলিয়াম এবং ম্যাঙ্গানি যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
  • রসুন, মধু ও কালোজিরা খেলে রক্তশূন্যতা থেকে রেহায় পাওয়া যায়।
  • শারীরিক দূর্বলতা থেকে রক্ষা পেতে রসুন, মধু ও কালজিরা খাওয়া যায়।
  • রসুন, কালোজিরা এবং মধু চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায় এবং চোখের ঝাপ্সা দৃষ্টির সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
  • যৌনশক্তি বৃদ্ধিতে প্রতিদিন সকালে রসুন, কালোজিরা এবং মধু খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।

প্রতিদিন কতটুকু রসুন খাওয়া উচিত

আমাদের সবারই জানা প্রয়োজন যে কতটুকু রসুন খাওয়া প্রয়োজন প্রতিদিনে। অতিরিক্ত রসুন খেলেও সমস্যা। আবার, খুব কম খেলে কম উপকার হয়। তবে বলা হয় যে, প্রতিদিন ৪ থেকে ৮ কোয়া রসুন খাওয়া সবচেয়ে ভালো। আবার, আমাদের প্রতিদিন কাঁচা রসুন খেলে উপকার। কিন্তু কতটুকু? প্রতিদিন এক কোয়া কাঁচা রসুন নিয়মিত খেলে অনেক উপকার হবে। 

গর্ভাবস্থায় বেশি রসুন খাওয়া উচিত নয়। কেননা গর্ভাবস্থায়ে বেশি রসুন খেলে হতে পারে অনেক ক্ষতি। তাই অনেকেই বলেন যে, গর্ভাবস্থায়ে রসুন খাওয়া থেকে দূরে থাকতে। গর্ভাবস্থায় দুই থেকে চার কোয়া রসুন বা ৬০০ থেকে ১২০০ গ্রাম পর্যন্ত রসুন খাওয়া যায়। তবে, অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে।

খালি পেটে রসুন খাওয়ার অপকারিতা আছে কি

খালি পেটে রসুন খাওয়ার অনেক উপকারিতা থাকলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে এর অপকারী দিক লক্ষ্য করা যায়। যদিও খালি পেটে রসুন খাওয়ার অপকারিতা খুবই কম, তবুও যেসব ক্ষেত্রে এর অপকারিতা রয়েছে সেগুলো জানা থাকলে আপনাদের জন্য সুবিধা হবে।

তাই এক নজরে খালি পেটে রসুন খাওয়ার উপকারিতা গুলো দেখে নিন-
  • খালি পেটে রসুন খাওয়ার অনেক উপকারিতা থাকলেও কোনভাবেই অতিরিক্ত রসুন খাওয়া যাবে না। কারণ অতিরিক্ত রসুন খাওয়ার ফলে রসুনে থাকা এলিসিন এবং এন্টি-অক্সাইড লিভারে টক্সিন পদার্থ জমার কারণ হতে পারে। ফলে লিভারে বিষক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে।
  • খালি পেটে রসুন খেলে অনেক সময় পেটে গ্যাস বা এসিডিটি হতে পারে। এর ফলে ডায়রিয়া হওয়ার মত ঘটনাও দেখা যায়। আবার অনেকের ক্ষেত্রে বুক জ্বলা, বমি বমি ভাব এমনকি বমি পর্যন্ত হতেও দেখা যায়।
  • খালি পেটে অতিরিক্ত রসুন খাওয়ার ফলে রক্তচাপ কমে যেতে পারে। ফলে মাথা ঘুরানো, মাথা ঝিমঝিম করা, দুর্বল লাগা এবং বমি বমি ভাব হতে পারে।
  • রসূলে থাকা সালফার রক্ত পাতলা করতে বা রক্তের ঘনত্ব কমাতে সহায়তা করে। ফলে যারা আগে থেকেই অ্যাসপিরিন বা ওরারফারিন ওষুধ নিচ্ছেন যা রক্ত পাতলা করতে সহায়তা করে, তাদের অতিরিক্ত রসুন খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। না হলে রক্ত অতিরিক্ত পাতলা হয়ে অভ্যন্তরীণ রক্তপাত সৃষ্টি করতে পারে।
  • কয়েকটি ক্লিনিক্যাল স্টাডিতে দেখা যায়, ঘন ঘন অতিরিক্ত রসুন খাওয়ার ফলে ঘাম হওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়।
  • যেসব মহিলাদের যৌনাঙ্গে কোন সমস্যা বা প্রদাহ রয়েছে এবং এ সংক্রান্ত চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাদের রসুন খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। না হলে এই ধরনের সমস্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।
  • গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত রসুন খাওয়ার থেকে বিরত থাকতে বলা হয়। কারণ এই সময় অতিরিক্ত রসুন খেলে প্রসব বেদনা বেড়ে যেতে পারে এবং এর ফলে রক্তক্ষরণও বৃদ্ধি পেতে পারে।
  • যেসব মায়েরা শিশুদের বুকের দুধ পান করান তাদেরও রসুন খাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়। কারণ রসুন খেলে বুকের দুধের স্বাদ কমে যেতে পারে, যা শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ একটি দিক।
  • অতিরিক্ত রসুন খাওয়ার ফলে হাইফিমা নামক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। এর ফলে আইরিস ও কর্নিয়ার মধ্যে রক্তক্ষরণ হতে পারে, দৃষ্টিশক্তি কমে যেতে পারে।
  • দীর্ঘদিন যাবৎ অতিরিক্ত রসুন খাওয়ার ফলে মুখের দুর্গন্ধ বেড়ে যেতে পারে। এটি হয় মূলতঃ রসুনে থাকা সালফার এর উপস্থিতির কারণে।

গর্ভাবস্থায়ে রসুন খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায়ে যেমন রসুন খাওয়ায়ে অপকারিতা আছে, তেমন উপকারিতাও রয়েছে। আপনারা যারা গর্ভবতি তারা রসুন খেতে পারেন, তবে বেশি নয়। প্রতিদিন পরিমিত রসুন খেতে হবে। তাহলে উপকার পাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

আসুন উপকারিতাগুলো জেনে নেওয়া যাকঃ 
  • গর্ভাবস্থায় রসুন খেলে আপনার যদি কোলেস্টেরলের স্তর ও হার্টের ঝুঁকির সমস্যা থাকে তাহলে তা হ্রাস করতে সহায়তা করে। তবে তা অবশ্যই পরিমিত হতে হবে।
  • কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে রসুন উপকার করে।
  • গর্ভাবস্থায়ে রসুন খেলে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে এবং আপনি একটি সুস্থ শিশু জন্ম দিতে সক্ষম হতে পারেন।
  • রসুনের বিভিন্ন বৈশিষ্টের কারণে গর্ভাবস্থায়ে বিভিন্ন ত্বকজনিত সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।
  • রসুনে থাকা অ্যালিসিন গর্ভাবস্থায়ে মহিলাদের চুল পরা রোধে ভূমিকা পালন করে।
  • রসুন খাওয়ার ফলে গর্ভাবস্থায়ে নারীদের যে ক্লান্তি হয় তা কমাতে সাহায্য করে।

গর্ভাবস্থায় রসুন খাওয়ার অপকারিতা

রসুনের ভালো দিকও রয়েছে আবার খারাপ দিকও রয়েছে। কিছু কিছু মানুষের রসুন খাওয়ার ব্যাপারে মতভেদ রয়েছে। তার মধ্যে গর্ভবতি মহিলা একজন। কিন্তু কী কী অপকারিতা রয়েছে?

এ বিষয় নিচে আলোচনা করা হলো-
  • রসুন রক্ত পাতলা করে; তাই রক্তচাপে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। এসব সমস্যা এড়িয়ে চলতে অতিরিক্ত রসুন না খাওয়াই ভালো।
  • মাঝেমাঝে নারীদের রসুনের গন্ধে ক্ষুধামন্দা দেখা দিতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় রসুন খেতে বারণ করেন বিশেষজ্ঞরা।
  • আবার অনেকেরই রসুনের গন্ধে বমি পায়, তাই গর্ভাবস্থায় রসুন খেতে মানা করা হয়।

পরিশেষে

রসুন একটি মসলা জাতীয় খাবার হলেও বিভিন্ন রোগ সারাতে সকালে খালি পেটে রসুন খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। তাই ঘরোয়া চিকিৎসা হিসেবে বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে রসুন বিভিন্নভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বিভিন্নভাবে রসুন সকালে খালি পেটে খেতে পারেন। এছাড়া গর্ভাবস্থায়ও রসুন খেলে মিলে অনেক উপকার।

তবে গর্ভাবস্থায় রসুন খাওয়ার ব্যাপারে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শমতো খাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

passiondrivefiona র নীতিমালা মেনে comment করুন। প্রতিটি comment রিভিউ করা হয়;

comment url