ভেষজ উদ্ভিদ ভূঁই আমলা খাওয়ার ২০ টি উপকারিতা জানুন
ভূঁই আমলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আজকের ব্লগ পোস্ট থেকে জানতে পারবেন। বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ঘরোয়া উপাদান হিসেবে ভেষজ উদ্ভিদ ভূঁই আমলার ব্যবহার আমাদের দেশে বহুল প্রচলিত।এছাড়া জানতে পারবেন ভূঁই আমলার কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে কিনা সে বিষয়ে।
পোস্ট সূচিপত্রঃআমাদের দেশে প্রায় সব জায়গায় আনাচে-কানাচে, ভেজা জায়গায় ঔষধি গুনাগুন সম্পন্ন ভেষজ উদ্ভিদ ভূঁই আমলা দেখতে পাওয়া যায়। এই ঔষধি গাছটি আগাছা হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় জন্মালেও বিভিন্ন রোগ সারাতে ভূঁই আমলার কদর রয়েছে। বিশেষ করে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকের নিকট এই গাছটি আশীর্বাদস্বরূপ।
ভূঁই আমলা খাওয়ার উপকারিতা
পোস্টের শুরুতে ভেষজ উদ্ভিদ ভূঁই আমলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করব। বিভিন্ন রোগ সারিয়ে তুলতে ভুঁই আমলার জুড়ি মেলা ভার। এজন্যই প্রাচীনকাল থেকে ভেষজ এই উদ্ভিদটি বিভিন্ন রোগ সারাতে আস্থার সাথে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এবং বর্তমানেও বিভিন্ন রোগ সারানোর কবিরাজি বা ঘরোয়া উপাদান হিসেবে অনেকেই এই গাছের উপর নির্ভর করে থাকেন।
নিচে ভূঁই আমলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ
জন্ডিস রোগ সারাতে ভুঁই আমলা
ভূঁই আমলাকে জন্ডিস রোগের মহৌষধ হিসেবে গণ্য করা হয়। জন্ডিস একটি লিভারের প্রদাহ জনিত রোগ। বিভিন্ন কারণে লিভারে প্রদাহ জনিত কারণে জন্ডিস রোগ হতে পারে। জন্ডিস হলে শরীরে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে গিয়ে চোখ হলুদ দেখায়, শরীরে ত্বকও হলুদ হতে দেখা যায়। জন্ডিস রোগের চিকিৎসায় ভুঁই আমলার ব্যবহারে রয়েছে বিশেষ কার্যকারিতা।
জন্ডিস রোগ সরাতে ভুঁই আমলার সদ্য তোলা শিকড়ের এক কাপ রসের সাথে সমপরিমাণ গরুর দুধ মিলিয়ে সকাল সন্ধ্যা খেলে কয়েক দিনের মধ্যেই উপকার লক্ষ্য করতে পারবেন। এবং নিয়ম করে প্রতিদিন খেলে কিছুদিনের মধ্যেই জন্ডিস রোগ থেকে মুক্তি পাবেন।
ভূঁই আমলার গুনে কিডনির পাথর হবে দূর
কিডনির পাথর সংক্রান্ত সমস্যায় যারা ভুগছেন তারা ভূঁই আমলার রস খেলে উপকার পাবেন। ভুঁই আমলা গাছের পাতার রস কিডনির পাথর দূর করতে অব্যর্থ ওষুধ। এজন্য সকালে খালি পেটে এই গাছের পাতার রস খেলে উপকার পাবেন।
উচ্চ রক্তচাপ দূর করবে ভূঁই আমলা
ভূঁই আমলা যারা নিয়মিত উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগেন, তাদের জন্য বিশেষ উপকারী। নিয়মিত ভূঁই আমলার রস খেলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই যারা উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন তারা নিয়ম করে ভুঁই আমলার রস খেয়ে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন।
মহিলাদের বিভিন্ন রোগ সারাবে ভূঁই আমলা
বাতের ব্যথা দূর করতে ভূঁই আমলা
বাতের ব্যথা দূর করতেও ভূঁই আমলার রয়েছে বিশেষ কার্যকারিতা। বাতের ব্যথা দূর করতে ভুঁই আমলার রস নিয়মিত সকাল বিকাল খেতে পারেন। আবার ব্যথা জায়গায় ভূঁই আমলার রস লাগিয়ে কিছুক্ষণ মালিশ করলেও উপকার পাবেন।
ডায়াবেটিস ভালো করবে ভুঁই আমলা
ভূঁই আমলার আরেকটি বিশেষ কার্যকারিতা না বললেই নয় তা হল, ডায়াবেটিস রোগেও ভুঁই আমলা দারুণ উপকারী। ভুঁই আমলার রস ডায়াবেটিস রোগীরা নিয়মিত সকালে খালি পেটে খেলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
শক্তি বৃদ্ধিতে ভূঁই আমলা
শরীরের দুর্বলতা কাটিয়ে শক্তি ফিরিয়ে আনতে ভূঁই আমলার অনেক উপকার রয়েছে। বিভিন্ন কারণে শরীর দুর্বল হলে ভুঁই আমলার পাতা এবং মুলের রস খেলে কয়েক দিনের মধ্যেই পরিবর্তন লক্ষ্য করতে পারবেন। এটি শক্তি বৃদ্ধিকারী ভেষজ উদ্ভিদ হিসেবে বহুল ব্যবহৃত।
এজন্য প্রতিদিন দুপুরে খাওয়ার পর ভরপেটে ভূঁই আমলা পাতা এবং মূল বেটে রস বের করে দুই থেকে তিন চা চামচ করে নিয়মিত খেলে শরীরের দুর্বলতা কাটিয়ে শক্তি ফিরে পেতে শুরু করবেন।
গর্ভাবস্থায় ভূঁই আমলার ব্যবহার
গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাসের শেষের দিকে অনেক সময় শরীরে বিভিন্ন হরমোনের পরিবর্তনের কারণে এসিডিটি, গলা বুকে জ্বালা হতে দেখা যায়, অযাচিত ঢেকুর তোলা বা হেঁচকি তোলার মতো বিরক্তিকর সমস্যা হতে দেখা যায়। এই অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে পারে ভুঁই আমলা।
ভূঁই আমলা গাছের মূল বেটে রস বের করে দুই থেকে তিন চা চামচ রসের সাথে এক চা চামচ মধু বা চিনি মিশিয়ে খেলে এই সমস্যা থেকে অনেকটাই মুক্তি পাওয়া যায়।
হাড় ভাঙ্গার ব্যথা থেকে মুক্তি দিবে ভূঁই আমলা
কোনো কারণে শরীরে কোন অংশের হাড় ভেঙে গেলে বা ব্যথা পেলে ভুঁই আমলার ব্যবহার অনেক প্রচলিত। হাড় ভাঙ্গা জায়গায় সাথে সাথে ভূঁই আমলার পাতার রস একটু লবণের সাথে মিশিয়ে প্রলেপ লাগালে তৎক্ষণা ব্যথার উপশম হয়ে থাকে। আমাদের দেশে গ্রামাঞ্চলে হাড় ভাঙ্গার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে ভূঁই আমলার এই ব্যবহারটি এখনো অনেক জনপ্রিয় এবং এই পদ্ধতিটি অনেক কার্যকরী।
ক্ষত সারাতে ভূঁই আমলা ব্যবহারের উপকারিতা
বিভিন্ন কারণে আমাদের শরীরে ব্যথা পেয়ে বা রক্তনালী ছিঁড়ে যাওয়ার কারণে ক্ষত সৃষ্টি হলে অনেক সমস্যার জন্ম দিয়ে থাকে। বিশেষ করে যারা ডায়াবেটিস রোগী আছেন তাদের শরীরের কোন জায়গায় ক্ষত হলে সহজে ভালো হতে চায় না। শরীরের এ ধরনের বিভিন্ন ধরনের ক্ষত ভালো করতে ভেষজ চিকিৎসা হিসেবে ভুঁই আমলা গাছের সাদা আঠা ব্যবহারে উপকার মিলবে।
ক্ষতস্থানের উপরের অংশে ভূঁই আমলা গাছের সাদা আঠা লাগালে ক্ষত দ্রুত ভালো হয়ে যাবে।
বিষাক্ত পোকামাকড় কামড়ে ভূঁই-আমলার উপকারিতা
অনেক সময় শরীরে কোন জায়গায় বিষাক্ত কোন পোকা মাকড় যেমনঃ কাঁকড়া, বিছা, মৌমাছি, ভিমরুল ইত্যাদি কামড়ালে কামড়ানোর জায়গায় প্রচন্ড যন্ত্রণা হয়ে থাকে। আবার অনেক সময় ব্যথা সারা শরীরে ছড়িয়ে যেতে পারে।
বিষাক্ত এসব পোকামাকড়ের কামড়ের যন্ত্রণা থেকে তৎক্ষণা মুক্তি দিতে পারে ভুঁই আমলা। এক্ষেত্রে ভূঁই আমলা গাছের পাতা এবং ফুল চটকিয়ে রস বের করে কামড়ানোর জায়গায় প্রলেপ লাগালে বিষমুক্ত হওয়া যায়।
টিউমার ভালো করতে ভূঁই আমলা ব্যবহার
শরীরে কোন জায়গায় ফুলে গেলে বা টিউমার হওয়ার লক্ষণ দেখা দিলে ভূঁই আমলা ব্যবহারে অনেক উপকার রয়েছে। টিউমারের ফোলা অংশে ভুঁই আমলা গাছের মূল বেটে রস বের করে নিয়মিত লাগালে টিউমার ভালো হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে।
গ্রামাঞ্চলে টিউমার ভালো করতে ভেষজ ঔষধ হিসেবে ভুঁই আমলার ব্যবহার অনেক জনপ্রিয়।
আমাশয় রোগ ভালো করতে ভূঁই আমলা
পুরাতন আমাশয় এবং উদরাময় রোগ ভালো করতে ভেষজ উপাদান হিসেবে ভূঁই আমলার ব্যবহার প্রচলিত। এই রোগ ভালো করতে ভুঁই আমলার কচি পাতার রস বিশেষ কার্যকরী। এই রোগ সারাতে কচি পাতার রস একনাগারে সাত দিন ১০ থেকে ১২ চামচ পরিমাণ সকাল সন্ধ্যা খেলে উপকার পাবেন।
নখকুনি সারাতে ভূঁই আমলার উপকারিতা
হাতে বা পায়ে ফাঙ্গাস আক্রান্ত হওয়ার কারণে নখকুনি হলে যন্ত্রণার শেষ নেই। এই নখকুনি ভালো করতে ভূঁই আমলা গাছের পাতা এবং শিকড় বেটে রস বের করে আক্রান্ত স্থানে লাগালে উপকার মিলবে। আমাদের দেশে নখকুনি চিকিৎসার ভেষজ ঔষধ হিসেবে এই গাছের পাতা এবং শিকড় এর ব্যবহার বহুল প্রচলিত।
চোখের রোগ সারাতে ভূঁই আমলার উপকারিতা
বিভিন্ন কারণে অনেক সময় আমাদের চোখ উঠতে দেখা যায় যাকে চোখ ওঠা রোগ বলে। এ সময় চোখ ফুলে যায়, চোখে পিচুটি জমতে দেখা যায়। চোখের এই রোগ ভালো করতে ভূঁই আমলার ব্যবহার রয়েছে। এক্ষেত্রে ভূঁই আমলা গাছের শিকড় এবং বিশেষ সৈন্ধব লবণ একসাথে কোন তামার পাত্রে ঘষে ঘন করার পর চোখের পাতার উপরে দুই থেকে তিন দিন প্রলেপ দিলেই উপকার মিলবে।
আরো পড়ুনঃ স্বাদে তেতো হলেও এই পাত খাবারের উপকারিতা বহুগুণ
তবে এক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে কোনভাবেই যেন চোখের ভিতরের অংশে উপাদানটি না যেতে পারে।
ঘন ঘন জ্বর ভালো করতে ভূঁই আমলার উপকারিতা
ঘন ঘন জ্বর ভালো করতে ভূঁই আমলা ব্যবহারে উপকারিতা রয়েছে। অনেক সময়েই এ রোগে অনেককে ভুগতে দেখা যায়। এই রোগ সারাতে ভেষজ ঔষধ হিসেবে ভূঁই আমলা গাছের পাতা এবং বীজ বেটে সাত দিন পর্যন্ত এক গ্রাম পরিমান রোগীকে নিয়মিত খাওয়ালে এই ধরনের জ্বর ভালো হয়ে যায়।
শ্বাসকষ্ট সারাতে ভূঁই আমলার উপকারিতা
শ্বাসকষ্ট সহ এ ধরনের যে কোনো রোগ সারাতে ভূঁই আমলা প্রাচীনকাল থেকেই আমাদের দেশে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এই রোগ ভালো করতে ভুঁই-আমলার জুড়ি মেলা ভার। শ্বাসকষ্ট রোগীকে ভূই আমলা গাছের মূল বেটে বা থেতলিয়ে রস বের করে তিন থেকে চার চা চামচ করে মধু বা চিনি সাথে মিশিয়ে খাওয়ালে উপকার মিলবে।
ম্যালেরিয়া জ্বর ভালো করতে ভূঁই আমলা
ম্যালেরিয়া জ্বর সংক্রান্ত সমস্যায় ভূঁই আমলা বিশেষ উপকারী। ম্যালেরিয়া জ্বর সারাতে ভূঁই আমলা গাছের পাতার নিয়মিত কয়েকদিন খেলেই উপকার লক্ষ্য করতে পারবেন।
ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধে ভূঁই আমলা
ভূঁই আমলা এমন একটি ঔষধি গুনাগুন সম্পন্ন গাছ যা ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধে বিশেষ কার্যকরী। এই গাছের রস ক্যান্সার কোষ বৃদ্ধি রোধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাই নিয়মিত ভূঁই আমলা গাছের রস খেলে ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধ সম্ভব।
ত্বকের যে কোন সমস্যা দূর করতে ভুঁই আমলা
বিভিন্ন রোগ সারাতে ঘরোয়া ঔষধ হিসেবে ভূঁই আমলার বহুল ব্যবহার আমরা জানি। এর সাথে ত্বকের যে কোন ধরনের প্রদাহ জনিত সমস্যা দূর করতেও ভূঁই আমলা গাছের পাতার জুড়ি মেলা ভার। ত্বকের যে কোন সমস্যায় পাতার রস ব্যবহার করলে দ্রুত উপকার মিলবে।
ভূঁই আমলা কি জাতীয় গাছ
ভূঁই আমলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানার পর আপনাদের আগ্রহ থাকতে পারে, এই গাছটি কোন প্রজাতির গাছ। ভূঁই আমলা কে অনেকে বাংলায় ভূমি আমলা বলে থাকেন। এই উদ্ভিদটি Euphorbiaceae পরিবারের সদস্য। মূলতঃ ভূঁই আমলা গুল্ম জাতীয় এক ধরনের উদ্ভিদ। অনেকে আবার এই গাছকে বর্ষজীবী বিরুত প্রজাতির গাছও বলে থাকেন। ভুই আমলার ইংরেজি নাম gale of wind.
আরো পড়ুনঃ সকালে খালি পেটে মধু ও কালিজিরা খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা
ভূমি আমলা গাছের পাতা ছোট ছোট হয়ে থাকে এবং পাতার নিচে ছোট ছোট গোলাকৃতির ফল দেখতে পাওয়া যায়। এই গাছের ফল আমলকির মতো দেখতে এবং এই ফল বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে বিশেষ ভেষজ গুনাগুন রয়েছে। এই গাছের পাতা থেকে শুরু করে মূল, ফল,কাণ্ড সহ সব কিছুই বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
ভূঁই আমলার ঔষধি গুনাগুন সম্পর্কে জানুন
ভূঁই আমলা খাওয়ার যে সকল উপকারিতা পাওয়া যায় তা মূলতঃ এই গাছের ঔষধি গুনাগুনের জন্য।ভেষজ উদ্ভিদ ভূঁই আমলার ঔষধি গুনাগুনের জন্যই ইউনানী এবং আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এই উদ্ভিদের একটি বড় সুবিধা হচ্ছে এর পাতা, ফল,ফুল, কাণ্ড বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করা যায়।
এই উদ্ভিদের পাতায় রয়েছে বিভিন্ন ধরনের তিক্ত রাসায়নিক দ্রব্য। এছাড়া ফ্লেভোনয়েড নামক গুরুত্বপূর্ণ উপাদানও এই পাতায় যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে। এই উদ্ভিদের সমগ্র অংশেই বিভিন্ন রোগ সারাতে বিভিন্ন ধরনের উপাদান বিদ্যমান।
আরো পড়ুনঃ পদ্ম বীজ খাওয়ার উপকারিতা - গর্ভাবস্থায় পদ্ম বীজ খাওয়ার উপকারিতা
বিশেষ করে জন্ডিস সারাতে এই গাছের ব্যবহার অনেক আগে থেকে আমাদের দেশে চলে আসছে। জন্ডিস রোগের ঘরোয়া চিকিৎসার মূল উপাদান হিসেবে কবিরাজি এবং আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকগণ এই গাছের উপর নির্ভর করে থাকেন।
ভূঁই আমলা কিভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে
ভূঁই আমলার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
ভেষজ উদ্ভিদ ভূঁই আমলা বিভিন্ন ধরনের ঔষধি গুনাগুন সম্পন্ন, যার পাতা থেকে মূল সবকিছুই বিভিন্ন রোগে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এসব রোগে ভূঁই আমলার ব্যবহারে মিলে অনেক উপকার। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে ভূঁই আমলা খাওয়ার ব্যাপারে সাবধান থাকতে হবে।
- ডায়াবেটিস রোগীদের ভুঁই আমলা খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। ভূই আমলা রক্তে গ্লুকোজ কমিয়ে দিতে বিশেষ কার্যকরী। তাই ডায়াবেটিস রোগী যারা ঔষধ নিচ্ছেন বা ইনসুলিন গ্রহণ করছেন তাদের ভূঁই আমলা খাওয়ার ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। কারণ রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ হঠাৎ করে কমে যেতে পারে।
- উচ্চ রক্তচাপ কমাতে ভুঁই আমলার ব্যবহার বিশেষ উপকারী। তাই উচ্চ রক্তচাপে রোগী যারা ওষুধ গ্রহণ করছেন তাদের একই সাথে ভুঁই আমলা খাওয়ার ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে।
- যারা প্রায়ই রক্তপাতের সমস্যায় ভুগেন তাদের ভূঁই আমলা খাওয়ার ব্যাপারে বিশেষ নজর দিতে হবে। কারণ ভূই আমলা এবং ওষুধ একসাথে গ্রহণ করার ফলে রক্তপাতের পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে পারে
passiondrivefiona র নীতিমালা মেনে comment করুন। প্রতিটি comment রিভিউ করা হয়;
comment url