গর্ভাবস্থায় রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়াবে যেসব খাবার
গর্ভাবস্থায় আয়রন এবং ভিটামিনের ঘাটতি হলে প্রধান যে সমস্যা হতে পারে তা হল রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়া, যা মা ও শিশু উভয়ের জন্য ক্ষতিকর। তাই গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী মায়ের রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়াতে খাদ্য তালিকা হতে হবে সুষম।
পোস্ট সূচীপত্রঃগর্ভাবস্থায় আমাদের দেশের নারীদের মধ্যে ৫০% মহিলা রক্তশূন্যতায় ভোগেন। গর্ভাবস্থায় রক্তস্বল্পতা বা অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়াতে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে বিভিন্ন ভিটামিন এবং মিনারেলস সমৃদ্ধ খাবার।
গর্ভাবস্থায় রক্তে হিমোগ্লোবিনের সঠিক পরিমাণ কত
গর্ভাবস্থা একজন নারীর জন্য যেমন আনন্দের সময়, তেমনি অনেক কঠিন সময়ও বলা হয়। কারণ গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী নারীর শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিনের ঘাটতির অভাবে নানা ধরনের জটিলতা দেখা দিতে পারে। এর মধ্যে রক্তশূন্যতা বা অ্যানিমিয়া অন্যতম, যা সাধারণত রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে যাওয়ার কারণে হয়ে থাকে। রক্তে হিমোগ্লোবিন কম হলে মা এবং গর্ভস্থ শিশুর জন্য বিপদজনক হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় পদ্ম বীজ খাওয়ার উপকারিতা
হিমোগ্লোবিন হল লোহিত কণিকায় থাকা এক ধরনের প্রোটিন যা রক্তে অক্সিজেন পৌঁছাতে সহায়তা করে। গর্ভাবস্থার সময় রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা সঠিক থাকা অত্যন্ত জরুরি। গর্ভাবস্থায় রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ ১১ থেকে ১৩ গ্রাম পর্যন্ত সঠিক মাত্রা হিসেবে ধরা হয়। এই হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ যদি কোন কারণে ১১ কারণে নিচে চলে আসে তা একজন গর্ভবতী নারীর জটিল সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এছাড়া গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী মহিলার শরীরের কোষগুলোকে একটিভ রাখা, প্রয়োজনীয় পরিমাণ কর্মক্ষম রাখা, গর্ভস্থ শিশুর সঠিক বিকাশের জন্য রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ সঠিক মাত্রায় থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
গর্ভাবস্থায় রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়াবে যেসব খাবার
গর্ভাবস্থায় রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার কারণে গর্ভবতী নারীর অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতার মত ভয়াবহ সমস্যা তৈরি হতে পারে। গর্ভাবস্থায় অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতার ফলে পুরো গর্ভাবস্থার সময় নানা ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে এবং প্রসবকালীন সময়ও জটিলতা সৃষ্টি হয়। তাই রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা সঠিক রাখতে খাদ্য তালিকা হতে হবে বিভিন্ন ভিটামিন এবং পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ।
গর্ভাবস্থায় রক্তে হিমোগ্লোবিন এর মাত্রা ঠিক রাখতে এবং হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির জন্য যেসব খাবার খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে তা নিচে দেয়া হল-
শাক-সবজি
গর্ভাবস্থায় রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ এর মাত্রা যদি কম থাকে, তাহলে তা বৃদ্ধির জন্য আয়রন সমৃদ্ধ শাক সবজি প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির জন্য আয়রন এর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। একজন গর্ভবতী মহিলার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় আয়রন সমৃদ্ধ যে সকল সবজি রাখতে পারেন তা হলঃ টমেটো, ব্রকলি, ফুলকপি, কাঁচ কলা, ডুমুর, পাতাকপি, বিটরুট কলার মোচা, ইত্যাদি।
আয়রন রয়েছে এরকম শাকপাতা একজন গর্ভবতী মহিলার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখা উচিত। এরকম কিছু সবুজ শাকের মধ্যে পালং শাক অন্যতম। এছাড়া আপনি লাল শাক, সবুজ কচুশাক খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন। এছাড়া ধনেপাতা, পুদিনা পাতা তে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে।
উপরে উল্লেখিত সবজি এবং সবুজ শাক পাতা গর্ভাবস্থায় প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে এবং রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
ফল-মূল
গর্ভাবস্থায় রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা সঠিক রাখতে এবং হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে শাক সবজির সাথে সাথে বিভিন্ন ধরনের আয়রন সমৃদ্ধ ফলমূল প্রতিদিনের ডায়েটে রাখা উচিত। বিভিন্ন ধরনের ফল থেকে আমরা সহজে আয়রন পেতে পারি।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া জেনে নিন
আয়রন সমৃদ্ধ একটি প্রচলিত ফল হলো আনার বা ডালিম। গর্ভাবস্থার সময় প্রতিদিন অন্তত একটি করে ডালিম খেলে হিমোগ্লোবিনের সঠিক মাত্রা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এছাড়া কলা, পেপে, নাশপাতি, মসাম্বি, পেয়ারা, কালো আঙ্গুর, পীচ , কিউই, স্ট্রবেরি ইত্যাদি থেকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন পাওয়া যায়।
গর্ভাবস্থায় নিয়মিত খেতে পারেন আমলকি, কমলা এবং লেবু। কমলা এবং লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যা রক্তে আয়রন শোষণে শোষণে সহায়তা করে এবং এর ফলে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণও বৃদ্ধি পায়।
মাছ মাংস
গর্ভাবস্থায় প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় মাছ-মাংস যেমন প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করবে, সাথে আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন পরিমিত পরিমাণে দেশি এবং সুস্থ মুরগির মাংস, কলিজা, কবুতরের মাংস, চর্বিহীন লাল মাংস রাখতে হবে।
এছাড়া প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় চিংড়ি সহ অন্যান্য যে কোন মাছ যা আপনি খেতে ভালোবাসেন রাখতে হবে।
বাদাম এবং শুকনো ফল
বিভিন্ন ধরনের বাদাম এবং শুকনো ফল প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখলে গর্ভাবস্থায় আয়রন এর ঘাটতি অনেকটাই পূরণ করা সম্ভব। বিভিন্ন ধরনের বাদামের মধ্যে রয়েছে কাঠবাদাম, আখরোট, চিনা বাদাম ইত্যাদি।
গর্ভাবস্থায় আপনি যদি শুকনো ফল খেতে ভালোবাসেন তাহলে তা হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির জন্য দারুন সহায়ক হবে। শুকনো ফলের মধ্যে রয়েছে খেজুর, কিসমিস, শুকনো ডুমুর ইত্যাদি। এই ধরনের শুকনো ফলে আয়রনের মাত্রা অনেক বেশি থাকায় রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
দুধ ডিম মধু
গর্ভাবস্থায় নিয়মিত দুধ ডিম আপনাকে শরীরের বিভিন্ন ভিটামিনের চাহিদা পূরণের সাথে সাথে রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধিতেও সহায়তা করবে। প্রতিদিন অন্তত একটি করে ডিম এবং এক গ্লাস করে টাটকা গরুর দুধ পান করলে আয়রনের ঘাটতি পূরণে সহায়তা করবে।
প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন মধু। মধুতে আয়রনের পাশাপাশি আরো অন্যান্য খনিজ যেমনঃ ম্যাগানিজ, কপার ইত্যাদি থাকার ফলে শরীরের ভেতরে গিয়ে রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। মধুর সাথে বিভিন্ন ধরনের বাদাম মিশিয়ে খেতে পারেন। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের শরবত, স্মুদি ইত্যাদিতে চিনির পরিবর্তে মধু ব্যবহার করলে বেশি উপকার পাবেন।
ডাল এবং বীজ
গর্ভাবস্থায় প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা সুষম রাখতে বিভিন্ন ধরনের ডাল এবং বীজ রাখতে হবে। ডাল এবং বীজগুলোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং আয়রন। প্রোটিন যেমন একজন গর্ভবতী মহিলার শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তেমনি বীজ এবং ডালগুলো থেকে পাওয়া আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির জন্যও দারুন সহায়ক।
প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এক বাটি মসুর ডাল রাখতে পারেন। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের বীজের মধ্যে রয়েছে মটরশুটি কুমড়োর বীজ, সূর্যমুখীর বীজ, সিমের বীজ ইত্যাদি।
ফলিক এসিড বা ফলেট সমৃদ্ধ খাবার
যে সকল খাবার গুলিতে ফলিক এসিড বা ফলেট রয়েছে গর্ভাবস্থায় সেগুলো নিয়মিত গ্রহণের ফলে মস্তিষ্ক এবং স্নায়বিক গঠনে যেমন সহায়তা করে, তেমনি রক্তে হিমোগ্লোবিন পরিমান বৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় লেবু খেলে কি হয় - লেবু পানি খাওয়ার উপকারিতা
এই সকল ফলেট সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে আখরোট, পেস্তা বাদাম, অঙ্কুরিত বীজ এবং ছোলা, মুগ, কলা, কমলা, ভুট্টা, শালগম, সূর্যমুখীর বীজ, চিয়া সিড, শতমূলী ইত্যাদি।
উপরোক্ত খাবারগুলো ছাড়াও রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বেশি পরিমাণে কমে গেলে চিকিৎসকগণ হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির আয়রন ট্যাবলেট বা পিল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এছাড়া অন্যান্য ভিটামিন যুক্ত ট্যাবলেট খাওয়ার পরামর্শ দিতে পারেন। অনেক সময় হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির বিভিন্ন ধরনের ইনজেকশন প্রদান করে থাকেন।
গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধিতে আরো যেসব করণীয়
গর্ভাবস্থায় রক্তে হিমোগ্লোবিন এর মাত্রা ঠিক রাখতে এবং হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে নিয়মিত খাদ্য তালিকায় আয়রন এবং বিভিন্ন ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার রাখার সাথে সাথে আরো কিছু বিষয় মেনে চলা জরুরি।
- যেকোনো খাবার গ্রহণের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
- এই সময় বিভিন্ন ধরনের জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে চলতে হবে।
- যেকোনো ধরনের পানীয় যা আয়রন শোষণে বাধা দেয় সেগুলো এই সময় পরিহার করতে হবে। যেমনঃ অতিরিক্ত চা কফি পান, কোমল পানীয় ইত্যাদি।
- ধূমপান বা অ্যালকোহল গ্রহণের অভ্যাস থাকলে তা পরিহার করতে হবে
উপরোক্ত বিষয়গুলো মেনে চলার সাথে সাথে পুরো গর্ভাবস্থার সময় নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ এবং অধীনে থাকতে হবে।
গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার লক্ষণ
গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী মহিলার যখন রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ সঠিক মাত্রার চেয়ে কম থাকে তখন অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতা তৈরি হয়। গর্ভাবস্থায় আপনার রক্তে হিমোগ্লোবিন কম কিনা তা বিভিন্ন লক্ষণ দেখে বুঝতে পারবেন। যেমনঃ
- গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কম থাকলে চেহারা ফ্যাকাসে হয়ে যাবে।
- অল্পতেই ক্লান্তি ভাব এবং দুর্বল অনুভব হবে।
- খাওয়ার রুচি চলে যেতে পারে।
- আপনার সবকিছুতে মনোযোগের অভাব দেখা দিতে পারে।
- মাথাব্যথা এবং মাথা ঘুরানোর মত সমস্যা হতে পারে।
- আপনার শ্বাস প্রশ্বাস দ্রুত উঠানামা করতে পারে।
- অনেক সময় হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার মত সমস্যা হতে পারে।
- মুখে এবং ঠোঁটের কোণে, জিহ্বায় ঘা এর মত হতে পারে।
- আপনি মানসিকভাবে অবসাদে ভুগতে পারেন।
- আপনার মেজাজ খিটখিটে হয়ে যেতে পারে।
গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কমার কারণ
গর্ভাবস্থায় একজন নারীর শরীরে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনের চাহিদা বাড়তে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম হলো লৌহ বা আয়রনের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়া। এই বৃদ্ধি পাওয়া আয়রনের চাহিদা যখন গর্ভবতী নারীর পূরণ না হয় তখনই রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে যায়। এজন্য একজন গর্ভবতী মহিলার খাদ্য তালিকার দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।
এছাড়া অন্যান্য আরো অনেক কারণ রয়েছে গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার। যেমনঃ
- গর্ভবতী মহিলার যদি আগে থেকেই রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কম থাকে, তাহলে গর্ভাবস্থার সময় এটি আরো ভয়াবহ হতে পারে।
- অনেক সময় যে সকল গর্ভবতী মহিলার বেশি বমি হয়ে থাকে তাদের রক্তস্বল্পতা দেখা দিতে পারে।
- গর্ভাবস্থায় একজন নারীর শরীরের জ্বলিয়া উপাদানের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে লোহিত রক্ত কণিকা কম তৈরি হয়, তাহলে সেক্ষেত্রে রক্তস্বল্পতা দেখা দিতে পারে।
- গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী নারীর প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা যদি যথাযথ ভিটামিন এবং পুষ্টি উপাদান সম্পন্ন না হয় তাহলে রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে যেতে পারে।
- গর্ভাবস্থায় কোন নারীর শরীরে যদি ফোলেটের মত প্রয়োজনীয় ভিটামিনের ঘাটতি দেখা যায় তাহলে হিমোগ্লোবিন কমে যেতে পারে।
- ভিটামিন বি১২ কে লোহিত রক্ত কণিকা তৈরীর গুরুত্বপূর্ণ উপাদান বলা হয়ে থাকে। গর্ভাবস্থায় কোন নারীর যদি এই ভিটামিনের অভাব দেখা যায় তাহলে রক্তস্বল্পতা বা রক্তশূন্যতা হতে পারে।
- কোন গর্ভবতী মহিলার যদি জন্ম থেকেই থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত থাকেন তাহলে গর্ভাবস্থার সময় রক্তশূন্যতা দেখা দিতে পারে।
পরিশেষে
গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন কারণে রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে গেলে চিকিৎসকগণ বিভিন্ন ধরনের আয়রন এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আজকের পোস্টে গর্ভাবস্থায় রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়াবে এরকম খাবার নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। গর্ভাবস্থার প্রথম থেকেই যদি সচেতন থেকে খাদ্য তালিকা সুষম করা যায় তাহলে এই সমস্যা থেকে অনেকটাই মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
এছাড়া গর্ভাবস্থা একজন মহিলার জন্য অনেক কঠিন একটি সময়। এই সময় নিজে নিজে কোন কিছু করা এবং গ্রহণের সিদ্ধান্ত না নিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। তাহলেই আপনি গর্ভাবস্থার সময় নিজে সুস্থ থাকবেন, গর্ভস্থ শিশুর পরিপূর্ণ বিকাশ হবে এবং প্রসবকালীন জটিলতা এড়িয়ে চলতে পারবেন।
passiondrivefiona র নীতিমালা মেনে comment করুন। প্রতিটি comment রিভিউ করা হয়;
comment url