টক দই খাওয়ার উপকারিতা - ওজন কমাতে টক দই খাওয়ার নিয়ম

টক দই খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আপনি যদি জানতে চান তাহলে আজকের পোস্টটি আপনার জন্য। কারণ আজকের পোস্টে টক দই খাওয়ার ১২ টি উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করব। সাথে জানবেন, ওজন কমাতে টক দই খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।

টক-দই-খাওয়ার-উপকারিতা

দই খেতে আমরা সবাই ভালোবাসি। কিন্তু টক দই এর কথা মনে হলেই অনেকে মুখ ঘুরিয়ে নেন। টক দই খাওয়ার উপকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানলে আপনিও এই খাবারটি নিয়ম করে খাওয়ার চেষ্টা করবেন। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ মাত্রই এর উপকারিতা বিবেচনা করে প্রতিদিন নিয়ম করে টক দই খেতে ভালোবাসেন। পোস্ট সূচিপত্রঃ

টক দই খাওয়ার ১২টি উপকারিতা জেনে নিন

টক দই খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে পোষ্টের শুরুতে আপনাদের জানাবো। টক দই কথাটি মাথায় আসলেই মনে হয় খুব উপকারী স্বাস্থ্যকর একটি খাবার। সত্যিই তাই, টক দই বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ স্বাস্থ্যসম্মত একটি খাবার, যা খেলে পাওয়া যায় অনেক উপকার।

দুগ্ধজাত খাবার টক দই বিভিন্ন ভিটামিন যেমনঃ প্রোটিন, ভিটামিন বি৬, ১২ এবং শরীরে জন্য দরকারি বিভিন্ন খনিজ উপাদানে সমৃদ্ধ। এছাড়া টক দই এ রয়েছে উপকারী ব্যাকটেরিয়া যা আমাদের অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে বিশেষ কার্যকরী। নিয়মিত টক দই খাওয়ার ফলে স্বাস্থ্যের জন্য মিলে আরো অনেক উপকার।

তাই টক দই খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানার জন্য পোস্টটি পড়তে থাকুন।

সুষ্ঠু পরিপাকে টক দই খাওয়ার উপকারিতা

পরিপাকতন্ত্রের সুস্থতায় সুষ্ঠু পরিপাক প্রক্রিয়া সম্পাদনে টক দই এর রয়েছে বিশেষ ভূমিকা। টক দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক অন্ত্রের সুষ্ঠু কার্যাবলীতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিয়মিত টক দই খেলে হজমে সহায়তা করে এবং পরিপাক ক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হতে পারে।

এছাড়া টক দইয়ে থাকা লেকটিক এসিড কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে ফলে কোলন ক্যান্সারের মতো রোগ থেকে দূরে থাকা সম্ভব হয়। তাই সুষ্ঠু পরিপাকতন্ত্রের জন্য এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে নিয়মিত টক দই খেতে পারেন।

পেটের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে টক দই খাওয়ার উপকারিতা

পেটের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে টক দই খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে অনেক। টক দইয়ে থাকা উপকারী ব্যাকটেরিয়া পরিপাকতন্ত্রের খারাপ ব্যাকটেরিয়াকে দূর করে ভালো ব্যাকটেরিয়া তৈরিতে সহায়তা করে। ফলে হজম প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন হতে পারে এবং পেটের বিভিন্ন সমস্যা যেমনঃ পেট ফুলে যাওয়া, ডায়রিয়া, এসিডিটি ইত্যাদি সমস্যা থেকে দূরে থাকা সম্ভব হয়।

এছাড়া টক দইয়ে থাকা উপকারী ব্যাকটেরিয়া অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

মজবুত দাঁত এবং হাড় গঠনে টক দই খাওয়ার উপকারিতা

দাঁত মজবুত করতে এবং হাড়ের গঠন শক্ত করতে নিয়মিত টক দই খাওয়ার উপকারিতা অনেক। টক দই এ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ ক্যালসিয়াম, যা দাঁতকে মজবুত করতে এবং দাঁতের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সমাধানে বিশেষ কার্যকরী। তাই নিয়মিত টক দই খেলে দাঁতের বিভিন্ন সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

আরো পড়ুনঃ কোলেস্টেরল কমাতে খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে যেসব খাবার

এছাড়া টক দই এ থাকা বিভিন্ন ভিটামিন এবং ক্যালসিয়াম আমাদের হাড়ের গঠনে এবং হাড়কে মজবুত করতে বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। হাড়ের বিভিন্ন ক্ষয়জনিত রোগ প্রতিরোধ করতেও নিয়মিত টক দই খেলে উপকার পাবেন।

বিশেষ করে মহিলাদের হাড়ের ক্ষয়জনিত সমস্যায় বেশি ভুগতে দেখা যায়, এ ধরনের হাড়ের ক্ষয়জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে মহিলাদের নিয়মিত টক দই খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে টক দই খাওয়ার উপকারিতা

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত টক দই খেলে পাবেন অনেক উপকার। যারা উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন তারা নিয়মিত টক দই খেতে পারেন। টক দই রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করে রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

আমেরিকার হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের একটি গবেষণায় দাবি করা হয়, যারা উচ্চ রক্তচাপের রোগী তারা নিয়মিত টক দই খেলে রক্তচাপের ঝুঁকি অনেকাংশে কমানো যায়। 

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে টক দই খাওয়ার উপকারিতা

টক দই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। টক দই বিভিন্ন ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ হওয়ায়, নিয়মিত টক দই খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এছাড়া টক দই এ রয়েছে উপকারী ব্যাক্টেরিয়া যা রোগ সৃষ্টিকারী বিভিন্ন জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে থাকে, ফলে শরীরকে বিভিন্ন রোগ থেকে দূরে রেখে সুস্থ রাখা সহজ হয়।

তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে নিয়মিত ডায়েটে টক দই রাখতে পারেন। নিয়মিত টক দই খেলে সর্দি, গলার কফ, সর্দি জনিত জ্বর থেকে সুরক্ষা মিলে।

হার্টের সুস্থতায় টক দই খাওয়ার উপকারিতা

আপনি যদি আপনার হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে চান তাহলে নিয়মিত টক দই খেলে পাবেন বিশেষ উপকার। নিয়মিত টক দই খেলে হার্টের সুস্থতা নিশ্চিত হয়। কারণ টক দই খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয় এবং রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টরলের মাত্রা কমাতেও টক দই এর বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।

তাই নিয়মিত টক দই খেলে হার্ট থাকে সুস্থ এবং এর ফলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনাও কমে যায়।

ওজন নিয়ন্ত্রণে টক দই খাওয়ার উপকারিতা

ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য টক দই খাওয়ার উপকারিতা প্রচুর। যারা অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় ভুগছেন, কোনোভাবেই ওজনকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছেন না, টক দই কে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সঙ্গী করে নিন। টক দই এ থাকা প্রোটিন এবং ভিটামিন ওজন নিয়ন্ত্রণে বিশেষ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

কারণ টক দই খাওয়ার ফলে অনেকক্ষণ পেট ভরার অনুভূতি দিবে ফলে বাড়তি খাবার ক্রেভিং থেকে আপনাকে দূরে রাখবে। তাই বাড়তি ওজন ঝরিয়ে কাঙ্খিত ওজন ধরে রাখতে আজকে থেকেই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় টক দই কে সঙ্গী করে নিন।

বার্ধক্য কমাতে টক দই খাওয়ার উপকারিতা

বার্ধক্য কমিয়ে তারুণ্য বজায় রাখতে নিয়মিত টক দই খেলে উপকার পাবেন। আমাদের সকলের যে বিষয়ে দুশ্চিন্তার শেষ নেই তা হল বয়স বেড়ে যাওয়া। নিয়মিত টক দই খেলে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়ার সাথে সাথে অকালে বুড়িয়ে যাওয়ার হাত থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়।

কারণ টক দইয়ে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের বয়সের ছাপ কমাতে, ত্বকের বলি রেখা দূর করতে এবং ত্বকের নতুন কোষ তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

দুধের বিকল্প হিসেবে টক দই খাওয়ার উপকারিতা

দুধের বিকল্প হিসেবে টক দই খেলেও পাবেন দুধের সমপরিমাণ উপকার। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা দুধ খেতে পারেন না। দুধ খেলেই তাদের এসিডিটি সহ হজমজনিত বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। আবার অনেকে দুধ খেতে পছন্দ করেন না। এ কারণে দুধে থাকা প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান থেকে তারা বঞ্চিত হয়। কিন্তু এই সমস্যার সমাধান দিতে পারে টক দই।

তাই যারা দুধ খেতে পছন্দ করেন না তারা দুধের বিকল্প হিসেবে নিয়মিত টক দই খেতে পারেন। টক দই সাথে বিভিন্ন ফল মিশিয়ে বা টক দইয়ের সাথে মধু, কিসমিস মিশিয়ে খেতে পারেন। এছাড়া চাইলে টক দই দিয়ে স্মুদি বানিয়ে খেলেও উপকার পাবেন।

সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে টক দই এর উপকার

টক দই থাকা বিভিন্ন ভিটামিন এবং খনিজ আমাদের সামগ্রিক সুস্থতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিয়মিত টক দই খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, বিভিন্ন ধরনের দীর্ঘমেয়াদী রোগ যেমনঃ হার্টের রোগ, ডায়াবেটিস, রক্তের কোলেস্টেরল ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়।

টক দই ক্যালসিয়ামের ভরপুর ভান্ডার। তাই নিয়মিত টক দই খেলে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দূর করা যায় সহজে। বিশেষ করে মহিলাদের টক দই খাওয়া বিশেষ উপকারী। এছাড়া টক দই খাওয়ার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। হজমজনিত সমস্যা দূর করতেও টক দই এর রয়েছে বিশেষ ভূমিকা।

ত্বকের যত্নে টক দই এর উপকারিতা

টক দই খেলে শুধু শরীর সুস্থ থাকে না, নিয়মিত টক দই খাওয়ার ফলে ত্বকের জন্যও রয়েছে অনেক উপকার। টক দইয়ে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট শরীর থেকে টক্সিন পদার্থ দূর করতে সহায়তা করে। ফলে ভেতর থেকে ত্বক থাকে সতেজ।

এছাড়া টক দই দিয়ে তৈরি ত্বকের ধরন অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের ফেসমাস্ক ব্যবহার করলেও অনেক উপকার পাওয়া যায়। সব ধরনের ত্বকের উপযোগী একটি ফেসমাস্ক নিচে দেওয়া হল-

এক থেকে দুই চামচ টক দইয়ের সাথে দুই চামচ বেসন, এক চিমটি কস্তুরী হলুদ এবং সামান্য মধু মিশিয়ে ফেসমাস্ক তৈরি করে পরিষ্কার ত্বক এবং গলায় ব্যবহার করলে উপকার পাবেন। এই ফেস মাস্ক ত্বকের ভেতর থেকে ময়লা বের করে ত্বককে করবে সজীব, ত্বক থাকবে বলিরেখামুক্ত এবং টানটান। এ ছাড়া এই ফেসমাস্কটি রোদে পোড়া দাগ দূর করতেও বিশেষ কার্যকরী।

চুলের যত্নে টক দই এর উপকারিতা

ত্বকের যত্নের সাথে সাথে চুলের যত্নেও টক দই রয়েছে বিশেষ উপকার। চুল পড়া বন্ধ করতে এবং চুলকে শাইনি করতে টক দই দিয়ে হেয়ারমাস্ক  তৈরি করে ব্যবহার করলে উপকার পাবেন। এছাড়া টক দই দিয়ে তৈরি হেয়ারমাস্ক চুলকে ঘন কালো করার সাথে সাথে চুলের আদ্রতা বজায় রাখবে এবং চুলকে করবে মজবুত এবং চকচকে।

তিন থেকে চার চা চামচ টক দই এর সাথে দুই তিন চা চামচ এলোভেরা জেল, দুইটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল এবং দুই তিন চামচ নারিকেল তেল মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করতে পারেন। সপ্তাহে এক থেকে দুইবার এই হেয়ারমাস্ক ব্যবহারে কিছুদিনের মধ্যেই চুলের পরিবর্তন আপনি নিজেই লক্ষ্য করতে পারবেন।

টক-দই-খাওয়ার-উপকারিতা

ওজন কমাতে টক দই খাওয়ার নিয়ম

ওজন কমাতে টক দই খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আপনারা অনেকেই জানতে চান। ওজন কমানো খুব একটা সহজ কাজ নয়। ওজন কমাতে নিয়মিত ব্যায়াম করার পাশাপাশি ওজন কমানোর সহায়ক খাবার গুলো প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখা জরুরি। ওজন কমাতে সহায়ক এরকম একটি খাবার হল টক দই।

ওজন কমাতে টক দই রয়েছে বিশেষ ভূমিকা। এমন একটি খাবার যেটি আপনার ওজন কমানোর সাথে সাথে শরীরের অন্যান্য পুষ্টির চাহিদাও পূরণ করবে। এ কারণে পুষ্টিবিদ গণ ওজন কমাতে টক দই খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

কিন্তু শুধু টক দই খেলেই হবে না, টক দই খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কেও জানতে হবে। অর্থাৎ কোন নিয়মে টক দই খেলে ওজন কমানো সহজ হবে তা জানা জরুরী।

পোষ্টের এই অংশে ওজন কমাতে টক দই খাওয়ার নিয়ম জানার জন্য আমাদের সাথেই থাকুন।

ফলের সাথে টক দইঃ ওজন কমাতে বিভিন্ন ফল টক দইয়ের সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন খেলে উপকার পাবেন। টক দইয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন ফলের ভিটামিন এবং মিনারেলস আপনার শরীরে পুষ্টি যোগানোর সাথে সাথে, ফলে থাকা ফাইবার আপনাকে দিবে অনেকক্ষণ পেট ভরার অনুভূতি।

যা আপনাকে অতিরিক্ত খাওয়া থেকে নিয়ন্ত্রণে রাখবে। টক দই এর সাথে বিভিন্ন রকম ফল আপনি খেতে পারেন। যেমনঃ আপেল, কমলার টুকরো, আঙ্গুর, পেয়ারা, ডালিম ইত্যাদি।

কালোজিরার সাথে টক দইঃ ওজন কমাতে প্রতিদিন টক দইয়ের সাথে কালোজিরা খেতে পারেন। এতেও আপনার ওজন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

চিয়া সিডের সাথে টক দইঃ ওজন কমাতে আপনাকে দারুন সহায়তা করবে তিনি সকালে ঘুম থেকে উঠে চিয়া সিটের সাথে টক দই মিশিয়ে খেলে। এই দুর্দান্ত উপায়টি ওজন কমাতে অনেকেই ব্যবহার করে উপকার পেয়েছেন।

সালাদের সাথে টক দইঃ টক দইয়ের সাথে শসা টমেটো গাজর এবং পুদিনা পাতা দিয়ে সাথে চাইলে আপনি ফলও দিতে পারেন, সালাদ বানিয়ে দুপুরের খাবারের বিকল্প হিসেবে খেলে ওজন কমাতে সহায়ক হবে।

বিভিন্ন বাদামের সঙ্গে টক দইঃ ওজন কমাতে সন্ধ্যার একটি পরিপূর্ণ নাস্তার অংশ হিসেবে বিভিন্ন বা দাম যেমনঃ কাঠবাদাম, কাজুবাদাম আখরোট চিনা বাদাম মিশিয়ে খেতে পারেন। ওজন কমানোর সাথে সাথে এতেও আপনি পাবেন পরিপূর্ণ পুষ্টি।

ওটসের সাথে টক দইঃ ওজন কমানোর জন্য রাতের খাবারের বিকল্প উপায় হিসেবে ওটস এর সাথে টক দই মিশিয়ে খেতে পারেন। ওজন কমানোর জন্য এই নিয়মে টকদের সাথে ওটস মিলিয়ে খেলে দারুন উপকার পাবেন।

সবজি ও টক দই দিয়েই রায়তাঃ ওজন কমাতে টক দইয়ের সাথে বিভিন্ন সবজি যেমনঃ টমেটো, শসা দিয়ে সাথে পেঁয়াজকুচি, ধনিয়া পাতা কুচি, কাঁচা মরিচ কুচি, গোলমরিচের গুড়া দিয়ে তৈরি করতে পারেন রায়তা। সকাল এবং দুপুরের মধ্যবর্তী সময়ে এই খাবারটি খেলে আপনার ওজন কমাতে সহায়তা করবে।

শুধু টক দইঃ ওজন কমাতে শুধু টক দই খেতে পারেন। সকালে নাস্তার পরে বা দুপুরের খাবারের পরে এক বাটি টক দই আপনার ওজন কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। চাইলে আপনি শসা কুচি মিশিয়ে এই খাবারটি বিকেলেও খেতে পারেন।

ওজন কমাতে টক দই খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে উপরে আলোচনা করেছি। ওজন কমাতে টক দই বিশেষ সহায়ক হলেও আপনাকে দৈনন্দিন খাবারের দিকেও বিশেষ নজর দিতে হবে। ওজন কমানোর সহায়ক আরো অন্যান্য খাবার আপনার খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন।

এছাড়া ওজন কমাতে অবশ্যই একটি ব্যাপার খেয়াল রাখতে হবে, একেবারে বেশি না খেয়ে প্রতিদিনের খাবার অল্প অল্প করে বারে বারে খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। দেখুন, ওজন কমানো একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। নিয়মিত ব্যায়াম এবং সঠিক খাবার পরিকল্পনা গ্রহণের মাধ্যমে আপনি আপনার ওজন কমানোর কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন।

টক দইয়ে কি কি পুষ্টি উপাদান রয়েছে

টক দই এ কি কি পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান সে সম্পর্কে এখন আলোচনা করব। টক দই বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ একটি খাবার। টক দই এ থাকা এই সকল পুষ্টি উপাদান আমাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

এছাড়া যারা অতিরিক্ত ওজন কমানোর প্রচেষ্টায় রয়েছেন তাদের জন্যও টক দই বিশেষ কার্যকরী। নিয়ম মেনে টক দই খেলে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়ার সাথে সাথে কাঙ্খিত ওজনে পৌঁছাতে সহজ হয়।

আরো পড়ুনঃ সকালে খালি পেটে রসুন খাওয়ার উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম

টক দই এ রয়েছে প্রোবায়োটিক নামক একটি বিশেষ উপাদান, যা পেটের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে কার্যকর। এছাড়া টক দই রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন বি ৬, ভিটামিন বি ১২, ফাইবার, বিভিন্ন ধরনের খনিজ যেমনঃ ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়া্ম, ফসফরাস, সেলেনিয়াম, জিংক সহ আরো অনেক উপকারী উপাদান।

এই সকল ভিটামিন এবং পুষ্টি উপাদানের জন্যই টক দই আমাদের শরীরের সুস্থতা বজায় রাখার সাথে সাথে আরো অনেক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

সকালে খালি পেটে টক দই খাওয়ার উপকারিতা

সকালে খালি পেটে টক দই খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে পোষ্টের এই পর্যায়ে জানতে পারবেন। টক দই একটি দুগ্ধজাত বিভিন্ন ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ পুষ্টিকর খাবার। বিভিন্নভাবে আমরা আমাদের প্রতিদিনের ডায়েটে টক দই রেখে উপকার পেতে পারি। ব্যক্তি বিশেষে টক দই খাওয়ার সময়ের ব্যাপারে ভিন্নতা থাকলেও, সকালে টক দই খাওয়া একটি ভালো সিদ্ধান্ত বলে বিবেচিত হয়।

দিনের শুরুটা যদি হয় টক দই এর মত একটি পরিপূর্ণ খাবার দিয়ে তাহলে সারাদিনই শরীরে পুষ্টি যোগানোর সাথে সাথে আরো বিভিন্ন ধরনের উপকার সহজে পাওয়া সম্ভব। তাই অনেকেই আছেন যারা সকালে টক দই খেয়ে দিন শুরু করতে পছন্দ করেন। আপনি যদি এখনো সকালে টক দই না খেয়ে থাকেন তাহলে আজকে থেকেই শুরু করতে পারেন।

সকালে খালিপেটে  টক দই খাওয়ার যে সকল উপকারিতা পাওয়া যায় তা জেনে নিনঃ

স্বাস্থ্যকর নাস্তার অংশ হিসেবে টক দইঃ অনেকেই সকালে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার দিয়ে দিনের শুরু করতে চান। তাদের জন্য এটি একটি খুব ভালো সিদ্ধান্ত। আর এই স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের তালিকার মধ্যে রয়েছে টক দই। সকালে বিভিন্ন ফল দিয়ে টক দই খেতে পারেন। এতে টক দইয়ের উপকারিতা পাওয়ার সাথে সাথে বিভিন্ন ফলের ভিটামিন এবং পুষ্টি উপাদানও আপনার শরীর পাবে।

হজম জনিত সমস্যা সমাধানে টক দইঃ যারা প্রায়ই হজমজনিত সমস্যায় ভোগেন তারা টক দই সকালে নিয়মিত খেলে উপকার পাবেন। সকালে টক দই খাওয়ার ফলে আপনার হজমজনিত সমস্যা দূর হবে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো রোগ থেকে দূরে থাকতে পারবেন। দিনের শুরুটা টক দই এর সাথে হলে কিছুদিনের মধ্যেই প্রতিদিনের এই অভ্যাস  আপনার হজম প্রক্রিয়া সহজ করে তুলবে।

ওজন নিয়ন্ত্রণ করবে টক দইঃ যারা অতিরিক্ত ওজন কমাতে চান তাদের জন্য সকালে টক দই খাওয়া একটি বেস্ট অপশন। টক দইয়ের সাথে বিভিন্ন ধরনের ফল মিক্সড করে খাওয়ার ফলে অনেকক্ষণ পেট ভরার অনুভূতি দিবে এবং আপনাকে অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত রাখবে। তাই আপনার যদি লক্ষ্য হয় ওজন কমানো তাহলে আজকে থেকেই সকালের খাবার হিসেবে টক দই খাওয়া শুরু করুন।

আরো পড়ুনঃ সকালে যেসব খাবার খেলে দ্রুত ওজন কমবে

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে টক দইঃ টক দই থাকা বিভিন্ন ভিটামিন এবং মিনারেলস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই সকালে শুরুটা যদি হয় টক দইয়ের মত উপকারী একটি খাবার দিয়ে তাহলে স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারই বটে।

হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধিতে টক দইঃ টক দইয়ে থাকা বিভিন্ন ধরনের খনিজ উপাদান আমাদের হাড়ের গঠনে এবং হাড়কে মজবুত করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। কিন্তু আপনি যদি টক দই সকালে আপনার ডায়েটে রাখেন, তাহলে টক দই এ থাকা ক্যালসিয়াম শুধু আপনার হাড়কে মজবুতই করবে না, হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

বিশেষ করে মহিলাদের হাড়কে মজবুত করতে, হাড়ের ক্ষয়জনিত রোগ প্রতিরোধ করতে এবং হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধিতে নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ মত সকালে টক দই খেতে পারেন।

শরীরকে চাঙ্গা রাখবে টক দইঃ সকালের নাস্তার স্বাস্থ্যকর বিকল্প হিসেবে আপনি যদি টক দই প্রতিদিনের ডায়েটে রাখেন, তাহলে সারাদিন আপনা্র শরীরকে চাঙ্গা রাখার অনুভূতি দিবে। কারণ টক দইয়ে থাকা বিভিন্ন ভিটামিন এবং পুষ্টি উপাদান যেমন আপনার শরীরকে বিভিন্ন রোগ থেকে দূরে রাখবে, তেমনি সারাদিন আপনার শরীরকে ঠান্ডা রেখে মেজাজ রাখবে ফুরফুরে।।

টক দই খাওয়ার উপযুক্ত সময়

টক দই খাওয়ার উপযুক্ত সময় কখন বা টক দই দিনের কোন সময় খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায় এ সম্পর্কে আপনি যদি জানতে চান তাহলে পোষ্টের এই পর্যায়ে জানতে পারবেন। টক দই বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ একটি খাবার এবং টক দই খেলে আমাদের স্বাস্থ্যের উপর বিভিন্ন ধরনের উপকার পাওয়া যা

সাধারণত টক দই খাওয়ার উপযুক্ত সময় সকাল বলা হয়। কোন কোন পুষ্টিবিদ আবার বিকেলে টক দই খাওয়ার আদর্শ সময় বলে থাকেন। তাদের মতে, বিকেলে দই খেলে হজম প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হতে পারে। 

টক-দই-খাওয়ার-উপকারিতা

আয়ুর্বেদিক মতে, সন্ধ্যার পর বা রাতে টক দই না খাওয়াই ভালো। রাতে টক দই খাওয়ার ফলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা যেমনঃ কারো কারো ক্ষেত্রে এসিডিটি বাড়তে পারে, যারা ঠান্ডা জনিত সমস্যায় ভুগছেন তাদের বুকে কফ জমে যেতে পারে ইত্যাদি।

অনেক ক্ষেত্রে আবার টক দই রাতে খাওয়ার ব্যাপারে পছন্দ রয়েছে। অনেকে মনে করেন রাতে টক দই খাওয়ার ফলে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে এবং ভালো ঘুমের নিশ্চয়তা প্রদান করে। এছাড়া রাতে টক দই খাওয়ার ফলে হজম প্রক্রিয়াও সুষ্ঠু হতে পারে। তবে রাতে সুষম খাবারের অংশ হিসেবে পরিমিত পরিমাণে টক দই খাওয়ার কথা বলা হয়।

টক দই কখন খাবেন বা টক দই খাওয়ার উপযুক্ত সময় কোনটি এটি সম্পূর্ণ নির্ভর করবে আপনার প্রতিক্রিয়ার উপর। এছাড়া আপনি যদি কোন শারীরিক কোন সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যে টক দই খাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, যেমনঃ ওজন কমানো জন্য, সেক্ষেত্রে আপনার পুষ্টিবিদের পরামর্শ দেওয়া ভালো হবে।

প্রতিদিন কতটুকু টক দই খাওয়া স্বাস্থ্যসম্মত

প্রতিদিন কতটুকু টক দই খাওয়া স্বাস্থ্য সম্মত তা জানতে চান অনেকে। দই খাওয়ার ফলে স্বাস্থ্যের জন্য বিভিন্ন ভাবে উপকার পাওয়া যায়। তবে প্রতিদিন কতটুকু টক দই খেলে তা আমাদের স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়বে না তা জানাটা জরুরী। অর্থাৎ দৈনিক কতটুকু পরিমান টক দই আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপযোগী।

সাধারণত প্রতিদিন একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির জন্য ১০০ থেকে ২০০ গ্রাম টক দই খাওয়ার কথা বলা হয়ে থাকে। এটি সাধারণ কাপের আধা কাপ পরিমাণ নির্দেশকে বুঝায়। তবে ২০০ থেকে ৩০০ গ্রাম পর্যন্ত টক দই খাওয়ার ব্যাপারে নির্দেশ দেয়া হয়। এর চেয়ে বেশি না খাওয়াই ভালো হবে বলে নির্দেশনা রয়েছে।

আরো পড়ুনঃ তেঁতুল খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা জেনে নেই

আবার যারা ওজন নিয়ন্ত্রণ বা ওজন কমানোর জন্য টক দই খেতে চান তাদের জন্য ১০০ গ্রাম খাওয়া ভালো নির্দেশ প্রদান করে।

আবার USDA এর মতে,  ৯ থেকে শুরু করে বেশি বয়সের জন্য তিন কাপের সমান টক দই খাওয়ার ব্যাপারে সুপারিশ রয়েছে। তাই বয়স অনুযায়ী এবং আপনার লক্ষ্যকে টার্গেট করে প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ টক দই খাদ্য তালিকায় রাখাটা ভালো সিদ্ধান্ত হবে।

টক দই খাওয়ার কি অপকারিতা রয়েছে

টক দই খাওয়ার কোন উপকারিতা রয়েছে কিনা সে সম্পর্কে যদি জানতে চান তাহলে এই অংশটি পড়ুন। টক দই আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য বিভিন্ন উপকার বয়ে নিয়ে আসলেও, অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে তাহলে কি টক দই খাওয়ার কোন অপকারিতা নেই।

আসলে টক দই খাওয়ার অপকারিতা খুব একটা নেই বললেই চলে। তবে টক দই খাওয়ার সময় কিছু ব্যাপার অবশ্যই মনে রাখা দরকার। যেমনঃ
  • আয়ুর্বেদিক মতে, টক দই কখনোই গরম করে খাওয়া ঠিক নয়। কারণ এতে টক দইয়ের পুষ্টি গুনাগুন নষ্ট হওয়ার সাথে সাথে তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
  • টক দই যদিও নষ্ট হয়েছে কিনা তা বুঝার উপায় নেই কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে টক দইয়ের বিশেষ গন্ধ থেকে যদি মনে হয় যে টক দইটি খাওয়ার উপযুক্ত নয় তাহলে না খাওয়াই ভালো হবে।
  • সাধারণত মাছ-মাংসের সাথে টক দই না খাওয়ার কথা বলা হয়ে থাকে।
  • অনেকের ক্ষেত্রে রাতে টক দই এড়িয়ে চলাই ভালো সিদ্ধান্ত হবে।
  • বলা হয়ে থাকে টক দই প্রতিদিন না খেয়ে মাঝে মাঝে বিরতি দিয়ে খাওয়া ভালো সিদ্ধান্ত হবে।
  • কিছু কিছু রোগের ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মত টক দই গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
  • অতিরিক্ত টক দই খাওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেয়া হয়। অতিরিক্ত টক দই খাওয়ার ফলে শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পেতে পারে।
  • দুধ এবং টক দই একসাথে না খাওয়ার ব্যাপারে পরামর্শ দেয়া হয়

পরিশেষে

টক দই খাওয়ার উপকারিতা এবং সকালে টক দই খেলে যে বিশেষ উপকার পাওয়া যায় এই পোস্টে তা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আমরা অনেকেই টক দই খেতে পছন্দ করি। টক দই এ থাকা বিভিন্ন ভিটামিন, খনিজ এবং উপকারী ব্যাকটেরিয়া আমাদের সুস্বাস্থ্য রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

যারা সবসময় হজম জনিত সমস্যায় ভুগেন, যারা অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টায় রয়েছেন তাদের জন্য টক দই বিশেষ উপকারী। তাই বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা পেতে উপকারী এই খাবারটি আপনার প্রতি দিনের ডায়েটে পরিমাণ মতো রাখতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

passiondrivefiona র নীতিমালা মেনে comment করুন। প্রতিটি comment রিভিউ করা হয়;

comment url