আমলকির উপকারিতা ও অপকারিতা - কাঁচা আমলকি খাওয়ার উপকারিতা

আমলকির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আজকের ব্লগ পোস্টে আলোচনা করতে চলেছি। ভেষজ ঔষুধি গুনাগুন সম্পন্ন আমলকির উপকারিতা আমাদের স্বাস্থ্যের উপর উল্লেখযোগ্য ভাবে পরিলক্ষিত হয়। কিছু ব্যক্তির ক্ষেত্রে আবার অপকারিতও লক্ষ্য করা যায়। আরো আলোচনা করব কাঁচা আমলকি খাওয়ার উপকারিতা।

আমলকির-উপকারিতা-অপকারিতা

পোস্ট সূচীপত্র:আমলকির ঔষধি গুনাগুন ইউনানী এবং আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার উপাদান হিসেবে প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগব্যাধি সারাতে, সুস্বাস্থ্য রক্ষায়, চুলের যত্নে আমলকির বহুল ব্যবহার রয়েছে। আমলকির ইউনানী নাম আমলা এবং আয়ুর্বেদিক নাম শ্রীফল বা অমৃত ফল। এই ফলের ইংরেজি নাম Emblic Myrobalan.

আমলকিতে কি কি ভিটামিন রয়েছে

আমলকির উপকারিতা ও অপকারিতা আলোচনা করার আগে আমলকিতে কি কি ভিটামিন রয়েছে সে সম্পর্কে আপনাদের জানিয়ে রাখি। আমলকি বা আমলা বিভিন্ন ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থে ভরপুর ছোট একটি ফল। আমলকিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর ভান্ডার।

ভিটামিন সি ছাড়াও আমলকিতে আরো রয়েছে ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি২ সহ বিভিন্ন উপকারী খনিজ যেমনঃ আয়রন, ক্যালসিয়াম ফসফরাস এবং বিভিন্ন ধরনের জৈব এসিড।

আরো পড়ুনঃ সকালে খালি পেটে মধু ও কালিজিরা খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা

এই সকল ভিটামিন এবং খনিজের জন্যই বিভিন্ন রোগ সারাতে ইউনানী এবং আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা সহ ঘরোয়া চিকিৎসার উপাদান হিসেবে আমলকি বহুদিন ধরেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আমলকি ফল হিসেবে খেলে যেমন উপকার মিলবে তেমনি বিভিন্ন রোগে ঔষধ হিসেবে খেলেও দারুন উপকার পাবেন। স্বাদে টক আমলকি Euphorbiaceae পরিবারের সদস্য।

আমলকির উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো জেনে নিন

আমলকির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে এখন আপনাদের জানাবো। আমাদের শরীরের সুস্থতায় এবং বিভিন্ন রোগ সারিয়ে তুলতে আমলকির উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। হৃদ রোগ থেকে মস্তিষ্কের দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে নিয়মিত আমলকি খেলে উপকার পাওয়া যায়।

ডায়াবেটিস এবং হজম শক্তি বৃদ্ধিতেও আমলকির জুড়ি মেলা ভার। চুল পড়া বন্ধ করতে, চুলের অন্যান্য সমস্যা সমাধানে আমলকির ব্যবহার আমরা কম বেশি সবাই জানি। এছাড়া ভিটামিন বি১ এবং বি২ অভাব জনিত রোগ ভালো করতে নিয়মিত আমলকি খেলে সুফল মিলে। আমলকির এই সকল গুনাগুনের জন্যই সকলের কাছে প্রিয় একটি ফল আমলকি।

তবে এত সব উপকারিতা যে ফলের মধ্যে রয়েছে কিছু কিছু ক্ষেত্রে অপকারিতাও লক্ষ্য করা যায়। যেসব ব্যক্তির ক্ষেত্রে আমলকি খাওয়ার অপকারী দিক রয়েছে সে ব্যাপারেও এই পয়েন্টে আলোচনা করব।

নিচে আমলকির ২০টি উপকারিতা গুলো জেনে নিন-

হজম শক্তি বৃদ্ধিতে আমলকি

আমলকিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, তাই আপনারা যারা প্রায়ই হজম জনিত সমস্যায় ভুগেন, কোন কিছু খেলেই যেন হজম হতে চায় না, তারা নিয়মিত শুকনো আমলকির গুঁড়ো পানিতে ভিজিয়ে সেই পানি পান করলে হজমজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

এক্ষেত্রে এক থেকে দুই চা চামচ শুকনো আমলকির গুঁড়ো এক কাপ পানিতে এক থেকে দুই ঘন্টা ভিজিয়ে রাখার পর ছেঁকে নিয়ে দিনে তিন থেকে চারবার এই পানি পান করতে হবে। নিয়মিত এই পানি পান করলে আপনি হজম জনিত যে কোন সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পেতে পারেন।

রক্তের কোলেস্টেরল কমাতে আমলকি

রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে হার্টের সমস্যা সহ নানা ধরনের সমস্যা শরীরে বাসা বাঁধে। রক্ত নালীগুলোতে চর্বি জমতে দেখা যায়, এর ফলে রক্ত প্রবাহ প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়।

আমলকিতে থাকা ক্রোমিয়াম রক্তে এলডিএল কোলেস্টেরল কমাতে সহায়তা করে, ফলে রক্তের কোলেস্টোলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়।

হার্টের সুস্থতায় আমলকির ব্যবহার

বয়স একটু বাড়লেই যেন হার্টের রোগ শরীরে বাসা বাঁধে। এছাড়া অল্প বয়সে অনেকের হার্টের রোগ হতে দেখা যায়। হার্টের যেকোনো রোগ থেকে মুক্তি পেতে এবং হার্টের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত আমলকি সেবনে উপকার পাবেন।

আরো পড়ুনঃ কোলেস্টেরল কমাতে খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে যেসব খাবার

হাটের সুস্থতায় চার থেকে পাঁচটি আমলকির মোরব্বা প্রতিদিন তিন থেকে চার সেবনে খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। নিয়মিত কিছুদিন খেলেই আপনি আপনার হার্টের সমস্যার উন্নতি দেখতে পারবেন।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আমলকি

হার্টের সুস্থতার পাশাপাশি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও আমলকির গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার রয়েছে। নিয়মিত আমলকি খেলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়। ফলে ডায়াবেটিস এর মতো নিরব ঘাতক রোগ থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত আমলকি খেতে পারেন।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে আমলকি

ছোট একটি ফল আমলকিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। ভিটামিন সি আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। তাই যারা ভিটামিন সি অভাবজনিত রোগে ভুগেন তারা নিয়মিত আমলকি খেলে উপকার পাবেন।

এজন্য দুই থেকে তিন চা চামচ কাঁচা আমলকির রস প্রতিদিন সকাল এবং বিকেলে মধুসহ পান করলে সুফল পাবেন।

ঠান্ডা জনিত রোগ এবং গলা ব্যথা ভাল করতে

মৌসুম চেঞ্জ হলেই অনেকেই সর্দি জনিত সমস্যায় বেশি ভুগেন সাথে গলা ব্যথা তো আছেই। এই ধরনের সর্দি থেকে মুক্তি পেতে এবং গলা ব্যথা ভালো করতে নিয়মিত আমলকির রস খেতে পারেন।

চার থেকে পাঁচটি কাঁচা আমলকির ছেঁচে রস বের করে মধুসহ সকাল এবং বিকেলে খেলে এই সমস্যা থেকে সহসাই মুক্তি পাবেন।

মস্তিষ্কের শক্তি বৃদ্ধিতে আমলকি

মস্তিষ্কের শক্তি বৃদ্ধিকারী হিসেবে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকগণ আমলকি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। নিয়মিত আমলকি খেলে আপনার মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

প্রতিদিন গোটা আমলকির আচার বা মোরব্বা চার থেকে পাঁচটি খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। এই পরিমাণ আপনি দিনের সময়কে তিন থেকে চার ভাগ করে নিয়েও খেতে পারেন।

চোখের যত্নে আমলকির ব্যবহার

চোখের যে কোন সমস্যা যেমন চোখের ছানি পড়া রোধ করতে, দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে, চোখের হলুদ ভাব দূর করতে নিয়মিত আমলকি খেলে উপকার পাবেন। আমলকিতে থাকা ভিটামিন এ এবং ক্যারোটিন মেলাননিক নামক উপাদান চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

এজন্য নিয়ম করে প্রতিদিন আমলকি রসের সাথে মধু মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন।

বমি ভাব দূর করবে আমলকি

হজমজনিত সমস্যা দূর করার পাশাপাশি আমলকি বমি ভাব দূর করতেও দারুণ কার্যকরী। অনেকের বিভিন্ন কারণে সব সময় বমি বমি ভাব অনুভব করেন এবং বমি হতেও দেখা যায়।

বমি বমি ভাব দূর করতে এবং বমি বন্ধে নিয়মিত শুকনো আমলকির গুঁড়ো পানিতে ভিজিয়ে খেলে উপকার পাবেন।

মূত্র বৃদ্ধিকারী হিসেবে আমলকি

আমলকি প্রস্রাবের মাত্রা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। তাই যারা প্রায়ই প্রস্রাবের সংক্রমণ জনিত সমস্যায় ভুগেন তারা নিয়মিত আমলকি খেলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এছাড়া কিডনির সুস্থতার জন্যও নিয়মিত আমলকি খেতে পারেন।

পাইলস থেকে মুক্তি দিবে আমলকি

অনেকেই আছেন যারা পাইলসের মতো কঠিন সমস্যা সারা বছর ভুগেন। অনেক সময় পাইলসের সমস্যায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হতেও দেখা যায়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আয়ুর্বেদিক গন আমলকি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

নিয়মিত আমলকির গুঁড়ো পানি বা টক দইয়ের সাথে মিশিয়ে পান করলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

অনেক সময় আবার অনেকের মলের সঙ্গে রক্তপাত হতে দেখা যায়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আমলকি রসের সাথে মধু মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন।

রক্ত বৃদ্ধিতে আমলকি

আমলকিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। এই ভিটামিন সি আমাদের শরীরের রক্তের শ্বেত কণিকা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

আপনি যদি রক্তশূন্যতায় ভোগেন তাহলে আপনার শরীরে রক্তের উৎপাদন বৃদ্ধিতে নিয়মিত আমলকি খেলে সুফল পাবেন।

জন্ডিস রোগ ভালো করতে আমলকি

জন্ডিস হল একটি লিভারের প্রদাহ জনিত রোগ। এই রোগ হলে চোখের সাদা অংশ হলুদ হয়ে যায় এবং শরীরের ত্বকও হলুদ হতে দেখা যায়। জন্ডিস থেকে দূরে থাকতে আমাদের লিভারকে ভালো এবং সুস্থ রাখতে হবে।

নিয়মিত আমলকির পেস্টের সাথে মধু মিশিয়ে বা আমলকির গুঁড়ো পানির সাথে মিশিয়ে পান করলে জন্ডিসের মতো রোগ হতে দূরে থাকা যায়।

আমলকির-উপকারিতা-অপকারিতা

বাতের ব্যথা থেকে মুক্তি দেবে আমলকি

একটু বয়স বাড়লেই যেন বাতের ব্যথার মতো অসহ্যকর রোগ শরীরে বাসা বাঁধে। এই ধরনের গাটের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত আমলকির রস বা আমলকির গুঁড়ো পানির সাথে মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন।

মাসিকের সমস্যা দূর করতে আমলকি

অনেক মহিলাই আছেন যারা প্রায়ই অনিয়মিত মাসিকের সমস্যায় ভুগেন। অনিয়মিত এই মাসিকের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত আমলকি খেলে উপকার পাবেন।

আমলকিতে থাকা বিভিন্ন ভিটামিন এবং খনিজের কারণে মহিলাদের মাসিকের যে কোন সমস্যা দূর করতে দারুন কার্যকরী।

দাঁত কে শক্ত মজবুত করবে আমলকি

অনেকেরই দাঁতের গোড়া ব্যথা সহ, দাঁতের গোড়া ফুলে যাওয়া এবং মাড়ি থেকে রক্ত পড়ার সমস্যা দেখা যায়। দাঁতকে শক্ত, মজবুত করতে এবং দাঁতের গোড়া থেকে রক্ত পড়া বন্ধ করতে নিয়মিত আমলকি রস পান করতে পারেন।

এছাড়া মুখের দুর্গন্ধ দূর করতেও আমলকির বিশেষ কার্যকারিতা রয়েছে।

এসিডিটি থেকে মুক্তি দিবে আমলকি

আমাদের অনেকেরই বাজে খাদ্যাভ্যাস, দেরিতে খাওয়া, জাঙ্ক ফুড এবং ফাস্টফুড বেশি খাওয়া ইত্যাদি কারণে এসিডিটির মতো সমস্যা দেখা দেয়। এসিডিটি সমস্যা দূর করতে নিয়মিত দিনে দুইবার আমলকির গুঁড়ো পানি এবং মধুর সাথে মিশিয়ে খেলে এসিডিটির সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

মুখে রুচি বৃদ্ধি করবে আমলকি

আমাদের বিভিন্ন সময় খাবার রুচি কমে যেতে দেখা যায়। বিশেষ করে কোন অসুস্থতায় বা অসুস্থ অবস্থা থেকে সেরে ওঠার পর খাওয়ার রুচি যেন কমে যায়। এই সময় আপনি যদি আপনার খাবারে আমলকির আচার বা মোরব্বা যোগ করতে পারেন তাহলে আপনার খাওয়ার রুচি বৃদ্ধি পাবে।

বয়সের ছাপ দূর করবে আমলকি

যান্ত্রিক এই জীবনে অল্প বয়সেই যেন ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেখা যায়। ত্বকে বয়সের ছাপ দূর করতে এবং অল্প বয়সে বয়সে ছাপকে রুখে দিতে নিয়মিত আমলকি খেতে পারেন।

আমলকিতে থাকা ভিটামিন সি আমাদের ত্বকের নতুন কোষ তৈরি করে ত্বকের বলি রেখা দূর করে ত্বকের তারুণ্য বজায় রাখতে এবং ত্বককে টানটান করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

চুলের যত্নে আমলকির ব্যবহার

আমলকি আমাদের শরীরে বিভিন্ন রোগ ব্যাধি হতে যেমন রক্ষা করে তেমনি চুলের যত্নেও আমলকি ব্যবহারে রয়েছে দারুন উপকার। চুলকে ঘন কালো এবং মসৃণ করতে নিয়মিত আমলকি বা আমলকির পেস্ট ব্যবহারে উপকার পাওয়া যায়। চুলের যত্নে আমলকির গুনাগুনের জন্যইবিভিন্ন হেয়ার অয়েল বা হেয়ার টনিক গুলিতে আমলকি ব্যবহার করা হয়।

যারা চুল পড়ার সমস্যায় ভুগেন তারা নিয়মিত শুকনো আমলকির গুড়ো পেস্ট করে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে ফেললে উপকার পাবেন। এর সাথে দিতে পারেন পরিমাণ মতো নারিকেল তেল।

আরো পড়ুনঃ ত্বক চুলের যত্নে পেয়ারা পাতার কার্যকারিতা

অল্প বয়সে চুল পাকার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত চুলে আমলকি ব্যবহার করতে পারেন। আমলকি এবং জবা ফুলের মিশ্রণ চুলের গোড়ায় নিয়মিত লাগালে চুল পাকা সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।এছাড়া চুলের বৃদ্ধি দ্রুত করতেও আমলকির দারুন কার্যকারিতা রয়েছে।

এই পর্যায়ে আমলকির অপকারিতা গুলো জেনে নিনঃ

আমলকির উপকারিতা সম্পর্কে আমরা উপরে জেনেছি। এখন আপনাদের মনে অবশ্যই প্রশ্ন জেগেছে, আমলকির কোন অপকারী দিক আছে কিনা। সত্যি কথা বলতে, কিছু কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া আমলকির অপকারী দিক বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া খুব একটা লক্ষ্য করা যায় না। তারপরেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমলকি খাওয়ার ব্যাপারে অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে।

আমলকির অপকারী দিকগুলো নিচে দেয়া হল-

  • নিয়মিত আমলকি খাওয়ার ফলে বিভিন্ন রোগ থেকে দূরে থাকা যায়। কিন্তু অবশ্যই তা হতে হবে পরিমিত পরিমাণে। অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো নয়। তাই আমলকি অধিক মাত্রা সেবন করা ঠিক নয়।
  • অধিক মাত্রায় আমলকি খাওয়ার ফলে অনেক সময় বমি ভাব, পেট ফুলে যাওয়া, পেট ব্যথার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমলকি খাওয়ার এনার্জিজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। মুখের চারপাশে ফুলে যেতে পারে, র‍্যাস হতে পারে, অনেক সময় তা ফুসকুড়ি আকারে দেখা দিতে পারে। এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই আমলকি খাওয়া বন্ধ করতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।
  • আমলকি খাওয়ার অ্যালার্জিজনিত সমস্যার কারণে অনেকের মাথাব্যথা, মাথা ঘুরানোর মত সমস্যা হতে পারে।
  • যাদের ভিটামিন সি খেলে এসিডিটির সমস্যা দেখা যায় তাদের আমলকি এড়িয়ে চলাই ভালো হবে।

আমলকি খাওয়ার নিয়ম জেনে নিন

আমলকির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করার পর এখন আপনাদের জানাবো আমলকি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। আমলকি বিভিন্নভাবে আপনার খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন যেমনঃ আমলকি ছেঁচে রস বের করে, আমলকির কুচি সালাদের অংশ হিসেবে, আমলকির আচার, আমলকির মোরব্বা, আমলকির ভর্তা ইত্যাদি।

অনেকে শুকনো আমলকির গুঁড়ো পানি দিয়ে মিশিয়ে খেতে পছন্দ করেন। তবে বিশেষজ্ঞগণ বলে থাকেন, আমলকি সিদ্ধ করে খাওয়ার চেয়ে কাঁচা যে কোনোভাবে খাওয়াই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। কারণ আমলকি সিদ্ধ করার ফলে এতে থাকা ভিটামিন সি অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায়।

তাই আমলকি থেকে পরিপূর্ণ ভিটামিন সি পেতে কাঁচা আমলকি বা কাঁচা আমলকির রস বা আমলকি পেস্ট বানিয়ে বা আমলকির সালাদ খাওয়ার কথা বলা হয়ে থাকে।

আপনি যদি আমলকির গুনাগুনকে আরো একটু বাড়িয়ে তুলতে চান তাহলে বিভিন্ন জুসের সাথে আমলকি রস মিশিয়ে খেতে পারেন।

ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে আমলকি খাওয়ার নিয়ম

আমলকি খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে আমাদের স্বাস্থ্যের উপর। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতেও আমলকি খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে বহুগুণ। এখন আপনারা জানতে পারবেন ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে আমলকি খাওয়ার নিয়ম।

উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে এবং ত্বক থেকে যে কোনো ধরনের দাগ দূর করতে আমরা বিভিন্ন ধরনের প্রচেষ্টা সবসময়ই করে থাকি। এজন্য অনেক সময় আমরা বাজার থেকে ক্ষতিকর কেমিক্যাল যুক্ত ক্রিম ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু একটু ধৈর্য নিয়ে নিয়মিত একটি পানীয় পান করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি সহ যে কোন দাগ দূর করতে দারুণ সহায়ক হবে।

এই পানীয় টি বানাতে লাগবে অর্ধেক বিটরুট কুচি করা, দুই থেকে তিনটি আমলকি কুচি করে নিয়ে এক কাপ পানির সাথে ব্লেন্ডারে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। ব্লেন্ড করার পর পানিওটি ছেঁকে দুই টুকরো লেবুর রস মিশিয়ে সকালে খালি পেটে পান করতে হবে।

আপনি যদি সকালে পানীয় টি পান করতে কোন ধরনের সমস্যা বোধ করেন, তাহলে দুপুরে খাওয়ার এক ঘন্টা আগে খেলেও উপকার পাবেন।

এই পানীয়টি ভিতর থেকে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে এবং ত্বকের যে কোন দাগ ছোপ দূর করতে কাজ করবে।

কাঁচা আমলকি খাওয়ার উপকারিতা জেনে নিন

পোস্টের এই পর্যায়ে জানতে পারবেন, কাঁচা আমলকি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত।বিশেষজ্ঞরা শীতকালে অন্তত দুইটি করে কাঁচা আমলকি খেতে বলেন। কেন জানেন? কারণ আমলকীর গুণের শেষ নেই। বাহ্যিকভাবে সুস্থ থাকলেও অনেকেই শরীরের ভেতরে অসুস্থ বোধ করে থাকেন।

আবার শীতে ত্বক শুষ্ক হয়ে ফেটে যাওয়ার সমস্যা অনেকের মধ্যেই আছে। এইসব সমস্যার সমাধান একসাথে একটা জিনিসই করতে পারবে-- সেটি হলো কাঁচা আমলকী। 

তাহলে চলুল জেনে নেই কাঁচা আমলকী খাওয়ার ১২টি উপকারিতা সম্পর্কে-

ত্বকের সমস্যা সমাধানে কাঁচা আমলকী

আগেই জেনেছি যে আমলকী ভিটামিন সি দিয়ে ভরপুর। টেস্টের কারনে মাঝে মাঝে আপনার ত্বকেও প্রভাবিত থাকে। আমলকিতে থাকা শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রী রেডিক্যাল এর মাধ্যমে সৃষ্ট অক্সিডেটিভ স্ট্রেস রিলিফ করতে সহায়তা করে। এতে আপনার ত্বকেরও প্রকৃত সৌন্দর্য ফিরে আসে।

আমলকির-উপকারিতা-অপকারিতা

আমলকী ভেতর থেকে আপনাকে উজ্জীবিত করতে সহায়তা করে। এছাড়াও আমলকি আপনার ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং অকাল বার্ধক্য থেকে ত্বককে রক্ষা করে। ত্বকের ইলাস্ট্রিসিটি ও দৃঢ়তা বজায় রাখতে কোলাজেনের প্রয়োজন, যা আমলকি খাওয়ার মাধ্যমে শরীরে উৎপাদিত হয়।

আমলকিতে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ত্বকের বিভিন্ন দাগ দূর করে। ত্বককে সূর্য থেকে সুরক্ষিত রাখতে চাইছেন? তাহলে আপনি এখনই আমলা খাওয়া শুরু করি। আবার ত্বকের হাইড্রেশন বা আদ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে আমলকিতে থাকা পানিতে দ্রবণীয় ও খনিজ।

আরো পড়ুনঃ টানটান এবং তারুণ্য দীপ্ত ত্বকের জন্য বিটরুট খাওয়ার নিয়ম

এছাড়া ত্বকের যেকোনো ক্ষত নিরাময়, টিস্যু মেরামত করতে, টক্সিন দূর করতে, ব্রণ কমাতে, ত্বকের কোমলতা বাড়াতে, ত্বক স্বচ্ছ করতে নিয়মিত কাঁচা আমলকি খেলে উপকার পাবেন।

চুলের সমস্যার সমাধানে কাঁচা আমলকি

চুলের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে কাঁচা আমলকির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। চুল পড়া বন্ধ করতে, চুলকে স্বাস্থ্যজ্জ্বল করতে, চুলের আগা ফাটা দূ্‌র করতে, চুল থেকে খুশকি দূর করতে এবং চুলকে ঘন কালো করতে আমলকির জুড়ি মেলা ভার।

নিয়মিত আমলকির রস পান করলে চুলের গোড়া মজবুত এবং চুল পড়া অনেকাংশেই রোধ করা সম্ভব। এছাড়া কাঁচা আমলকির পেস্ট বানিয়ে সাথে মেথি গুঁড়ো এবং নারিকেল তেল দিয়ে মিক্স করে চুলে ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে কাঁচা আমলকি

নিয়মিত কাঁচা আমলকি খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। কারণ কাঁচা আমলকিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। এ কারণে সিজনাল জ্বর, সর্দি, সর্দি জনিত গলা ব্যথা, কফ এসব সমস্যা থেকে দূরে থাকা সম্ভব হয়।

শরীরের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করবে কাঁচা আমলকি

শরীরের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিসহ শরীরে যে কোন ব্যথা দূর করতে কাঁচা আমলকি নিয়মিত খেলে উপকার পাবেন। প্রতিদিন নিয়ম করে দুটি আমলকির পেস্ট এক চা চামচ মধুর সাথে মিশিয়ে খেলে শরীরে্র কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করবে কাঁচা আমলকি

যারা প্রায়ই কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যায় ভুগেন, তারা নিয়মিত কাঁচা আমলকি খেলে উপকার পাবেন। আমলকিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা কোষ্ঠকাঠিন্য মত রোগ থেকে দূরে থাকতে সহায়তা করে এবং এর ফলে পাইলস, কোলন ক্যান্সার এর মতো রোগ থেকে দূরে থাকা সম্ভব হয়।

এছাড়া বদ হজমের মত সমস্যা থেকেও মুক্তি দিবে কাঁচা আমলকি।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করবে কাঁচা আমলকি

আপনি যদি ডায়াবেটিস রোগী হয়ে থাকেন, তাহলে নিয়মিত কাঁচা আমলকির রস বা পেস্ট খেলে উপকার পাবেন। আমলকি রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমাতে সহায়তা করে এর ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়।

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করবে কাঁচা আমলকি

যারা উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন তারা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত কাঁচা আমলকির রস খেতে পারেন। কাঁচা আমলকির রস বা পেস্ট বানিয়ে খেলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করবে।

লিভারের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করবে কাঁচা আমলকি

আপনি যদি লিভারের প্রদাহ জনিত রোগে ভোগেন তাহলে কাঁচা আমলকির রস নিয়মিত খেতে পারেন। কাঁচা আমলকি রস লিভারের যে কোন সমস্যা দূর করে লিভারের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করতে দারুন কার্যকরী।

শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তি দেবে কাঁচা আমলকি

শ্বাসকষ্ট বা অ্যাজমার মত রোগ থেকে মুক্তি দিতে পারে কাঁচা আমলকি বা কাঁচা আমলকির রস। আপনি যদি শ্বাসকষ্টের রোগী হয়ে থাকেন তাহলে নিয়মিত কাঁচা আমলকির রস খেলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি ব্যাহত করে কাঁচা আমলকি

কাঁচা আমলকি ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি ব্যাহত করতে দারুন কার্যকরী। আমলকিতে থাকা পলিফেনল নামক উপাদান ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধিতে বাধা প্রদান করে, ফলে ক্যান্সারের মতো দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে দূরে থাকা সম্ভব হয়।

ওজন নিয়ন্ত্রণে কাঁচা আমলকি

আপনি যদি অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় ভুগেন তাহলে আজকে থেকেই নিয়মিত সকালে খালি পেটে কাঁচা আমলকির রস পান করা শুরু করুন। কাঁচা আমলকির রস শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কাটতে সহায়তা করে। 

মুখ এবং দাঁতের সুরক্ষায় কাঁচা আমলকি

আপনি যদি প্রায়ই মুখে বিভিন্ন ধরনের ঘা বা ক্ষতের সমস্যায় ভুগেন তাহলে নিয়মিত কাঁচা আমলকি খেতে পারেন। কাঁচা আমলকিতে থাকা ভিটামিন সি মুখের এ ধরনের ঘা সারাতে বিশেষ কার্যকরী।

এছাড়া দাঁতের যেকোনো সমস্যা সমাধানেও কাঁচা আমলকির বিশেষ উপকার রয়েছে।

আমলকির উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন এবং উত্তর

প্রশ্নঃ দিনে কয়টি আমলকি খাওয়া উচিত?

উত্তরঃ দিনে ১ থেকে ২টি আমলকি খেলে উপকার বেশি পাওয়া যাবে। এর চেয়ে বেশি আমলকি না খাওয়াই ভালো হবে।

প্রশ্নঃ আমলকি কাদের খাওয়া ঠিক নয়?

উত্তরঃ যারা কিডনির সমস্যায় ভুগছেন তাদের আমলকি এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়। কারণ আমলকি খাওয়ার ফলে শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে কিডনি ঠিকমত কাজ করতে পারে না।

প্রশ্নঃ রাতে খাওয়ার পর আমলকি খেলে কি হয়?

উত্তরঃ বলা হয় যে, রাতে খাওয়ার পর এক টুকরো বা একটি আমলকি খেলে বদহজমের মত সমস্যা দূর হয়।

প্রশ্নঃ আমলকি বেশি খেলে কি হয়?

উত্তরঃ আমলকি বেশি খাওয়ার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে, কারো কারো এসিডিটি বৃদ্ধি পেতে পারে, লিভার এবং হার্টের ক্ষতি হতে পারে এবং অনেক ক্ষেত্রে বমি বমি ভাব হতে পারে।

প্রশ্নঃ রাতে আমলকি খাওয়া ঠিক নয় কেন?

উত্তরঃ রাতে আমলকি খাওয়ার ব্যাপারে অনেকের এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়, কারণ এতে পেট খারাপ বা পেটে অস্বস্তি হতে পারে এমনকি অনেক ক্ষেত্রে ডায়রিয়ার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে।

প্রশ্নঃ আমলকি খেলে কি রক্তচাপ কমে?

উত্তরঃ নিয়মিত আমলকি খাওয়ার ফলে রক্ত প্রবাহের রক্তনালী প্রসারিত হতে সহায়তা করে এবং এর ফলে রক্তচাপ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

পরিশেষে

প্রিয় পাঠক, আমলকির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমার আজকের এই ব্লগ পোস্টে আলোচনা করেছি। আমলকি একটি ভেষজ ঔষধি গুনাগুন সম্পন্ন ছোট একটি ফল। বিভিন্ন ভিটামিন এবং খনিজ উপাদানে ভরপুর আমলকি খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে অনেক। তাই আপনিও এইসব রোগ থেকে সহজে দূরে থাকতে আজকে থেকেই উপকারী এই ফলটি খাওয়া শুরু করুন।

কিছু কিছু ক্ষেত্রে অপকারি দিক বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকলেও এর উপকার দিকই বেশি। এছাড়া এ পোস্টে কাঁচা আমলকি খাওয়ার ১২টি উপকারিতা সম্পর্কেও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে, যা আপনাদের উপকারে আসবে বলে আশা করি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

passiondrivefiona র নীতিমালা মেনে comment করুন। প্রতিটি comment রিভিউ করা হয়;

comment url