অনলাইন ইনকামের ২০টি বিশ্বস্ত বাংলাদেশী সাইট সম্পর্কে জানুন

অনলাইন ইনকামের বিশ্বস্ত বাংলাদেশী সাইট সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে আপনাদের জানাবো। আপনি যদি বাংলাদেশি কোন সাইটে কাজ করে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে আজকের এই পোস্টে বিস্তারিত পেয়ে যাবেন। সাথে জানবেন বাংলাদেশী সাইট থেকে অনলাইন ইনকামের সফলতার শর্ত সমূহ সম্পর্কে।

অনলাইন-ইনকামের-বিশ্বস্ত-বাংলাদেশী-সাইট

পোস্ট সূচীপত্রঃঅনলাইন থেকে টাকা ইনকামের জন্য আপনারা অনেকেই বাংলাদেশী বিশ্বস্ত সেই সাথে সেরা সাইট গুলো সম্পর্কে জানতে চান। এ কারণে আপনারা অনেকেই অনলাইনে সার্চ দিয়ে থাকেন। আজকের এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা অনলাইন ইনকামের বাংলাদেশের বিশ্বস্ত ২০টি সাইট সম্পর্কে জানতে পারবেন যারা ১০০% পেমেন্ট নিশ্চিত করে।

অনলাইন ইনকামের বিশ্বস্ত বাংলাদেশী সাইট

আর্টিকেলে প্রথমেই অনলাইন ইনকামের বিশ্বস্ত বাংলাদেশী সাইট সম্পর্কে আলোচনা করব। আপনারা অনেকেই অনলাইনে টাকা ইনকামের জন্য সেরা  এবং বিশ্বস্ত সাইট সম্পর্কে জানতে চান, যে সাইট গুলো হবে বাংলাদেশী সাইট।

আজকের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে অনলাইন ইনকামের বাংলাদেশী ২০টি সাইট সম্পর্কে জানতে পারবেন, যে সাইট গুলোতে বর্তমানে অনেকে কাজ করে মাসে হাজার থেকে লাখ টাকা ইনকাম করছেন।

আরো পড়ুনঃ মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার ১৫টি উপায় সম্পর্কে জানুন

তাই আপনিও যদি অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকাম করার কথা চিন্তা করে থাকেন, নিচে উল্লেখিত যে কোন সাইট থেকে টাকা ইনকাম করা শুরু করতে পারেন। এছাড়া এই সাইট গুলোতে কেন কাজ করবেন সে সম্পর্কেও জানতে পারবেন।

Fiverr

ফাইবার মূলতঃ একটি ফ্রিল্যান্সিং সাইট। যেখানে বিক্রেতা এবং ক্রেতা থাকে। এখানে আপনি যে কাজ করেছেন সে কাজের কিছু তালিকা দিতে হয়। ক্রেতা আপনার কাজ গুলো দেখে আপনার কাছে কাজের অর্ডার করবে। ক্রেতার কাজ আপনি যদি ভালোভাবে সম্পন্ন করতে পারেন তাহলে আপনাকে প্রতি কাজের জন্য আলাদা আলাদা পেমেন্ট করা হবে।

আপনি যত বেশি কাজ করতে পারবেন এবং বিশ্বস্ততা অর্জন করতে পারবেন তত বেশি আপনার ইনকামের সুযোগ রয়েছে। একবার এই সাইটে আপনি কাজ পাওয়া শুরু করলে মাস শেষে ভালো পরিমান ইনকাম করতে পারবেন।

এই সাইট থেকে অনেক ফ্রিল্যান্সার মাসে দুই থেকে তিন লাখ টাকা আয় করে থাকেন এবং এটি খুব বিশ্বস্ত একটি সাইট।

এই সাইটে কেন কাজ করবেনঃ
  • আপনি বিকাশ এর মাধ্যমে ফাইবার থেকে পাওয়া টাকা উইথড্র করতে পারবেন।
  • আপনি চাইলে মোবাইলে ফাইবার অ্যাপটি ডাউনলোড করতে পারেন অথবা ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে ফাইবারের সাইটটিতে ঢুকে ফাইবার থেকে ইনকাম করা শুরু করতে পারেন।
  • সাধারণত ফাইবার থেকে খুব কম টাকা চার্জ নেওয়া হয়।
  • ফাইবারে অনেক কাজ করার অপশন আছে। যেমনঃ ভাষা ট্রান্সলেট করা, লোগো তৈরি করা, ওয়েবসাইট ডিজাইন করা সহ আরও শত শত কাজ! আপনি আপনার দক্ষতা অনুযায়ী যে কোন কাজ করতে পারবেন।
এই প্লাটফর্মে অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে অনেক সময়ের প্রয়োজন হতে পারে, তবে একবার অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়ে গেলে আর কোন টেনশন থাকে না।

Upwork

Upwork অনলাইন ফ্রিল্যান্সিংয়ের সবচেয়ে বড় সাইট। পুরো পৃথিবীর সাথে এই সাইটের সম্পর্ক রয়েছে। সব ফ্রিল্যান্সিং সাইটের মতই এখানে ক্রেতা এবং বিক্রেতা রয়েছে। আপনাকে অবশ্যই এই সাইটে কাজ করার আগে যে কাজ করতে চান সেই কাজে ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করে নিতে হবে। এই সাইটে একাউন্ট ক্রিয়েট করার পর আপনার কাজের তালিকা গুলো গিগ আকারে প্রকাশ করতে হবে।

একবার যখন এই প্লাটফর্মে আপনার দক্ষতা অনুযায়ী কাজ পাওয়া শুরু করবেন, তখন মাসে লাখ টাকা ইনকাম করার সুযোগ পাবেন। বর্তমানে অনেক ফ্রিল্যান্সার এই প্লাটফর্মে কাজ করে মাসে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করছেন এবং এটিকে ফুল টাইম পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছেন।

Upwork কেন কাজ করবেনঃ
  • আপনার লোকাল ব্যাংক থেকে খুব সহজেই পেমেন্ট নিতে পারবেন।
  • মোবাইলেও এই অ্যাপলিক্যাশনটি ডাউনলোড করতে পারবেন। তবে যেহেতু এটি একটি বড় ওয়েবসাইট সেহেতু কম্পিউটার থেকেই কাজ করা সবচেয়ে লাভজনক হবে।
  • এই সাইটে আপনি আপনার কাজের জন্য উপযুক্ত ক্লায়েন্ট খুব সহজেই খুঁজে পাবেন।
  • এই ওয়েবসাইট আপনাকে পেমেন্ট করার সময় ৮০-৯৯ সেন্ট পর্যন্তই টাকা কাটবে।
  • আপনি চাইলে মাসে ১০০০-২০০০ ডলার অনায়াসে আয় করতে পারবেন।

Freelancer.com

আপওয়ার্ক, ফাইবারের মতো ফ্রিল্যান্সার.কম একটি ওয়েবসাইট যেখানে আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। এটিও একটি বড় ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম। এখানে ১৯০০ এরও বেশি কাজ রয়েছে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য। হ্যাঁ, এই সাইট থেকে আপনি বাংলাদেশ থেকে সম্পুর্ণ বিনা মুল্যে ইনকাম করতে পারবেন।

এই সাইটে কেন কাজ করবেনঃ
  • যদি আপনি আপওয়ার্ক বা ফাইবারের মতো বড় বড় ওয়েবসাইটগুলোতে কাজ না পেতে পারেন, কিন্তু এই সাইটে আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে অন্যান্য ওয়েবসাইটগুলো থেকে সবচেয়ে বেশি।
  • এখানে ২৪০ ডলারের কাজও রয়েছে।
  • বাংলাদেশ থেকে আপনি এখানে খুব সহজেই ইনকাম করতে পারবেন।
  • অ্যাকাউন্টে সব তথ্য না দিলেও কোনো সমস্যা নেই, কিন্তু দেওয়া ভালো।
অনলাইন ইনকামের এই সাইটটি অনেক বিশ্বস্ত একটি সাইট এবং এই সাইটের খুব একটা অসুবিধা নেই বললেই চলে। তাই নিশ্চিন্তে আপনি এই সাইট থেকে ইনকাম করা শুরু করতে পারেন।

Shohoz.com

আপনি যদি একটি পার্ট টাইম জব বানাতে চান তাহলে আপনি সহজে এবং নিশ্চিন্তে এই সাইটে যোগ দিয়ে মাসে ত্রিশ হাজার টাকারও বেশি ইনকাম করতে পারবেন। হ্যাঁ সহজে এটি সম্ভব। বিশেষ কিছু করতে হবে না। আপনার কাছে মোবাইল থাকুক বা কম্পিউটার বা ল্যাপটপ বা প্রিন্টার; আপনি শুধু সহজে বাসের টিকেট বিক্রি করবেন।

আরো পড়ুনঃ ফ্রি অনলাইন ইনকামের বিকাশ পেমেন্ট সাইট/অ্যাপস সম্পর্কে জানুন

একটি টিকিট থেকে আপনি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কমিশন পেতে পারেন। অতএব আপনি যদি একদিনে ৩০ টির মত টিকিট বিক্রি করতে পারেন তাহলে আপনি দিনে ৯০০ এবং মাসে ২৭০০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আবার ওর্ডার নিয়েও আপনি টাকা ইনকাম করতে পারেন। এটিতে অনলাইন ও অফলাইন দুই ক্ষেত্রেই কাজ করা যায়। জানে

Bikroy.com

আপনি যদি কোনো কিছু বিক্রি করতে চান তাহলে আপনাকে আর বাজারে ক্রেতা খোঁজার জন্য ঘুরে বেড়াতে হবে না। কেননা অনলাইনেও বাজারের মতো বেচা কেনা করার সুবিধা নিয়ে এসেছে বিক্রয় ডট কম। বিক্রয়ের মাধ্যমে আপনি আপনার পণ্য যে কোনো আগ্রহী ক্রেতার কাছে বিক্রি করে দিতে পারেন।

মূলতঃ এই মার্কেটপ্লেস আপনাকে আপনার ক্রেতা খোঁজায় সাহায্য করবে। আপনি এখানে যে কোনো পণ্যের অ্যাড দিয়ে তা খুব তাড়াতাড়ি বিক্রি করতে পারবেন। এটি বর্তমানে অনলাইন ইনকামের বিশ্বস্ত বাংলাদেশী সাইট হিসেবে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।

এই সাইটতে কেন পণ্য বিক্রি করবেনঃ 

  • সহজে ক্রতাদের কাছে আপনার পণ্যের অ্যাড চলে যায়।
  • ক্রেতাদের সাথে কথা বলে দাম ঠিক করে খুব দ্রুতই কোনো জিনিস বিক্রি করা সম্ভব।
  • যেকোনো জিনিস, যেমন- কম্পিউটারের মাউস, কম্পিউটার, মোবাইল ফোন ইত্যাদি বিক্রি করা সম্ভব।
  • এলাকা অনুযায়ী আপনি পণ্য বিক্রি করতে পারবেন।
  • ১০০% নিরাপত্তা নিশ্চিত করে বিক্রয় ডট কম।
  • আপনি চাইলে আপনার হাতে থাকা মোবাইল দিয়েও এই সাইটে বিক্রি করা শুরু করে দিতে পারেন।
  • আপনার কোনো কিছু কোনো জরুরি কারণে বিক্রি করার দরকার হলে আপনি আর্জেন্ট অ্যাড দিতে পারেন

Amazon.com

Amazon.com এ আপনি বিভিন্ন পণ্যের কেনা বেচা করার মাধ্যমে অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়া নিজের বানানো জিনিস বিক্রি করতে নিশ্চয়ই ভালো লাগবে! Amazon এ আপনি নিজের বানানো জিনিস বা ব্র্যান্ড বিক্রি করে টাকা পেতে পারেন।

হ্যাঁ, এটি সম্ভব! নিজের যে কোন প্রোডাক্ট amazon এ দিলে তা যারা যারা কিনবে এবং যত টাকায় কিনবে সেই টাকা বা পেমেন্ট আপনাকে দিয়ে দেওয়া হবে। এজন্যই amazon এ অনেক বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন গেজেট পাওয়া যায়, সাধারণত যা মার্কেটেই নেই। এই মার্কেটপ্লেসে মূলতঃ ক্রয়-বিক্রয় এবং আপনার তৈরি কোন পণ্য বিক্রয়ের মাধ্যমে ইনকাম করার সুযোগ রয়েছে।

 Ads.google.com

যদি আপনার প্ল্যান থাকে দিনে ৭ থেকে ১০ হাজার টাকা ইনকাম করার, তাহলে আপনার google-ই বেস্ট হবে। গুগল আমাদের সবারই পরিচিত। কিন্তু google থেকে কিভাবে ইনকাম করা যায় তা অনেকেরই জানা নেই।

আমরা যে ইউটিউবে বা ওয়েবসাইটে ঢুকে বিভিন্ন অ্যাড দেখতে পাই এসব গুগল অ্যাডের অংশ। বিভিন্ন কোম্পানি এই অ্যাড দিয়ে নিজেদের কোম্পানির প্রমোট করে থাকে। এই প্রমোশন করার জন্য কোম্পানি কিন্তু গুগল এডে কাজ করে না। তারা কিছু এক্সপার্ট নিয়োগ দিয়ে থাকে যারা সাধারণত এই কাজটি করে।

হ্যাঁ আমি বলতে চাচ্ছি যে, আপনি এই google এর এক্সপার্ট হয়ে টাকা ইনকাম করতে পারেন। এখন হয়তো মনে প্রশ্ন আসতেই পারে, এত কঠিন কাজ আমি করব কিভাবে? কিন্তু আপনি যদি সত্যি অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে আপনার অবশ্যই স্কিল থাকতে হবে। তাই সময় নিয়ে শিখে এক মাসে অনেক ফ্রিল্যান্সারদের মত মাসে লাখ টাকা ইনকাম করতে পারেন।

অনলাইন-ইনকামের-বিশ্বস্ত-বাংলাদেশী-সাইট

Youtube.com

আমাদের সবারই পরিচিত একটি অ্যাপ হচ্ছে youtube. আমরা বেশির ভাগই ইউটিউব ব্যবহার করে থাকি। আপনারা হয়তো বুঝতে পেরেছেন যে আমি এখানে আয়ের জন্য কন্টেন্ট ক্রিয়েট নিয়ে কথা বলব। ইউটিউব চ্যানেল খুলে বিভিন্ন বিষয়ের আকর্ষণীয় ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।

এক্ষেত্রে এক হাজার সাবস্ক্রাইব এবং ৪০০০ ওয়াচ আওয়ার হলে আপনি টাকা ইনকাম শুরু করে দিতে পারেন। তবে এছাড়াও বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে অথবা স্পন্সরশিপের মাধ্যম অথবা আরো অন্যান্য উপায়ও সহজে youtube থেকে আয় শুরু করা যায়।

ইউটিউব থেকে আপনি পেমেন্ট মাস্টার কার্ড বা ভিসা থেকে নিতে পারেন।

Facebook.com

আমাদের সবচেয়ে পরিচিত একটি অ্যাপ হল ফেসবুক। বিভিন্ন উপায়ে এই ফেসবুক থেকেও ইনকাম করা সম্ভব। ফেসবুক পেজ তৈরি করে, ফেসবুকে কোন কিছু বিক্রি করে, রিলস বানিয়ে, কনটেন্ট লিখে এবং আরো বিভিন্নভাবে আয় করার সুযোগ রয়েছে। প্রত্যেকটি মাধ্যমে আলাদা আলাদা ফলোয়ারের জন্য আয় করা যায়।

যদি আপনি রিলস দিয়ে ইনকাম করতে চান, তাহলে আপনাকে একটি পেজ বানিয়ে সেখানে ভিডিওগুলো পোস্ট করতে হবে। এগুলোর মধ্যে অন্তত পাঁচটি ভিডিও আকর্ষণীয় হতে হবে এবং এর ভিউ থাকতে হবে ৬০০০০ টাইম। এ ছাড়া আপনার ফেসবুক পেজে ৫০০০ ফলোয়ার হলে আপনি অনায়াসে ইনকাম শুরু করতে পারেন।

আপনি এখান থেকে আপনার পেমেন্ট বিকাশ বা নগদ থেকে নিতে পারেন। ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ফেসবুক কত ভিউ কত টাকা এবং ফেসবুকে কত ফলোয়ার হলে টাকা পাওয়া যায় এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পোস্ট দুটি পড়ে আসতে পারেন।

Prizerebel

প্রাইস রেবেল একটি অনলাইন থেকে ইনকাম করার বিশ্বস্ত বাংলাদেশি সার্ভে ওয়েবসাইট। এই সাইটে বিভিন্ন সার্ভেগুলো সম্পন্ন করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এখানে আপনি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ পয়েন্ট এর জন্য টাকা পেতে পারেন। এছাড়া বিভিন্ন টাস্ক সম্পূর্ণ করে আপনি অ্যামাজন, ভিসা, পেপাল ইত্যাদির গিফট কার্ড পাওয়ার সুযোগ পাবেন।

এই সাইটে কেন কাজ করবেনঃ

  • ১৮ বছর উপর বয়সীদের ব্যবহার করার ক্ষেত্রে কোন বাধা নেই।
  • তবে যদি ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সী হয়ে থাকেন আপনি তাহলে মা-বাবার অনুমতি নিয়েও ব্যবহার করতে পারেন।

সব সার্ভে পরীক্ষা ইংরেজিতে রয়েছে। তাই আপনার ইংরেজি দক্ষতা ভালো হতে হবে। এই সাইট থেকে আপনি পেপালে পেমেন্ট নিতে পারবেন।

Belancer.com

Belancer.com একটি জনপ্রিয় বিশ্বস্ত বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট যেখানে প্রায় ৩৩০০০ মানুষ কাজ করছে। সময়ের সাথে সাথে আরো মানুষ বাড়বে। যেহেতু এটি একটি বাংলাদেশী বিশ্বস্ত ওয়েবসাইট, সেহেতু এই সাইটের বেশিরভাগই বাংলাদেশী হয়ে থাকে। 

এই সাইটে কেন কাজ করবেন জেনে নিনঃ

  • আপনি এখান থেকে বিকাশে পেমেন্ট পেতে পারেন।
  • যাদের ইংলিশে সমস্যা রয়েছে, তারা এই সাইটে কাজ করে সবচেয়ে বড় সুবিধা পাবেন। কেননা বাংলাদেশী ওয়েবসাইট হওয়ার কারণে এখানে বাংলাদেশী বেশি রয়েছে।
  • এখানে অনেকগুলো কাজ করার সুযোগ রয়েছে। যেমনঃ ডাটা এন্ট্রি, ডিজাইন, রাইটিং, ট্রান্সলেশন, এসইও, ই কমার্স, ইত্যাদি। সাত হাজারের বেশি কাজ এখন পর্যন্ত এই সাইটে দেওয়া হয়েছে।
  • এটি একটি অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য সাইট।
  • ভালো কাজ করতে পারলে এই সাইটে স্থায়ীভাবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।

Dealancer.com

Dealancer.com একটি অনলাইন ইনকামের বিশ্বস্ত বাংলাদেশী সাইট। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকেন, তাহলে এই সাইটটি ট্রাই করে দেখতে পারেন। এখানে আপনি যে কোন সার্ভিস বেচাকেনা করতে পারবেন। সার্ভিস বলতে বোঝাচ্ছে কোন মোবাইল গেম বা ফেসবুক পেজ বা ওয়েবসাইট তৈরি করা ইত্যাদি।

এই সাইটে কাজ করবেন কেন জেনে নিনঃ

  • এই ওয়েবসাইট নিরাপত্তা নিশ্চিত করে লেনদেনের ব্যবস্থা করে।
  • আপনি এখান থেকে খুব সহজেই নগদ বা বিকাশ থেকে পেমেন্ট নিতে পারবেন।
  • কেনাবেচার জন্য মাত্র ১২ টাকার চার্জ নিয়ে থাকে।

Grathor

 Grathor একটি অনলাইন ইনকামের বিশ্বস্ত বাংলাদেশী ওয়েবসাইট, যে ওয়েবসাইটকে একটি ফ্রিল্যান্সিং সাইট বলাও ভুল হবে না। তবে এখানে শুধু কনটেন্ট রাইটিং বা লেখালেখি করা যায়। এই সাইটে সাধারণ মেম্বার হলে আপনি একটি লেখার জন্য ১০ থেকে ৫০ টাকা এবং প্রিমিয়াম মেম্বার হলে ১০০ টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব।

এটি আপনার পার্ট টাইম জব হিসেবে আপনি রাখতে পারেন। তবে অবশ্যই এর জন্য আপনার লেখালেখি বিষয়ে দক্ষতা থাকতে হবে।

এই সাইটে কাজ করার সুবিধা গুলো হলোঃ

  • আর্টিকেল লিখে, আর্টিকেল শেয়ার করে, আর্টিকেল পড়ে এবং আরো বিভিন্ন উপায়ে আয় করা যায়।
  • আপনি এখান থেকে খুব সহজেই বিকাশ থেকে টাকা উইথ ড্র করতে পারবেন।
  • এই সাইটের প্রিমিয়াম মেম্বারদের পেমেন্ট এর পরিমাণ বেশি।

Shocchol

সচ্ছল হচ্ছে আরেকটি অনলাইন ইনকামের বিশ্বস্ত বাংলাদেশী সাইট। এটি মূলতঃ বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট। এটিকে আপনি ফাইবারের মতো ইন্টারন্যাশনাল ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এর সাথে তুলনা করতে পারেন। কারণ ফাইবারের মতো এখানেও অনেক ধরনের কাজ রয়েছে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য।

এই সাইটে কেন কাজ করবেন জেনে নিনঃ

  • বিকাশ, রকেট এবং ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে আপনি আপনার পেমেন্ট পেতে পারেন।
  • এখানে অনেক ক্রেতা ও বিক্রেতা রয়েছে, তাই বাংলাদেশী ওয়েবসাইট বলে যে এখানে কোনো বেঁচাকেনা হয় না, তা ভেবে ভুল করবেন না।

Kajkhuji

কাজখুঁজি আরেকটি বাংলাদেশী বিশ্বস্ত ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট। এখানে আপনি বিভিন্ন কাজ যেমনঃ কনটেন্ট রাইটিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট সহ আরো কাজ করতে পারবেন। বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট হিসেবে বর্তমানে এটিও জনপ্রিয়তা পেয়েছে। প্রতিদিন বিভিন্ন ক্রেতা ও বিক্রেতা এই ওয়েবসাইটে ক্রয় ও বিক্রয় করে চলেছে।

এই সাইটে কাজ করার সুবিধাঃ

  • নগদ, বিকাশ ও ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে খুব সহজেই পেমেন্ট নেওয়া যায়।
  • খুব সহজেই বিভিন্ন কাজ পাওয়া যায় এই ওয়েবসাইটে।
  • শুধু যে এটি বাংলাদেশী ওয়েবসাইট তা নয়, এটি বাংলা ভাষার মাধ্যমে পরিচালিত একটি মার্কেট প্লেস!
অনলাইন-ইনকামের-বিশ্বস্ত-বাংলাদেশী-সাইট

Daraz.com

অ্যামাজনের মত বাংলাদেশের একটি ই-কমার্স মার্কেট প্লেস হলো দারাজ। এটিও অনলাইন ইনকামের বিশ্বস্ত বাংলাদেশী সাইট যেখানে আপনি amazon এর মতই যে কোন পণ্য বিক্রি করতে পারবেন। এখানেও আপনি লক্ষ্য করবেন বিভিন্ন ধরনের গেজেট, যেগুলো আপনার নিজের তৈরি করা পণ্য বিক্রি করার সুযোগ পাবেন।

অ্যামাজন হল আন্তর্জাতিক ই কমার্স মার্কেটপ্লেস আর দারাজ হলো বাংলাদেশী ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস।

এই সাইটে কাজ করার সুবিধা গুলো হলঃ

  • এটি বাংলাদেশের একটি বিশ্বাস্ত মার্কেটপ্লেস।
  • আপনার আয় বৃদ্ধিও হতে পারে এর মাধ্যমে।
  • অনেকগুলো ক্রেতা একসাথে পাবেন এই মার্কেটপ্লেসে।
  • দারাজে আপনি চাইলে প্রশিক্ষণও নিতে পারেন।
  • একজন বিক্রেতা হয়ে আপনি দারাজের সকল ইভেন্ট ও ক্যাম্পেইনে অনায়াসেই অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
  • আপনার ব্যবসার বৃদ্ধিতে দারাজ আপনাকে বিভিন্ন সহায়তা দিবে।

  • দারাজ বিক্রেতাদের জন্য একটি হেল্প লাইন নাম্বার রয়েছে। কোন সমস্যা হলে আপনি তাদের কল দিতে পারেন।

  • আপনি চাইলে কোনো অঞ্চলকে টার্গেট করে বিক্রি করতে পারেন।

Instagram.com

বাংলাদেশে ফেসবুকের পর সবচেয়ে বেশি ব্যবহারকারী ইনস্টাগ্রামে দেখা যায়। ইনস্টাগ্রামে আবার ফেসবুকের থেকে বেশি আয়ের সম্ভাবনা থাকে। বিভিন্ন মাধ্যমে ইনস্টাগ্রাম থেকে টাকা আয় করা সম্ভব।যেমনঃ স্পন্সোরশিপ বা প্রমোট করিয়ে দিলে, পেইড পোস্ট দিয়ে, ব্র্যান্ড প্রচার ইত্যাদি করে আপনি প্রচুর টাকা ইনকাম করার সুযোগ পাবেন।

কন্টেন্ট ক্রিয়েট করে এই সাইট থেকে আপনি বিভিন্নভাবে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। সাধারণত ইনস্টাগ্রামে কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের চার ভাগে ভাগ করা যায়। যেমনঃ
  •  ন্যানো
  •  মাইক্রো
  •  ম্যাক্রো
  •  মেগা ইনফ্লুয়েন্সার।

ন্যানো ইনফ্লুয়েন্স্যার ৪ হাজার থেকে ১৬ হাজার টাকা প্রতি পোস্টে আয় করে থাকে। আপনার যদি ৩০ টা পোস্ট থাকে তাহলে আপনি ন্যানো ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে ৪৮০ টাকা আয় করতে পারবেন!

মাইক্রো ইনফ্লুয়েন্সের হিসেবে আপনি ১৬ থেকে ৩০ হাজার টাকা এবং ম্যাক্রো ইনফ্লুয়েন্সার হয়ে ৩৫ থেকে ৬০ হাজার টাকা প্রতি পোস্টে আয় করতে পারবেন! আর ম্যাগা ইনফ্লুয়েন্সার প্রতি পোষ্টে এক লাখ টাকা বা এর অধিক আয় করে থাকে।

ইনস্টাগ্রামে আপনার ১০ থেকে ১৫ হাজার ফলোয়ার হলেই টাকা ইনকাম সম্ভব। ইনস্টাগ্রামে যাদের এক থেকে দশ লাখ ফলোয়ার রয়েছে তাদেরকে ম্যাক্রো ইনফ্লুয়েন্সার বলা হয়। আর যাদের ১৫ লাখের বেশি ফলোয়ার রয়েছে তারা মেগা বা সেলিব্রিটি ইনফ্লুয়েন্সার নামে পরিচিত। 

Ebay.com

ইবে ডটকম এমন একটি সাইট যেখান থেকে বিভিন্ন টাস্ক কমপ্লিট করে ইনকাম করা যায়। মূলতঃ এই সাইটটি প্রথম দিকে বেশি টাকা দিয়ে থাকে এরপর আস্তে আস্তে তা কমতে থাকে। প্রথমে আপনি এই সাইটে সাইন আপ করার জন্য কিছু টাকা পাবেন এরপর আস্তে আস্তে টাস্ক কমপ্লিট করে ফ্রিতে ইনকাম করতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ স্টুডেন্টদের অনলাইন ইনকামের সেরা ১৫ টি উপায়

দেশ অনুযায়ী এই সাইট আপনাকে পেমেন্ট দিয়ে থাকে। অর্থাৎ আপনি যেহেতু বাংলাদেশ থেকে কাজ করছেন সেহেতু আপনি বিকাশ থেকে খুব সহজেই টাকা নিতে পারেন। এখানে কিছু প্যাকেজ রয়েছে। কমিশন বাড়ানোর জন্য এসব প্যাকেজের দরকার হয়। এই সাইট থেকে ইনকাম করার টাকা দিয়ে এই প্যাকেজ কেনা যেতে পারে।

Telegram.com

আপনারা নিশ্চয়ই মেসেঞ্জার ব্যবহার করেছেন। মেসেঞ্জার যেরকম ঠিক সেরকমই হল টেলিগ্রাম।  রেফারেল করে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে, সাবস্ক্রাইবেশন দিয়ে, পণ্য বিক্রি করে, এডভারটাইজমেন্ট করে এবং আরো বিভিন্ন উপায়ে টেলিগ্রাম থেকে আয় করা সম্ভব। টেলিগ্রামে মূলতঃ টাকা আয়ের জন্য একটি চ্যানেল তৈরি করতে হয়।

সেখানে ভিন্ন ভিন্ন বিষয়বস্তু পূরণ করে আপনি বিভিন্ন চ্যানেল থেকে বিজ্ঞাপন কিনবেন। নিয়মিত পোস্ট করে আপনি আপনার ফলোয়ার বাড়ানোর চেষ্টা করুন। ৫০০ ফলোয়ার হলেই আপনার চ্যানেল থেকে বিজ্ঞাপন দেওয়া যাবে।

আপনার যত ফলোয়ার বা সদস্য বাড়তে থাকবে আপনার ততই ইনকাম বাড়তে থাকবে। আপনি টেলিগ্রাম চ্যানেল থেকে খুব সহজেই ৫০০০ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন!

Futureearn.biz

এটি এমন একটি ওয়েবসাইট যার শেষে .com ব্যবহার হয় না বরং .biz ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ এটি একটি বাংলাদেশী পি টি সি সাইট। পিটিসি সাইট হল এমন সব সাইট যেগুলোতে কাজ করার জন্য কোন বিশেষ অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয় না। অল্প দক্ষতা দিয়ে খুব সহজেই আপনি এখান থেকে হাত খরচের ইনকাম করতে পারবেন।

মূলতঃ এখান থেকে ইনকাম করা যায় এড দেখে। তবে এডের পরিমাণ সীমিত। বিভিন্ন প্ল্যান ক্রয় করে এখান থেকে আপনি আপনার আয়ের হার বাড়াতে পারবেন। প্রত্যেকটি অ্যাড দেখার জন্য আপনি ১০০ টাকা ইনকাম করতে পারেন! যা অনেক বেশি একটি পিটিসি সাইট হিসেবে।

বিকাশ বা নগদ দুই জায়গা থেকেই আপনি আপনার পেমেন্ট নিতে পারবেন। ডিপোজিটে ১০০০ টাকা হলে সাধারণত আপনি উইথ ড্র করতে পারেন। একটি পিটিসি সাইট হিসেবে আপনি Futureearn কে বিশ্বাস করতে পারেন। তবে এর সুবিধা ও অসুবিধা পুরোপুরি আপনার উপর নির্ভর করে।

বাংলাদেশী সাইট থেকে অনলাইন ইনকামের সফলতার শর্ত সমূহ

প্রিয় পাঠক, উপরে আপনারা জেনেছেন অনলাইন ইনকামের ২০টি বিশ্বস্ত বাংলাদেশী সাইট সম্পর্কে।বাংলাদেশি যে কোন সাইটে কাজ করে অনলাইন ইনকামের সফলতার জন্য যে সকল প্রয়োজনীয় শর্ত সমূহ দরকার সে সম্পর্কে এখন আলোচনা করব।

দেখুন, আপনি যখন অনলাইনে কোন সাইটে ছোট ছোট টাস্ক যেমনঃ সার্ভে করে, গেম খেলে, ভিডিও দেখে, অ্যাড দেখে, ক্যাপচা কোডগুলো পূরণ করে ইনকাম করার কথা চিন্তা করবেন, তখন আপনার খুব বেশি সময় এবং দক্ষতার প্রয়োজন হবে না। তবে এই সকল ছোট ছোট টাস্ক সম্পন্ন করে আপনি খুব বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন না। আপনার পকেট খরচ বা হাত খরচ চালানোর মত দিনে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

কিন্তু বাংলাদেশী এমন কিছু সাইট হয়েছে যে সাইটগুলোতে কাজ করে আপনি প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন যেমনঃ ফাইবার, আপওয়ার্ক, ইউটিউব, ফেসবুক পে্জ, বিল্যান্সার ডটকম ইত্যাদি। কিন্তু এই সকল সাইট থেকে টাকা ইনকামের জন্য আপনাকে অবশ্যই নির্দিষ্ট কোন কাজের বিষয়ে জ্ঞান এবং দক্ষতা থাকতে হবে সাথে প্রচুর সময় এবং শ্রম ইনভেস্ট করতে হবে।

আর্টিকেলের এই পর্যায়ে আপনাদের জানাবো অনলাইন ইনকামের বিশ্বস্ত বাংলাদেশী সাইট থেকে আপনি যদি মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা বা এর বেশি টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে যে শর্তগুলো আপনাকে মেনে চলতে হবে।

সঠিক সাইট বেছে নিনঃ অনলাইন থেকে টাকা ইনকামের জন্য বাংলাদেশী সাইট গুলোর মধ্যে থেকে আপনি কাজ করতে ইচ্ছুক এরকম সাইট বেছে নিতে হবে।

সাইটের তথ্যগুলো ভালোভাবে জেনে নিনঃ ওই সাইটের সকল নিয়ম মেনে একটি একাউন্ট ক্রিয়েট করতে হবে এবং সাইটের প্রয়োজনীয় শর্ত সমূহ ভালোভাবে জেনে নিতে হবে।

কাজের দক্ষতা এবং জ্ঞান বৃদ্ধি করুনঃ আপনি যে কাজ করতে ইচ্ছুক সে সম্পর্কে আপনার প্রয়োজনীয় জ্ঞান থাকতে হবে এবং ওই কাজ করার জন্য পারদর্শী হতে হবে। তাই কাজ করার দক্ষতা এবং জ্ঞান বৃদ্ধি করার কোন বিকল্প নেই।

ধৈর্য নিয়ে কাজটি শুরু করুনঃ কাজটি করার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনের জন্য আপনাকে ধৈর্য এবং সময় নিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

সফল হতে সময় ইনভেস্ট করুনঃ আপনাকে প্রচুর সময় ইনভেস্ট করার মানসিকতা নিয়ে কাজ শুরু করতে হবে। কারণ কোন একটি কাজ শুরু করলে প্রথমে আপনি সফল হবেন এমনটা নাও হতে পারে।

লেগে থাকার মানসিকতা তৈরি করুনঃ আপনি প্রচুর সময়, শ্রম এবং ধৈর্য নিয়ে কাজটি শুরু করলে প্রথম দিকে হয়তো খুব বেশি ইনকাম করতে পারবেন না, তবে আপনি লেগে থাকলে এক সময় দেখবেন ওই কাজ থেকে আপনি মাস শেষে প্রচুর টাকা ইনকাম করছেন।

ধৈর্য ধরে কাজ করে যানঃ অনলাইন থেকে টাকা ইনকামের জন্য আপনাকে ধৈর্য নিয়ে ওই সময় পর্যন্ত শ্রম এবং মেধা দিয়ে কাজ করে যেতে হবে যখন আপনি সফলতার মুখ দেখবেন।

উপরে উল্লেখিত শর্ত সমূহ বিবেচনায় রেখে যখন আপনি অনলাইনে কোন সাইটে কাজ শুরু করবেন তখন আপনার সফল হওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ থাকবে। বিনা পরিশ্রমে টাকা ইনকাম করা সম্ভব নয়, আপনি যখন আপনার শ্রম, সময় এবং মেধা কোন কাজে ব্যয় করবেন তখন আপনার সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। বর্তমানে আমাদের দেশে এ সকল কাজে সফল ব্যক্তিরা মাসে লাখ লাখ টাকা  ইনকাম করছেন।

পরিশেষে

আজকের আর্টিকেলে অনলাইন ইনকামের বিশ্বস্ত বাংলাদেশী সাইট নিয়ে আলোচনা করেছি, যে সাইটগুলোতে আপনি নিজের দক্ষতা অনুযায়ী কাজ করে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়া বাংলাদেশি সাইট থেকে টাকা ইনকামের শর্তগুলো সম্পর্কেও আলোচনা করেছি।

অনলাইন ইনকাম তেমন সহজও নয় আবার যদি কোন স্কিল শিখে আপনি দক্ষতা টিকে কাজে লাগাতে পারেন তাহলে অনলাইন ইনকাম একেবারে জলের মত সহজ। এটি পুরোটাই নির্ভর করে আপনার উপর। তাই অনলাইনে আপনি যদি আপনার স্কিলকে যথাযথ কাজে লাগাতে পারেন তাহলে আপনি আপনার ইনকাম সহজে বাড়াতে পারবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

passiondrivefiona র নীতিমালা মেনে comment করুন। প্রতিটি comment রিভিউ করা হয়;

comment url