অলসদের জন্য দ্রুত ওজন কমানোর ১০টি টিপস

অহো, টাইটেল দেখেই ঢুকে পরলেন? মনে হচ্ছে আপনিও আমার মতো অলস আর খাবার প্রিয় ব্যক্তি। কিন্তু আবার দ্রুত ওজন কমানোর টিপস খুঁজছেন। তাহলে আপনি এই পোস্টটি শুরু থেকে মনোযোগ দিয়ে পড়লে দ্রুত ওজন কমানোর ১০টি টিপস পেয়ে যাবেন, যা শতভাগ কার্যকরী হবে আশা করি।

ইমেজ

পোস্ট সূচীপত্রঃআমাদের সবারই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা বা কমানোর একটা আকাঙ্ক্ষা রয়েছে। এজন্য অনেক রকমের ডায়েট, ব্যায়াম করে ওজন কমানোর চেষ্টা করি। কিন্তু অলসতার কারণে তা কন্টিনিউ করতে পারিনা। কিন্তু আপনি যদি আপনার ওজন কমানোর প্রগ্রেস আরেকটু এগিয়ে নিতে চান তাহলে এই টিপসগুলি ফলো করতে পারেন।

ওজন কমানোর ১০টি টিপস

  • আমরা তো দিনে অনেকের সাথেই মোবাইলে কথা বলে থাকি। এ সময় বসে না থেকে হেটে হেটে কথা বলার অভ্যাস করুন, এতে কথা বলার সময় ভাবতে যেমন সুবিধা হয় তেমনি হালকা ব্যায়ামও হয়ে যাবে।

  • আপনি আরেকটি কাজ করতে পারেন, দিনে যতবার আপনি চুল আঁচড়াবেন ড্রেসিং টেবিলের সামনে বসে না আঁচড়িয়ে, হাঁটতে হাঁটতে কাজটি করতে পারেন।
  • গান শোনার সময় আশেপাশে কেউ না থাকলে বসে না থেকে গানের তালে তালে এমনি একটু হাটতে ও নাচতে পারেন। এতে করে আপনার কল্পনা শক্তি ও ওজন দুটোই নিয়ন্ত্রণে আসবে। আর যদি আপনি নাচতে ভালবাসেন তাহলে তো কথাই নেই!
  • লাঞ্চ ও ডিনারের আগে ২ গ্লাস জল খেয়ে নিলে আপনি যত টুকু খান তার থেকে কমই খাবেন। এরকম ট্রিক সাধারণত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা যায়। আপনি যাতে কম খান এর জন্য তারা প্রথমে স্যুপ দিয়ে থাকে। তবে ব্রেকফাস্ট যেহেতু একটি গুরুত্বপুর্ণ খাদ্যাভ্যাস তাই এর আগে ২ গ্লাস জল না খাওয়াই ভালো। তবে সকালে ঘুম থেকে উঠে কুসুম গরম পানি দিয়ে লেবু পানি বা অ্যাপল সাইডার ভিনেগার খেলে উপকার পাবেন।
  • কারো বাসায় দাওয়াতে গেলে 'আরেকটু নাও, আরেকটু নাও' করতে করতে এতো নেওয়া হয়ে যায় যে, আপনি সাধারণত যতটুকু খাবার খান তার থেকে প্রায় দ্বীগুণ বা তার বেশি খেয়ে ফেলেন! যদি এরপর এরকম কোনো সিচুয়েশন এর মুখে পরেন তাহলে এই উপরের কথাটি শুনিয়ে দিন-- ব্যাস মুখ বন্ধ।
  • রাতে ক্ষুধা লাগার কারণে আমরা অনেকেই অনেক কিছু খেয়ে ফেলি। আমরা এটা খেয়ালও করি না যে, এটি খেলে আমাদের ওজন বাড়বে নাকি না। আপনারা হয়তো ভাবছেন রাতে ঘুমানোর আগে যে কোনো কিছু খেলেই তো ওজন বেড়ে যায় কিন্তু এটি সম্পুর্ণ ঠিক নয়! এমনও কিছু খাবার রয়েছে যা রাতে খেলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা থাকে না।

এছাড়া এমন কিছু খাবার রয়েছে যা রাতে খেলে বরং ওজন কমে বা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়। এটা নিয়ে আমার রাতে কি খেলে ওজন কমে পোস্টটি পড়ে আসতে পারেন।

এছাড়া তাড়াতাড়ি রাতের খাবার খাওয়া ওজন কমানো সহ শরীরের অন্যান্য স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য ভালো অভ্যাস।
  • বলা হয়ে থাকে, যারা নিজের মাথা বেশি খাটায়, তারা যত পরিমাণে ক্যালরিই গ্রহণ করুন না কেন তাদের ওজন বাড়ে না। কারণ মস্তিষ্ক বেশি পরিমাণে খাটালে মস্তিষ্কের বাড়তি পুষ্টির প্রয়োজন হয়। সেই পুষ্টি হলো ক্যালরি (কারণ ক্যালরি শরীরে থেকে যায়, এই কারণেই তো মানুষ মোটা হয়!)। তাই আপনি কোনো কাজটাজ না করেও এবং বেশি খেয়েও আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন!
  • যত মিষ্টি ফল, তত ক্যালরির ঘর! সাধারণত মিষ্টি ফল গুলোতে ক্যালরি থেকে থাকে, তাই বলে যে মিষ্টি ফল খাওয়া বাদ দিয়ে দিবেন তা নয়। খাবেন-- তবে কম কম। (আপনি কি জানেন যে মরিচ একটি ফল? ও জানতেন? আমি জানতাম না।)

  • একেবারে বেশি বেশি না খেয়ে বার বার অল্প অল্প করে খেলে উপকার বেশি হয়। আবার আপনি যে প্লেটে খান তার চেয়ে ছোটো প্লেটে খেলে আপনি একটু কমই খেয়ে থাকবেন। (অলসতাকে কাজে লাগান।)

  • বলা হয়ে থাকে, টেলিভিশন দেখে দেখে খেলে অন্যমনস্কতার কারণে খাওয়া বেশি হয়ে যায়। তাই খাওয়ার সময় টেবিল চেয়ারে বসে পরিমাণ মতো খাবার ভালোভাবে চিবিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করুন।

পরিশেষে

ওজন কমাতে হলে অবশ্যই প্রাকৃতিক নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে। অর্থাৎ ব্যায়াম করা, পরিমিত এবং নিয়ম মেনে খাবার গ্রহণ, সচল থাকা ইত্যাদি। কিন্তু আমরা অনেকেই আছি যারা সবসময় এই নিয়মের মধ্যে চলতে পারি না, অনেক সময় সময়ের অভাবে এবং অলসতার কারণে ওজন কমানো সম্ভব হয় না।

আজকের পোস্টে উল্লেখিত টিপস গুলো আপনি যদি মেনে চলেন তাহলে খুব বেশি পরিশ্রম এবং ডায়েট ছাড়াই ওজন অনেকটাই কমানো সম্ভব হবে বলে আমি মনে করি। যেহেতু শুধু সাইন্সকে একটু কাজে লাগিয়ে এই টিপস গুলো লেখা হয়েছে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

passiondrivefiona র নীতিমালা মেনে comment করুন। প্রতিটি comment রিভিউ করা হয়;

comment url