ইতালিতে কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি

ইতালিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি এই সম্পর্কিত সর্বশেষ সঠিক তথ্য আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করতে চলেছি। আপনি যদি কাজের উদ্দেশ্যে ইতালি যেতে চান তাহলে প্রথমে আপনার জানা প্রয়োজন বর্তমানে ইতালিতে কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। সাথে জানবেন বর্তমানে ইতালিতে কোন কাজে বেতন কত টাকা।

ইতালিতে-কোন-কাজের-চাহিদা-বেশি

পোস্ট সূচিপত্রঃবাংলাদেশ থেকে যারা প্রবাসে কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চান তাদের পছন্দের দেশ হলো ইতালি। তাই ইতালি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে প্রথমে আপনাকে ইতালির কোন কাজ গুলোর চাহিদা সবসময়ই থাকে এ ব্যাপারে সঠিকভাবে জেনে তারপর সে দেশে পাড়ি জমানো উচিত। এছাড়া ইতালিতে কোন কাজে কত টাকা বেতন পাওয়া যায় এই সম্পর্কে জানার প্রয়োজন রয়েছে।

ভূমিকা: ইতালিতে কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি

ইতালিতে কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি এই সম্পর্কিত আপডেট তথ্য আপনারা অনেকেই জানতে চান। ইতালি এমন একটি দেশ যেখানে প্রতিনিয়তই বিভিন্ন কাজের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পশ্চিম ইউরোপের অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধশালী এবং শক্তিশালী একটি দেশ ইতালি।

ইতালিতে সব কাজের চাহিদা বর্তমানে বেশি, তবে কিছু কিছু কাজ রয়েছে যে কাজ গুলোর চাহিদা সবসময়ই বেশি থাকে। যেমনঃ ইলেকট্রিশিয়ান, মেকানিক, ওয়েল্ডার, কৃষি কাজে কর্মী, সেলসম্যান, গৃহস্থালি কর্মী ইত্যাদি।

আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশে কোন গেম খেলে টাকা ইনকাম করা যায় এখনই জানুন

প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে ইতালিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি, কোন কাজে কত বেতন, ইতালি যেতে কত টাকা লাগবে, ইতালি এক টাকা বাংলাদেশের কত টাকা, রোমানিয়া থেকে ইতালি কিভাবে যাবেন, ইতালি ভিসা অফিসিয়াল ওয়েবসাইট সম্পর্কিত সর্বশেষ সঠিক তথ্য আপনারা জানতে পারবেন।

তাহলে চলুন দেরি না করে আর্টিকেলটি শুরু করা যাক।

ইতালিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি

প্রিয় পাঠক, ইতালিতে কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি এ সম্পর্কে আপনারা এখন জানতে পারবেন। বেশি চাহিদার কাজ গুলোর বেতন যেহেতু বেশি হয়ে থাকে, তাই ইতালি পাড়ি জমানোর আগে কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি এ ব্যাপারে আপনাদের জানার আগ্রহ রয়েছে।

এছাড়া ইতালিতে সারা বছরই ছোট-বড় সব ধরনের কাজের ক্ষেত্র তৈরি হতে থাকে। এজন্য কাজের পরিমাণও সব সময় বেশি থাকে। আপনি যদি সঠিক কাজটি জেনে এবং রপ্ত করে ইতালি যেতে পারেন, তাহলে আপনার কাজের অভাব হবে না এবং আপনি প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ইতালিতে বিভিন্ন ধরনের কাজের চাহিদা রয়েছে যেমনঃ কোম্পানির কাজ, ফ্যাক্টরি ওয়ার্কার, কৃষি কাজ, হোটেল- রেস্টুরেন্টের কাজ, ড্রাইভিং, সেলসম্যান ইত্যাদি। কিছু কাজের জন্য আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতা দরকার হবে। তবে আপনি যে কাজের উদ্দেশ্যেই যান না কেন আপনাকে অবশ্যই ইতালি ভাষা শিখে তারপর ইতালি পাড়ি জমাতে হবে অর্থাৎ ইতালি ভাষা বলা এবং বোঝার ক্ষমতা থাকতে হবে।

না হলে আপনার যতই দক্ষতা থাক না কেন আপনার জন্য কাজ পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে।

আবার অনেকে আছেন যারা কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন না করে ইতালি গিয়ে বিপদে পড়েন। কারণ  দক্ষতা ছাড়া নতুন হিসেবে কাজ পাওয়া অনেক কঠিন হয়ে দাড়ায়। তাই যখনই আপনি ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় ইতালি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিবেন, আপনার কাজ করার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা বৃদ্ধির দিকে জোর দিতে হবে।

ইতালিতে যে কোন কাজে একজন দক্ষ শ্রমিকের চাহিদা এবং বেতন সবসময়ই বেশি। বলা হয়ে থাকে, ইটালিতে কাজের অভাব নেই কিন্তু দক্ষ শ্রমিকের অভাব রয়েছে। তাই ইতালি যাওয়ার আগে আপনার প্রথম কাজ হবে কাজের দক্ষতা অর্জন করা এবং ভাষাগত জ্ঞান বৃদ্ধি করা।

আরো পড়ুনঃ সহজ উপায়ে দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম সাইট work up job

প্রিয় পাঠক, ইতালিতে সব ধরনের কাজের চাহিদা থাকলেও নির্দিষ্ট কিছু কাজের চাহিদা সবসময়ই অনেক বেশি। তবে এই ধরনের কাজের জন্য আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং কাজের পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকার প্রয়োজন রয়েছে। এই ধরনের কাজ করে ইতালিতে বর্তমানে প্রবাসীরা লাখ লাখ টাকা মাসে ইনকাম করছেন।

এই ধরনের কাজের তালিকা নিচে দেয়া হলো-

  • ইঞ্জিনিয়ার
  • মেকানিক
  • আইনজীবী
  • নার্স
  • যেকোনো ধরনের অফিসের কাজ
  • ফ্যাক্টরি কাজ
  • কোম্পানির কাজ

আপনার যদি এই সকল কাজে উচ্চ ডিগ্রী থাকে, কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকে এবং ইতালি ভাষা বলা এবং বুঝার ক্ষমতা থাকে তাহলে আপনার জন্য কাজ পাওয়া অনেক সহজ হবে। এই কাজগুলো করে আপনি প্রতিমাসে সর্বনিম্ন ১.৫ লক্ষ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২.৫ বা ৩ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

প্রিয় পাঠক, উপরে যে কাজগুলোর কথা আলোচনা করেছি এই কাজগুলো ছাড়াও আরো অনেক ধরনের ছোট বড় কাজ ইতালির বিভিন্ন শহরে প্রচুর রয়েছে। সাধারণত এই ধরনের কাজগুলোতে শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন হয় না। তবে আপনার যদি কাজের দক্ষতা এবং ইতালি ভাষা জানা থাকে তাহলে এই ধরনের কাজে সহজে নিয়োগ পাবেন।

সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে যে কাজ গুলোতে তার তালিকা নিচে দেওয়া হলো-
  • ড্রাইভিং
  • ক্লিনার
  • রেস্টুরেন্ট এর কাজ
  • শ্রমিকের কাজ
  • পোশাক কারখানায় কাজ
  • মেকানিক
  • ওয়েল্ডিং এর কাজ
  •  ডেলিভারি কাজ
  • পাইপ ফিটিংয়ের কাজ
  • প্লাম্বিং
  • কৃষি কাজ
  • লেবারের কাজ
  • সেলসম্যান
  • নিরাপত্তা কর্মী
  • গৃহস্থালি কর্মী
  • মার্কেটগুলোতে কাজ ইত্যাদি।

উপরে উল্লেখিত কাজগুলো ছাড়াও হোটেল বয়, ইলেকট্রিশিয়ান, নার্স, ফুড প্যাকেজিংয়ের কাজ, ফুড ডেলিভারির কাজ, গৃহস্থালির কাজ, বাচ্চা দেখাশোনার কা্জ, বারিস্তা (ইতালির রেস্টুরেন্ট গুলো তে কফি বানানো), বাঙ্কার বা ভাসমান দোকানের সেলসম্যান কাজগুলোর চাহিদা সবসময় থাকে এবং সহজে পাওয়া যায়।

এ সকল কাজগুলো করতে আপনার যদি দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি মাসে সর্বনিম্ন ৮০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ টাকার ইনকাম করতে পারবেন।

ইতালিতে কাজ পাওয়া কি সত্যিই সহজ

প্রিয় পাঠক, ইতালিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং ইতালিতে এই কাজ গুলো পাওয়া সত্যিই সহজ কিনা এ সম্পর্কে আপনারা জানতে চান। ইতালি গেলে আপনি সহজে কাজ পাবেন কারণ ইতালিতে সব ধরনের কাজের চাহিদা অনেক বেশি। তবে কোন রকম দক্ষতা এবং যোগ্য শ্রমিক ছাড়া ইতালিতে কাজ পাওয়া অনেক কঠিন।

বর্তমানে বাংলাদেশ সহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে প্রচুর শ্রমিক ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় ইতালি যাওয়া পছন্দ করেন। অনেক সময় তারা ইতালির ভাষা না শিখে, কাজের কোনরকম দক্ষতা অর্জন না করে ওই দেশে গিয়ে থাকেন। অনেক সময়ই তারা নতুন শ্রমিক হিসেবে কোন ধরনের কাজ পান না বা কোন কাজে তাদের নিয়োগ দেয়া হয় না।

ইতালিতে-কোন-কাজের-চাহিদা-বেশি

আবার ইতালিতে উচ্চমানের কিছু কাজ রয়েছে যেগুলোতে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন হবে এবং সেই কাজ করার পূর্ব অভিজ্ঞতার থাকতে হবে। ইতালি সরকার সবসময়ই দক্ষ, অভিজ্ঞতা সম্পন্ন এবং ভাষা জানা যোগ্য শ্রমিকদের কাজে নিয়োগ দিয়ে থাকেন।

তাই আমি বলব আপনি যখনই ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় ইতালি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিবেন, আপনার প্রথম কাজ হবে যে কোন কাজ করার দক্ষতা বৃদ্ধি করা, কাজের অভিজ্ঞতা তৈরি করা এবং ইতালি ভাষা শিখে তারপর ভিসার জন্য আবেদন করা, তাহলেই কাজ পাওয়া আপনার জন্য সহজ হবে।

ইতালিতে বেশি চাহিদার কাজ গুলো কিভাবে পাবেন

প্রিয় পাঠক, ইতালিতে কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি সে সম্পর্কে উপরে আপনারা জানতে পেরেছেন। আর্টিকেলের এই পর্যায়ে জানতে পারবেন, ইতালিতে আপনি বেশি চাহিদার কাজ গুলো সহজে কিভাবে পাবেন! দেখুন, আপনি যদি একজন দক্ষ এবং যোগ্য শ্রমিক হয়ে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় ইতালি যান, তাহলে অসংখ্য কাজ আপনার জন্য অপেক্ষা করছে।

কিন্তু আপনি ভাবছেন আমার কাজ করার দক্ষতা রয়েছে তাহলে এই দক্ষতার ভিত্তিতে আমি কিভাবে কাজ পেতে পারি! এক্ষেত্রে প্রথমে আপনাদের বলতে চাই, আপনি যে এজেন্সির মাধ্যমে ইতালি যাওয়ার ভিসা প্রসেসিং কাজ করবেন, সাধারণত এজেন্সির মাধ্যমে আপনি কাজটি পাবেন। তবে অবশ্যই সঠিক এবং নির্ভরযোগ্য এজেন্সির মাধ্যমে আপনাকে ভিসা প্রসেসিং কাজ করতে হবে।

আরো পড়ুনঃ ফ্রি টাকা ইনকামের বিকাশ পেমেন্ট সাইট/অ্যাপস সম্পর্কে জানুন

এছাড়া আপনি যদি সরকারি ভাবে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় ইতালি যান তাহলে আপনার কাজ নিয়ে কোনো রকম চিন্তা করতে হবে না। মোটকথা আপনি যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় বৈধ উপায়ে ইতালি যান তাহলে কাজ পাওয়ার ব্যাপারে আপনাকে চিন্তা করতে হবে না, যদিও অবৈধ উপায়ে গেলেও কিছু কিছু কাজ আপনি করতে পারবেন।

এক্ষেত্রে সাধারণত ভাসমান দোকানের সেলসম্যান, ক্লিনার, হোটেল বয় এর মত আরো কিছু কম বেতনের কাজ আপনাকে করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে সব সময় আপনাকে পুলিশের হয়রানির মুখে থাকতে হলেও কাজ পেতে সমস্যা হবে না।

ইতালিতে কোন কাজে কত বেতন জেনে নিন

প্রিয় পাঠক, ইতালিতে কোন কাজে কত বেতন এই সম্পর্কে আর্টিকেলের এই অংশে আপনারা জানতে পারবেন। ইতালিতে কোন কাজের চাহিদা বর্তমানে বেশি এ সম্পর্কে জানার সাথে সাথে আপনাদের জানা প্রয়োজন কোন কাজে কত টাকা বেতন বা মজুরি পাওয়া যাবে।

ইতালিতে যেসব কাজে উচ্চশিক্ষা, দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার প্রয়োজন সেসব কাজ করে আপনি সর্বনিম্ন ১ লক্ষ টাকা থেকে ১.৫ লক্ষ টাকা বেতন পাবেন। আবার কিছু কিছু কাজ রয়েছে যে কাজ গুলোর জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা খুব একটা ম্যাটার করে না।

শুধুমাত্র আপনার যদি কাজের দক্ষতা এবং ভাষা জানা থাকে তাহলে সেসব কাজের জন্য সর্বনিম্ন ৮০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১ লক্ষ টাকা বেতন পাবেন। যেমনঃ ক্লিনার, ফ্যাক্টরি ওয়ার্কার, ড্রাইভিং, রেস্টুরেন্ট এর ওয়েটার, কৃষিকাজ, সেলসম্যান ইত্যাদি।

অর্থাৎ প্রতিটি আলাদা কাজের জন্য আপনি ভিন্ন ভিন্ন মজুরি বা বেতন পাবেন। তাছাড়া আপনি যখন দক্ষ শ্রমিক হিসেবে বৈধ উপায়ে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে ইতালি যাবেন স্বাভাবিকভাবে তখন আপনি তুলনামূলক ভালো কাজগুলো করার সুযোগ পাবেন যা আপনাকে একটা মার্জিন সেলারি পেতে সহায়তা করবে।

প্রিয় পাঠক আপনাদের সুবিধার্থে নিচে তালিকা করে দেয়া হলো কোন কাজে কত টাকা বেতন পাবেন-

সংখ্যা কাজের ধরন মাসিক বেতন আনুমানিক দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা
জাহাজ নির্মাণ কোম্পানি ১,৫০০ - ২৫,০০ ইউরো কাজ করার দক্ষতা এবং পূর্ব অভিজ্ঞতা লাগবে
ফ্যাক্টরি ওয়ার্কার ১,৩০০ - ২৭,০০ ইউরো কাজের দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং কাজের পদবী
রেস্টুরেন্ট শেফ ১,৩,০০ - ২৫,০০ ইউরো কাজের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা
রেস্টুরেন্ট ক্লিনার ১,০০০ - ১৩,০০ ইউরো কাজ করার অভিজ্ঞতা না থাকলেও চলবে
কৃষি কাজ ৮০০ - ২১,০০ ইউরো দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হবে
ইলেকট্রিশিয়ানের কাজ ২,০০০ - ৪,০০০ ইউরো কাজের দক্ষতা এবং পূর্ব অভিজ্ঞতা দরকার হবে
মার্কেটিং এর কাজ ২,০০০ - ৩,৫০০ কাজের জন্য দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা প্রয়োজন হবে
কনস্ট্রাকশনের কাজ ১,২০০ - ৩,০০০ ইউরো কাজের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা থাকলে ভালো হবে
ভাসমান দোকানের সেলসম্যান ৮০০ - ১,০০০ ইউরো দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা না থাকলেও চলবে
১০ ড্রাইভিং ১,০০০ - ৩,০০০ ইউরো অবশ্যই ড্রাইভিং জানতে হবে
১১ সাধারণ শ্রমিকের কাজ ১,০০০ - ১,৫০০ ইউরো কাজের দক্ষতা থাকলে ভালো হবে
১২ রেস্টুরেন্টের অ্যাসিস্ট্যান্ট শেফ ১,৩০০ - ১,৭০০ ইউরো কাজের জন্য দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার দরকার হবে

ইতালিতে সর্বনিম্ন বেতন কত

ইতালিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি জানার সাথে সাথে ইতালিতে সর্বনিম্ন বেতন কাঠামো কত জানার প্রয়োজন রয়েছে। কারন কোন কাজের সর্বনিম্ন বেতন জানা থাকলে আপনার জন্য নির্দিষ্ট ক্যাটাগরির কাজ বাছাই করা সহজ হবে। সাধারণত সরকারিভাবে প্রতিটি কাজের জন্য আলাদা সর্বনিম্ন বেতন নির্ধারিত করা হয়েছে।

এক্ষেত্রে একজন নতুন শ্রমিক হিসেবে আপনি সর্বনিম্ন ৭০০ থেকে ৮০০ ইউরো শুরু করে ১০০০ ইউরো মাসিক বেতন পাবেন। পরবর্তীতে আপনার কাজের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা বৃদ্ধির সাথে সাথে আপনার বেতন দিন দিন বৃদ্ধি পেতে থাকবে।

এখানে আরেকটা তথ্য দিয়ে রাখি, এখানে হাই রেটেড কাজের জন্য গড়ে সর্বোচ্চ বেতন ৪৪৯২ ইউরো প্রদান করা হয়। তবে কাজের দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং পদবী এই বেতন নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

ইতালি ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা

প্রিয় পাঠক, ইতালি ১ টাকা সমান বাংলাদেশের কত টাকা এ সম্পর্কে আর্টিকেলের এই পয়েন্টে আপনারা জানতে পারবেন। ইতালি সেনজেন ভুক্ত দেশ হওয়ায় দেশটির বর্তমানে প্রচলিত মুদ্রা ইউরো।কাজেই এক ইউরো সমান বাংলাদেশের বর্তমানে কত টাকা তা জানতে হবে।

তাহলে জেনে নিন ২০২৪ সালের ১৪ই সেপ্টেম্বর আজকের তারিখ অনুযায়ী ১ ইউরো সমান বাংলাদেশের কত টাকা।

১ ইউরো = ১২০.১১৯ টাকা(প্রায়)

১০ ইউরো = ১,২০২ টাকা (প্রায়)

১০০ ইউরো = ১,২০১২ টাকা (প্রায়)

১,০০০ ইউরো = ১,২০,১১৯ টাকা (প্রায়)

১০,০০০ ইউরো = ১,২০১,১৯০ টাকা (প্রায়)

তবে টাকার মান যেহেতু সর্বদাই উঠানামা করে তাই আজকের এই টাকার মানটি যেকোনো সময় পরিবর্তিত হতে পারে।

বাংলাদেশ থেকে ইতালি যেতে কত টাকা লাগবে

প্রিয় পাঠক, বাংলাদেশ থেকে ইতালি যেতে কত টাকা লাগবে এ বিষয়ে এখন জানতে পারবেন। আপনারা যারা ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় প্রবাসী হিসেবে ইতালিতে কাজ করতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, তাদের জানা দরকার বাংলাদেশ থেকে ইতালি যেতে কত টাকা খরচ হবে। ইতালি যেতে বর্তমানে ভিসা প্রসেসিং সহ বাংলাদেশী টাকায় ৮ লক্ষ টাকা থেকে ১৫ লক্ষ টাকা খরচ করতে হবে।

একটি কথা জানিয়ে রাখা ভালো, সাধারণত এজেন্সির মাধ্যমে ইতালি যাওয়ার ভিসা প্রসেসিং এর জন্য আপনাকে বেশি টাকা খরচ করতে হবে। আবার ইতালি স্পনসর ভিসার মাধ্যমে যেতে আপনার মূল আবেদন খরচ কম লাগলেও, বিভিন্ন এজেন্সি স্পন্সর ভিসা প্রসেসিং করায় অনেক টাকা খরচ করতে হবে।

এক্ষেত্রে আপনার খরচ ৮ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে ১৫ লক্ষ অনেক ক্ষেত্রে তা ২০ লক্ষ টাকা হতে পারে।

ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ছাড়া আপনি যদি অন্যান্য ভিসার মাধ্যমে ইতালি যেতে চান তাহলে কত টাকা লাগতে পারে তার তালিকা নিচে দেওয়া হল।

ইতালি ভিসার ধরন টাকার পরিমান
ইতালি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সর্বনিম্ন ৮ লক্ষ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৫ লক্ষ টাকা
ইতালি কৃষি ভিসা সর্বনিম্ন ৭ লক্ষ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৯ লক্ষ টাকা
ইতালি স্টুডেন্ট ভিসা সর্বনিম্ন ৫ লক্ষ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা
ইতালি টুরিস্ট ভিসা, সর্বনিম্ন ৩ লক্ষ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকা

রোমানিয়া থেকে ইতালি কিভাবে সহজে যাওয়া যায়

রোমানিয়া থেকে ইতালি কিভাবে সহজে যাওয়া যায় এ সম্পর্কে আপনি যদি জানতে চান তাহলে আর্টিকেটি পড়তে থাকুন। ইতালি ইউরোপের অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী দেশ গুলোর মধ্যে অন্যতম। অনেকেরই স্বপ্ন থাকে ইতালি যাওয়ার। ইতালির কাজের চাহিদা অনেক বেশি এবং বেতন কাঠামো অনেক উন্নত।

এ কারণে ইউরোপের অন্যান্য দেশে যাওয়ার পর অনেকেই ইতালি যাওয়ার চেষ্টা করেন। বর্তমানে রোমানিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার প্রবণতা মানুষদের মধ্যে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।

প্রিয় পাঠক, আর্টিকেলের এই পর্যায়ে সংক্ষেপে আপনাদের জানাবো রোমানিয়া থেকে কিভাবে সহজে ইতালি যাওয়া যায়। ইতালি এবং রোমানিয়া ইউরোপের সেনজেন ভুক্ত দেশ। এজন্য অনেকেই এই সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে রোমানিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার চেষ্টা করেন।

সাধারণত রোমানিয়ার নাগরিকগণ ভিসা ছাড়াই ইতালি যেতে পারেন, তবে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় আপনি রোমানিয়া গিয়েছেন এবং আপনি রোমানিয়ার নাগরিক নন, সেক্ষেত্রে আপনার অবশ্যই ইতালি যেতে ভিসা প্রয়োজন হবে।

আরো পড়ুন: দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম করার বেস্ট  ১৫টি অ্যাপস

এক্ষেত্রে আপনার প্রথম কাজ হবে রোমানিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার জন্য রোমানিয়া ভিসা অফিস থেকে ইতালি যাওয়ার ভিসা ফরম সংগ্রহ করা। নির্দিষ্ট ক্যাটাগরির কাজের জন্য নির্ধারিত ভিসা সংগ্রহ করার পর আবেদন ফি এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র সহ ভিসা অফিসে জমা দিতে হবে। এ পর্যায়ে ভিসা অফিস থেকে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।

রোমানিয়া থেকে ইতালি যেতে আপনার যেসব কাগজপত্র দরকার হবে তা হল-

  • ভিসা আবেদন ফরম
  • ন্যূনতম ৬ মাস মেয়াদী বৈধ পাসপোর্ট
  • সাম্প্রতিক তোলা দুই কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি
  • জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি
  • মেডিকেল সনদ
  • ইতালি ভাষা শিক্ষা যোগ্যতার সনদপত্র
  • ইংরেজি ভাষা শিক্ষা সনদপত্র
  • কাজের দক্ষতার সনদপত্র
  • স্পন্সর কর্তৃক ইনভাইটেশন লেটার
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর সনদ
  • আর্থিক সনদ হিসেবে তিন মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট
  • করোনা টিকা দেয়া সনদ
  • ভ্রমণ করার বীমা
  • ভ্রমণের করার উদ্দেশ্য

নিচে উল্লেখিত ভ্রমণ বীমা এবং ভ্রমণের উদ্দেশ্য সনদ ভিসিট ভিসার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। ভিসা প্রসেসিং এর কাজ শেষ হলে আপনাকে জানিয়ে দেয়া হবে আপনি ইতালি যাওয়ার ভিসা পেয়েছেন কিনা। আপনার ভিসা আবেদনটি অনুমোদন হলে বৈধ উপায়ে আপনি ইতালি যাওয়ার সুযোগ পাবেন।

আপনি চাইলে ভিসা আবেদন পত্র অনলাইনে রোমানিয়ার অফিসিয়াল ভিসা ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করতে পারেন। বৈধ উপায় ছাড়াও অনেকেই অবৈধ বিভিন্ন পথে রোমানিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার চেষ্টা করেন। তবে এই প্রক্রিয়াটির সাথে জীবনের অনেক ঝুঁকি কাজ করে। তাই আপনাদের প্রতি আমার পরামর্শ থাকবে, আপনারা বৈধ যে কোন উপায়ে রোমানিয়া থেকে ইতালি যাওয়া চেষ্টা করবেন।

ইতালিতে-কোন-কাজের-চাহিদা-বেশি

ইতালির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এর লিংক জেনে নিন

ইতালির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এর লিংক আপনারা অনেকেই খুঁজে থাকেন। ইতালি যাওয়ার জন্য সরকারি ভিসা অফিস ছাড়া আপনি যদি অনলাইনে ভিসা আবেদন পত্রটি সংগ্রহ করতে চান তাহলে google ক্রমে গিয়ে নিচের লিংকে ক্লিক করলে ইতালির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট পেয়ে যাবেন।

এখান থেকে আপনি ভিসা আবেদন ফরমটি সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি দিয়ে আবেদন পত্রটি পূরণ করে সাবমিট করলেই ভিসার জন্য আবেদন করার কাজ শেষ হবে। নিচে ইতালির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এর লিংক দেয়া হলঃ

                                                            এখানে ক্লিক করুন

প্রিয় পাঠক, এই পর্যায়ে অনলাইনে ভিসা আবেদন প্রক্রিয়াটি ধাপে ধাপে জেনে নিন। প্রথমে উপরের লিংকে ক্লিক করে ইতালির ভিসা অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। এরপর কাজ হবে আপনার নির্ধারিত ভিসা ক্যাটাগরিটি বাছাই করা। পরের ধাপে আবেদন ফরমটি সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় সকল তথ্য সঠিকভাবে দিয়ে পূরণ করতে হবে।

আবেদন ফর্মের সাথে চাওয়া সকল কাগজপত্রের স্ক্যান কপি আপলোড করতে হবে। এরপর আবেদন পত্রের জন্য নির্ধারিত ফি পরিশোধ করতে হবে। এই পর্যায়ে আপনার সকল তথ্য এবং কাগজপত্র ঠিক থাকলে ভিসা আবেদন ফর্ম প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ইতালি ভিসা অফিসে জমা দিতে হবে।

প্রিয় পাঠক, এখন আপনারা জানতে পারবেন ভিসা আবেদন ফর্মের সাথে যে সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বা ডকুমেন্টস সংযুক্ত করতে হবে তার তালিকা।
  • আপনার ৬ মাস মেয়াদে সম্পূর্ণভাবে বৈধ পাসপোর্ট
  • যথোপযুক্ত তথ্য দিয়ে পূরণ করা ভিসা আবেদন ফর্মে আপনার স্বাক্ষর
  • জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি
  • সম্প্রতি তোলা আপনার দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • আপনার সকল শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র
  • আপনার কাজের দক্ষতার সনদপত্র
  • আপনার কাজের অভিজ্ঞতার সনদপত্র
  • ইংরেজি ভাষা জানার সনদপত্র
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর পেপার
  • আপনার মেডিকেল সনদপত্র
  • ভিসা আবেদনের জন্য নির্ধারিত ভিসা ফি
উপরোক্ত কাগজপত্র সহ আবেদন ফরমটি জমা দেওয়ার পর ভিসা প্রসেসিং হতে সাধারণত কমপক্ষে ২ সপ্তাহ থেকে ৮ সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। অনেক সময় কিছু কিছু ক্ষেত্রে এর চেয়ে অনেক বেশি সময় লাগার প্রয়োজন হতে পারে।

ইতালিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন এবং উত্তর

প্রশ্নঃ ইতালিতে কোন কাজের সুযোগ বেশি?

উত্তরঃ ইতালি পর্যটন দেশ হিসেবে এখানে পর্যটক গাইড, ট্যুর ম্যানেজমেন্ট এর চাকরি সহ হোটেল এবং রেস্তোরাঁ ওয়েটার, ক্লিনার এবং শেফের চাকরি করার বেশি সুযোগ রয়েছে।

প্রশ্নঃ ইতালিতে সর্বনিম্ন বেতন কত?

উত্তরঃ ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যাওয়া একজন নতুন শ্রমিকের কাজের ধরন এবং অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে সর্বনিম্ন বেতন ৮০ হাজার টাকা। অনেক অবৈধ শ্রমিকের বেতন ও এরকম হয়ে থাকে। তবে বৈধ শ্রমিকগণের বেতন ভবিষ্যতে বাড়ার সম্ভাবনা বহু গুণ রয়েছে।

প্রশ্নঃ ইতালির কোন শহরে কাজের সুযোগ বেশি?

উত্তরঃ ইতালির শহর গুলোর মধ্যে বর্তমানে মিলান শহরে কাজের সুযোগ সবচেয়ে বেশি রয়েছে। বর্তমানে এখানে সর্বোচ্চ সংখ্যক ১১৬৭ পদের কাজ করার সুযোগ রয়েছে।

প্রশ্নঃ ইতালির ভাষার নাম কি?

উত্তরঃ ইতালির ভাষার নাম ইতালীয় ভাষা। ইতালীয় ভাষা ওই দেশের প্রধান এবং সরকারি ভাষা।

প্রশ্নঃ ইতালিতে কাজ পাওয়া কি সহজ?

উত্তরঃ বর্তমানে ইতালিতে কাজের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় কাজ পাওয়া অনেকটাই সহজ হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ইতালি ভাষা জানতে এবং বুঝতে হবে। এছাড়া ইতালীয় ভাষা ছাড়াও চাকরির সুযোগ রয়েছে যেমনঃ ভাষার শিক্ষক, টুর গাইড ইত্যাদি।

পরিশেষে

প্রিয় পাঠক, আজকের পোস্টে ইতালিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়া আপনারা জানতে পেরেছেন ইতালিতে কোন কাজের বেতন কত টাকা।আপনি যখন ইতালি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিবেন তখন ইতালিতে কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানা আপনার প্রয়োজন।

এছাড়া প্রতিটি কাজের বেতন কেমন হবে সে সম্পর্কেও ধারণা রাখা উচিত। আজকের পোস্টটি পড়ে আশা করি এ সম্পর্কিত সঠিক সব ধরনের তথ্য পেয়ে যাবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

passiondrivefiona র নীতিমালা মেনে comment করুন। প্রতিটি comment রিভিউ করা হয়;

comment url