কালো থেকে দ্রুত ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া ৬টি উপায়

কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় নিয়ে আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করব। আপনি যদি কালো থেকে দ্রুত ফর্সা হওয়ার সবচেয়ে কার্যকরী ৬টি ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। সাথে জানবেন, ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম সম্পর্কে।

কালো-থেকে-ফর্সা-হওয়ার-উপায়

বাজারজাত বিভিন্ন ক্ষতিকর কেমিক্যাল যুক্ত ক্রিম ব্যবহার করার ফলে অল্প সময়ের জন্য আপনার ত্বক ফর্সা করলেও দীর্ঘমেয়াদে বিভিন্ন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে প্রাকৃতিক ঘরোয়া উপাদানের সাহায্যে ত্বকের রং ফর্সা করার উপায় গুলো ব্যবহার করা, যা আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করতে চলেছি।পোস্ট সূচিপত্রঃ

তাহলে চলুন দেরি না করে আর্টিকেলটি শুরু করা যাক।

কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়

কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে আর্টিকেলের প্রথমেই জানাবো, যা দ্রুত ফর্সা হওয়ার কার্যকর ঘরোয়া প্রাকৃতিক উপায় হিসেবে বিবেচিত। আমাদের মধ্যে যাদের গায়ের রং কালো তারা চেষ্টা করেন কিভাবে ফর্সা এবং উজ্জ্বল হওয়া যায়। দেখুন, আমাদের ত্বকের রং সৃষ্টিকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত।

আমাদের জন্মগত ত্বকের রঙ যদিও পরিবর্তন করা সম্ভব নয়, তবে প্রাকৃতিক কিছু ঘরোয়া উপাদান নিয়মিত ব্যবহারের মাধ্যমে ত্বকের উজ্জ্বলতা কয়েকগুণ বৃদ্ধি করা সম্ভব।

আপনি যখন নিচে উল্লেখিত ৬টি উপায় বা পদ্ধতি নিয়মিত অনুসরণ করবেন, আপনার চেহারা থেকে যে কোনো ধরনের দাগ ছোপ দূর হবে এবং ত্বকে নিয়ে আসবে বাড়তি উজ্জ্বলতা। আর যখন আপনি দাগমুক্ত এবং একটি উজ্জ্বল চেহারার অধিকারী হবেন তখন এমনিতেই আপনাকে ফর্সা দেখাবে।

তাহলে চলুন কালো থেকে দ্রুত ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায় গুলো সম্পর্কে জেনে নিন-

প্রথম পদ্ধতিঃ কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় বলতে হলে প্রথম যে উপায়টির সম্পর্কে আলোচনা করব এটি খুবই কার্যকরী এবং পরীক্ষিত একটি পদ্ধতি। আমার দাদি নানিদের এই উপায় ব্যবহার করতে দেখেছি এবং তারা সবসময়ই দাগমুক্ত উজ্জ্বল ত্বকের অধিকারী ছিলেন।

এই পদ্ধতিতে আপনার লাগবে দুধের সর। ঘন দুধের সরের সাথে দুই তিন ফোঁটা কাঁচা হলুদের রস পেস্ট করে ত্বকে লাগিয়ে হালকা হাতে ম্যাসাজ করুন। ৫ থেকে ৭ মিনিট ম্যাসাজ করার পর রেখে দিন। যখন ত্বক মিশ্রণটি ভালোভাবে শুষে নিবে তখন পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন এই পদ্ধতিটি রাতে ঘুমানোর আগে ত্বকে ব্যবহার করুন।

কিছুদিনের মধ্যেই ত্বক হবে দাগ মুক্ত এবং আপনার ত্বকে আনবে গ্লো। তবে এ পদ্ধতিটি যারা তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারী তাদের অনেক সাবধানে ব্যবহার করতে হবে।

দ্বিতীয় পদ্ধতিঃ আপনি যদি কালো থেকে দ্রুত ফর্সা হতে চান তাহলে দ্বিতীয় উপায়ে নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে তুলসী পাতা। এই পদ্ধতিও ত্বক থেকে যেকোনো ধরনের দাগ দূর করবে এবং ভেতর থেকে ত্বককে করবে উজ্জ্বল।

এই পদ্ধতিতে কিছু তুলসী পাতার রস বের করে সাথে হাফ চা চামচ মধু মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে হালকা হাতে ম্যাসাজ করুন। মিশ্রণটি ত্বকে শুকিয়ে গেলে পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এপদ্ধতিটিও আপনার ত্বককে ফর্সা এবং উজ্জ্বল করতে দারুন কার্যকরী হবে। সব ধরনের ত্বকে এ উপায়টি ব্যবহার করতে পারবেন।

তৃতীয় পদ্ধতিঃ কালো থেকে ফর্সা হওয়ার জন্য এই পর্যায়ে যে উপায়টির কথা আলোচনা করব সেটি ত্বকের যেকোনো ধরনের দাগ দূর করতে এবং ভিতর থেকে ত্বক উজ্জ্বল করতে দারুন কার্যকরী। এই পদ্ধতিতে আপনার লাগবে এক চা চামচ লেবুর রস এবং হাফ চা চামচ মধু। লেবুতে থাকা সাইট্রিক এসিড ত্বকের যে কোনো ধরনের দাগ দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

মধু ভিতর থেকে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে এবং তা বজায় রাখতে দারুন উপকারী একটি উপাদান। এই দুটি উপাদান ভালোভাবে মিশিয়ে পরিষ্কার ত্বকে ব্যবহার করতে হবে। মিশ্রণটি ত্বকে পাঁচ থেকে ছয় মিনিট হালকাভাবে ঘষে লাগানোর পর শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে পরিষ্কার পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন। কিছুদিনের মধ্যেই আপনার ত্বক থেকে সব দাগ দূর হবে এবং ত্বক হবে ঝকঝকে।

চতুর্থ পদ্ধতিঃ কালো থেকে ত্বকের রং ফর্সা করতে এবং ত্বক থেকে ম্যালাজমা, হাইপার পিগমেন্টেশন, সান বার্ন দূর করতে এই পদ্ধতিটি অত্যন্ত সহজ একটি ঘরোয়া রেমিডি। এ পদ্ধতিতে হাফ চা চামচ লেবুর রসের সাথে হাফ চা চামচ চিনি ভালোভাবে মিক্সড করে নিতে হবে।

চিনি একেবারে গলিয়ে ফেলা যাবে না। হালকা দানা দানা থাকা অবস্থায় আপনার ত্বকের দাগের জায়গায় মিশ্রণটি লাগিয়ে পরিষ্কার হাতে হালকা ভাবে ম্যাসাজ করতে হবে। ৩ থেকে ৫ মিনিট ম্যাসাজ করলেই যথেষ্ট। পরে নরমাল বা হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

আপনি যদি নিয়মিত এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করেন ৭ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে আপনার ত্বকের যে কোনো ধরনের দাগ দূর হতে শুরু করবে।

পঞ্চম পদ্ধতিঃ কালো থেকে ফর্সা হওয়া উপায় যদি জানতে চান, তাহলে বলব নিয়মিত ত্বক এক্সফোলিয়েট করুন। তাই এই পদ্ধতিতে আমি আপনাকে ত্বক এক্সফোলিয়েট করার ঘরোয়া একটি কার্যকরী উপায় বলতে চলেছি। দেখুন, আপনি যদি ফর্সা এবং উজ্জ্বল ত্বক পেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে নিয়মিত ত্বক থেকে মৃত কোষগুলো সরিয়ে ফেলতে হবে।

যখন আপনি ত্বক থেকে মৃত কোষগুলো সরিয়ে ফেলবেন তখন ন্যাচারালি আপনার ত্বক উজ্জ্বল দেখাবে। আর ত্বক থেকে এই মৃত কোষ সরানোর জন্য নিয়মিত এক্সফোলিয়েট  করতে হবে। তাহলে নিচে ত্বক এক্সফোলিয়েট করার উপায়টি জেনে নিন।

আপনি যদি শুষ্ক ত্বকের অধিকারী হন তাহলে এক চা চামচ বেসনের সাথে দুই চা চামচ টক দই এবং হাফ চা চামচ মধু মিশিয়ে নিন। সাথে দিতে পারেন তিন চার ফোটা লেবুর রস। সবগুলো উপাদান ভালোভাবে মিক্সড করে পরিষ্কার ত্বকে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তবে একেবারে শুকিয়ে ফেলা যাবে না।

এরপর অল্প অল্প পানি দিয়ে মুখের মিশ্রণটি নরম করে হালকা হাতে ঘষে পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখটি ধুয়ে ফেলুন। চাইলে সারা শরীরে আপনারা এই প্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন।

আপনারা যারা তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারী তাদের জন্য এক চা চামচ বেসনের সাথে পরিমাণ মতো গোলাপজল এবং তিন চার ফোটা লেবুর রস মিক্সড করে ত্বকের এক্সফোলিয়েট করার পরামর্শ দিব। এরপর ত্বকে লাগিয়ে মিশ্রণটি শুকিয়ে গেলে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
কালো-থেকে-ফর্সা-হওয়ার-উপায়

উপরে উল্লেখিত পদ্ধতিতে যখন আপনি আপনার ত্বক নিয়মিত এক্সফোলিয়েট করবেন তখন ভেতর থেকেও আপনার ত্বকে জমে থাকা সব ধরনের ময়লা বের করে নিয়ে আসবে। এতে ভিতর থেকেও আপনার ত্বক দিন দিন উজ্জ্বল হতে থাকবে। সপ্তাহে একবার বা দুই বার আপনার ত্বক এক্সফোলিয়েট করতে পারেন। তবে কোনভাবেই এর বেশি নয়।

উপরের ৫টি উপায়ই কালো থেকে চটজলদি ফর্সা হওয়ার উপায় হিসেবে কার্যকরী এবং পরীক্ষিত।আপনি আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী যে কোন পদ্ধতি কালো থেকে দ্রুত ফর্সা হওয়ার উপায় হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।

কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় ঘরোয়া টোনার

কালো থেকে দ্রুত ফর্সা হওয়ার উপায় নিয়মিত ত্বকে ঘরোয়া টোনার ব্যবহার। আপনার গায়ের রং যদি কালো হয় এবং আপনি যদি ফর্সা ত্বক পেতে চান, তাহলে উপরে উল্লেখিত ৫টি ঘরোয়া উপায় ব্যবহারের সাথে সাথে নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে টোনার।

তবে এই টোনারটি হতে হবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি অর্থাৎ ক্যামিকেল মুক্ত। যখন আপনি নিয়মিত ত্বক পরিচর্যার রুটিনে এটি যোগ করবেন তখন আপনি আপনার ত্বকের বাড়তি উজ্জ্বলতা দেখতে পাবেন।

টোনার পরবর্তী ধাপের জন্য আপনার ত্বককে তৈরি করবে। কারণ ত্বকে যে কোন ধরনের ফেসপ্যাক বা ত্বক এক্সফোলিয়েট করার পর ত্বকে থাকা তেল দূর করে ত্বক শুষ্ক করে তুলে। এজন্য আপনার ত্বক পরিষ্কার করার পর ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখার জন্য এবং পরবর্তীতে আপনার ত্বকে ব্যবহারকৃত ক্রিমটি ভালোভাবে মিশিয়ে দিতে টোনার কাজ করবে।

এতে আপনার ত্বক আর্দ্রতা ধরে রাখবে, ত্বক থাকবে টানটান এবং মুখে ব্যবহারের ক্রিমটি দ্বিগুণ কাজ করবে। এখন আসা যাক, কোন ত্বকে কি ধরনের টোনার ব্যবহার করলে ভালো ফল পাবেন। টোনার হিসেবে খাটি গোলাপ জল ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো। তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীরা শুধু গোলাপজল ব্যবহার করলেই হবে।

আপনি যদি শুষ্ক ত্বকের অধিকার হন তাহলে ৩ থেকে ৪ চা চামচ গোলাপ জলের সাথে হাফ চা চামচ গ্লিসারিন মিশিয়ে একটি স্প্রে বোতলে রেখে সংরক্ষণ করে ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে এবং ত্বকে নরম ভাব বজায় রাখতে শুষ্ক ত্বকের জন্য এটি দারুন একটি টোনার।

যে কোন ভাল মানের গোলাপজল আপনারা বাজার থেকে কিনে ব্যবহার করতে পারেন। তবে আপনি যদি ঘরে গোলাপ জল তৈরি করতে পারেন তাহলে এটি ত্বকের জন্য সবচেয়ে ভালো হবে। গোলাপ জল বানানোর নিয়ম সম্পর্কে জানার জন্য আমার পোস্টটি পড়ে আসতে পারেন, পোস্টটি পড়লে গোলাপজল তৈরির পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম সম্পর্কে জেনে নিন

ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম সম্পর্কে আর্টিকেলের এই পয়েন্টে জানতে পারবেন। কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে উপরে উল্লেখিত ঘরোয়া উপায় গুলো ব্যবহার করার সাথে সাথে অনেকে ফর্সা হওয়ার জন্য চিকিৎসকগণ কর্তৃক সাজেস্ট করা ক্রিম সম্পর্কে জানতে চান।

কালো থেকে ফর্সা হতে বাজারে অনেক ধরনের নিম্নমানের এবং লো বাজেটের ক্রিম প্রচুর রয়েছে। কিন্তু এ ধরনের ক্রিম ব্যবহারে আপনার ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। কারণ এই সকল ক্রিম ত্বকের জন্য ক্ষতিকর মার্কারি, সালফার, প্যারাফিন, স্টেরয়েড মতো কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি হয়ে থাকে।

তবে ফর্সা হতে কিছু কার্যকরী এবং নিরাপদ ক্রিম আপনি বাজারে খুঁজে পাবেন, যে ক্রিমগুলো ডক্টর দ্বারা প্রেসক্রাইব করা থাকে। এ ধরনের ক্রিম ব্যবহারে আপনার ত্বকে কোনরকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করবে।

তাহলে নিচে জেনে নিন ফর্সা হওয়ার ৮টি ডাক্তারি ক্রিম সম্পর্কে-

Doctor Whitening Cream

কালো থেকে ফর্সা হতে সবার প্রথমে যে ডাক্তারি ক্রিম সম্পর্কে আলোচনা করব তা হল Doctor Whitening Cream. সবার বাজেটের মধ্যে ফর্সা হওয়ার পরীক্ষিত একটি ক্রিম Doctor Whitening Cream.
যেকোনো ত্বকের জন্য এই ক্রিমটি ব্যবহার উপযুক্ত হওয়ায় সবার পছন্দের শীর্ষে রয়েছে এই ক্রিমটি।

এই ক্রিমটি কেন ব্যবহার করবেনঃ
  • ক্রিমটি সালফার এবং প্যারাবানের মত ক্ষতিকর কেমিক্যাল মুক্ত
  • ক্রিমে ব্যবহার করা হয়েছে গ্লিসারিন এবং হাইলোরুনিক এসিড এর মত ত্বকের জন্য কার্যকরী উপাদান
  • সব ধরনের ত্বকে ব্যবহারযুক্ত একটি ক্রিম
  • ত্বকের যেকোনো ধরনের দাগ ছোপ দূর করবে ক্রিমটি
  • ত্বক ফর্সা করার সাথে সাথে ত্বকের আদ্রতা ভাব বজায় রাখবে
  • বয়সের ছাপ কমাবে
ক্রিমটি যেভাবে ব্যবহার করবেনঃ
  • ক্রিমটি সাধারণত রাতে ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। অর্থাৎ নাইট ক্রিম হিসেবে আপনি ব্যবহার করতে পারবেন।
  • মাইল্ড কোন ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করার পর ক্রিমটি ব্যবহার করতে হবে।
Doctor Whitening Cream ডার্মা-কোলজিস্ট দ্বারা পরীক্ষিত হওয়ায় ফর্সা হতে নিশ্চিন্তে কোরিয়ান প্যাক্স মলি ব্র্যান্ডের এই ক্রিমটি ব্যবহার করতে পারেন।

KoziCare skin lightening Cream

এখন যে ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম সম্পর্কে আলোচনা করব সেটি হল KoziCare skin lightening Cream. মূলতঃ ভারতে তৈরি এই ক্রিমটি বর্তমানে ফর্সা হওয়ার ক্রিম হিসেবে দারুন জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। ডার্মাকোলজিস্ট পরীক্ষিত হওয়ায় সব ধরনের ত্বকে ব্যবহার উপযুক্ত এই ক্রিম।

এই ক্রিম কেন ব্যবহার করবেন জেনে নিনঃ
  • ক্রিমটিতে রয়েছে কোজিক এসিড, আলফা আরবুটিন, গ্লুটাথিওন উপাদান যা ত্বককে ফর্সা করতে, ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে এবং যেকোনো ধরনের দাগ দূর করতে কার্যকরী উপাদান।
  • ক্রিমটি ত্বকের আদ্র ভাব বজায় রাখবে অর্থাৎ মরশ্চারাইজার হিসেবে ব্যবহার করা যাবে
  • ক্রিমে রয়েছে সান প্রটেকশন বৈশিষ্ট্য
  • নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের যেকোনো ধরনের দাগ দূর করবে
  • ত্বকের বয়সের ছাপ কমাবে
ক্রিমটি যেভাবে ব্যবহার করবেনঃ
  • মুখে লাগানোর আগে অবশ্যই ভালো কোন ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিতে হবে।
  • ভালো ফলাফলের জন্য দিনে দুইবার ক্রিমটি ব্যবহার করতে হবে। অর্থাৎ দিনের শুরুতে বা সকালে এবং রাতে ঘুমানোর আগে।
ক্রিমটি যেহেতু প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য তাই অপ্রাপ্তবয়স্কদের ব্যবহার না করার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।

KoziVit Whitening Cream

ফর্সা হতে ডাক্তাররা আরেকটি যে ক্রিম সাজেস্ট করে থাকেন তা হল KoziVit Whitening Cream. যেকোনো ভালো মানের ত্বক ফর্সাকারি ক্রিম এর মধ্যে এটি অন্যতম। এই ক্রিমটি ডার্মাকোলজিস্ট দ্বারা পরিক্ষিত হওয়ায় আপনি নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারবেন।

এই ক্রিম টি ব্যবহার করবেন কেনঃ
  • ত্বককে ভেতর থেকে উজ্জ্বল এবং ফর্সা করবে
  • ত্বকে যে কোন ধরনের দাগ দূর করবে
  • ত্বকে যদি সামটাইম পড়ে থাকে সেটাও দূর করবে
  • ব্রনের যে কোন দাগ দূর করে ত্বকে উজ্জ্বল করবে এই ক্রিম।
এই ক্রিমটি যেভাবে ব্যবহার করবেনঃ

এই ক্রিমটি রাতে ব্যবহার করার আগে ভালোভাবে মুখ কোন ভালো ফেসওয়াশ দিয়ে ধুয়ে ব্যবহার করতে হবে।

DermaDew Glow

এখন যে ক্রিমটির কথা বলব সেটি হল DermaDew  Glow Cream. এই ক্রিম ত্বকের যে কোন দাগ দূর করে ত্বক কে ভেতর থেকে ফর্সা করতে দারুন কার্যকরী এবং চিকিৎসকগণ দ্বারা প্রেসক্রাইব করা একটি ক্রিম।

এই ক্রিম এর বিশেষ ফিচারগুলো জেনে নিন:
  • যে কোন ত্বকে উপযোগী এই ক্রিম
  • এই ক্রিম ব্যবহারে ত্বক ভেতর থেকে উজ্জ্বল এবং ফর্সা হয়
  • ত্বকে যেকোনো ধরনের দাগ দূর করবে এই ক্রিম
  • ত্বকের ব্রণের দাগ দূর করতেও ব্যবহার করতে পারেন এই ক্রিমটি
  • ত্বককে ভেতর থেকে গ্লোয়িং করবে
অন্যসব ক্রিমের মতোই এই ক্রিম ব্যবহারের আগেও ফেসওয়াশ দিয়ে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে রাতে করতে হবে।

BILUMA Skin Lightening Cream

এখন যে ক্রিমটি ব্যাপারে আলোচনা করব সেটি হল BILUMA Skin Lightening Cream. নাম শুনেই বুঝতে পারছেন এই ক্রিমটি ত্বক ফর্সা এবং উজ্জ্বল করতে দারুন কার্যকরী হবে।

এই ক্রিমটি কেন ব্যবহার করবেন জানুনঃ
  • এই ক্রিম ব্যবহারে তোক ভেতর থেকে উজ্জ্বল এবং ফর্সা হবে
  • ত্বকের যে কোন ধরনের দাগ দূর হবে
  • এমনকি মেসতার দাগ দূর করবে এ ক্রিম
  • ত্বকে কোন ব্রনের দাগ থাকলে দূর করবে এ ক্রিম

ক্রিমটি ব্যবহার করার আগে ভালোভাবে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে.

Collagen and Luxury Gold Cream

আপনি যদি কালো থেকে নিরাপদে ফর্সা হতে চান তাহলে ব্যবহার করতে পারেন Collagen and Luxury Gold Cream. এই ক্রিমে থাকা কোলাজেন এবং ২৪ কে গোল্ড এসেন্স ত্বককে ভেতর থেকে উজ্জ্বল এবং ফর্সা করতে কাজ করে। ত্বকের যেকোনো ধরনের দাগ দূর করবে, ত্বকের বয়সের ছাপ কমিয়ে দেবে, ত্বককে ঝুলে যাওয়া হাত থেকে রক্ষা করবে।
কালো-থেকে-ফর্সা-হওয়ার-উপায় 

Pond's age miracle youth glow night cream

বাজেটের মধ্যে আপনি যদি ফর্সা হওয়ার কোন ক্রিম খুঁজে থাকেন তাহলে Pond's age miracle youth night cream ব্যবহার করতে পারেন. বিশেষ করে যাদের ত্বক ঝুলে পড়েছে, ত্বকে ভাজ বা বলিরেখা চলে এসেছে, ত্বকে রয়েছে তাদের জন্য এই ক্রিমটি ব্যবহার করা ভালো হবে।

Pond's gold beauty radiant glow cream

পন্ডস এর আরেকটি বাজেট ফ্রেন্ডলি ত্বক ফর্সা ক্রিম হলো Pond's gold beauty radiant glow cream. এই ক্রিমে কোলাজেন থাকায় ত্বক ভেতর থেকে উজ্জ্বল এবং ফর্সা করতে সহায়তা করে. এছাড়া ত্বক ঝুলে পড়া রোধ করতেও দারুন কার্য করে এই ক্রিম।

ফর্সা হওয়ার ছেলে ও মেয়েদের জনপ্রিয় ডাক্তারি ক্রিম

কালো থেকে ফর্সা হওয়ার জন্য ছেলে ও মেয়েদের বর্তমানে বাজার চলতি যে ক্রিমগুলো রয়েছে সে সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান। ক্রিমগুলোর তালিকা নিচে দেওয়া হল। নিচের তালিকার অন্তর্ভুক্ত ক্রিমগুলো একই সাথে জনপ্রিয় এবং বাজেটের মধ্যে হওয়ায় সবার পছন্দের তালিকায় রয়েছে।
  • Lakme Absolute Perfect Radiance Brightening Night Cream
  • L'Oreal White Perfect Night Cream
  • Lotus Herbal Night Cream
  • Garnier Skin Naturals Light Complete Serum Cream
  • Olay Naturals White Night Cream
  • L'Oreal Men expert White Active Cream
  • Garnier Men Powerlight swaet+oil control Moisturizer
  • Vaseline Men Whitening Moisturizer Cream

ফর্সা হওয়ার ক্রিম কেনার সময় বিবেচ্য বিষয়

কালো থেকে ফর্সা হওয়ার জন্য আমরা অনেক ধরনের ফর্সাকারী ক্রিম বাজারে দেখতে পাই। এ সকল ক্রিম বাজারে অনেক প্রচলিত এবং মানুষের মধ্যে জনপ্রিয়তা রয়েছে। তবে কিছু কিছু ক্রিম আছে যেখানে আমাদের ত্বকের জন্য ক্ষতিকর উপাদান বিদ্যমান। এই সকল উপাদান আমাদের ত্বককে স্থায়ীভাবে ফর্সা করলেও দীর্ঘমেয়াদে তা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

আবার কিছু ক্রিম রয়েছে যেখানে ফর্সা হওয়ার জন্য বিশেষ ইনগ্রেডিয়েন্টস দ্বারা তৈরি। যেমনঃ
  • নায়াসিনেমাইড
  • আলফা আরবুটিন
  • কোজিক অ্যাসিড
  • ভিটামিন সি
  • হায়ালুরনিক এসিড
উপরে উল্লেখিত উপাদান গুলো যে ক্রিমে রয়েছে সেগুলো আপনি ফর্সা হওয়ার জন্য নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারবেন। সাধারণত চিকিৎসকগণ এ সকল ইনগ্রেডিয়েন্টস যুক্ত ক্রিম প্রেসক্রাইব করে থাকেন।

এখন আপনাদের জানাবো ফর্সাকারী ক্রিমে কোন ধরনের উপাদান থাকলে সেই ক্রিম কেনা থেকে বিরত থাকা উচিত। যেমন:
  • Hydroquinone
  • Tretinoin
  • সালফেট
  • Mometasone furoate
  • প্যারাফিন
  • Steroid
বাজার চলতি যে কোন ফর্সাকারি ক্রিম কেনার সময় অবশ্যই ক্রিমের গায়ে লেখা উপরে উল্লেখিত উপাদান গুলো আছে কিনা তা ভালোভাবে চেক করে নিতে হবে। এই সকল উপাদান যে সকল ক্রিমে রয়েছে সে সকল ক্রিম ব্যবহার না করা ভালো হবে।

পরিশেষে

প্রিয় পাঠক, কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় নিয়ে আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। প্রকৃতি প্রদত্ত আমাদের ত্বকের রং যদিও পরিবর্তন করা সম্ভব নয়, তবে আর্টিকেলে উল্লেখিত ৬টি ঘরোয়া উপায় ব্যবহার করে আমরা আমাদের ত্বক ভেতর থেকে দ্রুত ফর্সা, উজ্জ্বল এবং সেই সাথে দাগ মুক্ত করতে পারি।

এছাড়া জানতে পেরেছেন ফর্সা হওয়ার ৮টি জনপ্রিয় ডাক্তারি ক্রিম সম্পর্কে। এই ক্রিমগুলো আপনি নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারবেন যেহেত ক্রিমগুলো চিকিৎসকগন প্রেসক্রাইব করে থাকেন। আজকের আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে, তাহলে আপনার পরিচিত আত্মীয়-স্বজন এবং বন্ধু-বান্ধবদের মধ্যে শেয়ার করতে পারেন যাতে তারা উপকৃত হতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

passiondrivefiona র নীতিমালা মেনে comment করুন। প্রতিটি comment রিভিউ করা হয়;

comment url