আইইএলটিএস (IELTS) ছাড়া ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায়
আইইএলটিএস (IELTS) ছাড়া ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায়, বাংলাদেশ থেকে যেসব শিক্ষার্থী আইইএলটিএস ছাড়া ইউরোপের দেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন, আজকের আর্টিকেল থেকে এ সংক্রান্ত সকল আপডেট তথ্য পেয়ে যাবেন। সাথে জানবেন, কম খরচে ইউরোপের কোন দেশে যাওয়া যায়।
আমাদের দেশের অনেক শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন থাকে উচ্চ শিক্ষার জন্য ইউরোপের দেশ গুলোতে যাওয়ার। ইউরোপের বেশিরভাগ দেশ গুলোর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আইইএলটিএস স্কোর জমা দিতে হয়। কিন্তু ইউরোপের এমন কিছু দেশ রয়েছে যে দেশ গুলোর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশী স্টুডেন্টদের IELTS ছাড়া ভর্তি হওয়ার সুযোগ প্রদান করে। পোস্ট সূচীপত্রঃ
আইইএলটিএস (IELTS) ছাড়া ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায়
আইইএলটিএস (IELTS) ছাড়া ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায় এ সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানার জন্য আপনারা অনেকেই অনলাইনে সার্চ দিয়ে থাকেন। ইউরোপের বেশিরভাগ দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উচ্চ শিক্ষার জন্য আইইএলটিএস স্কোর দেখানোর প্রয়োজন হয়। অর্থাৎ আইইএলটিএস এর মাধ্যমে কোন শিক্ষার্থী যে ইংরেজি ভাষায় দক্ষ তার পরীক্ষা করা হয়।
IELTS এর পূর্ণরূপঃ International English Language Testing System. পড়ালেখা, কাজের উদ্দেশ্যে বা অভিবাসনের জন্য বিদেশগামী আবেদনকারীর ইংরেজি ভাষার দক্ষতা প্রমাণের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি পরীক্ষা পদ্ধতি হল IELTS।
তবে ইউরোপের কিছু কিছু দেশ রয়েছে যে দেশ গুলোতে আইইএলটিএস ছাড়াও আপনি যেতে পারবেন। পড়ালেখার উদ্দেশ্যে ইউরোপের এই সকল দেশে যাওয়ার জন্য আইইএলটিএস স্কোর প্রয়োজন হয় না।
ইউরোপের যেসব দেশগুলোতে যাওয়ার জন্য আইইএলটিএস স্কোর প্রয়োজন হয় না, সে দেশগুলোর তালিকা সহ সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা নিচে দেওয়া হল।
জার্মানিঃ ইউরোপের দেশ জার্মানির অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আইইএলটিএস স্কোর ছাড়া পড়াশোনার সুযোগ দিয়ে থাকে। দেশটির পড়াশোনার উচ্চ মান এবং টিউশন ফি কম হওয়ায় বাংলাদেশি স্টুডেন্টদের পছন্দের দেশ জার্মানি।
জার্মানির অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে আইইএলটিএ ছাড়া ভর্তির সুযোগ হলেও, ভাষা দক্ষতা প্রমাণের জন্য টোওফেল অথবা দেশটির নিজস্ব ভাষা দক্ষতার প্রমাণ দিতে হয়।
বুলগেরিয়াঃ ইউরোপের সেনজেন ভুক্ত দেশ বুলগেরিয়ার কিছু বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য ভর্তি হতে আইইএলটিএস স্কোর দরকার হয় না। তবে আপনার পূর্ববর্তী শিক্ষাবর্ষ ইংরেজিতে সম্পন্ন করেছেন তার প্রমাণপত্র দরকার হবে। অর্থাৎ MOI সার্টিফিকেট দেখাতে হবে।
রোমানিয়াঃ ইউরোপের সেনজেন ভুক্ত দেশ রোমানিয়া আইইএলটিএস স্কোর ছাড়াই স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে পারবেন। দেশটির অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে আইইএলটিএস ছাড়া আপনার পূর্ববর্তী শিক্ষা কার্যক্রম ইংরেজিতে সম্পন্ন করেছেন তার প্রমাণ পত্র দেখানোর জন্য MOI সার্টিফিকেট প্রয়োজন হবে। রোমানিয়ার ভিসা প্রক্রিয়া অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেকটাই সহজ।
ক্রোয়েশিয়াঃ ইউরোপের আরেকটি সেনজেন ভুক্ত দেশ ক্রোয়েশিয়ার অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য আইইএলটিএস স্কোর দরকার না হলেও ভাষা দক্ষতার প্রমাণ স্বরূপ অন্যান্য পরীক্ষা দিতে হয়। দেশটির ভিসা প্রক্রিয়া অনেক সহজ।
পোল্যান্ডঃ পোল্যান্ডের কিছু বিশ্ববিদ্যালয় আছে যেখানে আইইএলটিএস স্কোর দেখানোর প্রয়োজন হয় না। তবে আপনি যে আপনার পূর্ববর্তী শিক্ষাবর্ষ ইংরেজিতে সম্পন্ন করেছেন তার প্রমাণ পত্র দেখাতে MOI প্রয়োজন হবে। দেশটির ভিসা প্রক্রিয়া করা অনেক সহজ।
ইতালিঃ আপনি যদি ইউরোপের দেশ ইতালির বিশ্ববিদ্যালয় গুলো উচ্চশিক্ষার জন্য বেছে নেন, তাহলে দেশটির কিছু বিশ্ববিদ্যালয় আছে যেখানে ভর্তি হতে আইইএলটিএস প্রয়োজন হয় না, সেখানে আবেদন করতে পারেন। তবে ভাষা দক্ষতার প্রমাণের জন্য অন্যান্য পরীক্ষা ও আপনার পূর্ববর্তী শিক্ষাবর্ষে ইংরেজিতে সম্পন্ন হওয়ার প্রমাণ পত্র হিসেবে MOI সার্টিফিকেট দেখাতে হবে।
দেশটিতে যাওয়ার জন্য বিদেশীদের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে কঠিন হলেও, টুরিস্ট এবং স্টুডেন্ট ভিসা প্রক্রিয়া অনেকটাই সহজ।
পর্তুগালঃ আইইএলটিএস স্কোর ছাড়া ইউরোপের সেনজেনভুক্ত আরেকটি দেশ পর্তুগালের কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ দিয়ে থাকে। তবে ভাষাত দক্ষতার প্রমাণের জন্য আপনার পূর্ববর্তী শিক্ষা বর্ষের ইংরেজি সনদ প্রমাণ স্বরূপ দেখাতে হবে।
হাঙ্গেরিঃ হাঙ্গেরির কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে আইইএলটিএস স্কোর প্রয়োজন হয় না। শুধুমাত্র আপনার পূর্ববর্তী শিক্ষা কার্যক্রমের ইংরেজি সনদ MOI প্রয়োজন হবে।
বেলজিয়ামঃ বেলজিয়ামের কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হতে আইএলটিএস স্কোর প্রয়োজন না হলেও, আপনার ভাষা দক্ষতা প্রমাণের জন্য পূর্ববর্তী শিক্ষা বর্ষের ইংরেজি সনদ MOI দেখানোর প্রয়োজন হবে।
মালটাঃ মালটার কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনি আইইএলটিএস স্কোর ছাড়াই উচ্চশিক্ষার জন্য ভর্তি হতে পারবেন। তবে ভাষা দক্ষতা প্রমাণের জন্য আপনি পূর্ববর্তী শিক্ষা বর্ষ যে ইংরেজি তে সম্পন্ন করেছেন তার প্রমাণপত্র হিসেবে MOI সার্টিফিকেট দেখাতে হবে।
গ্রীসঃ ইউরোপের দেশ গ্রিস এর বিশ্ববিদ্যালয় গুলো উচ্চশিক্ষার জন্য আপনি বেছে নিতে পারেন। কারণ দেশটির অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আইইএলটিএস স্কোর ছাড়াই ভর্তির সুযোগ দিয়ে থাকে।। তবে আপনাকে অন্যান্য উপায়ে ভাষা দক্ষতার প্রমাণ দিতে হবে যেমনঃ আপনার পূর্ববর্তী শিক্ষাক্রম ইংরেজি MOI সনদ অথবা অন্যান্য ভাষা পরীক্ষা।
MOI দিয়ে ইউরোপের কোন দেশে যাওয়া যায়
MOI দিয়ে ইউরোপের কোন দেশে যাওয়া যায়, এ সম্পর্কে জানার জন্য আগ্রহী শিক্ষার্থীদের এই অংশটি পড়ার জন্য সাজেশন রইল। আমাদের মূল আলোচনার বিষয় আইইএলটিএস (IELTS) ছাড়া ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায়। আর এই অংশের আলোচনার বিষয় MOI দিয়ে অর্থাৎ আইইএলটিএস ছাড়া শুধুমাত্র MOI সনদ দিয়ে ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায় সে বিষয় নিয়ে।
MOI দিয়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আপনি স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে পারবেন। অর্থাৎ আইইএলটিএস ছাড়া শুধুমাত্র MOI দিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে স্টুডেন্ট ভিসায় যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। আইইএলটিএস দিয়ে স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে মিনিমাম ৬ স্কোর প্রয়োজন হয়। কিন্তু অনেক শিক্ষার্থীর পক্ষে এই স্কোর তোলা অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
তবে খুশির খবর এই যে, শুধুমাত্র MOI দিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্টুডেন্ট ভিসায় যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। এজন্য বর্তমানে আইইএলটিএস ছাড়া স্টুডেন্ট ভিসার চাহিদা প্রচুর।
এখন আপনাদের সুবিধার্থে জানাবো, MOI বলতে আসলে কি বুঝায়, MOI এর পূর্ণরূপ হলঃ Medium of Instruction অর্থাৎ এম ও আই সার্টিফিকেট হল আপনি ব্যাচেলর, বিবিএ বা বিএসসি যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন তার মাধ্যম যে ইংরেজি ছিল, সেটার প্রত্যায়ন পত্র বা প্রমাণপত্র।
আরো পড়ুনঃ ইতালিতে কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি
এই প্রমাণপত্র বা প্রত্যয়ন পত্র আপনাকে আপনার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংগ্রহ করতে হবে। এবং আপনি আইইএলটিএস এর বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করার সুযোগ পাবেন। আরো ভালোভাবে বলতে গেলে, আইইএলটিএস স্কোর ছাড়া স্টুডেন্ট ভিসায় যেসব দেশে আপনি যেতে পারবেন সেসব দেশে এই এম ও আই সার্টিফিকেট আপনার ইংরেজি দক্ষতার প্রমাণ হিসেবে দেখাতে হবে।
আইইএলটিএস দিয়ে কাঙ্খিত স্কোর তুলতে ব্যর্থ শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের জন্য ইউরোপের দেশ গুলোর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার নতুন দ্বার খুলে দিয়েছে MOI.
MOI দিয়ে ইউরোপের যে সকল দেশে যাওয়া যায় তা দেখে নিনঃ
- ইংল্যান্ড
- ফ্রান্স
- নেদারল্যান্ড
- জার্মানি
- লুক্সেমবার্ক
- পর্তুগাল
- পোল্যান্ড
- বেলজিয়াম
- নরওয়ে
- রোমানিয়া
- বুলগেরিয়া
- ক্রোয়েশিয়া
- ইতালি
- হাঙ্গেরি
উপরে উল্লেখিত দেশগুলো ছাড়াও ইউরোপের আরো কিছু দেশে MOI দিয়ে ভর্তির আবেদন করা যায়। বাংলাদেশে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণত ইংরেজি মাধ্যমে পড়ানো হয়। তাই আপনি যদি কোন পাবলিক ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন এই প্রত্যয়ন পত্র পেতে আপনার খুব একটা সমস্যা হবে না।
এছাড়া প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও বিষয় গুলো ইংরেজ মাধ্যম হওয়ায় এম ও আই সার্টিফিকেট পাওয়া সহজ। আবার আপনি যদি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বাংলা মাধ্যমের সাবজেক্ট গুলো ছাড়া পড়ালেখা কমপ্লিট করে থাকেন, তাহলে সে ক্ষেত্রেও আপনি MOI প্রত্যয়ন পত্র ওই বিষয় থেকে তুলতে পারবেন।
IELTS ছাড়া ইউরোপের বিশ্ববিদ্যালয় এর তালিকা
IELTS ছাড়া ইউরোপের কয়েকটি নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় এর তালিকা আর্টিকেলের এই অংশে আপনাদের জানাবো। এই বিশ্ববিদ্যালয় গুলো আইইএলটিএস ছাড়াই প্রতিবছর বিদেশী শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ প্রদান করে। আপনি চাইলে এই বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে উচ্চ শিক্ষার জন্য ভর্তির আবেদন করতে পারেন।
ফ্রান্সঃ ইএসএআইপি স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ার্স, ফ্রান্স
জার্মানিঃ সিজেন ইউনিভারসিটি, জার্মানি
ফ্রান্সঃ আমেরিকান বিজনেস স্কুল, ফ্রান্স
ইতালিঃ মিলান পলিটেকনিক ইউনিভার্সিটি, ইতালি
আয়ারল্যান্ডঃ ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, আয়ারল্যান্ড
ফ্রান্সঃ প্যারিস ইবিএস প্যারিস, ফ্রান্স
বেলজিয়ামঃ ঘেন্ট ইউনিভার্সিটি, বেলজিয়াম
আয়ারল্যান্ডঃ মায়নুথ ইউনিভার্সিটি, আয়ারল্যান্ড
ইতালিঃ বোলোগনা ইউনিভার্সিটি, ইতালি
প্রিয় পাঠক, উপরে ইউরোপের নামকরা কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা আপনাদের জানালাম। আইইএলটিএস ছাড়া যে সকল শিক্ষার্থী ইউরোপের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ইচ্ছুক, তারা এই সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগটি নিতে পারেন।
এই সকল বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আরো অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আছে, যেখানে আইইএলটিএস স্কোর ছাড়া ভর্তির জন্য আবেদন করার সুযোগ পাবেন।
ইউরোপের কোন কোন দেশের স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া সহজ
ইউরোপের কোন কোন দেশে স্টুডেন্ট ভিসা ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় সহজে পাওয়া যায় এ সম্পর্কিত তথ্য এই পর্যায়ে জানতে পারবেন। ইউরোপের বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার জন্য স্বপ্নের দেশ। কিন্তু সব দেশে উচ্চ শিক্ষার জন্য যাওয়ার ক্ষেত্রে ভিসা প্রক্রিয়া অনেক কঠিন হতে পারে।
তবে ইউরোপের কিছু কিছু দেশ আছে যেখানে সহজে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া যায়। ইউরোপের যেসব দেশের স্টুডেন্ট ভিসা প্রক্রিয়া সহজ সেই দেশগুলোর নামের তালিকা এখন জানতে পারবেন। আপনার যদি ইউরোপের কোন দেশ টার্গেট থাকে উচ্চ শিক্ষার জন্য যাওয়ার, তাহলে এই সকল দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হওয়ার চেষ্টা করতে পারেন।
- জার্মানি
- ফ্রান্স
- স্পেন
- নেদারল্যান্ড
- সুইডেন
- ইতালি
- পোল্যান্ড
- ডেনমার্ক
- আয়ারল্যান্ড
ইউরোপের দেশগুলো ছাড়াও বিশ্বের আরো কয়েকটি দেশে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া অনেকটা সহজ। যেমনঃ ভারত, কানাডা, মালয়েশিয়া।
IELTS ছাড়া কোন কোন দেশে যাওয়া যায়
IELTS ছাড়া ইউরোপের দেশ ব্যতীত বিশ্বের আরো অনেক দেশে স্টুডেন্ট ভিসায় উচ্চ শিক্ষার জন্য যেতে পারবেন। উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশগুলোতে যাওয়া অনেক শিক্ষার্থীর স্বপ্ন থাকে। এক্ষেত্রে আইইএলটিএস স্কোর প্রয়োজন হয়, যা অনেক শিক্ষার্থীর পক্ষে হয়তো অর্জন করা সম্ভব হয় না। তখন তারা নিজেদের মধ্যে বাড়তি চাপ অনুভব করেন।
এবং অনেকে মনে করেন আইইএলটিএস (IELTS) করতে না পারলে হয়তো বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য যাওয়া সম্ভব হবে না। কিন্তু এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। আইইএলটিএস ছাড়াও ইউরোপের দেশ ব্যতীত বিশ্বের আরো অন্যান্য দেশে উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশী শিক্ষার্থীদের যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
যদিও পোষ্টের মূল উদ্দেশ্য আপনাদেরকে জানানো যে, আইইএলটিএস (IELTS) ছাড়া ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায়, যা উপরে আলোচনা করেছি। আর্টিকেলের এই অংশে আপনাদের সুবিধার্থে আইইএলটিএস ছাড়া বিশ্বের আরও কোন কোন দেশে স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে পারবেন সে সম্পর্কে আপনাদের জানাবো।
এর মধ্যে এশিয়ার যে ৫টি দেশ পছন্দের শীর্ষে রয়েছে, সে দেশ গুলোর তালিকা দেখে নিনঃ
- মালয়েশিয়া
- জাপান
- চীন
- দক্ষিণ কোরিয়া
- সিঙ্গাপুর
এশিয়ার দেশগুলো ছাড়াও আরো তিনটি দেশ শিক্ষার্থীদের কাছে উচ্চ শিক্ষার জন্য যাওয়ার ক্ষেত্রে জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে প্রথমে রয়েছে। যেমনঃ
- অস্ট্রেলিয়া
- কানাডা
- নিউজিল্যান্ড
ইউরোপের কোন কোন দেশের ভিসা সহজে পাওয়া যায় এ সম্পর্কিত তথ্য জানার জন্য আর্টিকেলের এই অংশটি পড়ুন। বাংলাদেশ সহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের নাগরিকগণ বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ইউরোপের দেশগুলোতে যাওয়ার জন্য বেশি আগ্রহ দেখান। সাধারণত ভ্রমণের জন্য, পড়ালেখার উদ্দেশ্যে, চিকিৎসার উদ্দেশ্যে, কাজের উদ্দেশ্যে ইউরোপের দেশে যেতে চান।
ইউরোপের দেশগুলোতে যাওয়ার যে প্রধান কারণ উল্লেখ করা যায় তা হল, ইউরোপের সেনজেনভুক্ত যে কোনো একটি দেশের ভিসা হলে অন্য ২৭ টি দেশে ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করার সুযোগ পাওয়া যায়। এছাড়া ভিসা খরচও অনেক কম হয়ে থাকে।
আরো পড়ুনঃ ইতালিতে সর্বনিম্ন বেতন কত আপডেট তথ্য
কিন্তু ইউরোপ মহাদেশের কিছু দেশ আছে, যেখানে যাওয়ার জন্য ভিসা পাওয়া বেশ কঠিন। আবার ইউরোপের অনেক দেশ আছে যে দেশ গুলোর ভিসা পেতে খুব একটা বেগ পেতে হয় না অর্থাৎ সহজে ভিসা পাওয়া যায়।
তবে আপনি কি উদ্দেশ্যে ইউরোপের দেশে যেতে চাচ্ছেন তার উপর ভিসা প্রাপ্তি অনেকটাই নির্ভর করবে। আপনি যদি ভ্রমণ ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করেন তাহলে সহজে পেয়ে যাবেন। কিন্তু ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়া একটু কঠিন এবং সময় সাপেক্ষ ব্যাপার হলেও, ধৈর্য্য ধরে সঠিক নিয়মে ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া করলে অবশ্যই পাওয়া যাবে।
বর্তমানে পরিসংখ্যান অনুযায়ী ইউরোপের যে সকল দেশের ভিসা সহজে পাওয়া যায় এর তালিকা নিচে দেওয়া হলঃ
পর্তুগালঃ ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে পর্তুগাল এমন একটি দেশ যেখানে ভ্রমণ ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট ভিসা স্টুডেন্ট ভিসা সহজে পাওয়া যায়। এজন্য পর্তুগালকে অভিবাসীদের স্বর্গ বলে উল্লেখ করা হয়।
মালটাঃ ইউরোপের সেনজেনভুক্ত দেশ মালটা যেতে কাজের ভিসা, টুরিস্ট ভিসা স্টুডেন্ট ভিসা সহজে পাওয়া যায়। এই দেশের ভিসা খরচ কম হওয়ায় বর্তমানে অনেক দেশের প্রবাসীদের স্বপ্নের দেশ মালটা।
সুইজারল্যান্ডঃ ইউরোপের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দেশ সুইজারল্যান্ড এর টুরিস্ট ভিসা পাওয়া তুলনা মূলকভাবে সহজ। এ ছাড়া স্টুডেন্ট ভিসা ও সহজে পাওয়া যায়। তবে এই দেশের কাজের ভিসা পাওয়া অনেক কঠিন, ধৈর্য ধরে চেষ্টা করলে পাওয়া যায়।
ফ্রান্সঃ ইউরোপের দেশ ফ্রান্স যেতে আপনি যদি টুরিস্ট ভিসা এবং স্টুডেন্ট ভিসা চেষ্টা করেন তাহলে সহজে পেয়ে যাবেন। এদেশেও কাজের ভিসা পাওয়া কঠিন হলেও, সঠিক নিয়ম মেনে ভিসার জন্য আবেদন করলে পাওয়া যেতে পারে।
হাঙ্গেরিঃ ইউরোপের সেনজেন ভুক্ত দেশ হাঙ্গেরিতে স্টুডেন্ট ভিসা এবং কাজের ভিসা দুটি পাওয়া সহজ। শর্তগুলো মেনে সঠিক নিয়মে আবেদন করলে সহজে ভিসা পাওয়া যায়।
লাটভিয়াঃ ইউরোপের আরেকটি দেশ লাটভিয়ার ভিসা পাওয়া অনেকটাই সহজ। আপনি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বা স্টুডেন্ট ভিসা যে কোন ভিসা সঠিক নিয়মে আবেদন করলে সহজে পেয়ে যাবেন।
নেদারল্যান্ডসঃ নেদারল্যান্ডস যদি আপনি স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে চান তাহলে ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সহজ হলেও আপনার আইএলটিএস স্কোর ৬.৫ হতে হবে।
লিথুয়ানিয়াঃ ইউরোপের দেশ লিথু আনিয়াতে বর্তমানে কাজের ভিসা পাওয়া গেলেও একটু কঠিন। তবে আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে চান তাহলে এই দেশের ভিসা সহজে পেয়ে যাবেন।
এস্তোনিয়াঃ ইউরোপের সেনজেন ভুক্ত দেশ এস্তোনিয়ায় বর্তমানে কাজের ভিসা সহজে পাওয়া যায়। আপনি যদি কাজের উদ্দেশ্যে এস্তোনিয়া যেতে চান তাহলে সকল শর্ত মেনে আবেদন করলে ভিসা সহজে পেতে পারেন।
স্লোভেকিয়াঃ ইউরোপের সেনজেনভুক্ত আরেকটি দেশ স্লোভেকিয়া যেতে বর্তমানে কাজের ভিসা পাওয়া যাচ্ছে। সকল শর্ত মেনে সঠিক নিয়মে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করলে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় আপনি স্লোভেকিয়ার ভিসা পেতে পারেন।
কম খরচে ইউরোপের কোন দেশে যাওয়া যায়
কম খরচে ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায় জানার জন্য অনেকেই অনলাইনে সার্চ দিয়ে থাকেন। ইউরোপের বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশের অনেক নাগরিকের স্বপ্নের দেশ। অনেকেই বিভিন্ন কারণে ইউরোপের দেশগুলোতে যাওয়া পছন্দ করলেও, ভিসা জটিলতা অর্থাৎ সহজে না পাওয়া যাওয়ায় এবং খরচ বেশি হওয়ায় যেতে পারেন না।
তবে বর্তমানে ইউরোপের কিছু দেশে যাওয়ার জন্য ভিসা খরচ ইউরোপের অন্যান্য দেশের চেয়ে তুলনামূলকভাবে কম। এই দেশগুলোর মধ্যে রয়েছেঃ
- সুইজারল্যান্ড
- ডেনমার্ক
- অস্ট্রিয়া
- ফিনল্যান্ড
- হাঙ্গেরি
- ফ্রান্স
- আইসল্যান্ড
- আয়ারল্যান্ড
- রোমানিয়া
- পর্তুগাল
- মালটা
- নেদারল্যান্ডস
ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় উপরে উল্লেখিত ১২টি দেশে স্টুডেন্ট ভিসা, টুরিস্ট ভিসা এবং ওয়ার্ক পারমিট ভিসা খরচ বর্তমানে কিছুটা কম। এই সকল দেশে যাওয়ার জন্য আপনার সর্বনিম্ন ৭ লক্ষ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা খরচ হবে।
আইইএলটিএস ছাড়া স্কলারশিপ পাওয়া যায় কি
আইইএলটিএস ছাড়া বর্তমানে বেশ কিছু দেশ স্কলারশিপ দিচ্ছে। যদিও বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য ভর্তি হতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের ভাষা দক্ষতার প্রমাণস্বরূপ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত আইইএলটিএস স্কোর দেখানোর প্রয়োজন হয়। তবে বিশ্বের মধ্যে এমন কয়েকটি দেশ রয়েছে যারা আইইএলটিএস ছাড়াই বিদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ প্রদান করে থাকে।
আমি বলব, বাংলাদেশের যেসব শিক্ষার্থী বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য নূন্যতম আইইএলটিএস স্কোর (৬ বা ৬.৫) তুলতে পারছেন না, কিন্তু উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যেতে ইচ্ছুক তারা নিচে উল্লেখিত দেশ গুলোর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন।
কানাডাঃ ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে কানাডার পড়ালেখার উচ্চ মান বিশ্ব স্বীকৃত। সারা বিশ্ব থেকেই প্রতিবছর হাজার হাজার শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষার জন্য কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এডমিশন নিয়ে থাকে। কানাডার বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় বিদেশি শিক্ষার্থীদের আইএলটিএস ছাড়া স্কলারশিপ প্রদান করে থাকে। যেমনঃ ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলম্বিয়া, কার্লটন ইউনিভার্সিটি।
অস্ট্রিয়াঃ অস্ট্রিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর পড়ালেখার মান বিশ্বসেরা। অস্ট্রিয়ার বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে আইইএলটিএস ছাড়া ভর্তি সুযোগ রয়েছে। এই সকল বিশ্ববিদ্যালয় সরকারি এবং বেসরকারিভাবে স্কলারশিপ প্রদান করে থাকে। যেমনঃ ভিয়েনা ইউনিভার্সিটি অফ ইকোনমিক্স অ্যান্ড বিজনেস, মডুল ইউনিভার্সিটি, ভিয়েনা ইউনিভার্সিটি।
জার্মানিঃ জার্মানির কিছু বিশ্ববিদ্যালয় আছে যেখানে ভর্তি হতে আইইএলটিএস থাকলে ভালো তবে বাধ্যবাধকতা নেই। শিক্ষার্থীর আগের প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনার মাধ্যম ইংরেজি থাকলেই চলবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির জন্য ইংরেজি এবং জার্মান ভাষায় দক্ষ হতে হবে। এরকম দুটি ইউনিভার্সিটি হলঃ সালজবার্গ ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অফ অ্যাপ্লায়েড সায়েন্স টেকনিকু্ম উইন।
এছাড়া আরো কিছু দেশ আইইএলটিএস ছাড়া বিদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ প্রদান করে থাকে। একটি কথা মনে রাখতে হবে, আইইএলটিএ ছাড়া স্কলারশিপ পাওয়া যাবে কিনা সেটা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে ওই নির্দিষ্ট দেশের প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি নীতিমালার উপর। কারণ একেক দেশের বিদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপের চাহিদা একেক রকম হয়ে থাকে।
বিস্তারিত তথ্যের জন্য, আপনি যে কোন দেশে পড়াশোনার জন্য স্কলারশিপ বিষয়ক সঠিক তথ্যের জন্য নির্দিষ্ট দেশের বিশ্ববিদ্যালয়/প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন।
ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে
ইউরোপের কোন দেশে যাওয়ার জন্য কত টাকা লাগে বা খরচ হয় সে সম্পর্কিত তথ্য এই অংশে জানতে পারবেন। ইউরোপের দেশগুলোতে যাওয়ার জন্য অনেকেরই স্বপ্ন থাকে। পৃথিবীর মধ্যে ইউরোপের বেশ কিছু দেশের উন্নত জীবন মান, পড়ালেখার উঁচু মান এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার জন্য বাংলাদেশসহ বিশ্বের নানা দেশ থেকে লোকজন ইউরোপের দেশগুলোতে পাড়ি জমান।
কিন্তু ইউরোপের দেশগুলোতে যাওয়ার জন্য ভিসা পাওয়া যেমন কঠিন তেমনি ভিসা খরচ অনেক বেশি। এজন্য চাইলেও ইউরোপের অনেক উন্নত দেশে অনেকের পক্ষে যাওয়া সহজ হয় না। তবে ইউরোপের বেশ কিছু দেশ রয়েছে যেখানে যাওয়ার খরচ অন্যান্য দেশের তুলনায় কিছুটা কম। এটা সাধারণত নির্ভর করে আপনি কোন দেশে যাচ্ছেন, কোন উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন, তার উপর।
আপনি যদি ইউরোপের কোন দেশে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন, তাহলে প্রথমে আপনার জানা প্রয়োজন ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে বা খরচ হতে পারে সে সম্পর্কে। তাহলে চলুন নিচে এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যটি জেনে নেই।
ইংল্যান্ডঃ বাংলাদেশের অনেক মানুষের কাছে পড়ালেখা এবং অভিবাসনের জন্য ইংল্যান্ড সবচেয়ে জনপ্রিয়। প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ইংল্যান্ডে পাড়ি জমান। ইংল্যান্ডে আপনি যদি উচ্চ শিক্ষার জন্য যেতে চান তাহলে আপনার খরচ হবে ৪ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকা। ইংল্যান্ডে ভ্রমণের জন্য একই পরিমাণ খরচ হবে।
ইতালিঃ ইরুপের দেশ ইতালি যেতে কত টাকা লাগবে নির্ভর করবে আপনি কোন ভিসা নিয়ে ইতালি যেতে চাচ্ছেন তার উপর। যেমনঃ সিজনাল ভিসায় গেলে লাগবে ৪ লাখ টাকা, ওয়ার্ক ভিসাতে লাগবে ৮ বা ৯ থেকে সর্বোচ্চ ১৮ লক্ষ টাকা, ভিজিট ভিসায় ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা এবং স্টুডেন্ট ভিসায় ৬০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা।
রোমানিয়াঃ ইউরোপের দেশ গুলোর মধ্যে রোমানিয়ার ভিসা পাওয়া সবচেয়ে সহজ। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে রোমানিয়া যেতে ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকা খরচ হয়।
জার্মানিঃ ইউরোপের আরেকটি উন্নত দেশ জার্মানিতে যেতে হলে আপনাকে উদ্দেশ্যে অনুযায়ী টাকা খরচ করতে হবে। আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে চান তাহলে ৯ থেকে ১০ লক্ষ টাকা খরচ হবে। ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে চাইলে ৮ থেকে ১২ লক্ষ টাকার মত লাগবে।
পর্তুগালঃ বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে বর্তমানে পর্তুগাল যেতে ৮ থেকে ৯ লক্ষ টাকার মতো খরচ হতে পারে।
সুইজারল্যান্ডঃ সৌন্দর্যের দেশ সুইজারল্যান্ড আপনি যদি ভ্রমণ যেতে চান তাহলে সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকার মত খরচ হতে পারে। অবশ্য ক্ষেত্রবিশেষে এর চেয়ে বেশি বা কম খরচেও ঘুরে আসতে পারবেন।
আইইএলটিএস (IELTS) ছাড়া ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায় সম্পর্কিত প্রশ্ন এবং উত্তর
প্রশ্নঃ IELTS ছাড়া কি কানাডা যাওয়া যায়?
উত্তরঃ আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসা বা স্টাডি ভিসায় কানাডা যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার IELTS স্কোর লাগবে। IELTS ছাড়া কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবেদন করতে পারবেন না।
প্রশ্নঃ আইইএলটিএস ছাড়া কি সাইপ্রাসে পড়াশোনা করা যায়?
উত্তরঃ সাইপ্রাসের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশোনার উদ্দেশে ভর্তির আবেদন করতে আইইএলটিএস প্রয়োজন হয় না। তবে দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য কোন একটি ফাউন্ডেশন বা পাথওয়ে প্রোগ্রাম পছন্দ করতে পারেন।
প্রশ্নঃ অস্ট্রেলিয়া যেতে IELTS কত পয়েন্ট লাগে?
উত্তরঃ অস্ট্রেলিয়ায় অভিভাসন এবং পড়ালেখার জন্য IELTS পয়েন্ট সাধারণত ৬.০- ৭.০ প্রয়োজন হয়। তবে আরো কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ের জন্য বেশি স্কোর প্রয়োজন হতে পারে।
প্রশ্নঃ ইতালিতে পড়াশোনার উদ্দেশ্যে আইইএলটিএস স্কোর কত হতে হয়?
উত্তরঃ ইতালিতে পড়াশোনার উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য আবেদনকারীর দেশটির সবচেয়ে আকর্ষণীয় এবং জনপ্রিয় ইংরেজি প্রোগ্রাম গুলোর জন্য আইইএলটিএস স্কোর ৬.০ প্রয়োজন। এছাড়া দেশটির নিজস্ব ভাষা দক্ষতার জ্ঞান A1 এবং A2 পর্যন্ত বা প্রাথমিক স্তর পর্যন্ত হতে হবে, যদিও এটা বাধ্যতামূলক নয়।
প্রশ্নঃ কানাডা যেতে IELTS কত পয়েন্ট লাগে?
উত্তরঃ কানাডার অভিবাসন এবং পড়ালেখার উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য IELTS স্কোর সাধারণত ৬.০- ৭.০ প্রয়োজন।
পরিশেষে
প্রিয় পাঠক, আইইএলটিএস (IELTS) ছাড়া ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায় সে সম্পর্কিত সর্বশেষ আপডেট তথ্য আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আপনারা যারা আইএলটিএস ছাড়া ইউরোপের দেশ গুলোর নাম জানতে চান, আশা করি তারা এই আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হবেন।
এছাড়া কম খরচে ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায়, ইউরোপের কোন দেশের ভিসা সহজে পাওয়া যায় সহ আরো অন্যান্য তথ্য আজকের আর্টিকেলে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। আপনারা যারা ইউরোপের দেশগুলোতে উচ্চশিক্ষার জন্য যাওয়ার চিন্তা করছেন, তাদের এই আর্টিকেলটি অনেক উপকারে আসবে। যদি আপনার আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে, তাহলে আপনার পরিচিত বন্ধুবান্ধব আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে শেয়ার করতে পারেন যাতে তারা উপকৃত হতে পারে।
passiondrivefiona র নীতিমালা মেনে comment করুন। প্রতিটি comment রিভিউ করা হয়;
comment url