গ্রামে লাভজনক ব্যবসা সেরা ২৫টি ২০২৫, গ্রামীণ ব্যবসার আইডিয়া

গ্রামে লাভজনক ব্যবসা ২০২৫ সেরা ২৫টি সম্পর্কে আজকের প্রবন্ধে আলোচনা করতে চলেছি। আপনি যদি গ্রামে বসবাস করেন এবং গ্রামে থেকে ৫, ১০ হাজার টাকায় ব্যবসা শুরু করে একজন সফল ব্যবসায়ী হয়ে উঠতে চান তাহলে আজকের প্রবন্ধটি আপনার জন্য। আরও জানবেন, গ্রামে পার্টটাইম ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে।

গ্রামে-লাভজনক-ব্যবসা

গ্রামে লাভজনক ব্যবসার সেরা ২৫টি আইডিয়া ২০২৫ যে ব্যবসা গুলো অল্প মূলধন দিয়ে শুরু করা যায়। বর্তমানে গ্রামগুলো বিভিন্ন অল্প পুঁজির ছোট ছোট ব্যবসার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। গ্রামের অনেক বেকার যুবক এখন চাকরির পিছনে না ছুটে, স্বাবলম্বী হতে ব্যবসাকে বেছে নিচ্ছেন।

এজন্য যারা অল্প পুঁজিতে শুরু করা যায় এরকম গ্রামীণ লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে জানতে চান, এই আর্টিকেলটি তাদের জন্য। তাহলে চলুন দেরি না করে আর্টিকেলটি শুরু করা যাক। পোস্ট সূচিপত্রঃ

ভূমিকাঃ গ্রামে লাভজনক ব্যবসা ২০২৫

গ্রামীণ এলাকার জন্য সেরা ও কম মূলধনে লাভজনক ২৫টি ব্যবসার আইডিয়া ২০২৫ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন। এখন শহর ছাড়াও গ্রামাঞ্চলেও বিভিন্ন কাঁচামাল, পন্য ও সেবা দেওয়ার ব্যবসা শুরু করে টাকা উপার্জন করা যায়। শুধু শহরে ব্যবসা করে ইনকাম করা সম্ভব, বর্তমানে এই ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল।

আমাদের দেশের গ্রামগুলো দ্রুত পরিবর্তন ও উন্নত হওয়ায় বর্তমানে বিভিন্ন পণ্য তৈরি ও বিক্রির জন্য আদর্শ হয়ে উঠছে। এছাড়া গ্রামে সহজে কাঁচামাল সংগ্রহ করার সুবিধা, কাজের জন্য লোক পাওয়ার পর্যাপ্ততা ইত্যাদি কারণে গ্রামে ব্যবসা শুরু করা অনেকটা সহজ।

আরো পড়ুনঃ ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া

এছাড়া গ্রামেও এখন শহরের মত বিভিন্ন পণ্যের সরবরাহ ও বিক্রি হচ্ছে ও দিন দিন চাহিদা বাড়ছে। এ কারণে গ্রামে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা শুরু করার সুবিধার জন্য বর্তমানে গ্রামের বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান এর সুযোগ তৈরি হয়েছে। তাছাড়া, বর্তমানে শহর থেকেও অনেক যুবক গ্রামে গিয়ে ব্যবসা বা স্টাট আপ শুরু করছেন।

আপনিও কি গ্রামে থেকে গ্রামে লাভজনক ব্যবসা করে একজন সফল ব্যবসায়ী হয়ে উঠতে চান, তাহলে আজকের আর্টিকেলটি ধৈর্য ধরে পড়ার অনুরোধ রইলো।

গ্রামে লাভজনক ব্যবসা ২০২৫

গ্রামে লাভজনক ব্যবসা ২০২৫ সেরা ২৫টি, যে ব্যবসা গুলো বর্তমান সময়ে গ্রামীন এলাকার জন্য সেরা ব্যবসা হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এই ব্যবসা গুলো কম পুজি দিয়ে শুরু করে ভালো পরিমাণ মুনাফা অর্জন করা সম্ভব।

নিচে এরকম ২৫টি ব্যবসার তালিকা আপনাদের সাথে শেয়ার করা হলোঃ

ডেইরি ফার্ম এর ব্যবসাঃ ডেইরি ফার্ম বা দুধ, দই উৎপাদন করে বিক্রি করা গ্রামীন ব্যবসার জন্য একটি উপযুক্ত লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া। গ্রামে থেকে দুধ দই উৎপাদন করে তা শহরে বিক্রি করার প্রচলন অনেক আগে থেকে চলে আসছে। এই ধারণাটি নিয়ে বড় পরিসরে ব্যবসা শুরু করে প্রচুর টাকা ইনকাম করা সম্ভব।

পুকুরে মাছ চাষ ও টাটকা মাছ বিক্রিঃ পুকুরে মাছ চাষ ও টাটকা মাছ বিক্রি করার ব্যবসা আরেকটি গ্রামের সেরা ও লাভজনক ব্যবসা আইডিয়া হতে পারে। গ্রামে অহরহই ছোট ছোট পুকুর, ডোবা দেখতে পাওয়া যায়। এগুলোকে কাজে লাগিয়ে মাছ উৎপাদন করে তা বিক্রি করে ভালো পরিমান টাকা ইনকাম করা সম্ভব।

পোল্ট্রি খামার বা হাঁস মুরগি পালনঃ পোল্ট্রি খামার বা হাঁস-মুরগি পালন করার ব্যবসা একটি সেরা ব্যবসার আইডিয়া। এক্ষেত্রে ডিম ও মাংস উৎপাদন করে বিক্রি করে ভালো পরিমান প্রফিট অর্জন করা যায়।

শাক সবজির চাষ ও বিক্রিঃ আপনার যদি গ্রামে খালি জমি পড়ে থাকে, তাহলে সেখানে অর্গানিক শাকসবজি চাষ করে বিক্রি করার ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সারা বছর চাহিদা রয়েছে এমন সবজি চাষ করতে পারেন।

মৌসুমি ফল চাষ বা উৎপাদনঃ বিভিন্ন ধরনের মৌসুমী ফল চাষ বা উৎপাদন করে তা বিক্রি করা বর্তমানে লাভজনক ব্যবসা আইডিয়া। যেমনঃ বর্তমানে অনেক বেকার যুবক ড্রাগন ফলের চাষ করে ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন করছেন। এছাড়া পেঁপে ও কলার মত ফল চাষ করতে পারেন। এটাও লাভজনক।

হস্তশিল্প ও কুটির শিল্প তৈরি পণ্য বিক্রিঃ হস্তশিল্প ও কুটির শিল্পের বিভিন্ন পণ্য তৈরি করে বিক্রি করা আরেকটি লাভজনক ব্যবসা আইডিয়া। এক্ষেত্রে গ্রামের মহিলারা সহজে এই ধরনের কাজ করে টাকা উপার্জন করতে পারেন। আমাদের দেশে হাতে তৈরি এই ধরনের কুটির শিল্পের পণ্যের চাহিদা সবসময় বেশি।

মুদিখানা দোকানঃ মুদিখানার দোকান আরেকটি গ্রামীণ ব্যবসার জন্য সেরা আইডিয়া হতে পারে।গ্রামেও এখন বিভিন্ন ধরনের পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিক্রিও বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া মুদিখানা দোকানের পণ্যের অর্থাৎ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের চাহিদা সবসময় থাকায় সহজে প্রফিট অর্জন করা যায়।

শুকনো খাবার বিক্রিঃ বিভিন্ন ধরনের শুকনো খাবার তৈরি ও বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। এই ব্যবসাটিও সহজে গ্রামে শুরু করা যায়। যেমনঃ আলুর চিপস, প্যাকেট জাত শুকনো ফুচকা, বাদাম, বিভিন্ন ধরনের শুকনো মিষ্টি ইত্যাদি।

নার্সারি দিয়ে বীজ উৎপাদন ও চারা বিক্রিঃ নার্সারি দিয়ে সেখানে বিভিন্ন জাতের ফল ও ফুলের বীজ ও চারা উৎপাদন করে বিক্রি করা আরেকটি লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া। এই ব্যবসা শুরু করার জন্য খুব বেশি মূলধনের প্রয়োজন নেই।

ই কমার্স ব্যবসা বা অনলাইনে পণ্য বিক্রিঃ বর্তমানে গ্রামেও এখন ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে গিয়েছে। এই সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন পণ্য অফলাইনে বিক্রির সাথে সাথে অনলাইনে বিক্রি করেও ব্যবসার প্রসার ঘটানো যায়।

টাকা রিচার্জের দোকানঃ শহর থেকে গ্রামের সবার হাতে হাতে এখন মোবাইল দেখা যায়। মোবাইলে রিচার্জ করার দোকান এক্ষেত্রে ভালো একটি ব্যবসার আইডিয়া হতে পারে। চাইলে কম মূলধনে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।

অনলাইন সেবা প্রদান করাঃ বিভিন্ন ধরনের চাকরির আবেদন পত্র থেকে শুরু করে সরকারি যে কোন সেবা গ্রহণ করার জন্য অনলাইনে করার প্রয়োজন হয়। আপনি যদি কম্পিউটারে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে এই ধরনের সেবা প্রদান করে টাকা উপার্জন করতে পারেন।

মধু চাষ ও বিক্রি করাঃ বর্তমানে মানুষের মধ্যে চিনির পরিবর্তে মধু গ্রহণের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে দিন দিন মধুর চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আপনি মৌমাছির চাষ করে মধু সংগ্রহ করে তা বিক্রি করতে পারেন। খুব কম মূলধনে এটি একটি লাভজনক ব্যবসা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

মাশরুম চাষ ও বিক্রি করাঃ বর্তমানে বাসা বাড়ি থেকে শুরু করে হোটেল রেস্তোরাঁর বিভিন্ন রান্নায় মাশরুম ব্যবহার করা হয়। কিছুদিন আগেও মাশরুমের অতটা চাহিদা না থাকলেও বর্তমানে এর চাহিদা প্রচুর রয়েছে। মাশরুম চাষ করে শহরাঞ্চলে বিক্রি করা লাভজনক ব্যবসার একটি। খুব কম মূলধন দিয়ে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।

আচার তৈরি ও বিক্রি করাঃ বিভিন্ন ধরনের মৌসুমী ফলের সুস্বাদু ও ভেজাল মুক্ত আচার তৈরি করে তা বিক্রি করে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এই কাজটি বিশেষ করে গ্রামের মহিলারা সহজে করে টাকা উপার্জন করতে পারেন। সারা বছর বিভিন্ন ফলের আচারের চাহিদা সব সময় থাকে। আচার তৈরি করে তা শহরে সরবরাহ করতে পারেন। এছাড়া অনলাইনে বিক্রি করে টাকা উপার্জন বৃদ্ধি করতে পারেন।

কবুতর পালন ও বিক্রি করাঃ আপনি চাইলে সহজেই আপনার বাড়িতে কিছু কবুতর পালন করে, কবুতরের ডিম ও মাংস বিক্রি করার ব্যবসা শুরু করতে পারেন। খুব কম মূলধনে এটি একটি লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া।

মাছ ও পশুর খাবার উৎপাদনঃ বিভিন্ন জায়গায় এখন বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষ করা হয়। এজন্য মাছের খাবারের চাহিদা বর্তমানে অনেক বেশি। এছাড়াও গরু ছাগল খামারে এই ধরনের পশুর খাবারের চাহিদা প্রচুর রয়েছে। আপনি চাইলেই সহজে মাছ ও পশুর খাবার উৎপাদন করার ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

বিভিন্ন ধরনের তেলের ব্যবসাঃ বিভিন্ন ধরনের তেল যেমনঃ রান্নার জন্য সয়াবিন তেল, সরিষার তেল ইত্যাদি তৈরি করে বিক্রি করার ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এছাড়াও টক ও চুলে দেওয়া নারিকেল তেল, বিভিন্ন ধরনের ভেষজ তেল তৈরি করতে পারেন।

সব ধরনের খাঁটি তেলের চাহিদা সব সময় থাকে। আপনি যদি ভেজাল মুক্ত খাঁটি তেল সরবরাহ করতে পারেন তাহলে সহজে একটি লাভজনক ব্যবসা হিসেবে এটিকে দাঁড় করাতে পারবেন।

দর্জির দোকানঃ গ্রামে কাপড় সেলাই করার দর্জির দোকান দিয়ে ব্যবসা করা ও একটি লাভজনক ব্যবসা হতে পারে। এই ব্যবসাটি অল্প মূলধনের একটি চাহিদা সম্পন্ন ব্যবসা বলা যায়।

প্রশিক্ষণ কেন্দ্রঃ আপনি যদি বিশেষ কোনো কাজে পারদর্শী হয়ে থাকেন যেমনঃ কম্পিউটার, সেলাইয়ের কাজ বা ব্লক বাটিকের কা্‌ তাহলে এই সংক্রান্ত একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলে টাকা উপার্জন করতে পারেন।

এক্ষেত্রে আপনি নিজে সেবা প্রদান করায় খুব বেশি মূলধন প্রয়োজন হবে না কিন্তু টাকা উপার্জন বেশি হবে। কেননা প্রতিবছরই শিক্ষাজীবন শেষ করে কিছু যুবক বেকার সময় কাটায় এবং তারা নতুন নতুন কাজ খোঁজার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ নিতে আগ্রহী হয়।

টাকা লেনদেন করার ব্যবসাঃ গ্রামীণ ব্যবসার আইডিয়ার মধ্যে আরেকটি অন্যতম লাভজনক ব্যবসা হল টাকা পাঠানোর ব্যবসা। গ্রামের লোকজন প্রায়ই তাদের দূরে পড়ুয়া সন্তান দের জন্য বিভিন্ন উপায়ে টাকা পাঠিয়ে থাকে। আপনি এই সুযোগে চাইলে টাকা পাঠানোর মাধ্যম বা এজেন্ট হিসেবে কাজ করে টাকা উপার্জন করতে পারেন।

ফুলের ব্যবসাঃ ফুলের চাহিদা সারা বছরই থাকে। গ্রাম অঞ্চল বিভিন্ন ধরনের ফুলের চাষের জন্য উপযুক্ত জায়গা। আপনি বিভিন্ন ফুলের চাহিদা অনুযায়ী চাষ করে তার সরবরাহের মাধ্যমে টাকা ইনকাম শুরু করতে পারেন। অল্প পুঁজির এটিও একটি লাভজনক ব্যবসা আইডিয়া।

মসলা তৈরি ও বিক্রি করাঃ বিভিন্ন ধরনের ঘরে তৈরি মসলার চাহিদা এখন মানুষের মধ্যে বেড়েছে। আপনি চাইলে বিভিন্ন ধরনের রান্নার মসলা যেমনঃ হলুদ, মরিচ, ধনিয়া, জিরে গুঁড়ো ইত্যাদি প্যাকেটজাত করে শহর অঞ্চলে বিক্রি করতে পারেন। গ্রাম এলাকায় এটি একটি লাভজনক এবং ইউনিক ব্যবসার আইডিয়া।

খুচরা যন্ত্রাংশ বিক্রির ব্যবসাঃ বিভিন্ন ধরনের খুচরা যন্ত্রাংশ বিক্রির র দোকান আপনার এলাকায় দিতে পারেন। যেমনঃ ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রাংশ, মোটর বাইক বা সাইকেল সারাইয়ের যন্ত্রাংশ ইত্যাদি। সাথে আপনি এসব ছোট ছোট জিনিস সারাইয়ের সেবা প্রদান করে টাকা ইনকাম বৃদ্ধি করতে পারেন।

বিভিন্ন ধরনের ভেষজ পণ্য তৈরি ও বিক্রির ব্যবসাঃ বিভিন্ন ধরনের চাহিদা মানুষের মধ্যে বৃদ্ধি পেয়েছে। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ও সৌন্দর্য পরিচর্যায় মানুষ এখন উপাদানের উপর অনেকটাই নির্ভর করে। এক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন ধরনের ভেষজ পণ্য যেমনঃ সাজনা পাতার গুড়ো, আলকুশি বীজের গুঁড়ো তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন।

এছাড়া চাইলে আপনি চুলের ও ত্বকের যত্নে বিভিন্ন ধরনের হেয়ার মাস্ক ও ফেস মাস্ক তৈরি করতে পারেন। যেমনঃ এরকম একটি চুলের ফেসপ্যাক হল মেহেদি পাতার গুঁড়ো ও শুকনো আমলকির গুঁড়োর হেয়ার প্যাক। ত্বকের যত্নে এলোভেরা জেল ইত্যাদি।

পার্লার ব্যবসাঃ গ্রামাঞ্চলের মানুষজন এখন নিজের রূপ সম্পর্কে অনেক সচেতন। বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও পার্বণে সাজানোর জন্য আপনি স্বল্পপরিসরে পার্লার সেবা প্রদান করে টাকা ইনকাম শুরু করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি টাকা দিয়ে কোন দক্ষ কর্মী রাখতে পারেন অথবা নিজে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়ে সেবা প্রদান করে টাকা ইনকাম করতে পারেন।

কাঁচামাল সরবরাহের ব্যবসাঃ বিভিন্ন ধরনের কাঁচামাল গ্রাম থেকে শহরাঞ্চলে সরবরাহ করার ব্যবসা শুরু করতে পারেন। শহরাঞ্চলে এই ধরনের কাঁচামালের চাহিদা অনেক বেশি। গ্রামীন এলাকায় এসব কাঁচামাল পাওয়া অনেকটা সহজ হওয়ায় আপনি সহজেই এই কাজ করে মুনাফা অর্জন করতে পারেন। 

যেমনঃ ঘি মাখন তৈরির জন্য দুধ, আটা-ময়দা, তেলের জন্য সরিষা, যেকোনো ধরনের মসলা তৈরির জন্য যেমনঃ কাঁচা হলুদ, ধনিয়া, মরিচ।

গ্রামীণ ব্যবসার জন্য মূলধনের পরিমাণ

গ্রামীণ ব্যবসা গুলো শুরু করার জন্য খুব বেশি মূলধন বা পুঁজির প্রয়োজন নেই। ব্যবসার ধরন অনুযায়ী মূলধনের পরিমাণ কম কম বেশি হলেও, খুব বেশি মূলধন আপনাকে কোন ব্যবসাতেই বিনিয়োগ করতে হবে না। গ্রামীণ এলাকায় এই ব্যবসা গুলো বর্তমানে কম মূলধন বিনিয়োগ করে সেরা ব্যবসা হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

এই সকল ব্যবসার জন্য আপনি সর্বনিম্ন ৫ থেকে ১০ হাজার থেকে শুরু করে ১৫ হাজার টাকা মূলধন দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। তবে একেক ব্যবসার ক্ষেত্রে মূলধনের পরিমাণ এক এক রকম হয়, এজন্য কম বেশি হতে পারে। যেমনঃ মুদিখানার দোকানে আপনাকে সর্বনিম্ন ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করতে হবে।

আবার আপনি যদি শাকসবজি চাষ, মাশরুম চাষ করে বিক্রির ব্যবসা শুরু করেন তাহলে এক্ষেত্রে আপনার ২ থেকে ৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করলেই হবে।

এছাড়া আপনার ব্যবসাটি ছোট বা বড় আকারে শুরু করতে চান তার উপরও মূলধন নির্ভর করবে। আপনি যদি একেবারে বড় আকারে ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে স্বাভাবিকভাবেই মূলধনের পরিমাণ বেশি প্রয়োজন হবে।

তবে আমার পরামর্শ হলো, যে কোন ব্যবসা প্রথমে ওই ব্যবসার জন্য সর্বনিম্ন মূলধন বিনিয়োগ করে শুরু করা উচিত। এরপর ধীরে ধীরে আপনার ব্যবসার বিস্তৃতি ঘটাতে পারেন।

গ্রামে পার্টটাইম ব্যবসার আইডিয়া

গ্রামে পার্ট টাইম ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে আপনি যদি জানতে চান তাহলে কন্টেন্টের এই অংশটি পড়ুন। আমাদের দেশের মানুষ জন এখন টাকা উপার্জন বৃদ্ধির জন্য সবসময় চেষ্টা করে থাকে।একজন লোক হয়তো চাকরি করে বা অন্য ব্যবসা করে কিন্তু সে তার ইনকাম বৃদ্ধির জন্য তার অবসর সময়ে আরেকটি ব্যবসা করতে আগ্রহী, মূলতঃ এটাই হলো পার্ট টাইম ব্যবসা।

মোটকথা, তার প্রকৃত জীবিকার কাজ বাদে অন্য যে কাজ করে ইনকাম করতে চান সেটাই পার্ট টাইম ব্যবসা। আর এই পার্টটাইম ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে অনেকের ধারণা না থাকার কারণে শুরু করতে পারেনা। এখানে আমি আপনার অবসর সময়ে করা যায় এরকম কয়েকটি গ্রামের লাভজনক পার্ট টাইম ব্যবসার আইডিয়া আপনাদের সাথে শেয়ার করব।

ফার্মেসি বা ওষুধের দোকানঃ পার্ট টাইম ব্যবসার আইডিয়া হিসেবে আপনি একটি ফার্মেসি বা ওষুধের দোকান দিতে পারেন। একজন বিশ্বস্ত ও দক্ষ কর্মী রেখে সারাদিন পর বিকেলে বা সন্ধ্যার পর আপনি আপনার ব্যবসায় সময় দিলে তা লাভজনক ব্যবসা হয়ে উঠবে।

ফসলের ওষুধ এর দোকানঃ আপনি হয়তো চাকরি করছেন পাশাপাশি অবসর সময়ে একটি ছোটখাটো ব্যবসা করতে চাচ্ছেন। এক্ষেত্রে আপনি গ্রামের বাজারের কোন ছোটখাট দোকান নিয়ে আবাদি ফসলের ঔষধ ও জৈব সারের ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ভাড়া দেওয়ার ব্যবসাঃ গ্রামীন এলাকায় যেহেতু সারা বছরই কোনো না কোনো ফসলের চাষ হয়, এ কারণে বিভিন্ন ধরনের আধুনিক যন্ত্রপাতির প্রয়োজন হয়। আপনি চাইলে ধান মাড়াই বা ধান কাটার কোন যন্ত্রাংশ কিনে তা ভাড়া দিতে পারেন।

চায়ের দোকানঃ গ্রামীন এলাকায় পার্ট টাইম ব্যবসার আরেকটি লাভজনক আইডিয়া হল গ্রামের বাজারের কোন ছোট দোকান দিয়ে চায়ের দোকান দেওয়া। এক্ষেত্রে আপনি চা বিক্রি সাথে সাথে বিস্কুট চিপস ইত্যাদি রাখতে পারেন। সন্ধ্যার পর আপনি সহজেই পার্ট টাইম হিসেবে দুই তিন ঘন্টা কাজ করলে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দেওয়াঃ আপনি যদি একজন চাকরিজীবী হন তাহলে সন্ধ্যার পর কম্পিউটার প্রশিক্ষণের কাজ করে বাড়তি টাকা ইনকাম করতে পারেন। এছাড়া প্রিন্টার এর সাহায্যে বিভিন্ন ধরনের আবেদন পত্র বা কাগজপত্র তৈরি করে দিয়েও টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ফেসবুক পেজ খুলে পণ্যের প্রচারঃ গ্রামে পার্টটাইম ব্যবসার আরেকটি লাভজনক আইডিয়া হল, সহজে আপনি একটু ফেসবুক পেজ খুলে বিভিন্ন প্রোডাক্টের প্রচার চালিয়ে বিক্রি করে দেয়ার মাধ্যমে কমিশন অর্জন করা। আপনি সহজে এ কাজটি সন্ধ্যার পর করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

মোবাইল রিচার্জ এর দোকানঃ গ্রামে পার্ট টাইম কাজ হিসেবে আপনি সন্ধ্যার পর মোবাইল রিচার্জ বা ফ্লেক্সিলোডের কাজ করে ইনকাম করতে পারেন।

ছাত্রছাত্রী পড়ানোঃ গ্রামে পার্টটাইম ব্যবসার আরেকটি লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া হল ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ানো। বিকেলে বা সন্ধ্যার পর আপনি সহজেই কয়েকজন ছাত্রছাত্রী পরিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারেন।

গ্রামে-লাভজনক-ব্যবসা

গ্রামে ছোট ব্যবসার আইডিয়া

গ্রামে ছোট ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে যদি আপনি ধারণা নিতে চান তাহলে সঠিক জায়গায় এসেছেন। আপনি যদি গ্রামে থাকেন এবং আপনার মূলধন যদি কম হয়ে থাকে কিন্তু আপনি ছোট একটি ব্যবসা শুরু করতে চান, বুঝতে পারছেন না কি ধরনের ব্যবসা করলে লাভজনক হবে, তাহলে নিচের অংশটি পড়ে জেনে নিন।

আরো পড়ুনঃ অল্প পুঁজিতে লোকাল মার্কেটে মেয়েদের জন্য ১০ টি লাভজনক ব্যবসা আইডিয়া

ছোট বড় যে কোন ব্যবসা শুরু করার আগে ভালোভাবে ভেবেচিন্তে তারপর সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। বর্তমানে ডিজিটাল যুগের এই কাজটি অনেকটাই সহজ হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন ধরনের ভিডিও দেখে, মোটিভেশনাল স্পিচ পড়ে, আর্টিকেল পড়ে জেনে নিতে পারেন কিছু সহজ লাভজনক ছোট ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে।

আপনাদের জন্য গ্রামে করা যায় এরকম ছোট কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি লাভজনক ছোট ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে নিচে দেখে নিনঃ

মুদিখানা দোকানঃ গ্রামের ছোট ব্যবসার আইডিয়ার মধ্যে অল্প মূলধনের মুদিখানার দোকান লাভজনক ব্যবসা আইডিয়া। শহরের মতো গ্রামেও এখন বিভিন্ন ধরনের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের চাহিদা বেড়েছে। তাই আপনি মুদিখানার দোকান দিলে ব্যবসাটি লাভজনক হবে নিশ্চিন্তে বলা যায়।

ফুচকা ও চটপটি দোকানঃ গ্রামের ছোট ব্যবসার আইডিয়ার মধ্যে ফুচকা ও চটপটির দোকান ভেবে রাখতে পারেন। ফুচকা চটপটির চাহিদা শহর গ্রাম সব জায়গায়ই বেশি, বিশেষ করে স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের প্রিয় একটি খাবার ফুচকা চটপটি। চাইলে আপনি যে কোন স্কুল ও কলেজের সামনে এই দোকানটি করতে পারেন।

মোবাইল রিচার্জ ও যন্ত্রাংশের দোকানঃ গ্রামের ছোট ব্যবসার আইডিয়ার মধ্যে মোবাইল রিচার্জ ও খুচরা যন্ত্রাংশের দোকান অন্যতম। বর্তমানে শহর থেকে গ্রামে সবার হাতে হাতে মোবাইল দেখা যায়। আর মোবাইল থাকা মানে রিচার্জ করা ও মোবাইলের বিভিন্ন ছোট ছোট যন্ত্রের চাহিদা সব সময় থাকে। তাই গ্রামের ছোট ব্যবসার আইডিয়ার মধ্যে এটিও একটি লাভজনক ব্যবসা আইডিয়া হতে পারে।

পশু পাখির খাবারের দোকানঃ গ্রামের ছোট ব্যবসার আইডিয়ার মধ্যে পশু পাখির খাবারের দোকান হতে পারে একটি লাভজনক ব্যবসা আইডিয়া। বর্তমানে প্রায় প্রতিটি গ্রামে পোল্ট্রি ফার্ম ও গরু ছাগলের খামার দেখতে পাওয়া যায়। এই সকল খামারে সবসময়ই হাঁস-মুরগি গরু ছাগলের খাবার বরাদ্দ দেওয়ার জন্য চাহিদা থাকে। চাইলেই আপনি এই ব্যবসাটি ছোট পরিসরে শুরু করতে পারেন।

জৈব সার ও কীটনাশক বিক্রিঃ প্রতিটি গ্রামাঞ্চলে সারা বছর ধরে বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদন হয়।এই ফসল উৎপাদন করতে উৎপাদনকারীর জৈব সার ও কীটনাশক প্রয়োজন হয়। আপনি চাইলে গ্রামের ছোট পরিসরে সার ও কীটনাশক বিক্রির দোকান দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

ফল বিক্রির দোকানঃ গ্রামের ছোট ব্যবসার আইডিয়ার মধ্যে আরেকটি অন্যতম লাভজনক আইডিয়া হল ফল বিক্রির দোকান দেওয়া। বিভিন্ন ধরনের মৌসুমী টাটকা ফল আপনার দোকানে রেখে আপনার ব্যবসাটি লাভজনক ব্যবসায় পরিণত করতে পারেন। কারণ টাটকা ও কেমিক্যাল মুক্ত ফলের চাহিদা সব জায়গাতেই বেশি।

ছোট পরিসরে কনফেকশনারি দোকানঃ গ্রামের ছোট ব্যবসার আইডিয়ার মধ্যে ছোট পরিসরে কনফেকশনারী দোকান লাভজনক একটি ব্যবসা আইডিয়া। চকলেট চিপস কোমল পানীয় থেকে শুরু করে এসব পণ্যের চাহিদা গ্রামাঞ্চলে অনেক বেশি।

মিষ্টির দোকানঃ গ্রামাঞ্চলে ছোট ব্যবসার মধ্যে আরেকটি লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া হলো মিষ্টির দোকান দেওয়া। আপনার দোকানে বিভিন্ন ধরনের ঘরে তৈরি মিষ্টি, ঘরে পাতা দই, ঘরে তৈরি সন্দেশ ইত্যাদির ব্যবসা শুরু করলে এটি লাভজনক ব্যবসা পরিণত হতে খুব বেশি সময় লাগবে না।

দোকান ব্যবসার আইডিয়া

দোকান ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে আর্টিকেলের এই অংশে জেনে নিন। আপনারা অনেকেই আছেন যারা দোকান ব্যবসা করতে বেশি আগ্রহী। বর্তমানে দোকান ব্যবসার ধারণা অত্যন্ত লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া হতে পারে। বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে বিভিন্ন ধরনের চাহিদ পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় দোকান ব্যবসার আইডিয়াও সমৃদ্ধি লাভ করেছে।

নিচে বর্তমান সময়ে কয়েকটি লাভজনক দোকান ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হলোঃ

  • দোকান ব্যবসার আইডিয়ার মধ্যে প্রথমের যে ব্যবসার কথা বলা যায় তা হল মুদিখানার দোকান। এটি এমন একটি ব্যবসার আইডিয়া যা সারা বছর চাহিদা সব সময় থাকে। তাই এটিকে একটি লাভজনক দোকান ব্যবসা আইডিয়া নিঃসন্দেহে বলা যায়।
  • কনফেকশনারী দোকান আরেকটি লাভজনক দোকান ব্যবসার আইডিয়া। বিভিন্ন ধরনের কনফেকশনারি পণ্য নিয়ে দোকান দিলে তা লাভজনক ব্যবসায় পরিণত হতে বেশি সময় লাগবে না।
  • স্টেশনারি পণ্য যেমনঃ খাতা, কলম মার্কার পেন্সিল গ্রাফ পেপার এর দোকান আরেকটি সহজ ও লাভজনক দোকান ব্যবসার আইডিয়া।
  • টি ষ্টল বা চায়ের দোকান বর্তমান সময়ের আরেকটি সহজ ও লাভজনক দোকান ব্যবসার আইডিয়া। বিশেষ করে আপনি গ্রামাঞ্চলের যে কোন মোড়ে, বাজারে বা স্কুল কলেজের সামনে এই দোকানটি দিলে সহজেই অনেক বেশি প্রফিট অর্জন করতে পারবেন।
  • দোকান ব্যবসার আইডিয়ার মধ্যে কাপড়ের দোকান অন্যতম। বর্তমানে কাপড়ের ব্যবসাটি অত্যন্ত লাভজনক ও জনপ্রিয় একটি ব্যবসা। চাইলে আপনিও দোকান ব্যবসার আইডিয়া হিসেবে এই ব্যবসার ধারণাটি নিতে পারেন।
  • হার্ডওয়ার ও বিভিন্ন খুচরা যন্ত্রাংশ বিক্রির দোকান আরেকটি দোকান ব্যবসার লাভজনক আইডিয়া। ইলেকট্রনিক্স, মোবাইল যেকোনো পণ্যের খুচরা যন্ত্রাংশের দোকান দিতে পারেন।
  • মিষ্টি, কেক পেস্ট্রি আচার এর দোকান দিতে পারেন। দোকান ব্যবসার আইডিয়ার মধ্যে এটিও একটি বর্তমানে লাভজনক ব্যবসা আইডিয়া।
  • বিভিন্ন ধরনের হাতে তৈরি পণ্য বা হস্তশিল্পের পণ্যের দোকান বর্তমান যুগে অনেক জনপ্রিয়। এই ধরনের দোকান ব্যবসার আইডিয়া আরেকটি লাভজনক ব্যবসা আইডিয়া হতে পারে।
  • ফাস্টফুডের দোকান আরেকটি লাভজনক দোকান ব্যবসা আইডিয়া। বর্তমান প্রজন্ম ফাস্টফুড ছাড়া যেন একদিনও চলতে পারে না। বিভিন্ন ধরনের ফাস্টফুড আইটেম বিক্রি সাথে সাথে আপনার নিজের তৈরি স্পেশাল কোন আইটেম যোগ করতে পারেন। সাথে রাখতে পারেন চা ও বিভিন্ন ধরনের কফি।
  • পার্লার দেওয়া আরেকটি দোকান ব্যবসার লাভজনক আইডিয়া। পার্লার বা সেলুন বর্তমান সময়ে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ব্যবসা। আপনি যদি এরকম লাভজনক একটি ব্যবসার আইডিয়া খুঁজেন তাহলে এই আইডিয়া টি কাজে লাগাতে পারেন।
  • দোকান ব্যবসার আইডিয়ার মধ্যে আরেকটি লাভজনক ব্যবসা হতে পারে চশমার দোকান। বর্তমান সময়ে মোবাইল ও কম্পিউটার যুগে ছোট বড় সবাই চোখে চশমা নিতে দেখা যাচ্ছে। তাই চশমার দোকান বর্তমান যেমন লাভজনক তেমনি ভবিষ্যতেও লাভজনক হবে নিশ্চিতভাবে বলা যায়। সাথে যদি আপনার দোকানে আপনি চোখ দেখার সেবা প্রদান করতে পারেন তাহলে এটি আরো বেশি লাভজনক ব্যবসা হয়ে উঠবে।
গ্রামে-লাভজনক-ব্যবসা

পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া

পাইকারি লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে জানার জন্য আর্টিকেলের এই অংশটি পড়ুন। আপনারা অনেকেই আছেন যারা ভালো কোন লাভজনক পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া খুঁজেন। সঠিক ব্যবসার ধারণার অভাবে অনেক সময় ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও ব্যবসা শুরু করতে পারেন না।

আরো পড়ুনঃ মাসে ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করার সহজ ২৩ টি উপায়

মূলতঃ পাইকারি ব্যবসায় কম দামে বেশি সংখ্যক পণ্য উৎপাদন কারীর কাছ থেকে কিনে বেশি দামে খুচরা ব্যবসায়ের নিকট বিক্রি করা যায়, ফলাফল স্বরূপ অল্প পরিশ্রমে অধিক মুনাফা বা প্রফিট অর্জন করা যায়। এ কারণেই মানুষের মধ্যে পাইকারি ব্যবসা করার চাহিদা অনেক বেশি।

এখানে আমি আপনাদের বর্তমান সময়ে ১০টি লাভজনক পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে জানাবো। আপনি চাইলে এর মধ্যে থেকে যেকোনো একটি ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

  • শাকসবজির পাইকারি ব্যবসা একটি লাভজনক ব্যবসা হিসেবে জনপ্রিয়। চাইলে আপনি কম দামে কৃষকদের নিকট থেকে শাকসবজি ক্রয় করে খুচরা বিক্রেতাদের নিকট বিক্রি করতে পারেন।
  • ফলের পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া আরেকটি লাভজনক ব্যবসা। বিভিন্ন অঞ্চলের বিখ্যাত ফল আপনি পাইকারি দরে ক্রয় করে সারা দেশের খুচরা বিক্রেতার কাছে অনেক লাভে বিক্রি করতে পারেন।
  • বিভিন্ন ধরনের কাঁচামাল এর পাইকারি ব্যবসা একটি লাভজনক ব্যবসা আইডিয়া। প্রতিনিয়তই গ্রাম থেকে শহরে বা শহর থেকে গ্রামে চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের কাঁচামাল সরবরাহ করার প্রয়োজন হয়। চাইলে আপনি এই ধরনের কাঁচামাল এর পাইকারি ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
  • স্টেশনারি পণ্যের পাইকারি ব্যবসা শুরু করতে পারেন। বর্তমানে এটিও একটি জনপ্রিয় জনক পাইকারি ব্যবসার হিসেবে পরিচিত।
  • মুদিখানার বিভিন্ন পণ্যের পাইকারি ব্যবসা শুরু করতে পারেন। বর্তমানে এটিও একটু লাভজনক পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া।
  • বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক্স খুচরা যন্ত্রাংশ পাইকারি দরে ক্রয় করে তা খুচরা বিক্রেতার কাছে বিক্রি করতে পারেন।
  • মোবাইলের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ পাইকারি ব্যবসার আরেকটি লাভজনক ব্যবসা আইডিয়া হতে পারে।
  • পাইকারি ব্যবসার মধ্যে আরেকটি জনপ্রিয় ব্যবসা হল কাপড়ের ব্যবসা। কম দামে উৎপাদনকারীর কাছ থেকে কাপড় কিনে তা বেশি দামে খুচরা বিক্রেতার কাছে বিক্রি করলে প্রচুর লাভ পাওয়া যায়। বর্তমানে কাপড়ের পাইকারি ব্যবসা অত্যন্ত লাভজনক একটি ব্যবসা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
  • শুকনো খাবার যেমনঃ চিপস, বিস্কুট, চকলেট, পাউরুটি ইত্যাদির পাইকারি ব্যবসা একটি লাভজনক ব্যবসা আইডিয়া।
  • বিভিন্ন ধরনের কৃষি পণ্য উৎপাদনের সহায়তাকারী পণ্য যেমনঃ সার, বীজ, জৈব সার, কীটনাশক ইত্যাদি পাইকারি ব্যবসা অত্যন্ত লাভজনক। লাভজনক পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া হিসেবে এটি অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ব্যবসা।

ব্যবসাকে লাভজনক করার বিবেচ্য বিষয়

প্রিয় পাঠক, গ্রামের ব্যবসা সহ যে কোনো ব্যবসাকে লাভজনক ব্যবসায় পরিণত করার জন্য কিছু বিষয় অবশ্যই গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে হবে। আপনি যেকোনো একটি ব্যবসা শুরু করলে সেটি প্রথম দিন থেকে যে লাভজনক হয়ে উঠবে তা ১০০% নিশ্চিত করে বলা সম্ভব না। যেকোনো ব্যবসাকে লাভজনক ব্যবসায় পরিণত করতে সময়, ধৈর্য ও শ্রম দেওয়ার মানসিকতা নিয়ে শুরু করতে হবে।

এছাড়া আরো যে সকল বিষয় বিবেচনা করতে হবে তা নিচে এক নজরে দেখে নিনঃ

ব্যবসা সম্পর্কে জানুনঃ আপনি যে কোন ব্যবসা শুরু করার আগে ওই ব্যবসা সংক্রান্ত খুঁটিনাটি বিষয় জেনে আটঘাট বেঁধে তারপর নামতে হবে। নামে মাত্র ব্যবসা শুরু করলাম আর তাতে ব্যবসা থেকে মুনাফা অর্জন হবে এই ধারণা থেকে বের হয়ে আসতে হবে।

আয় ব্যয়ের হিসাব রাখুনঃ ব্যবসা শুরু করার পর প্রথম দিন থেকে আপনাকে আয় ও ব্যয়ের সঠিক হিসাব পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে রাখতে হবে। এতে আপনি সহজেই ব্যয়ের সাথে আয় তুলনা করতে পারবেন, যা পরবর্তীতে আপনাকে একজন সফল ব্যবসায়ী হয়ে উঠতে সহায়তা করবে।

নিজে পরিচালনা করুনঃ নিজে ব্যবসা পরিচালনা করুন প্রয়োজনে বিশ্বস্ত ও দক্ষ কর্মী নিয়োগ দিন।

পন্যের গুণগত মান বজায় রাখুনঃ আপনার ব্যবসার পণ্যের গুণগত মান বজায় রাখুন

ক্রেতার চাহিদার দিকে নজর রাখুনঃ ক্রেতাদের সন্তুষ্টি সফল ব্যবসায়ের মূল মন্ত্র। তাই ক্রেতার চাহিদার দিকে নজর রাখুন।

অনলাইন সার্ভিস চালু করুনঃ আপনার ব্যবসাটি যদি এমন হয় অনলাইনেও সার্ভিস দেওয়া যাবে, তাহলে এই সুবিধাটি গ্রহণ করুন। কারন বর্তমানে ডিজিটাল যুগে অনলাইনে শপিং করতে অনেকেই পছন্দ করেন।

যোগাযোগ দক্ষতা বাড়ানঃ আপনার ব্যবসায়ের প্রচার চালান। মানুষের সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলুন। আপনার যোগাযোগ দক্ষতা যত বেশি হবে তত আপনার ব্যবসায়ের প্রসার ঘট...

ডিজিটাল পদ্ধতি চালু করুনঃ ব্যবসার ধরন অনুযায়ী কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা চালু করুন। এতে আপনার সময় ও শ্রম অনেকটা কমে যাবে। এতে আপনি পরবর্তীতে ব্যবসার অন্য দিকের মনোযোগ দিতে পারবেন।

স্বতন্ত্র পণ্য তৈরি করুনঃ আপনি যে ব্যবসাই করেন না কেন, সেই ব্যবসার একটি ইউনিক পণ্য আপনি তৈরি করতে পারেন। পণ্যের ভেরিয়েশন আপনাকে সফল ব্যবসায়ী হয়ে উঠতে সহায়তা করবে।

গ্রামে লাভজনক ব্যবসা ২০২৫ সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্নঃ গ্রামে কি ধরনের ব্যবসা করা যায়?

উত্তরঃ গ্রামে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করে মুনাফা অর্জন করা যায়। এরকম কিছু সেরা ও জনপ্রিয় ব্যবসা হলঃ

  • হাঁষ মুরগি পালন ও মাছ চাষ
  • শাকসবজি উৎপাদন ও বিক্রি করা
  • কাঁচামালের ব্যবসা
  • পার্লার ব্যবসা
  • সাইবার ক্যাফে খুলে সেবা প্রদান করার ব্যবসা
  • মাশরুম চাষের ব্যবসা
  • কোয়েল পাখি পালন করে ব্যবসা
  • সার বীজ ও কীটনাশক এর দোকান
  • মুদির দোকান
  • কনফেকশনারী দোকান
  • চায়ের দোকান
প্রশ্নঃ বাংলাদেশের সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা কোনটি?

উত্তরঃ বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা হল গার্মেন্টস বা কাপড়ের ব্যবসা। এই ব্যবসাটি বর্তমানে জনপ্রিয়তা তুঙ্গে রয়েছে। এছাড়া ই-কমার্স ব্যবসা, অনলাইনে কোচিং ব্যবসা, ফাস্টফুডের দোকান ইত্যাদি।

পরিশেষে

প্রিয় পাঠক, গ্রামে লাভজনক ব্যবসা ২০২৫ সেরা ২৫টি সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করেছি। আজকের আর্টিকেলে উল্লেখিত ব্যবসাগুলো বর্তমান সময়ের গ্রামের কম মূলধনের লাভজনক জনপ্রিয় ব্যবসার আইডিয়া।

আপনি যদি গ্রামে বসবাস করেন এবং একটি লাভজনক ব্যবসা শুরু করে নিজেকে একজন সফল ব্যবসায়ী হিসেবে দেখতে চান, তাহলে যে কোন একটি ব্যবসা নিশ্চিন্তে শুরু করতে পারেন।

এই ধরনের ব্যবসা শুধু বর্তমান সময়ে জনপ্রিয় তাই নয় ভবিষ্যতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকবে বলা যায়। কারণ আর্টিকেলে উল্লেখিত প্রতিটি ব্যবসার আইডিয়া নির্বাচন করা হয়েছে মানুষের চাহিদার উপর ভিত্তি করে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

passiondrivefiona র নীতিমালা মেনে comment করুন। প্রতিটি comment রিভিউ করা হয়;

comment url