মোবাইলে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার সেরা ১০টি
মোবাইলে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার সম্পর্কে আপনি কি জানতে চান, তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কারণ এই আর্টিকেলে যেকোন ভিডিও মোবাইলে নিখুঁত ভাবে এডিট করার সেরা ১০টি সফটওয়্যার বা অ্যাপস সম্পর্কে জানতে পারবেন। আরো জেনে নিন, মোবাইলে ভিডিও এডিটিং করার সহজ পদ্ধতি সম্পর্কে।
ভূমিকাঃ মোবাইলে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার ২০২৫
মোবাইলে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার
মোবাইলে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার গুলো দিয়ে যেকোন ভিডিও প্রায় প্রফেশনাল ভাবে এডিট করা সম্ভব। আকর্ষণিও টেমপ্লেট, ভিডিও ইফেক্ট, সহজ পাঠ্য, পছন্দ মত ফরমেট দিয়ে যে কোনো সাধারণ ভিডিওকে আকর্ষণীয়ভাবে ইউজারদের ভিডিও এডিট করার দারুন অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, এই সকল সফটওয়্যারে নিয়মিত নতুন নতুন টুলস বা ফিচার যুক্ত হতে থাকে। যেকোন ভিডিও যে কোন জায়গায় ধারণ করে ইউজারদের তা তৎক্ষণাৎ এডিট করার সুবিধা প্রদান করে এই সকল সফটওয়্যার। কিন্তু অনেকেই এই সকল সফটওয়্যার সম্পর্কে না জানার কারণে ব্যবহার করতে পারছেন না।
আরো পড়ুনঃ ২০২৫ সালে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায়
তাদের জন্য ভিডিও এডিট করার কাজকে সহজ করে দিতে বর্তমানে সেরা ১০টি সফটওয়্যার সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলোঃ
CapCut ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার
CapCut বর্তমান সময়ে মোবাইলে ভিডিও এডিট করার সবচেয়ে শক্তিশালী ও জনপ্রিয় সফটওয়্যার এর নাম। CapCut এমন একটি সফটওয়্যার যা দিয়ে আপনি যে কোন ভিডিওকে মোটামুটি পেশাদার ভাবে এডিট করতে পারবেন। সহজ ইন্টারফেস ও বেশ কিছু সুবিধা নিয়ে এই অ্যাপটি বর্তমানে ইউজারদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে।
চলুন এখন জেনে নেই জনপ্রিয় এই ভিডিও এডিট করার সফটওয়্যার এর ফিচার গুলোঃ
- এই সফটওয়্যারে আপনি একই সময়ে একের অধিক লেয়ার নিয়ে কাজ করার সুবিধা পাবেন।
- এই সফটওয়্যার রয়েছে কালার গ্রেড, নিজের পছন্দ অনুযায়ী কালার বাছাই করার দারুন সব সুবিধা পাবেন এখানে।
- সফটওয়্যারটি ইন্টারফেসে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও ফরমেট পেয়ে যাবেন। এখানে রয়েছে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য আলাদা আলাদা ফরমেট রেশিও। যেমনঃ আপনি যদি আপনার ভিডিও এডিট করে ফেসবুকে পোস্ট করতে চান তাহলে রয়েছে 1.1 ফরমেট। আবার টিক টক এর জন্য 9.16 রেশিওতে সহজেই কনভার্ট করতে পারবেন।
- আপনার মোবাইলে ধারনকৃত ভিডিওতে যেকোনো ধরনের নয়েজ সরিয়ে আপনার পছন্দমত সাউন্ড দেয়ার সুবিধা পাবেন।
- আপনি যদি আপনার ধারণ করা ভিডিও ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবর্তন করতে চান তাহলে সে সুবিধা আপনি এই সফটওয়্যারে পেয়ে যাবেন। রয়েছে ক্রোমা কি সুবিধা, এজন্য কোনরকম গ্রীন স্ক্রিন ছাড়াই আপনি এই পরিবর্তনটি করতে পারবেন।
- এই সফটওয়্যার যে ট্রানজেকশন সুবিধা আপনি পাবেন তা মোটামুটি প্রফেশনাল লেভেলে। এখানে আপনি ফ্রী ও পেইড দুই ধরনের ট্রানজেকশন সুবিধা পেয়ে যাবেন।
- এই সফটওয়্যার এর আরেকটি বড় সুবিধা হল এখানে রয়েছে 4k রেন্ডারিং সুবিধা, যা আপনাকে দ্রুত আপনার ভিডিওকে এক্সপোর্ট করতে সহায়তা করবে।
- সবকিছু মিলিয়ে এই সফটওয়্যার এর ডিফল্ট যে সুবিধা গুলো রয়েছে সেগুলো ঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে আপনি মোটামুটি পেশাদার মানের ভিডিও এডিট আপনার মোবাইল দিয়েই করতে পারবেন।
KineMaster ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার
KineMaster বর্তমান সময়ের আরেকটি জনপ্রিয় মোবাইল ভিডিও এডিটিং অ্যাপস। বিভিন্ন ধরনের অত্যাধুনিক ফিচার রয়েছে কাইন মাষ্টার অ্যাপে। দিন দিন এই অ্যাপের ফিচার গুলি আপডেট হওয়ায় এই অ্যাপটির ব্যবহার সুবিধা আরো ইউজার ফ্রেন্ডলি হয়েছে। সহজ কথায় বলা যায়, ভিডিও এডিট করার প্রয়োজনীয় সকল টুলস এই অ্যাপে রয়েছে।
- এই অ্যাপের সহজ ইন্টারফেস ব্যবহারকারীদের কাছে তা গ্রহণযোগ্য করে তুলেছে।
- এই অ্যাপটির রয়েছে একাধিক লেয়ার নিয়ে কাজ করার সুবিধা।
- এই অ্যাপে নয়েজ বা সাউন্ড রিডাকশন করার সুবিধা পাবেন।
- ভিডিওর ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবর্তন করার জন্য গ্রিন স্ক্রিন ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে।
- এই অ্যাপে আপনি পাবেন পছন্দ অনুযায়ী ভিডিও ইফেক্ট দেওয়ার সুবিধা।
- এই অ্যাপটিতে রয়েছে নিজের পছন্দ অনুযায়ী অডিও যোগ করার সুবিধা।
- অ্যাপটিতে রয়েছে দারুন ট্রানজেকশন সুবিধা।
- Android এবং ios দুই ধরনের ভার্সনে ব্যবহার করার সুবিধা পাবেন।
- এই অ্যাপটির বড় যে সুবিধাটি রয়েছে তা হলো, লো কনফিগারেশন মোবাইলেও ভিডিও এডিট করতে ব্যবহার করা যায়।
In shot ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার
- এই অ্যাপে থাকা সকল ফিচার আপনি ফ্রিতে ব্যবহার করতে পারবেন।
- এই অ্যাপটি লো কনফিগারেশন মোবাইলে ব্যবহার করা যায়।
- এই অ্যাপে পাবেন অটো ক্যাপশন সুবিধা।
- এই অ্যাপে 4k রেন্ডারিং থাকায়, দ্রুত এক্সপোর্ট করার সুবিধা আপনি ভোগ করবেন।
- এই অ্যাপটি বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। কারণ এই অ্যাপে রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও পোস্ট করার জন্য বিভিন্ন ধরনের রেশিও। যেমনঃ 1.1, 9.16, 16.9.
- মোটকথা, মোবাইলে ভিডিও এডিট করার জন্য যে সকল বেসিক টুলস প্রয়োজন, সব ধরনের টুলস আপনি এখানে বিনামূল্যে পেয়ে যাবেন।
Power Directo-ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার
- এই অ্যাপে নিয়মিত আপগ্রেড ভিডিও এডিট করার টুলস ও টেমপ্লেট সংযুক্ত হয়। তাই যারা ভিডিও এডিট করতে পছন্দ করেন, তারা নিয়মিতই নতুন নতুন ফিচারের সাথে পরিচিত হতে পারেন।
- একটি ভিডিওকে নিখুঁত ও আকর্ষণীয়ভাবে এডিট করার জন্য সকল ধরনের ফিচার ও টুলস এই সফটওয়্যারে আপনি বিনামূল্যে পেয়ে যাবেন।
- এই সফটওয়্যারে এ আই টুলস যুক্ত থাকায় আপনি বিভিন্ন ধরনের গেজেট এর রিভিউ প্রদান করার কাজে ব্যবহার করতে পারেন।
- মোটকথা, মোবাইলে ভিডিও এডিট করার জন্য এটি একটি শক্তিশালী সফটওয়্যার বা অ্যাপ।
Filmora- ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার
Filmora অ্যাপটি ডেস্কটপ বা পিসিতে ভিডিও এডিট করার কাজে একদম প্রথম থেকে ব্যবহার হয়ে আসছে। তবে বর্তমানে মোবাইলে ভিডিও এডিট করার কাজে এটিও একটি ইউজারদের কাছে জনপ্রিয় অ্যাপ। যদিও এই অ্যাপটি আপনি বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারবেন না।
তবে আপনি যদি মোবাইলে ভিডিও এডিট করার জন্য সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী কোন অ্যাপ বা সফটওয়্যার খুজে থাকেন তাহলে এটি ব্যবহার করতে পারেন।
মোবাইলে ভিডিও এডিট করার জন্য এই অ্যাপের বিশেষ বিচার গুলো দেখে নিনঃ
- এই অ্যাপের সহজ ইন্টারফেস ব্যবহারকারীদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা বাড়িয়েছে।
- এই অ্যাপটির মাধ্যমে আপনি ড্রাগ ও ড্রপ এর মাধ্যমে ভিডিও এডিট করতে পারবেন।
- এই অ্যাপে রয়েছে আকর্ষণীয় সব টুলস। এবং প্রতিনিয়তই নতুন নতুন ফিচার অ্যাপটিতে যুক্ত হচ্ছে যেমনঃ AI Painting, AI Image, অটো ক্যাপশন সুবিধা।
- মোটকথা, পিসি ছাড়াও মোবাইলে ভিডিও এডিট করার জন্য ইউজারদের সকল ধরনের চাহিদা এই অ্যাপটিতে রয়েছে।
Viva Video-ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার
- এই অ্যাপে আপনারা পাবেন আকর্ষণীয় ভিডিও এফেক্টস।
- ভিডিওকে কাটাছেড়া বা জোড়া তালি দেওয়ার জন্য এই অ্যাপে রয়েছে বিশেষ সুবিধা।
- মাল্টিলেয়ার নিয়ে কাজ করার সুবিধা পাবেন এই অ্যাপে।
- ভিডিওতে সাবটাইটেল যোগ করার সুবিধা পাবেন এই অ্যাপটিতে।
V N Video Editor ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার
- যেকোনো ভিডিও কাট ছাট করা, পরিমার্জন করা ফিল্টার ব্যবহার করা ক্রপ করা ইত্যাদি বেসিক টুলস এই সফটওয়্যারে পেয়ে যাবেন।
- সম্পূর্ণ ফ্রিতে এই ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারটি কোনরকম ওয়াটার মার্ক ছাড়াই ব্যবহার করতে পারবেন।
Final Cut Pro Video Editor ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার
- এই সফটওয়্যারে পাবেন ভিডিও এডিট করার ব্যাসিক টুলস অফিসার সহ এ আই ব্যবহার করে ভিডিও এডিট করার সুবিধা।
- এই সফটওয়্যার রয়েছে ট্রানজেকশন, টেক্সট অ্যানিমেশন সহ আরো অন্যান্য আকর্ষণীয় ফিচার।
Quik Video Editor- ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার
Quik Video Editor অ্যাপটিতে থাকা ভিডিও এডিট করার স্বতন্ত্র কিছু বৈশিষ্ট্যের জন্য ইউজারদের কাছে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। মোবাইলে ভিডিও এডিট করার জন্য ফ্রিতে অ্যান্ড্রয়েড এই অ্যাপটি যেকোনো ধরনের ভিডিও এডিট করার কাজে ব্যবহার করতে পারেন।
ভিডিও এডিট করার জন্য যে সকল সুবিধা এই অ্যাপে পাবেন তা এক নজরে দেখে নিনঃ
- অ্যাপটির Automatic Video Creation Function টুলস এর সাহায্যে আপনি যেকোনো ধরনের ভিডিও অটোমেটিক্যালি এডিট করার সুবিধা পাবেন।
- এই অ্যাপটির সাহায্যে আপনার মোবাইলে ধারণকৃত মোবাইলের গ্যালারিতে সংরক্ষিত অনেকগুলো ইমেজ বা ভিডিও দিয়ে আপনার মনের মত করে খুব দ্রুত ভিডিও বানিয়ে নিজের স্টোরি তৈরি করতে পারবেন।
- অ্যাপটিতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও এডিটিং টুলস যেমনঃ ভিডিও কাটা, ভিডিও ক্রপ করা, ভিডিওতে ইফেক্ট যোগ করা, সাবটাইটেল যোগ করা, অডিও দেওয়ার মত বিভিন্ন কার্যকরী টুলস।
- অ্যাপটি সম্পূর্ণ অ্যাড ফ্রী, এটি এই অ্যাপের একটি বড় সুবিধা।
Canva ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার
Canva ভিডিও ও ফটো এডিট করার ইউজারদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি অ্যাপ। এই অ্যাপটি বিশেষ করে বিগিনারদের জন্য সেরা একটি অ্যাপ। আপনি যদি প্রথমবার ভিডিও বা ইমেজ এডিট করার অভিজ্ঞতা নিতে চান তাহলে এই অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারেন।
ভিডিও এডিট করার যে সকল ফিচার এই অ্যাপে রয়েছে তাই এক নজরে দেখে নিনঃ
- এই অ্যাপে আপনি মাল্টি প্লেয়ার নিয়ে কাজ করার সুবিধা পাবেন।
- এই অ্যাপে রয়েছে অনেকগুলো ফ্রি টেমপ্লেট।
- এই অ্যাপ দিয়ে সহজে যেকোনো ভিডিও এর কাট ছাট বা পরিমার্জন করা, জোড়া লাগানো বা একত্রিত করার সুবিধা পাবেন।
- এই অ্যাপটি দিয়ে আপনি প্রথমবারেই ক্রিয়েটিভ ভিডিও এডিট করতে পারবেন।
- অ্যাপের বিশেষ ফিচারগুলোর জন্য এমনকি অনেক প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার এই অ্যাপটি ব্যবহার করে থাকেন।
- এই অ্যাপটি এন্ড্রয়েড এবং আইফোন দুটিতেই ব্যবহার করতে পারবেন।
- এই অ্যাপটি ফ্রিতে ব্যবহার করতে পারবেন।
ফ্রি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার
আপনি কি অনলাইনে ফ্রি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে আর্টিকেলের এই অংশটি পড়ে জেনে নিন। আপনারা অনেকেই আছেন যারা ইউটিউবে বা টিকটকে ভিডিও বানানোর জন্য ফ্রিতে ব্যবহার করা যায় এরকম অ্যাপস খুঁজে থাকেন।
অনলাইনে বেশ কিছু ফ্রি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার বা এপ্স রয়েছে, যেগুলোর সাহায্যে আপনি বিনামূল্যে যেকোনো ধরনের ভিডিও এডিট করতে পারবেন।
বিশেষ করে বিগিনারদের জন্য ভিডিও এডিটিং শেখার প্রথম ধাপ হিসেবে এই ফ্রি অ্যাপসগুলো অত্যন্ত কার্যকরী। বিনামূল্যে এই সকল অ্যাপস ব্যবহার করা গেলেও ভিডিও এডিট করার জন্য অসংখ্য টুলস, ফিচার ও ইফেক্টস থাকায় ইউজাররা বর্তমানে বেশ পছন্দ করছেন।
নিচে কয়েকটি জনপ্রিয় ফ্রি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার এর নাম দেয়া হলোঃ
Android ফ্রি অ্যাপস গুলোঃ
- KineMaster
- Inshot
- Cap cut
- Splice
- Quik
- Canva
- Video Show
- Vivavideo
- Align Motion
- Open shot
Iphone ফ্রি মোবাইল অ্যাপসঃ
- Lightworks
- Adobe Premier Rush
- Luma Fusion
- Apple imovie
- Adobe Premiere clip
- Lightroom Photo & Video Editor
- KineMaster
পেইড ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার
আপনি যদি একদম প্রফেশনাল লেভেলে ভিডিও এডিট করতে চান তাহলে অনলাইনে থাকা পেইড ভিডিও এডিটিং অ্যাপস বা সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার করতে হবে। এই ধরনের পেইড ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার আপনাকে কিনে ব্যবহার করতে হবে।
তবে এই ধরনের অ্যাপস বা সফটওয়্যারে ভিডিও এডিট করার যে সকল অত্যাধুনিক টুলস, ফিচার পাবেন তা দিয়ে উন্নত মানের ভিডিও এডিট করা আপনার জন্য সহজ হবে। বিশেষ করে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ভিডিও পাবলিশ করার জন্য এই ধরনের হাই কোয়ালিটি সফটওয়্যার গুলো সবচেয়ে উপযুক্ত।
নিচে কয়েকটি পেইড ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার এর তালিকা দেয়া হলোঃ
- Cyberlink PowerDirector 365
- Davinci Resolve
- Adobe Premiere Pro
- Movavi Video Editor plus
- Corel Videostudio Ultimate
ভিডিও এডিট করার সহজ পদ্ধতি
বর্তমানে মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিটিং করার সেরা একটি অ্যাপ Inshot দিয়ে কিভাবে ধাপে ধাপে ভিডিও এডিটিং করবেন তা দেখে নিনঃ
প্রথম ধাপঃ ক্রোম ব্রাউজারে গিয়ে প্লেস্টোর থেকে অ্যাপটি আপনার মোবাইলে ইন্সটল করে নিন।
দ্বিতীয় ধাপঃ ইন্সটল করার পর Inshot এ্যাপে ক্লিক করলে নিচের ছবির মত ইন্টারফেস আসলে আপনি ভিডিও অপশনে ক্লিক করুন।
তৃতীয় ধাপঃ ভিডিও অপশনে ক্লিক করার পর আপনি নিচের ছবির ইন্টারফেসে প্রবেশ করবেন।
চতুর্থ ধাপঃ এই পর্যায়ে নিউ অপশনে ক্লিক করে যে ভিডিওটি এডিট করতে চান সেটি সিলেক্ট করুন। ভিডিও সিলেক্ট করার পর অ্যাপের মেইন ইন্টারফেসে প্রবেশ করবেন।
পঞ্চম ধাপঃ এখন আপনি আপনার ভিডিও অ্যাপে থাকা সকল টুলস ও ফিচার দিয়ে আপনার পছন্দমত এডিট করতে শুরু করুন। এখানে আপনি পাবেন আপনার পছন্দমত ভিডিও ক্যানভাস, টেক্সট, ভিডিও এফেক্ট, ফিল্টার, অডিও স্টিকার সহ আরো অনেক টুলস।
ভিডিও এফেক্টে চাইলে আপনি এআই এফেক্ট এডজাস্টমেন্ট ইত্যাদি টুলস ব্যবহার করতে পারবেন।
আপনার ভিডিও কে আকর্ষণীয় ও প্রফেশনাল ভাবে এডিট করতে এখানে ভিডিও কাটা, অতিরিক্ত অংশ বাদ দেওয়া, জোড়া লাগানো, ভলিউম বাড়ানো কমানো ইত্যাদি টুলস ব্যবহার করতে পারবেন।
ষষ্ঠ ধাপঃ আপনার ভিডিও এডিট করা শেষ হলে এ পর্যায়ে আপনি সহজে অতি দ্রুত এক্সপোর্ট করতে পারবেন। এজন্য নিচের ইমেজ এর মত এক্সপোট অপশনে ক্লিক করুন। বিভিন্ন রেজুলেশনে ভিডিওটি এক্সপোর্ট করতে পারবেন।
শেষ ধাপঃ আপনার এডিট করা ভিডিও এক্সপোর্ট করার পর আপনার মোবাইলের গ্যালারিতে সেভ করার পর আরও বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার করার অপশন পাবেন। আপনি আপনার পছন্দমত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও শেয়ার করতে পারবেন। পাবেন এড রিমুভ করার অপশন।
প্রিয় বন্ধুরা, আপনি যদি মোবাইলে ভিডিও এডিটিং করার একদম বিগিনার হয়ে থাকেন তাহলে উপরে দেখানো পদ্ধতিতে সহজ ভাবে এডিট করা শুরু করতে পারেন। এখানে আমি সহজ ভাবে একটি ভিডিওকে মোবাইল ভিডিও এডিটিং অ্যাপ Inshot এর সকল টুলস ও ফিচার ব্যবহার করে কিভাবে সম্পাদনা করা যায় তা দেখানোর চেষ্টা করেছি।
আশা করি, আপনি এই প্রক্রিয়াটি ফলো করে আপনার যে কোন ভিডিওকে মনের মত করে সম্পাদনা করতে পারবেন।
মোবাইলে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার কোনটি ব্যবহার করবেন
মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার ব্যবহার করার ক্ষেত্রে একটি প্রশ্ন আপনাদের মনে আসতে পারে, কোন সফটওয়্যারটি আপনার জন্য ব্যবহার করা সহজ ও সুবিধাজনক হবে। দেখুন, আজকের আর্টিকেলে উল্লেখিত প্রতিটি সফটওয়্যার ইন্টারফেস সহজ এবং টুলস ও ফিচারগুলো আপনি সহজে ব্যবহার করতে পারবেন।
তবে আপনি যদি মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিট করার কাজে প্রথম হয়ে থাকেন তাহলে আমি সাজেস্ট করব ক্যানভা, ইনশট বা কাইনমাস্টার ব্যবহার করতে। ভিডিও এডিট করার এই সফটওয়্যার গুলো android mobile app হিসেবে ইউজারদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়।
আরো পড়ুনঃ অনলাইনে ফ্রি টাকা ইনকাম সাইট বিকাশ পেমেন্ট ২০২৫
আবার আপনি যদি একদম প্রফেশনাল লেভেলে ভিডিও এডিট করে ইউটিউব বা টিকটকে আপলোড করতে চান তাহলে Cap Cut, Power Director, Adobe Premier Rush ব্যবহার করতে পারেন। এই সকল সফটওয়্যার এর যদিও কিছু কিছু ফিচার ব্যবহার করার জন্য আপনাকে টাকা খরচ করতে হতে পারে।
আপনি যদি আইফোন দিয়ে ভিডিও এডিট করতে চান তাহলে Light Room, Apple imovie, Adobe Premier Clip, Luma Fusion সফটওয়্যার গুলো আপনার জন্য ভালো হবে।
তবে আপনি যদি একদম প্রফেশনাল লেভেলে ভিডিও এডিট করে ওয়েবসাইটে পাবলিশ করতে চান তাহলে ক্রোম ব্রাউজারে থাকা পেইড সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার করতে হবে। এই সফটওয়্যার গুলো আপনাকে একদম পেশাদার লেভেলের ভিডিও এডিট করার অভিজ্ঞতা দিবে। আপনি হতাশ হবেন না এটা নিশ্চিত। যেমনঃ Movavi Video Plus, Cyber Link Power Director 365, Davinci Resolve ইত্যাদি।
মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্নঃ সবচেয়ে ভালো ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার কোনটি?
উত্তরঃ সবচেয়ে ভালো ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার গুলো হলঃ
- KineMaster
- VLC For Android
- PowerDirector
- CapCut
- Align Motion
- AI Video Editor
- ভিডিও মেকার
লেখকের মতামত
প্রিয় বন্ধুরা, মোবাইলে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার সেরা ১০টি সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করেছি। এছাড়া জনপ্রিয় ফ্রি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার ও পেইড ভিডিও এডিটিং অ্যাপস সম্পর্কেও আপনাদের জানিয়েছি। আরো জেনেছেন, ভিডিও এডিট করার সহজ পদ্ধতি সম্পর্কে।
মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিট করার সেরা ও জনপ্রিয় সফটওয়্যার ও অ্যাপ্স সম্পর্কে আপনি যদি বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলে পেয়ে যাবেন আশা করি। আর্টিকেলটি আপনার ভালো লাগলে আপনার পরিচিতজনদের সাথে শেয়ার করতে পারেন যাতে তারা উপকৃত হতে পারে।
passiondrivefiona র নীতিমালা মেনে comment করুন। প্রতিটি comment রিভিউ করা হয়;
comment url